নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজত শফীর ব্যক্তিগত জীবন তিন স্ত্রী ও সাত সন্তান

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৪


বিশেষ প্রতিবেদন: আল্লামা আহমদ শফীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন সম্পর্কে অনেকেই কিছু জানেন না। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।

কোথায় জন্ম আল্লামা শফীর?
আল্লামা শফীর জন্ম ভারতের বিহারে। প্রথমে বাংলাদেশের নোয়াখালিতে আসেন এবং সেখান থেকে পরবর্তীকালে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ায় আস্তানা গাঁড়েন। হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রধানপদে নিজের নিয়োগকে বৈধতা দেওয়ার কারণে জন্মস্থান নিয়ে রহস্য সৃষ্টি করা হয়।

কর্মজীবনের শুরু: পটিয়া বনাম হাটহাজারী

আল্লামা শফী প্রথম পটিয়ার আল জামেয়া আল ইসলামি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। পটিয়া মাদ্রাসায় ঢুকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে টেনে আনার চেষ্টা শুরু করেন তিনি। কিন্তু ব্যর্থ হন। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে মাদ্রাসা থেকে চলে আসেন। তারপর পটিয়াতেই জিরি মাদ্রাসায় কিছু সময় শিক্ষকতা করেন। পটিয়ার ওই দুটি মাদ্রাসা এখনও আল্লামা শফীর রাজনীতির বিরোধী-ব্লক হিসেবে কাজ করছে।

আল্লামা শফীর মাদ্রাসা প্রধানের পদ
আল্লামা শফী অতপর সাধারণ শিক্ষক হিসেবে চাকুরি নেন দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীতে। এই মাদ্রাসায় চাকরী নেয়ার পর আল্লামা শফী কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট করার জন্য ভয়ংকর ও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন।

যেভাবে মাদ্রাসা প্রধান হলেন আল্লামা শফী
১৯৮৪ সালে হাটহাজারীর মুহতামিম মাওলানা আবদুর রহিম (আব্দুল খালেদ) মারা যাওয়ার পর সে সুযোগ চলে আসে আল্লামা শফীর সামনে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় মুহতামিম নির্বাচনের নির্ধারিত আইন। হাটহাজারীর দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার নিয়ম অনুসারে যোগ্য শিক্ষকদের মধ্যে কেউ হাটহাজারীর বাসিন্দা হলে তিনিই হবেন মাদ্রাসা প্রধান। স্বাভাবিকভাবেই, অগ্রাধিকারভিত্তিতে মাওলানা রহিমের ভাই আল্লামা সেলিমের মুহতামিম হওয়ার কথা । কিন্তু আল্লামা সেলিমের কর্তৃত্ব কখনোই নিরঙ্কুশ হয়নি। নানান জটিলতার কারণ এই মাদ্রাসার ইমাম বা অভিভাবকের দায়িত্ব চলে যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের খতিব উবায়দুল হকের কাছে।
এদিকে আল্লামা সেলিমের বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ তুলে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনেই আল্লামা সেলিমকে মারাত্মকভাবে শারিরীক নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীকালে শাস্তি স্বরূপ আল্লামা সেলিমের মুহতামিম হওয়ার সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যায়। পর্দার সামনে চলে আসেন আল্লামা আহমদ শফী।
হাটহাজারীর স্থানীয় অনেক ব্যক্তিই মনে করেন, আল্লামা সেলিমের বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগটি তাকে ঘায়েল করার হাতিয়ার ছিল। কিন্তু মাওলানা সেলিমের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে মুহতামিম পদ থেকে তাকে দূরে থাকতে বাধ্য করা হলেও মাদ্রাসাটির প্রধান হওয়া সম্ভব ছিল না আল্লামা শফীর পক্ষে। অবশেষে বিএনপির দ্বিতীয় বারের শাসন আমলে আল্লামা শফী বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব ও মাদ্রাসা ইমাম মাওলানা উবায়দুল হকের সঙ্গে তার ঘনিষ্টতাকে কাজে লাগিয়ে এবং উবায়দুল হকের প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করে মাদ্রাসা প্রধানের পদটি দখল করেন।
আল্লামা শফী হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম হওয়ার পরই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। নানান চেষ্টার পর ২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠন তৈরী করেন এবং হেফাজতে ইসলামের সার্বিক কর্তৃত্ব নিয়ে নেন। হেফাজতে ইসলাম পরিণত হয় এক ব্যক্তি, এক নেতার সংগঠনে।

হুজুরের স্ত্রীগণ?

হাটহাজারী মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও জানেন না আল্লামা আহমদ শফীর স্ত্রী কত জন। বর্তমানে হুজুরের তিন জন মতান্তরে চারজন স্ত্রী বিদ্যমান। ৯২ বৎসরের জীবনে আল্লামা শফী অন্তত ছয় বার বিয়ে করেছেন। স্ত্রীদের মধ্য থেকে কারও মৃত্যু হলে, সে স্থান শূন্য থাকেনি। আল্লামা শফী প্রথম বিয়ে করেন ২৩ বছর বয়সে।

আল্লামা শফী স্ত্রীদের নিয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসার ভেতরেই একটি কমপ্লেক্সে বসবাস করেন। তবে ব্যক্তিজীবন নিয়ে গোপনীয়তা রাখার চেষ্টা করেন তাই তার পারিবারিক অনুষ্ঠানে হেফাজতে ইসলাম কিংবা হাটহাজারী মাদ্রাসার নেতা-কর্মীদের দাওয়াত দেয়া হয় না।

সন্তান সংখ্যা সাত

আল্লামা শফীর মোট সাত সন্তান। এর মধ্যে চারজন কন্যা ও তিন জন পুত্র। এই সাত সন্তানের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন মেজ ছেলে আনাস মাদানী। অন্য দুই ছেলে গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়া থাকেন। তিন মেয়ের জামাই-ই মাদ্রাসায় শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত। আনাস মাদানী হাটহাজারী মাদ্রাসায় ‘বড় হুজুরের’ উত্তরসূরী হিসেবে পরিচিত। মাদ্রাসার শিক্ষকদের মধ্যে একমাত্র তার কক্ষটিই শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত ও অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত।

বেহেশতী পয়গাম

২০০৮ সালের দিকে আল্লামা শফী হুজুর একদিন মাদ্রাসায় প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, তাঁর খোঁড়া মেয়েকে যে বিয়ে করবে, সে সরাসরি বেহেশতে যাবে। এই ঘোষণা সেই সময় হাটহাজারী এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি করে। এ মুহূর্তে হেফাজতের লোকজন এসব এড়িয়ে গেলেও তৎকালীন সময়ে এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল।

হেফাজতের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান হুজুর তাঁর ঘোষণার পেছনের যুক্তিও তুলে ধরেছিলেন। হুজুর বলেছিলেন, একজন সতী, পরহেজগার, পঙ্গু নারীকে বিয়ে করলে এই বিয়েই হাসরের ময়দানে নাজাতের উসিলা হবে।

আল্লামা শফীর এই ঘোষণার পরে হাটহাজারীর এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী জামালউদ্দিন প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে আল্লামা শফীর শারীরিক প্রতিবন্ধী কন্যাকে বিয়ে করেন। পরবর্তীকালে জামালউদ্দিন তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর প্রতি অবহেলা দেখালে প্রথম স্ত্রীর বড় সন্তান রোবায়েত বিন জামাল এ নিয়ে আল্লামা শফীর কাছে বারবার অভিযোগ করেন। কিন্তু এর কোন সুরাহা তারা পাননি বলে জানা যায়।

হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি

হাটহাজারীতে আল্লামা শফী ও তাঁর মাদ্রাসা নিয়ে নানান গল্প ফাঁদা হয়। এর একটি হচ্ছে মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা। সংখ্যা বাড়িয়ে বলার মাধ্যমে মাদ্রাসার গুরুত্ব যেমন তুলে ধরা হয় তেমনি ক্ষমতা প্রকাশ করতেও তা ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে ছাত্রসংখ্যা অনুদান পেতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সাধারণতভবে প্রচার রয়েছে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা বিশ থেকে ত্রিশ হাজার। কিন্তু আমাদের অনুসন্ধানে নিশ্চিত জানা গেছে – হাটহাজারী মাদ্রাসায় মোট ছাত্রের সংখ্যা কোনভাবেই আট হাজারের বেশি নয় ।

তথ্যসূত্রঃ অপরাধ কন্ঠ ।
Details:
Details:
https://aparadhkantha.wordpress.com/2013/07/30/আল্লামা-শফীর-ব্যক্তিগত-জ/

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আজকে শফি সাব খুব খ্রাপ তাই না? হা হা হা হা হা হা হা। ২০১৩ সালে এই হিসাব দেখাইলে আনন্দ পাইতাম।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

রাসেল সরকার বলেছেন: দ্বীনিমূল্যবোধ জ্ঞান সম্পূর্ণ ব্যক্তিদের নিকট শফী সব সময়ই বিতর্কিত ছিল । এই কথা অনস্বীকার্য যে, কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা মানবতা বিরোধী ।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

মুখ ও মুখোস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আজকে শফি সাব খুব খ্রাপ তাই না? হা হা হা হা হা হা হা। ২০১৩ সালে এই হিসাব দেখাইলে আনন্দ পাইতাম।
=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

প্রশ্ন হইলো, আইজকা চফি চাব এই খারাপ কি'রলাইগা? উনার এই সব আকাম কুকাম কি ২০১৩ সালের ৫ই মে তে কেউ খুইজা দেহে নাই?

রাজনীতির জন্য এই দেশে শুয়রের সাথে সহবাসও জায়েজ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

রাসেল সরকার বলেছেন: যারা ভোটের রাজনীতি করে তারা মসনদ আরোহনের জন্য সবকিছুই করতে পারে । পক্ষান্তরে শফী গং রা একাধিকবার বলেছে, আওয়ামীলীগ সরকার নাস্তিক সরকার মেয়েরা তেতুলের মত, আজ তেতুলই মিষ্টি হয়ে গেল ।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন:

শেখ হাসিনা আগে খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন,
উনি যে নেতার পাশে বসছেন তাঁকে যদি উনি তেঁতুল মনে করেন আর উনার জিবে পানি আসে তাহলে আমার কিছু বলার নাই।

উনি ২০১৩ সালে কক্সবাজারের উখিয়ায় বক্তব্যে বলেন,
হেফাজতের এক হুজুর তেঁতুল তত্ত্ব দিয়েছেন। বিরোধী দলের নেতা তার তেঁতুল তত্ত্বের তেঁতুল কি- না আমি জানি না। কারণ উনি বলেছেন, মেয়েদের দেখলে নাকি তেঁতুলের মতো জিহ্বায় পানি এসে যায়।

একই বছরের জুলাই মাসে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়া এবং শফীর সম্পর্কে বলেন,
হেফাজত বর্তমানে বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধেছে৷ কিন্তু বিএনপির প্রধানতো একজন নারী৷ তাহলে তিনি কিভাবে তাকে নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছেন? (শফির কাছে যেহেতু সব নারীই তেঁতুল, সে কারনেই শেখ হাসিনা এই প্রশ্ন করেছিলেন)

সেদিন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সারাদেশের নারীদেরকে তেঁতুল হুজুরদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আহবান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন,
নারীদের বিরুদ্ধে যাতে আর কেউ কোন দিন অশালীন মন্তব্য করতে না পারে, সে জন্য নারী নেত্রীদের সোচ্চার হতে হবে৷

যে শেখ হাসিনা একদিন দেশের নারীদেরকে তেঁতুল হুজুরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আহবান করেছিলেন। সেই হাসিনা যদি এই হুজুরদের সাথে জোট বাধেন তাহলে দেশের নারীরা কোথায় দাঁড়াবে? পাথরের থেমিস বোরকা পরবে? হুজুরগুলো পাথরের থেমিস গনিমতের মাল ভেবে ধর্ষন করবে?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

রাসেল সরকার বলেছেন: সত্য প্রকাশে ধন্যবাদ । আমাদের এখন ভাবার সময়, বার বার একই ফাদেঁ পা দিলে পরে ভুলের মাসুল খুঁজে পাওয়া যাবে না । যারা ক্ষমতার রাজনীতি করে ভোটের রাজনীতি করে মসনদ আরোহনের রাজনীতি করে, তাদের নিকট প্রসাব-পায়খানা সব পাক হয়ে যায় ।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

শরীফুর রায়হান বলেছেন: তথ্যসূত্রের লিংকটা কাজ করেনা কেনো?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০১

রাসেল সরকার বলেছেন: দেখতেছি ।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বিবাহ করিয়া অপরাধ হইয়া গেলো , এমনকি অপরাধকণ্ঠের মতন আন্তর্জাতিকমানের পত্রিকায় প্রকাশ পাইয়া গেলো ! ব্লগে কপি পেস্ট হইয়া সামুরে বব (ইংরেজি) পুরস্কার পাওয়াইয়া দিলো ! ব্লগারেরও পুরস্কার নিশ্চিত! যত্তসব। X( X((
তাবৎ মাগিবাজ বিবাহ না করিয়া পতিতালয়ের ইনকাম বাড়াইতেছে, তাহাতে খবর নাই , ছাম্বাদিক ফ্রি পাইতাছে তাই লেখে না। X(

অপরাধকণ্ঠও পত্রিকা , তেলাপোকাও পাখি, আফনেও ব্লগার !
প্রোফাইল এ চেতনায় অপরাধকণ্ঠ লেখেন , মানাইবো ! X(

এহেন বাল্পুস্ট সামুর কি উপকার করিতেছে বুঝিতেছি না ! অবিলম্বে ডাস্টবিনে ফেলা হোক। X(

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

রাসেল সরকার বলেছেন: ধর্মান্ধ ও জঙ্গী মদদ দাতাদের সত্য প্রকাশে যত মাথা ব্যাথ্যা । শফী সকালে এক কথা বললে বিকেলে আরেক কথা বলে । সরকারের প্রশাসন একাধিকবার বলেছে: জঙ্গীদের আতুঁড় ঘর কওমী মাদ্রাসা ।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বিচি কি কান্ধে উইঠা মগজে সেধছে , নাকি মগজই নিচে নাইম্মা বিচিত ঝুলতাছে ? আছোলা বাশ খাইয়া যারে তারে ধর্মান্ধ ও জঙ্গী মদদ দাতা ট্যাগ দেওনের দিন শেষ।ব্লগে আইসা বাল্পুস্ট না দিয়া নিজের বিচিতে কামড় দিলে লাভ হইবো ! X(( X( :D

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

রাসেল সরকার বলেছেন: জঙ্গী সংঘটনের সদস্যরাই এই ধরণের ভাষা ব্যবহার করে ।

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা হা হা

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

রাসেল সরকার বলেছেন: হুম

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

রাসেল সরকার বলেছেন:

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭২ সালে, পুরোজাতির শিক্ষা ব্যবস্হা সরকারের অধীনে থাকার কথা ছিল; শেখ সাহেব এই সামান্য কাজটি করেননি; আজকে গুহা মানব নিয়ে হাজারো সমস্যা

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: ভাই কি অপরাধ কন্ঠের রিপোর্টার। এই পত্রিকা তো তারা নিজেরা ছাড়া আর কেউ পড়ে না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

রাসেল সরকার বলেছেন: আমি কোন পত্রিকার রিপোর্টার এবং প্রচলিত কোন দল মতের সমর্থক বা সহযোগী নয় । কোন পত্রিকা কে বা কারা পড়ে, পড়ে না । সেটা বড় কথা নয়, শফী সাহের চিন্তাধারা বা দর্শন শুধু মানবতা বিরোধী নয় । দ্বীনি-হকের বিপতীত । ধন্যবাদ

১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

রাসেল সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪১

কানিজ রিনা বলেছেন: হা হা তেতুই হুজুর কয়টা বিয়া জাহেরী
বাতেনী। তয় হুজুর অহন সরকারী লোক
তাই চুপ হইয়া যান।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

রাসেল সরকার বলেছেন: তাই ভাবছি । গিরেফতারী পরোয়ানা এড়াতে তাই করতে হবে ।

১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:১২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তেতুল হুজুর, জিন্দাবাদ ;)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

রাসেল সরকার বলেছেন: তেতুল যখন মিষ্টি ।

১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:১৬

জিয়া চৌধুরী বলেছেন: লেখার ভাষাই বলে দেয় এটা কুৎসা রটনার জন্য লিখা।
রিপোর্টেড

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭

রাসেল সরকার বলেছেন: যারা সরকারকে নাস্তিক বলে এবং মা-বোনদের তেতুঁল বলে, তারা কি কোন মানুষের পর্যায়ে পড়ে ?

১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "লেখার ভাষাই বলে দেয় এটা কুৎসা রটনার জন্য লিখা।
রিপোর্টেড"

আমার মনে হয় না রিপোর্ট করে কোন লাভ হবে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:২০

রাসেল সরকার বলেছেন: শফী সাহেবের ধর্মীয় উস্কানীমূলক উগ্রবাদী বক্তব্য সম্পর্কে সত্য-মানবতায় বিশ্বাসীরা জ্যাত আছে ।

১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০১

নতুন নকিব বলেছেন:


//উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "লেখার ভাষাই বলে দেয় এটা কুৎসা রটনার জন্য লিখা।
রিপোর্টেড"

আমার মনে হয় না রিপোর্ট করে কোন লাভ হবে।//

- গিবত শেকায়েতে ভরপুর, পাপের নগর।

আল্লাহ পাক মাফ করুন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:২৬

রাসেল সরকার বলেছেন: কওমী-দেওবন্দী মোল্লা-মৌলবীদের সমকামীতার নিউজ বহুবার ই পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ।

১৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

প্রভুরূপী মানুষ বলেছেন: গাজাঁখুরি পত্রিকার,গাজাঁখুরি রির্পোট।বাংলাদেশে এই একটা পত্রিকা "অপরাধ কন্ঠ"বাপরে উনাদের নিউজগুলো পরলে মনে হয় পৃথিবীর ৯৯.৯% মানুৃষ খারাপ,সবাই অপরাধী।।।

১৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১১

এ আর ১৫ বলেছেন: চার বিয়ে হালাল! কোরানে কোথাও সাধারণ নারীদের ব্যাপারে এই কথা বলা হয়নি, শুধু এতীম মেয়েদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে আর সাথে কোরানে 'যদি' শব্দটি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যদি এরুপ আশঙ্কা দেখা দেয় যে এতীম মেয়েদেরকে নিরাপদে রাখা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না তাহলেই শুধু তাদের বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ চার পর্যন্ত। কিন্তু নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে পারলে বিয়ের অনুমতি নেই! সাধারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে তো আরও নেই।

২০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

এ আর ১৫ বলেছেন: কোরাণ একে শর্ত-সাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে মাত্র একটা জায়গায়, সুরা নিসা’র ৩ নম্বর আয়াতে − “এতিমদের তাদের সম্পদ বুঝাইয়া দাও। খারাপ মালামালের সাথে ভালো মালামালের অদল-বদল করিও না। আর তাহাদের ধনসম্পদ নিজেদের ধনসম্পদের সাথে সংমিশ্রিত করিয়া তাহা গ্রাস করিও না। নিশ্চয় ইহা বড়ই মন্দ কর্ম।

আর যদি তোমরা ভয় কর যে এতিম মেয়েদের হক যথাযথভাবে পূরণ করিতে পারিবে না, তাহা হইলে সেই সব মেয়েদের মধ্য হইতে যাহাদিগকে ভাল লাগে তাহাদিগকে বিবাহ করিয়া নাও দুই, তিন বা চারিটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে তাহাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত আচরণ বজায় রাখিতে পারিবে না তবে একটিই”।

আয়াত ১২৯ − “তোমরা কখনও নারীদিগকে সমান রাখিতে পারিবে না যদিও ইহা চাও” -এর ভিত্তিতে কিছু মওলানা চিরকাল দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন যে, কোরাণ বহুবিবাহ বাতিল করে এক স্ত্রী বহাল রেখেছে। কারণ “ন্যায়সঙ্গত” অর্থাৎ “আদ্ল”-এর মধ্যে পেম্র -ভালবাসাও অন্তর্ভুক্ত যা সমান ভাগে ভাগ করা যায় না। তাঁরা বলেন বিত্তশালী স্বামী চার বৌকে ওজনদরে সমান বাড়ি-গাড়ি দিয়ে রাখলেই বা কি ? সেখানে কি ভালবাসার তাজমহল গড়ে ওঠা সম্ভব ? ভালবাসা কি ভাগাভাগি করার জিনিস ? প্রেমে ভাগীদার গজালে তো মানুষ খুন পর্যন্ত করে ফেলে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০০

রাসেল সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ । অনেক কিছু জানলাম ।

২১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



//১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:২৬ ০
লেখক বলেছেন: কওমী-দেওবন্দী মোল্লা-মৌলবীদের সমকামীতার নিউজ বহুবার ই পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ।//

-আর কোন কাহিনী নাই? নতুন কোন ইস্যু? এইসব তো পুরনো। অনেক পুরনো। বাসী জিনিষ। মানুষ খায় না। পারলে নতুন কিছু নিয়ে নামেন।

তা, কওমী-দেওবন্দী মোল্লা-মৌলবীদেরটা শেষ পর্যন্ত আপনি দেখেই ফেলেছেন? আপনার যে কি পরিমান মেধা, আপনারে একটা 'নো বেল্ট' প্রদানের দাবি জানাই।

জানি, বিপরীত জিনিষগুলো অনেকের চোখে পরবে না! কারন, অনেকে একটা বন্ধ করে, আরেকটা দিয়ে ট্যারা চোখে হুজুরের পাঞ্জাবির কাপড়ের দৈর্ঘ্য প্রস্থ আর বস্ত্র অপচয়ের হিসাব করতে করতেই ক্ষনস্থায়ী দুনিয়ার জীবনের ইতি টানে। মূক মূর্খরা বরাবর নিজেকে নয়, অপরের দোষ খুঁজে বেড়ায়।

আর ঐ যে সব্বনাশা কীর্তিগাঁথা, ধর্ষনের সেঞ্চুরি মেঞ্চুরি, এগুলো যেন কাদের অমর জয়গাঁথা?

অন্যায়ের পক্ষে নই। যেসব আলেম নামধারী অসভ্য, মানবতার দুশমন সমকামিতার মত অপরাধে লিপ্ত হয়, তাদের যথাযথ বিচার হোক, আমরাও চাই। কিন্তু যারা আলেম নন, তাদের এই জাতীয় কর্মকান্ড বোধ হয় আপনাদের কাছে অপরাধ হিসেবে গন্য হয় না। আপনাদের দৃষ্টিতে বোধ করি, তাদের বিচারের আওতায় আনারও প্রয়োজন নেই।

বলি, হুজুরদের পিছে লাগতে গিয়ে লক্ষ্য রাখবেন, ইহকাল পরকাল সবকাল অর্থাত আল্লাহর রহমতের দুয়ার নিজের জন্য বন্ধ করতে যাবেন না, যেন।

একখানা হাদিস বলে যাই, 'মান আ'-দা লি অলিয়ান ফাক্কাদ আজানতুহু বিল হারবি' -আল্লাহ পাক বলেন, যে বা যারা আমার বন্ধুদের সাথে শত্রুতা পোষন করে, তাদেরকে আমি আমার সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে অনুমতি দিচ্ছি।

সুতরাং, সাধু সাবধান।

আল্লাহ পাক আমাদের মাফ করুন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

রাসেল সরকার বলেছেন: কওমী দেওবন্দী শিক্ষা ব্যবস্থা দ্বীনি-হকের বিপরীত মানবতার বিপরীত । ধর্মের নামে উগ্রপন্থী জীবন-বিনাশী মানবতা-বিনাশী মতবাদের উৎস কওমী মাদ্রাসা । প্রকৃত ইসলামের মূলধারা আদর্শ থেকে বিচ্ছিন্ন কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা । মহান শাহাদাতে কারবালার শিক্ষা-চেতনা উৎখাত করে কাফের এজিদীমতবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুগ যুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছে দেওবন্দী কওমী মাদ্রাসা ।
যারা বদর-ওহোদ-কারবালার চেতনায় বিশ্বাসী, তারা বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করেন যে, দুনিয়ার যে কোন কাফের, চির অভিশপ্ত কাফের এজিদের চেয়ে উত্তম । কেননা কাফের এজিদ কর্তৃক দ্বীন-মিল্লাত তথা সত্য-মানবতার যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা অন্য কোন কাফের কর্তৃক হয়নি । আমাদের পবিত্র খেলাফত ব্যবস্থা উৎখাত করে এককগোষ্ঠী ভিত্তিক এককমতবাদ ভিত্তিক স্বৈর রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করেছিল কাফের এজিদ । অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়, কওমী দেওবন্দী মোল্লা-মৌলবীরা চির অভিশপ্ত কাফের এজিদকে ঈমানদার তাবেঈন ঘোষণা দিয়ে মুসলিম জাহানে ফাটল সৃষ্টি করেছে এবং কাফের এজিদের দিকদর্শন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পবিত্র ইসলামে নামে বিভিন্ন সময়ে জঙ্গীবাদী সংঘটনের জন্মদিয়ে সারা দেশব্যাপী তান্ডব লীলা চালাচ্ছে । শুধু তাই নয়, স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে পড়োয়া ভাইদেরকে জিহাদের নামে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গী সংঘটনে ধাবিত করতেছে ।

আমরা বিশ্বাস করি মহান আওলয়াকেরামের পথই শান্তির পথ মুক্তির পথ ন্যায়ের পথ । আওলিয়াকেরামের শিক্ষা আজ প্রায় দুর্লভ, চলছে ব্যবস্থা প্রতারণা আর ধান্দাবাজি । মুসলিম মিল্লাতের মহান ইমাম "আল্লামা ইমাম হায়াত" বলেন: আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথ যখন ভূলিয়ে দেয়া হয়, বিকৃত করা হয়, হারিয়ে যায় তখন সেখানে প্রকৃত ইসলাম আর থাকে না। ইসলামের নামে শয়তানী পথভ্রষ্টতা বর্বরতা ও কুফরী কায়েম হয়। যেমন আলোহীন আঁধারে চোর ডাকাত দুর্বৃত্ত তাণ্ডব শুরু হয়। যারা আওলিয়া কেরাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তারা সত্যের সম্বন্ধ হারিয়ে আত্মিকভাবে মৃত ও পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে এবং তাদের মাধ্যমে প্রকৃত ইসলাম বিকৃত বিলুপ্ত হয়ে ইসলামের ছদ্মনামে দোজাহানে ধ্বংসাত্মক কুফরি জালেম বাতেল ফেরকা গড়ে উঠেছে, মিল্লাত বিধ্বস্ত বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। তাই আমাদেরকে আল্লাহতায়ালা ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লামের নির্দেশ হিসেবে নিজেদের আত্মা-জীবন, ঈমান-দ্বীন ও দোজাহানের সাফল্য ও মুক্তির স্বার্থে অবশ্যই আওলিয়া কেরামের পথে যুক্ত থাকতে হবে, আওলিয়া কেরামের পথে চলতে হবে যা ব্যতীত আমাদের জীবন আঁধার বিনাশের পথে চলে যাবে।

আওলিয়া কেরামের পথ ছাড়া যেমন সত্য ও মুক্তির কোন উপায় নেই, তেমনি আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথ আজ দুর্লভ হয়ে গেছে। তাঁদের পথের নামে অনেক বিকৃতি মূর্খতা ভণ্ডামী ব্যবসা প্রতারণা চলছে। আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথ খুজে পাওয়া জীবনের অতিজরুরী গুরুত্ত্বপূর্ণ অর্জন, যা আমাদের অবশ্যই পেতে হবে এবং এর বিপরীত বিকৃতি প্রতারণা সম্পর্কেও সজাগ হতে হবে, মুক্ত থাকতে হবে। কারন হীন স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধোকা দিয়ে আওলিয়া কেরামের পবিত্র নামের অনেক অপব্যবহার হচ্ছে।

সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগে আওলিয়া কেরামের পবিত্র নামে তাঁদের তরিকতের নামেও আজ তাঁদের দিকদর্শনের বিপরীতে ভূল পথে পরিচালনা করা হচ্ছে। ভূল পথে অনন্তকাল চলেও কখনও কোন লক্ষ্য অর্জন করা যায় না। ভূয়া পথে থাকার মধ্যে সাময়িক কোন হীন স্বার্থসিদ্ধি হলেও জীবনের কোন প্রকৃত লাভ নেই। যে কোন ভ্রান্ত পথ জীবনের জন্য প্রকৃত পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর, কলংকজনক ও আখেরাতে চরম আফসোস ও দুঃখের কারন হবে। আওলিয়া কেরামের নামে তাঁদের ছদ্মবেশে ভূলপথে পরিচালিত করা আজ আমাদের মিল্লাতের ধ্বংসাত্মক বিপর্যয়ের অন্যতম কারন। যা থেকে আমাদের আজ তাঁদের পথের সঠিক দিকদর্শনে উদ্ধার হতেই হবে।

আওলিয়া কেরামের পবিত্র নাম নেয়া হচ্ছে, তাঁদের নামে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হচ্ছে, কিন্তু তাঁদের শিক্ষা ও পথ আড়াল করা হচ্ছে, বিকৃত বিলুপ্ত করা হচ্ছে। ভেজাল ও মিথ্যাকে প্রশ্রয় ও পথ করে দেয়া হচ্ছে, সত্য ও মুক্তির পবিত্র পথকে বিভিন্ন কৌশলে অবজ্ঞা উৎখাত করা হচ্ছে। আত্মিকভাবে অন্তসারশূন্য ও বস্তুবাদী করে তোলা হচ্ছে ফলে রাজনৈতিকভাবেও কলেমার বিপরীতে অপশক্তির দাস দোসর করে জীবন বিকিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং পরিণতিতে আওলিয়া কেরামের আসল পথ তথা প্রকৃত ইসলাম হারিয়ে গেছে, মিল্লাত পরাজিত হয়ে গেছে।

আওলিয়া কেরাম সত্যের ধারক সত্যের দিকদর্শন। যেখানে সত্য নেই সেখানে আওলিয়া কেরাম নেই। যেখানে মিথ্যা সেখানে আওলিয়া কেরাম নেই। সত্যের বিপরীত পথে থেকে, মিথ্যা ও জুলুমের সহযোগী হয়ে আওলিয়া কেরামের অনুসারী দাবী করা শুধু প্রতারণা নয়, তাঁদের সাধনা ও আদর্শের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করা। তরিকত, মাজার ওরশ যা কিছু আমাদের দ্বীনী রূহানী জীবনের অবিচ্ছেদ্য বিষয় সেসব পবিত্র নামেও চলছে অনেক বিকৃতি ও প্রহসন। অনেক স্থানেই হক বাতেলের কোন প্রশ্ন নেই, সত্যের দিশাও নেই, মিথ্যার বিরূদ্ধেও সচেতনতা নেই, আছে শুধু প্রদর্শনী, ফলে মুক্তিও নেই।

আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথের দিশা আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে, পেতে হবে, যেন আমরা ফাঁদে পড়ে জীবন ও দ্বীন বিনষ্ট না করি। কারন অন্ধ লোক কাউকে পথ দেখাতে পারে না, অন্ধের অনুসারী হয়ে কেউ পথ পেতে পারে না বরং তা চরম মূর্খতা ও ধ্বংসাত্মক। যারা ঈমান কুফর পার্থক্য করতে পারে না, হক বাতেল চিনতে পারে না, দ্বীন ও গাইরে দ্বীন বুঝতে পারে না, প্রকৃত সুন্নীয়ত ও ভুয়া সুন্নীয়ত আলাদা করতে পারে না, কলেমার মর্ম অঙ্গীকার ও এর বিপরীত বিষয় সম্পর্কে যাদের ধারনা নাই, দ্বীনের আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক সার্বিক পুর্নাংগতা সম্পর্কে যারা অজ্ঞ, দ্বীন ও মিল্লাতের সমস্যা সংকট এবং বিভিন্ন বাতেল চক্রান্ত চক্রজাল সম্পর্কে যারা অচেতন এমনকি নিজেরাই শিকার, সর্বোপরি কলেমার ভিত্তিতে নিজের আত্মপরিচয়ই যারা জানে না অর্থাৎ তাওহীদ রেছালাত ভিত্তিক আত্মপরিচয় জীবনচেতনা এবং বিপরীত নাস্তিক্য উদ্ভূত বস্তুবাদী বিষাক্ত জীবন জাতীয়তা সম্পর্কে যারা জানে না তাদের যত ডিগ্রি কিম্বা যত মূর্খ অনুসারীই থাক তাঁদের আলেম আওলিয়া কেরামের উত্তরসূরী হিসেবে গণ্য ও গ্রহণ করা যায় না। এ ধরনের পোষাক ও প্রচার সর্বস্ব অন্তসারশূন্য লোকদের নেতৃত্বে তরিকত মারেফাত ও জাতীয় মুক্তি দুরের কথা ঈমানের প্রাথমিক দিশা কিম্বা বাতেল থেকে জীবনকে মুক্ত থাকার প্রাথমিক দিশা, দ্বীনের প্রাথমিক পরিচয় পাওয়াও সম্ভব নয়। অথচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউলিয়াকেরামের নাম ও তরিকতের আড়ালে এমন লোক ও অবস্থা ব্যাপক আকার ধারন করে বিশাল জনগোষ্ঠীকে আঁধারে আবদ্ধ করে মিল্লাতকে ডুবিয়ে দিয়ে সব বাতেলকে কায়েম করে দিচ্ছে। মুসলিম সমাজে বাতেল ফেরকা ও বস্তুবাদ কায়েম বিজয়ী হয়ে মিল্লাত আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক সবদিকে বিধ্বস্ত ও পরাজিত হয়ে যাওয়ার জন্য মূর্খতা ও দিশাহীনতার এ অবস্থাই দায়ী।

এ সংকটজনক অবস্থায় শুধু লক্ষ্যহীন দিশাহীন আনুষ্ঠানিকতা নয়, নিজেদের অস্তিত্ত্বের স্বার্থে আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথ, তাঁদের দিশা ও আমানতের উত্তরাধিকার হয়ে মিল্লাতের জাতীয় মুক্তির বিপ্লবী অভিযাত্রায় আমাদের অবশ্যই যুক্ত হতে হবে, যদি আমরা আওলিয়া কেরামের আপন হই। আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথের পূণরূজ্জীবন ও সে পথে ঐক্যবদ্ধ অগ্রযাত্রার মাধ্যমেই জীবন ও দ্বীন মিল্লাতের হারানো সব কিছু পূণরূদ্ধার ও পূণপ্রতিষ্ঠা সম্ভব। আর এটাই হতে হবে আমাদের লক্ষ্য।

আমরা যারা আল্লাহ ও তাঁর হাবীবের উদ্দেশ্যে আওলিয়াকেরামকে ভালবাসি, আওলিয়াকেরামের হয়ে চলতে চাই,সত্য ও মানবতার দ্বীনের প্রতিষ্ঠা চাই, মিথ্যা ও জুলুমের অবসান চাই, বাতেলের আগ্রাসন রূখতে চাই, মিল্লাত ও মানবতার মুক্তি চাই, তাদের আজ অবশ্যই সব সংকীর্ণতা মুক্ত হয়ে সব তরিকত খানকা দরবার মুমিন ভাই বোন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ স্রোতধারায় যুক্ত হয়ে দুনিয়া ব্যাপী ছুন্নী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সুন্নী আন্দোলন ব্যতীত সর্ব বাতেল থেকে মুক্তি যেমন সম্ভব নয় তেমনি আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথে দ্বীনের পূর্নাংগ প্রতিষ্ঠাও সম্ভব নয়। এজন্য দয়াময় আল্লাহ ও প্রিয়নবীর প্রেম, আওলিয়া কেরামের শিক্ষা এবং দ্বীন মিল্লাতের জাতীয় স্বার্থকে সব কিছুর উপরে স্থান দিতে হবে।

২২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এই দশ বিচিওয়ালা পাঁঠা(বাকি পাঁচটা ফাটাইয়া আমি শ্রীলংকায় বাংলাদেশের বিজয় উৎযাপন করছি, বাংলাদেশ আবার জিতলে বাকিগুলোও........ ) কোরআন-হাদিসের এলেম বোধহয় আল্লামা আজাজিলের কাছ থেইকা শিখছে ! হেতে কোরআন-হাদিসের ব্যাখ্যাও চুশীলদের মনমতো বানাইতেছে ! X( X(( X(

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫

রাসেল সরকার বলেছেন: কওমী সমকামীদের ভাষা ।

২৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



উদ্ভট, কুরআন অনলি বড় মুফতি(!) আল্লামা গুগল এখানে এসেও আছাড় খেয়ে পরবেন, তা জানলে তো কথা না বলাই ভাল ছিল। কোত্থেকে, কিসের উপরে ভিত্তি করে, তিনি যে কি সব আবোল তাবোল মাথা বিগড়ানো বস্তা বস্তা লেখা দিয়ে মনগড়া দলিল বানিয়ে আনেন, তিনিই ভাল জানেন।

সংঘর্ষ প্রিয় এই উদ্ভট লোকটির প্রায় প্রত্যেকটি মতবাদ ইসলাম ধর্মের মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক।

সন্দেহ থেকেই যায়, কুরআন হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে, এগুলোর উল্টোপাল্টা মনগড়া অর্থ এবং ব্যাখ্যা প্রদানকারী ব্যক্তিটি আসলে ইসলাম ধর্মের ঘরের শত্রু বিভীষন, না কি ইসলামের জাতশত্রুদের এজেন্টই কি না।

২৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বুঝলাম , আফনের এক্সপেরিয়েন্স আছে ! :D ইসলামে সমকাম হারাম না হইলে কইতাম আফনেরে যে ইয়ে মারছে তারে ফিল্ড মার্শাল পদক দেওয়া উচিত ! =p~

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২১

রাসেল সরকার বলেছেন: বস্তুর দাসত্ত্ব আত্মা শয়তানের শিকলে আবদ্ধ । তাই তারা সত্যকে যেমন উপলব্দি করতে পারেনা, তেমনি মিথ্যাকেও উপলব্দি করতে পারেনা ।

২৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

নতুন নকিব বলেছেন:




পূর্বোক্ত মন্তব্যে দীর্ঘ উত্তর প্রদানে অসংখ্য মোবারকবাদ। তবে, আপনার অনেক কথার সাথেই হয়তো আমাদের একমত হওয়া বেশ কঠিন। তাই সংক্ষিপ্তাকারে দু'একটি কথা না বললেই নয়।

প্রথমে অন্তত: একটু পরিচয় না বললে আপনি হয়তো আমার সাথে কথা বলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন না। স্বীকার করে নিচ্ছি, জীবনে একটি দিনের জন্যও কোন কওমি মাদরাসায় পড়ালেখা করা হয়ে ওঠে নি।

সুতরাং আপনার প্রাথমিক পর্যায়ের সন্দেহ সংশয়টা আশা করি এখান থেকে দূর হয়ে যাবে।

এখন আসুন, একটু কাজের কথা বলি। ইয়াজিদ কর্তৃক সংঘটিত কারবালার শোকাবহ ঘটনায় আপনাদের মত আমরাও সীমাহীন শোকাহত। আমাদের হৃদয়ের গভীরেও এই ক্ষত দগদগে। কিন্তু, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকতে চাই। আর অন্যের অসত্য বুলিকে সত্যায়ন করার মাধমেও মিথ্যেবাদীদের সহযোগী হওয়ার অপরাধে আমরা নিজেদের আল্লাহর আদালতে আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করাতে চাই না।

সবিনয়ে জিজ্ঞেস করতে চাই, ইয়াজিদ যে মুসলমান ছিলেন না এবং কাফির ছিলেন, এই তথ্য আপনি কোথায় পেলেন? যেখানেই পেয়ে থাকেন, সেটা যে সঠিক তা কিভাবে নিশ্চিত হলেন?

একবার ভেবে দেখুন, ইয়াজিদ অন্যায় করে থাকলে তার দায়ভার কিন্তু আপনার উপর বর্তাবে না। পক্ষান্তরে, আপনি যদি কোন ঈমানদার (হোক সে মহাপাপী গোনাহগার) কে কাফির বলে থাকেন, তার জন্য আপনাকে নির্ঘাত নিশ্চিতভাবে এবং অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। বেহুদা অন্যের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করতে গিয়ে কেন নিজের জন্য নিজে বিপদ ডেকে আনবো?

তেমনিভাবে কওমি ধারার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন কিংবা তাদের ভাল কাজগুলোর মূল্যায়নের দিকে না গিয়ে তাদের প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে জঙ্গিবাদ তৈরির জন্য তাদের এককভাবে অভিযুক্ত করে ঢালাও মন্তব্য করেছেন, যা আপনার তাকওয়া-খোদাভীতিকেই বরং প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সত্যিকারের মুসলমান তো তিনিই, যার হাত এবং মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ। সুতরাং কারও প্রতি, কোন গোষ্ঠীর প্রতি এইভাবে আঙুল উঁচিয়ে যখন জঙ্গিবাদের মত একটি ভয়ংকর বিষয়ের সম্মন্ধ নির্দেশ করা হয়, তখন ভেবে দেখুন, সেটা কত সাংঘাতিক কথা হয়ে যায়।

আপনি যদি সত্য লুকোতে চেষ্টা না করেন, তাহলে বলুন তো, এই যে আমাদের সমাজের বুকের উপর জঙ্গিবাদের জগদ্দল পাথর চেপে বসেছে এটা কি শুধু বাংলাদেশে? এটা কি শুধু এশিয়ায়? এটা কি শুধু মধ্যপ্রাচ্যে? এটা কি ইউরোপ কিংবা আমেরিকার মত অঞ্চলেও নেই? তাহলে বিনয়ের সাথে প্রশ্ন করি, আপনি যদি এই অঞ্চলের জঙ্গিবাদ উত্থানের জন্য কওমি ধারার শিক্ষা ব্যবস্থাকে অভিযুক্ত করেন, কওমি ধারাকে দায়ী করেন, তাহলে ইউরোপ আমেরিকা কিংবা মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর যেসব জায়গায় কওমি মাদরাসাই নেই, সেখানে অভিযোগের আঙুলটা তাহলে কার দিকে তাক করবেন?

আসলে একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে, বুঝতে সমস্যা হয় না, জঙ্গিবাদ মূলত: কোন আঞ্চলিক কিংবা ধর্মীয় সীমানায় আবদ্ধ সমস্যার নাম নয়, এটি আজকের বাস্তবতায় একটি বৈশ্বিক অপঘাত। বিশ্বজুড়ে এই দুষ্টক্ষত ছড়িয়ে। ধর্ম বর্নের সীমানা ছাড়িয়ে এই ভয়াল ত্রাসের ছোবল বিশ্বময়। সাম্রাজ্যবাদী তস্কর বিশ্ব মোড়ল, মান্যবর পরমানু অস্ত্রধারী কয়েকটি দেশ- যাদের হাতে সাম্প্রতিককালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ জীবন হারিয়েছেন। নিরাপরাধ নিষ্পাপ ফুলের মত শিশুরা যাদের জিঘাংসার বলি হচ্ছে প্রতিনিয়ত, দেশে দেশে জঙ্গিবাদের জনক সেই আসল হোতাদের ভুলে গেলেন কেন? আর বেহুদা অযথাই কওমি ধারার কাঁধের উপরে এর সব দায়ভার চাপিয়ে দেয়ার এই কসরতই বা করতে যাবেন কেন?

আমরা আল্লাহ পাককে মহব্বত করি। তিনি। হ্যা, তিনিই আমাদের একমাত্র প্রভূ। তাঁর নির্দেশ অনুসারে (ক্কুল ইন কুনতুম তুহিব্বুনাল্লাহা ফাত্তাবিউনী ইউহবিবকুমুল্লাহ.....) তাঁর প্রেরিত প্রিয়তম নবীজীকে প্রানের অধিক মহব্বতের চেষ্টা করি। আর তাঁর নির্দেশ পালনার্থে তার উম্মতের ভেতরে (আল উলামা-উ ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া-) হকপন্থী আলেমদের অন্তরের গহীন থেকে মহব্বত করি। একই কারনে, আমরা অলী আউলিয়াদের মহব্বত করি, ভালবাসি। সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। তারা জাতির মাথার মুকুট। নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নায়েব। আর এসব ক্ষেত্রে আমরা কওমি আলিয়া ডিভাইডেশনে বিশ্বাসী নই। সত্যিকার সুন্নাতে রাসূলের অনুসারী নায়েবে নবী, তিনি কওমি না কি আলিয়া- এই প্রশ্ন যারা তোলেন, তাদের অন্তরের ক্ষুদ্রতার সাথে আমাদের যোজন যোজন দূরত্ব।

কিন্তু, বিদআতি, সুন্নাত পরিত্যাগকারী, ব্যবসায়ী, নবী পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রচলিত দুই ঈদের বাইরে নতুন ঈদ উদযাপনকারী, ঈদে আজম, সাইয়্যেদুল আ'ইয়াদ পালনকারীসহ ইসলামের নামে জশনে জুলুস, কারবালা দিবসের মাতমসহ সকল ভেজালযুক্ত বিদআতপন্থী খানকা দরবার বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করি।

আল্লাহ পাক আমাদের মাফ করুন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৬

রাসেল সরকার বলেছেন: আপনার অনুভূতির প্রতিশ্রদ্ধা রেখেই বলছি । আমি অনেক অভাক হয়েছি, এজিদের প্রতি আপনার নমনীয়তা দেখে । একটি বিষয় পরিস্কার যে, এজিদের বিষয়ে নমনীয়তা এবং তাকে কাফের বলার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশকারী এজিদের অনুসারী হিসেবেই গণ্য । মহান আল্লাহ্ তায়ালা এবং তার প্রিয়তম হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম এর দরবারে পানাহ্ চাই যে,‌ পরকালে এজিদের অনুসারীরা যেখানে অবস্থান করবেন, আল্লাহ্ তায়ালা যেন আমাদেরকে সেখানে প্রেরণ না করেন । এজিদ কাফের হওয়ার বিষয়ে কিছু দলিল পেশ করছি:
কিছু ওলামায়ে কেরাম এজিদকে মালাউন বা কাফের বলতে অনিশ্চুক । বরং যারা লানতী বলছে, তাদের উক্তি শুদ্ধ নয় বলেও ঘোষণা দিয়েছে (ছাইফুল আতাঃ ১৭৬ পৃষ্ঠা) । কিন্তু আমি বলছি এজিদের উপর লানত করাটা কোরআন-হাদিছ সম্মত । কাজী সানাউল্লাহ পানিপথী লিখেছেন, ইমাম আহমদের ছেলে জনাব সালেহ বলেছেন, আমি আমার পিতা হযরত ইমাম আহমদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে এজিদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম । উত্তরে তিনি বললেন, কোন ঈমানদারই এজিদকে ভালবাসতে পারে না । এজিদের উপর আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে লানত দিয়েছেন । আমি বলেছিলাম, কোরআনের ভাষায় আল্লাহপাক তার উপর অভিশষ্পাত দিয়েছেন । “ক্ষমতা লাভ করলে সম্ভবত তোমরা দুনিয়াতে অনর্থ সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে । এদের প্রতি আল্লাহপাক অভিষ্পাত করেন । অতঃপর আল্লাহপাক তাদেরকে বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন করেন (সূরা মুহাম্মদ ২২-২৩ আয়াত, তফছীরে মাজহারী ৮ম খন্ডঃ ৪৩৪ পৃষ্ঠা) । ইবনে হাজার মক্কী লিখেছেন, ইমাম আহমদ এও বলেছেন, ইমাম হোসাইনের হত্যাকান্ড হতে বড়ই হৃদয় বিদারক, মর্মন্ত্দ ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে আর কী হতে পারে । বুঝা গেল ইমাম আহমদও এজিদকে লানত করেছেন । এতে এটাও প্রমাণিত হয়, এজিদই ইমাম হোসাইনের হত্যার জন্য দায়ী ছিল (সাওয়ায়েকে মুহরেকাঃ ২১২ পৃষ্ঠা) । সাহেবের রুহুল মাআনী আল্লামা আলুসি লিখেছেন, এজিদের কুফরী ও অভিশপ্ত হওয়া সম্পর্কে পরিস্কার সুনিশ্চিত ঘোষণা অনেক আলেম দিয়েছেন । বর্তমানে হাফেজ ইবনে জুজী এবং তারও আগে কাজী আবু ইয়াআলা এবং আল্লামা তাফতাজানী বলেছেন, আমরা এজিদের শান বা ঈমানে বিশ্বাস করি না । বরং তার ঈমান নেই । এতে কোন সন্দেহ নেই । তাকে সাহায্যকারীর উপর আল্লাহর লানত ও অভিশষ্পাত বর্ষিত হোক । আল্লামা জালালুদ্দিন সয়ূতী তার উপর লানত দেয়ার পক্ষপাতি । আবুল ওয়র্দি স্বীয় ইতিহাসে উল্লেখ করেছেন, যখন আওলাদে রাসূলদের বন্দী করে সিরিয়ায় উপস্থিত করা হল, তখন এজিদ আওলাদে রাসূলদের দেখে বলেছিল, আমি রাসূল থেকে স্বীয় ঋণ উসূল করলাম । আল্লামা মাহমুদ আলুসি স্বীয় মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন, খবিছ এজিদ প্রিয়নবীর রিসালাত স্বীকার করত না । সে মক্কা ও মদীনা শরীফে আওলাদে রাসূলের অসম্মানী করেছে, মুসলমানদের হেয় করেছে । মুসলমানগণ ধৈর্য ধারণ করেছেন । খবিছ এজিদ হতে আল্লাহ প্রতিশোধ নেয়ার অপেক্ষা করেছেন । তিনি আরো বলেন, আমি শুধু এজিদের উপর লানত করছি না । বরং ওবাইদুল্লাহ ইবনে জিয়াদ, ইবনে সাদ এবং তাদের দলের উপর অভিসষ্পাত করছি (২৬পারা, পৃষ্ঠাঃ ৭৩) । আল্লামা তাফতাজানী লিখেছেন, এজিদ হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হত্যায় সন্তুষ্ট ছিল এবং হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হত্যার সংবাদ প্রাপ্তি সে চেয়েছিল । হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হত্যার প্রত্যেক ঘটনায় প্রমাণিত হয় যে, এজিদ হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও আওলাদে রাসূলের অসম্মান করেছে । তার শান ও ঈমান সম্পর্কে আমরা চুপ থাকতে পারি না তার উপর ও তার সাহায্যকারীদের উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক । আল্লামা ইবনে এমাদ হাম্বলী লিখেছেন, আমরা এজিদের শানে বরং কুফরী ও ঈমানে চুপ থাকব না । অর্থাৎ তাকে কাফের বলব । তার উপর তার সাহায্যকারীদের আল্লাহর লানত হোক (শজরাতুজ্জাহার ১ম খন্ডঃ ৬৯ পৃষ্ঠা) । আল্লামা জামেরী বলেছেন, আলী বিন মুহাম্মাদুল কায়া আল ফেরাসী আল ফকীহ, আশশাফেঈ বলেছেন, এজিদের উপর লানত করা সম্বন্ধে আগেকার আলেমদের মধ্যে ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক ও ইমাম আহমদ বিন হাম্বলের দু’টি মত আছে । এই মতদ্বয়ের একটি পরিস্কারভাবে বর্ণিত, অপরটি ইঙ্গিতে বর্ণিত । আমরা শাফেয়ীদের কথা পরিস্কার যে, এজিদ মদ্যপ, চিতাবাঘ শিকারী, জুয়াড়ী ছিল বলে সে পরিস্কার মালাউন । কিন্তু ইমাম আবু হানিফা ও মালেক একমতে পরিস্কার মালাউন বলেছেন এবং অপর রেওয়ায়েতে ইঙ্গিতে মালাউন বলেছেন (হায়াতুল হাইওয়ান, ২য় খন্ডঃ ২২৫ পৃষ্ঠা) । আল্লামা ইবনে খালকানও এ অভিমত প্রকাশ করেছেন (ওয়াকআতুল আয়ান ৩য় খন্ডঃ ২৮৭ পৃষ্ঠা) । হাফেজ ইবনে কাসীর লিখেছেন, হাফেজ ইবনে জুজী এই বিষয়ে একটি স্বতন্ত্র পুস্তক লিখেছেন, যাতে এজিদের উপর পরিস্কারভাবে লানত করাটা শুদ্ধ বলে প্রমাণ করেছেন (আল বেদায়া ওয়ান্নেহায়া ৮ম খন্ডঃ ২২৩ পৃষ্ঠা) । কাজী মুহাম্মদ জাহেদ ফজলে দেওবন্দী লিখেছেন, আমরা এজিদের শানে বরং তার ঈমানেও কোন প্রকারে নিরব ছিলাম না । এজিদ ও তার সাহায্যকারীদের উপর আল্লাহর লানত হোক (আহসানুল ফাওয়ায়েদঃ ১৮১ পৃষ্ঠা) । কাজী সানাউল্লাহ পানিপথী লিখেছেন, এজিদ ও সাথীগণ আল্লাহর নিয়ামতের সাথে কুফরী করেছে । আওলাদে রাসূলের সাথে দুষমনী তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল । হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে অত্যাচার করে তারা প্রিয়নবীর ইসলামের সাথে কুফরী করেছে । এজিদ হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাতের পর কিছু কবিতা আওড়াচ্ছিল, যার শেষ পংক্তি ছিল-

“মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম যা কিছু আমাদের পূর্ব পুরুষদের সাথে বদরের মধ্যে করেছে, যদি আমি আহমদের সন্তানদের থেকে প্রতিশোধ না নেই, তবে আমি জন্দব গোত্রের লোক নই । এজিদ শরাবকে হালাল ঘোষণা দিয়ে বলছে……….

শরাব দ্বীনে আহমদে হারাম হলেও কিছু আসে যায় না, তবে খৃষ্টান ধর্ম অনুযায়ী শরাব হালাল মনে করে পান কর । এজিদীগণ আওলাদে রাসূলদের মিম্বরে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে গালাগালি করেছে । শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশোধে নিশ্চিহ্ন করেছেন । এখন তাদের চিহ্নও নেই (তফছীরে মাযহাবী, ৫ম খন্ডঃ ২৭১ পৃষ্ঠা) ।

সাহেবে নিবরাজ এজিদকে লানত দেয়া ও কাফের বলাটা শরিয়তদৃষ্টে শুদ্ধ নয় বলে যে মত দিয়েছে, তা সঠিক নয় । কেননা নিবরাজের টীকা লিখক আল্লামা বরখুরদ্বার মুলতানী লিখেছেন, নিবরাজের একথা সম্পূর্ণ বাতিল । কারণ, বড় বড় বরণীয় আলেমগণ এজিদের উপর লানত করেছেন । যেমন ইমাম আহমদ ও তার অনুসারীরা এজিদের নাম ধরে তার উপর অভিশাপ দিয়েছেন । আল্লামা আল কায়াসী ফকীহ শাফেয়ীর মত, ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ীদের অনুসারীদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, এজিদের নাম ধরে তার উপর লানত করা শরীয়তসম্মত । আল্লামা ইবনে জুজী, আল্লামা তফতজানী, আল্লামা জালাল উদ্দিন সয়ূতী, আল্লামা কাছতোলানী, আল্লামা ওহিদুজ্জামান লা-মাজহাবী এবং অন্যান্য বরেণ্য আলেমদের মতামত এই যে, এজিদের নাম ধরে অভিশষ্পাত করা বৈধ । আল্লামা আলুসি বাগদাদী ও কাজী সানাউল্লাহ পানিপথীসহ অনেকে এজিদকে কাফের বলেছেন । সাহেবে নিবরাজের অভিমত শুদ্ধ নয় । কেননা তিনি তার কিতাবে সিবাবুল মুসলিমে ফুসুকুন ওয়া কিতালুহু কুফরুন এর প্রথম বাক্য উল্লেখ করে দ্বিতীয় বাক্য ওয়া কিতালুহু কুফরুন অর্থাৎ মুসলমানদের হত্যা করা কুফরী এ অংশটুকু বাদ দিয়ে ধৃষ্টতা পোষণ করেছেন । আরেক রেওয়ায়েতে, লতাসুবুল আমওয়াতে উল্লেখ করেছেন, অর্থাৎ মৃতদের গালি দিও না এর ব্যাখ্যায় আল্লামা মূলতানী লিখেছেন, মৃত যদি কাফের হয় বা ফাসেক হয়, তবে মন্দ বলা বৈধ । কেননা এই হাদিছের ব্যাখ্যায় আল্লামা কাসতোলানী লিখেছেন, কাফের ও ফাসেকের দোষত্রুটি প্রকাশ্য বর্ণনা করা বৈধ (নিবরাজ টীকাঃ ২-৩, পৃষ্ঠাঃ ৫৫৫) । এতে প্রমানিত হল, নিবরাজ ভুল লিখেছেন । এমনিভাবে ইমাম গাজ্জালী ইয়াহ উলুমে লিখেছেন যে, তার নিকট প্রমানিত না হলেও অন্য বিজ্ঞ আলেমদের নিকট হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাতের উপর এজিদের সন্তুষ্ট হওয়াটা প্রমাণিত এবং এটাই সত্য (নিবরাজের টীকাঃ ২, ৫৫৫ পৃষ্ঠা) । হাফেজ ইবনে কাসীর লিখেছেন, ইবনে জিয়াদ যখন ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এবং তাঁর সাথীদের শহীদ করে, তাঁদের মস্তকসমূহ (হযরত ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর মাথা মুবারকসহ) এজিদের নিকট পৌঁছে দিলে এজিদ এ দৃশ্য দেখে খুশী হয়েছিল এবং ইবনে জিয়াদের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল । হাফেজ ইবনে কাসীর আরো লিখেছেন, এজিদ হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও তাঁর সাথীদেরকে ওবাইদুল্লাহ ইবনে জিয়াদের হাতে হত্যা করিয়েছিল (আল বেদায়া ওয়ান্নেহায়া ৮ম খন্ডঃ ২২২ পৃষ্ঠা) । এর দ্বারা প্রমাণিত হল যে, এজিদ হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাতে শুধুমাত্র সন্তুষ্ট নয়, বরং সে ইবনে জিয়াদকে হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে হত্যার আদেশও দিয়েছিল । সুতরাং হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হত্যার মূলহোতা ছিল এজিদ । অনেক আলেম এজিদকে প্রকাশ্যেত অভিশষ্পাত করেছেন । কেননা সে হযরত ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে হত্যার আদেশ দিয়ে কুফরী করেছে (শরহে আক্বায়েদ কানজুল ফারায়েদঃ ১৫৩ পৃষ্ঠা) । হযরত সৈয়দা সখিনা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেছিলেন, এজিদ কাফের (নিবরাজঃ ৫৫৪ পৃষ্ঠা, ৫ম টীকা) । মোটকথা বড় বড় আলেমগণ যখন এজিদকে কাফের বলেছেন এবং নাম ধরে তার উপর লানত করেছেন । এতে প্রমাণিত হয় যে, ইমাম গাজ্জালীর কথা শুদ্ধ নয় (আল-ইত্তেহাদ, ৬৮ পৃষ্ঠা) । এভাবে আল্লামা শামীও বলেছেন, নাম ধরে এজিদকে লানত দেয়া যাবে না । মৌলানা আব্দুল আজিজ সাহেবও নিবরাছে তার শিশুসুলভ আচরণ করেছেন । মুফতি আহমদ ইয়ার খান সাহেব আল্লামা শামীর অনুকরণে লিখেছেন, এজিদের উপর লানত করা বৈধ নয় । একথাসমূহ ভুল তথ্যের উপর নির্ভরশীল । আল্লামা সাবরাবী ও আল্লামা মূলতানীর কথামত শামী ও মুফতী আহমদ ইয়ার খানের কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অশুদ্ধ ও অলিক । ইমাম গাজ্জালীর কথা এজন্য মানা যায় না যে, তিনি শাফেঈদের একজন বড় আলেম এবং ফকীহ কায়া আল হারাসী বলেছেন, আমরা শাফেঈগণ এজিদকে পরিস্কারভাবে অভিশষ্পাত দিই । এটা ইমাম গাজ্জালীর নিজস্ব মত, শাফেঈদের মত নয় । তাই ইমাম গাজ্জালীর এজিদকে লানত না করার সুপারিশ ধর্তব্য নয় (নিবরাছঃ ৫৫১ পৃষ্ঠা, ৫ম টীকা দ্রষ্টব্য) ।

সূত্রঃ শাহাদাতে কারবালা জালেমদের জিঘাংসা
লেখকঃ শায়খুল হাদিছ, হাফেজ ক্বারী হযরত আল্লামা
সৈয়দ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ ।

২৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আবারও দীর্ঘ উত্তর প্রদানের কষ্ট স্বীকার করায়। আপনি শুধু একটি টপিক, ইয়াজিদ বিষয়ক আলোচনা করেছেন।
বাকি বিষয়গুলোর ব্যাপারেও আপনার মতামত তুলে ধরলে ভাল হত।

বাদ থেকে যাওয়া অংশটুকু আপনার সুবিধার্থে আবার নিচে সংযুক্ত করে দিচ্ছি। তার পূর্বে আরেকটি অনুরোধ জানিয়ে রাখি। কারও প্রতি বিদ্বেষ পোষনকে ইসলাম কোন সওয়াবের বিষয় ঘোষনা করেছে এমনটা শুনি নি। বরং তাকিয়ে দেখুন, ইসলামের ইতিহাসের দিকে। নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রিয়তম চাচা হযরত হামযা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর ঘাতক ওয়াহশি রাদিআল্লাহু আনহুর প্রতি কি আচরন দেখিয়েছিলেন। ইসলাম সর্বাবস্থায় উদারতার পক্ষে। জানের শত্রুকেও আমাদের ভালবাসতে শেখায় ইসলাম। হাদিসে এসেছে- 'বুয়িসতু লি উতাম্মিমা মাকারিমাল আখলাক' নৈতিক চরিত্রে পূর্নতা বিধানের জন্যই আমার আগমন। সুতরাং ইয়াজিদ, হাজ্জাজ বিন ইউসুফসহ এ জাতীয় লোকদের দোষ অন্বেষন করার প্রয়োজনীয়তাটা কি? তাদের ব্যাপারে কি আপনাকে আমাকে জিজ্ঞেস করা হবে? আমারতো বরং নিজের চরকায় তেল দিয়েই কিনারা থাকার কথা নয়। পাপের সাগরে ডুবু ডুবু তরী নিয়ে অপরের পেছনে লাগতে যাওয়ার ফুরসত কোথায়, ভাই? অন্যের নামে নিন্দা শেকায়েত গিবত করে ভাই, আর যা হোক, নিজের আমল তাদের কাছে ট্রান্সফারে আমরা সম্মত নই। সময় সুযোগ হলে পরবর্তীতে এ বিষয়ে আরও কথা বলার ইচ্ছে থাকল।

আপনি ইবনে কাসিরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন: ইবনে জিয়াদ যখন ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এবং তাঁর সাথীদের শহীদ করে, তাঁদের মস্তকসমূহ (হযরত ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর মাথা মুবারকসহ) এজিদের নিকট পৌঁছে দিলে এজিদ এ দৃশ্য দেখে খুশী হয়েছিল এবং ইবনে জিয়াদের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল।

এর বিপরীতে দেখা যায়, ইয়াজিদ বরং এ জঘন্য ঘটনায় ইবনে জিয়াদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উল্টো তাকে তিরষ্কার করেন বলে ইতিহাস প্রনেতাদের কেউ কেউ ব্যক্ত করেছেন। এই মুহূর্তে আমি তথ্যসূত্র দিতে পারছি না।

আমার পূর্বোক্ত মন্তব্যের যে অংশ নিয়ে আপনি কথা বলেন নি-

তেমনিভাবে কওমি ধারার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন কিংবা তাদের ভাল কাজগুলোর মূল্যায়নের দিকে না গিয়ে তাদের প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে জঙ্গিবাদ তৈরির জন্য তাদের এককভাবে অভিযুক্ত করে ঢালাও মন্তব্য করেছেন, যা আপনার তাকওয়া-খোদাভীতিকেই বরং প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সত্যিকারের মুসলমান তো তিনিই, যার হাত এবং মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ। সুতরাং কারও প্রতি, কোন গোষ্ঠীর প্রতি এইভাবে আঙুল উঁচিয়ে যখন জঙ্গিবাদের মত একটি ভয়ংকর বিষয়ের সম্মন্ধ নির্দেশ করা হয়, তখন ভেবে দেখুন, সেটা কত সাংঘাতিক কথা হয়ে যায়।

আপনি যদি সত্য লুকোতে চেষ্টা না করেন, তাহলে বলুন তো, এই যে আমাদের সমাজের বুকের উপর জঙ্গিবাদের জগদ্দল পাথর চেপে বসেছে এটা কি শুধু বাংলাদেশে? এটা কি শুধু এশিয়ায়? এটা কি শুধু মধ্যপ্রাচ্যে? এটা কি ইউরোপ কিংবা আমেরিকার মত অঞ্চলেও নেই? তাহলে বিনয়ের সাথে প্রশ্ন করি, আপনি যদি এই অঞ্চলের জঙ্গিবাদ উত্থানের জন্য কওমি ধারার শিক্ষা ব্যবস্থাকে অভিযুক্ত করেন, কওমি ধারাকে দায়ী করেন, তাহলে ইউরোপ আমেরিকা কিংবা মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর যেসব জায়গায় কওমি মাদরাসাই নেই, সেখানে অভিযোগের আঙুলটা তাহলে কার দিকে তাক করবেন?

আসলে একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে, বুঝতে সমস্যা হয় না, জঙ্গিবাদ মূলত: কোন আঞ্চলিক কিংবা ধর্মীয় সীমানায় আবদ্ধ সমস্যার নাম নয়, এটি আজকের বাস্তবতায় একটি বৈশ্বিক অপঘাত। বিশ্বজুড়ে এই দুষ্টক্ষত ছড়িয়ে। ধর্ম বর্নের সীমানা ছাড়িয়ে এই ভয়াল ত্রাসের ছোবল বিশ্বময়। সাম্রাজ্যবাদী তস্কর বিশ্ব মোড়ল, মান্যবর পরমানু অস্ত্রধারী কয়েকটি দেশ- যাদের হাতে সাম্প্রতিককালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ জীবন হারিয়েছেন। নিরাপরাধ নিষ্পাপ ফুলের মত শিশুরা যাদের জিঘাংসার বলি হচ্ছে প্রতিনিয়ত, দেশে দেশে জঙ্গিবাদের জনক সেই আসল হোতাদের ভুলে গেলেন কেন? আর বেহুদা অযথাই কওমি ধারার কাঁধের উপরে এর সব দায়ভার চাপিয়ে দেয়ার এই কসরতই বা করতে যাবেন কেন?

আমরা আল্লাহ পাককে মহব্বত করি। তিনি। হ্যা, তিনিই আমাদের একমাত্র প্রভূ। তাঁর নির্দেশ অনুসারে (ক্কুল ইন কুনতুম তুহিব্বুনাল্লাহা ফাত্তাবিউনী ইউহবিবকুমুল্লাহ.....) তাঁর প্রেরিত প্রিয়তম নবীজীকে প্রানের অধিক মহব্বতের চেষ্টা করি। আর তাঁর নির্দেশ পালনার্থে তার উম্মতের ভেতরে (আল উলামা-উ ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া-) হকপন্থী আলেমদের অন্তরের গহীন থেকে মহব্বত করি। একই কারনে, আমরা অলী আউলিয়াদের মহব্বত করি, ভালবাসি। সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। তারা জাতির মাথার মুকুট। নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নায়েব। আর এসব ক্ষেত্রে আমরা কওমি আলিয়া ডিভাইডেশনে বিশ্বাসী নই। সত্যিকার সুন্নাতে রাসূলের অনুসারী নায়েবে নবী, তিনি কওমি না কি আলিয়া- এই প্রশ্ন যারা তোলেন, তাদের অন্তরের ক্ষুদ্রতার সাথে আমাদের যোজন যোজন দূরত্ব।

কিন্তু, বিদআতি, সুন্নাত পরিত্যাগকারী, ব্যবসায়ী, নবী পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রচলিত দুই ঈদের বাইরে নতুন ঈদ উদযাপনকারী, ঈদে আজম, সাইয়্যেদুল আ'ইয়াদ পালনকারীসহ ইসলামের নামে জশনে জুলুস, কারবালা দিবসের মাতমসহ সকল ভেজালযুক্ত বিদআতপন্থী খানকা দরবার বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করি।

আল্লাহ পাক আমাদের মাফ করুন।


ভাল থাকবেন, ভাই।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:১৯

রাসেল সরকার বলেছেন: এজিদকে কাফের না বলা মানে প্রসাব পায়খানকে হালাল মনে করার নামান্তর । এজিদ কাফের হওয়ার বিষয়ে বহু প্রমাণ উল্লেখ করা হয়েছে । পবিত্র খেলাফত ব্যবস্থা, উৎখাত কারী এবং সমর্থক সহযোগী আবু লাহাব আবু জাহেলের চেয়েও ঘৃণ্য । পবিত্র খেলাফত ইস্তেহাদীর বিষয় নয়, ঈমানগত বিষয় । এজিদ পবিত্র খেলাফত উৎখাতকারী এবং নাপাক মুলুকিয়ত কয়েমকারী ।

দুনিয়াব্যাপী জঙ্গীবাদের প্রধান উৎস সৌদী গোত্রবাদী রাজতন্ত্র, সৌদী গোত্রবাদী রাজতন্ত্রের মদদে অর্থায়নে সারা দুনিয়াব্যাপী জঙ্গী এজেন্ট গড়ে ওঠছে, এই অঞ্চলে কওমী দেওবন্দী মূল এজেন্টদুনিয়াব্যাপী জঙ্গীবাদের প্রধান উৎস সৌদী গোত্রবাদী রাজতন্ত্র, সৌদী গোত্রবাদী রাজতন্ত্রের মদদে অর্থায়নে সারা দুনিয়াব্যাপী জঙ্গী এজেন্ট গড়ে ওঠছে, এই অঞ্চলে কওমী দেওবন্দী মূল এজেন্ট । ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে বর্তমান ভারতের ইউপি রাজ্যের দেওবন্দ নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় কওমী দেওবন্দ মাদ্রাসা । নিম্নে উক্ত মাদ্রাসার সাব কমিটির সদস্য বৃন্দের তালিকা দেওয়া হলঃ-
১. মৌলবী মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী ।
২. মৌলবী আহমদ হাসান আমরুহী ।
৩. মৌলবী আজিজুর রহমান দেওবন্দী ।
৪. মৌলবী আশরাফ আলী থানভী ।
৫. মৌলবী আবদুর রহমান রায়পুরী ।
৬. মৌলবী হাবীবুর রহমান দেওবন্দী ।
৭. মৌলবী আশেকে এলাহী দেওবন্দী ।
৮. মুফতী কেফায়েত উল্লাহ ( ছাত্র সংগ্রহকারী ) ।
৯. মৌলবী কাসেম নানতভী প্রধান শিক্ষক দেওবন্দ মাদ্রাসা ।
১০. মৌলবী রশিদ আহমদ গংগুহী, সেক্রেটারী জেনারেল দেওবন্দ মাদ্রাসা ( দেওবন্দী মাযহাব ৭৭ পৃষ্ঠা ) ।
এই দেওবন্দ মাদ্রাসার বেশ কিছু শাখা-প্রশাখা আমাদের এই দেশেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । এইগুলো কখনো খারেজী আবার কখনো কওমী মাদ্রাসা নামে আত্ম প্রকাশ করছে । এই সব মাদ্রাসা হতে প্রতি বছর হাজার হাজার ওহাবী ( দেওবন্দীগণ, ভ্রান্ত মতবাদে ও ভ্রান্ত মাযহাবে বিশ্বাসী আব্দুল ওহাব নজদীর অনুসারী তাই তাদেরকে ওহাবী বলা হয়, উর্দু ভাষার শ্রেষ্ঠ ডিকশেনারী ‘ফিরুজুল-লুগাতকাবীর’ এর ১০২০ পৃষ্ঠায় ‘ওহাবী’ অর্থে লেখা আছে- শেখ মোহাম্মদ ইবন আবদুল ওহাবের দলের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ওহাবী বলা হয়, প্রফেসর এ.এম ফয়েজ আহমদ চৌধুরী সাহেবের বাংলা ও উর্দু অভিধানের ৩০০ পৃষ্ঠায় লেখা আছে- মোহাম্মদ ইবন আব্দুল ওহাব নজদীর অনুসারী দলকে ওহাবী বলা হয় ) আলেম বের হচ্ছে এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংগঠনের নাম দিয়ে ( যেমন- হরকাতুল জেহাদ ও হেফাজতে ইসলাম ইত্যাদি ) পবিত্র মাজার শরীফ থেকে শুরু করে সমগ্র বিশ্বেই তান্ডবলীলা চালাচ্ছে, এদের কারণেই শান্তি-মুক্তি-মানবতার ধর্ম “ইসলাম” কলংকিত হচ্ছে, জঙ্গী নামে আখ্যায়িত হচ্ছে ।
দেওবন্দী মূরব্বীগণ বলেন যে, দেওবন্দ মাদ্রাসার স্থান নির্ধারক ছিলেন স্বয়ং আল্লাহর হবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম, তিনি সেখানে উপস্থিত হয়ে লাঠি মোবারাক দ্বারা মাদ্রাসার সীমা রেখা নিদিষ্ট করেছেন । আবার দেওবন্দী মুরব্বীদের আকীদা বিশ্বাস ছিল যে, মহান প্রিয় নবীর ওফাত লাভের পর তার কর্ম ক্ষমতা রহিত হয়ে গেছে এবং কেউ যদি এইরূপ আকীদা পোষণ করেন যে, এখন আল্লাহর মহান রাসূল কোথাও উপস্থিত হইতে পারেন তবে তা সরাসরি শিরিক তুল্য । তাই এখন কোথাও মিলাদ-কিয়ামের মাহফিল হইলে, দেওবন্দের অনুসারীগণ উক্ত মাহফিল হইতে গুরগুর করে বের হয়ে পড়েন ।
আবার দেওবন্দী মূরব্বীগণ বলেছেন, আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া ছাল্লাম দেওবন্দে এসে উর্দু ভাষা শিক্ষা করেছেন ( নাউজুবিল্লাহ ) ।
দেখুন ! মৌলবী খলিল আহমদের বারাহেনে কাতেয়ার ২৬ পৃষ্ঠাঃ
“এক ছালেহ্ ফখরে আলম কি জিয়ারত ছে খাব মে মুশাররফ হুইয়ি তু আপকু উর্দু মে কালাম কারতে দেখ কর পুচা কেহ্ আপকু ইয়ে কালাম কাহা ছে আগেয়ী আব তু আরবী হেয় ফরমায় কেহ্ জবছে ওলামায়ে মাদ্রাসায়ে দেওবন্দ ছে হামারা মুয়ামেলা হুয়া হামকু ইয়ে জবান আগেইয়ী” ।
এক নেক বান্দ ( অর্থাৎ খলিল আহমদ নিজেই ) স্বপ্নযোগে রাসূলে পাককে দেখলেন যে তিনি উর্দু ভাষায় কথা বলেন, প্রশ্ন করলেন আপনিতো আরবী ভাষী- উর্দু কিভাবে শিখেছেন ? আল্লাহর হাবীব ফরমান, যখন থেকে দেওবন্দী ওলামাগণের সহিত আমার সম্পর্ক হল, তখন থেকে তাদের সংস্পর্শে আমি উর্দু ভাষা শিখে ফেলি ।
পরিশেষে, সকল ছুন্নী মুসলমানকে জানানো যাচ্ছে যে, দেওবন্দী বদমাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা মৌলবী কাসেম নানতভী স্বীয় চটি কিতাব তাহজিরুন্নাছের ৩-১৪ ও ২৮ পৃষ্ঠায় মহান প্রিয় নবীকে আখেরী নবী অস্বীকার করেছে ।
ওহাবীদের বড় নেতা- মৌলবী রশিদ আহমদ গংগুহী ও মৌলবী খলিল আহমদ আম্বেটবী বারাহেনে কাতেয়ার ৫১ পৃষ্ঠায় আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম-এর এলেমকে শয়তান মালাউনের এলেমের চেয়েও কম নির্ধারণ করেছে ।
ওহাবীদের প্রধান মুবাল্লেগ আশরাফ আলী থানভী- হেফজুল ঈমানের ৮ পৃষ্ঠায় মহান প্রিয় নবীর এলমে গায়েবকে সর্ব সাধারণ নাবালেগ শিশু পাগল ও চর্তুষ্পদ জন্তুদের সহিত তুলনা করেছে । সকল মুসলমানদের নিকটেই এসব কুফুরী ।
এজন্যই ওহাবী দেওবন্দীগণের এই প্রধান ৪ জন- মৌলবী কাসেম নানতভী, মৌলবী রশিদ আহমদ গংগুহী, মৌলবী খলিল আহমদ আম্বেটবী ও মৌলবী আশরাফ আলী থানভী ইসলামী শরয়ার দৃষ্টিতে কাফের ও মুরতাদ হয়ে গিয়েছে ।
মক্কা ও মদিনা শরীফের ফতোয়া- “হোচ্ছামুল হারামাইন” এর ১২ পৃষ্ঠা দেখুন !
“ওয়া বিল জুমলাতে হায়ু-লায়ে আততাওয়ায়েফু কুল্লুহুম কুফফারুন মুরতাদুনা খারিজুনা ইসলাম বি ইজমায়িল মুছলিমিন মান শাককা ফি কুফরিহি ও আজাবিহি ফাকাদ কাফারা” ।
এরা সকলে অর্থাৎ ঃ মীরজা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, কাসেম নানতভী, রশিদ আহমদ গংগুহী, খলিল আহমদ আম্বেটবী, আশরাফ আলী থানভী, ( এবং যারা তাদের আকীদায় বিশ্বাসী ) নিসন্দেহে কাফের ও মুরতাদ, ইজমায়ে উম্মতের দৃষ্টিতে এরা ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত যে কেউ তাদের কাফের হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করবে- সেও কাফের হয়ে যাবে ।
মক্কা শরীফের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা ছাইয়্যেদ ইছমাঈল রহমাতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় ফতোয়ায় লিখেছেন-
“আম্মাবাদ ফা-আকুলু ইন্না হায়ু-লায়িল ফারকু আল ওয়াকিয়িনা ফিল ছাওয়ালে গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ও রশিদ আহমদ গংগুহী ও মান তাবায়াহু কাখলিল আম্বেটবী ও আশরাফ আলী থানভী গাইরাহুম লা শুবহাতা ফি কুফরিহিম বিলা মুজালুন লা শুবহাতা ফিমান শাক্কা বাল ফিমান তাওয়াককাফা ফি কুফরিহিম মুজালুন মিনাল আহ্ওয়ালে” ।
অর্থাৎ হামদ ও সালাতের পর বলছি উল্লেখিত দল উপরে প্রশ্নে যাদের আলোচনা করা হয়েছে- যথা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, রশিদ আহমদ গংগুহী এবং যারা তাদের অনুসারী যেমনঃ- খলিল আহমদ আম্বেটবী ও আশরাফ আলী থানভী গংদের কুফুরীতেও কোন সন্দেহ নেই এমনকি সন্দেহের কোন অবকাশ ও নেই, বরং যারা তাদেরকে কাফের বলতে সন্দেহ করবে, যে কোন অবস্থায় যে কোনভাবে ( এদেরকে ) কাফের বলা থেকে বিরত থাকবে বরং তাদের কুফুরীতে কোন সন্দেহ নেই ।
( ফতোয়াঃ হোচ্ছামুল হারামাইন শরীফ- ১৩০ পৃষ্ঠা )

২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৪১

রাসেল সরকার বলেছেন: মহান শাহাদাতে কারবালার স্বরণে মাতম শিয়াদের বিষয় । আমরা বদর-ওহোদ-কারবালার শিক্ষা-চেতনায় বিশ্বাসী ।

ঈদে আজম নতুন আবিষ্কার নয়, নতুন বিষয় নয় । প্রিয়নবীর শুভাগমনই মুমিন জীবনের সর্ব শ্রেষ্ট ঈদ তথা খুশি । প্রিয়নবীর শুভাগমনের সংবাদে আবু-লাহাব খুশিতে একজন দাসিকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন, যার নাজ-নেয়ামত এখনও সে পাচ্ছে ।
বুঝে না বুঝে আবু-লাহাবও ঈদে আজম উদযাপন করেছে ।
ঈদে আজম সংঘটিত না হলে দুনিয়াতে মানবতার মুক্তি আসত না, পবিত্র কোরআন আসত না, পবিত্র কলেমা আসত না , দুই ঈদও আসত না বা আমরা পেতাম না । এই কথা অনস্বীকার্য যে সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে আকবার তথা ঈদে আজম ।
মানবতার কন্ঠস্বর কাজী নজরুল ইসলাম ঈদে আজম সম্পর্কে বলেছেন:
প্রিয়নবীর শুভাগমন তথা “ঈদে আজম” ই মুমিন জীবনের শ্রেষ্ঠ ঈদ তথা খুশি, কবি যেভাবে বর্ণনা করেছেন:-
“ত্রিভূবনে প্রিয় নবী এলরে দুনিয়ায় আয়রে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়
ধূলির ধরা বেহেশত আজ, জয় করিল গেলরে লাজ
আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারা ।
মুমিন মুসলমানদের আনন্দ দু’- ঈদের মধ্যেই কবি সীমাবদ্ধ রাখেন নি । প্রিয়নবীর শুভাগমন নিত্য ঈদ হিসেবে কবি বলেন-
“এই দুনিয়ায় দিবা-রাত্রি
ঈদ হবে তোর নিত্য সাথী । .......
প্রিয়নবীর প্রেমেতেই সব জাহান সৃষ্টি । আল্লাহ তায়ালা প্রিয়নবীকে সৃষ্টি জগতের সর্ব শ্রেষ্ঠ রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছেন ।
দরবেশ কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর “বিষের বাঁশী” কাব্যগ্রন্থের ফাতেহা-ই-দোয়াজ দহম’ কবিতায় এ সম্পর্কে আলোকপাত করেছেনঃ- প্রিয়নবীর আবির্ভাবের ফলে সমস্ত অন্যায়, অবিচার, পাপাচার, অজ্ঞতা, অন্ধকার দূরীভূত হয়েছিল এবং সারা জাহান আলোকিত হয়েছিল ন্যায় ও সত্যের আলোয় ।
মরমী সাধক ও আধ্যাত্মিক কবি বলেনঃ-
“আমার প্রিয়নবীর নামে ধেয়ান হৃদয়ে যার রয়
খোদার সাথে হয়েছে তার গোপন পরিচয়” ।

২৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই যে কি সব লিখছেন, আল্লাহ মা'লূম। দেওবন্দীগন আপনার আমার মতের বিরুদ্ধবাদী মতে বিশ্বাসী হতে পারেন, তাই বলে তাদেরকে কাফের বানাতে হবে? তাদের নয়, বরং আপনাদের এই চরমপন্থা আমরা মনে করি ইসলামের জন্য সবচে' ক্ষতিকর বস্তু। ইসলাম তো কাফেরকে ইসলামের ছায়াতলে এনে জান্নাতের রাস্তা দেখিয়ে দেয়ার জন্য এসেছে। মুসলমানদের কাফের বানানোর জন্য নয়। কি সব আবোল তাবোল ছুতোয় নাতায় পেচিয়ে পাক ভারত উপমহাদেশ তথা অধুনা বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম আলেমে দ্বীন, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে যার লেখা গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় সহস্রাধিক, এবং যিনি ইসলামের এমন কোন শাখা নেই যেটা নিয়ে কলম ধরেন নি। তার লেখাগুলো পড়লেই ভালো লাগে। হৃদয় জুড়িয়ে যায়। প্রত্যেকটি বইতে প্রতি বিষয়ের আলোচনায় কুরআন হাদিসের দলিল দিয়ে এমন সুবিন্যস্ত সুখপাঠ্য সহজবোধ্য আর যুক্তিপূর্ন সাবলিল ভাষার প্রয়োগে ইসলামি সাহিত্য রচনার মাধ্যমে পাক ভারত উপমহাদেশের কোটি কোটি জনগনের হৃদয়ের মনিকোঠায় তিনি যে শ্রদ্ধা সম্মানের স্থায়ী আসন পেয়ে ধন্য হয়েছেন; দলকানা কূপমন্ডুক বিদআতীদের পৃষ্ঠপোষকতায় লিখিত 'হোচ্ছামুল হারামাইন' নামের অখ্যাত অজ্ঞাত অর্বাচীন বইয়ের মাধ্যমে তো দূরের কথা, এরকম এক হাজার কিতাব আর কয়েক হাজার দলকানা বেকুবদের একত্র করেও তার বিন্দু পরিমান বিচ্যুতি সাধন করা যাবে না।

ভাই, কষ্ট নিবেন না, একটি দৃষ্টান্ত বলি, মাওলানা থানভীর শুধুমাত্র বেশেতি জেওরের যে পরিমান পাঠক আছে, ধারনা করি, সারা পৃথিবীতে কম করে হলেও অর্ধকোটি। থানভীকে চিনেন না, এমন মুসলমান নয়, পাক ভারতজুড়ে সচেতন কোন বিধর্মীও বোধ করি, পাওয়া মুশকিল।

আর বাকি যাদের ব্যাপারে, কুফরির ফতোয়ার কথা আপনি তুলে ধরেছেন, আমাদের ধারনা এবং অভিজ্ঞতা মোতাবেক, এগুলোর ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। বিদআতী বাতিলদের অন্ধকারের বিলাপকে আপনার মত সচেতনগন কিভাবে দ্বীনের অাওয়াজ ধরে নেন, ভাবতে কষ্ট লাগে।

বিদআতীগনকেও আমরা অমুসলিম কাফের মনে করি না। করা যাবে না। যাকে কাফের বলা হয়, তিনি কাফের না হয়ে থাকলে, যিনি বলেন, নিশ্চিতভাবে হাদিসের কথা অনুসারে সেটা তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করে।

ভাল থাকুন।
ওয়াসসালাম।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

রাসেল সরকার বলেছেন: স্বীয় উস্তাদ ও পীর অস্বীকারকারী অভিশপ্ত আশরাফ আলী থানভীকে ঈমানদার বলা মানে প্রসাব-পায়খানাকে পবিত্র বলার নামান্তর ।
আশরাফ আলী থানভী তার স্বীয় কিতাব "হিফজুল ঈমান" এর ৮ম পৃষ্ঠায় বলেছে, জ্বীন-পরী গরু-গাধা এবং নবী-রাসুল এলমে গায়েবের দিক থেকে সবাই সমান ।
আপনার নিকট এইগুলি কুফুরী না হলেও, আমরা‌ যারা প্রিয়তম নূরনবীকে প্রাণাধিক ভালবাসি, আমাদের নিকট অবশ্যই কুফুরি । জ্ঞ্যাতসারে যারা আশরাফ আলী থানভীর কুফুরী আকিদা জানার পরও, থানভীকে সমর্থন করে, তারা পথভ্রষ্ট মিথ্যা জাহান্নামী এবং চির অভিশপ্ত কাফের এজিদের দাস ।
মানবতার কন্ঠস্বর কাজী নজরুল যথার্থই বলেছেন:
রাসুলের অপমানে যদি কাদেনা তোর মন
মুসলিম নয় মুনাফিক তুই
রাসুলের দুশমন ।

২৮| ০৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



রাসেল ভাই,
স্বীয় উস্তাদ ও পীর অস্বীকার করেছেন কে? আশরাফ আলী থানভী রহ.? তিনি ঈমানদার নন? তাহলে ঈমানদার কে? নিজেদের সুন্নী দাবিদার কাঠমূর্খ অজ্ঞ জাহেলগন? তিনি অভিশপ্ত? তাহলে রহমতপ্রাপ্ত কারা? তথাকথিত সুন্নী নামের বিদআতীগন?

আপনি হিফজুল ঈমান কিতাবখানা পড়েছেন? আমার কাছে আছে। সংগ্রহ করেছি। ৮ম পৃষ্ঠায় কোথায় পেলেন ''জ্বীন-পরী গরু-গাধা এবং নবী-রাসুল এলমে গায়েবের দিক থেকে সবাই সমান।''?

আপনাদের বানোয়াট কুফুরীর তো সীমা পরিসীমা নেই। আপনারা নিজেদের গুটিকয় সুন্নী লেবেল লাগানো ব্যক্তিবর্গ ব্যতিত পৃথিবীর বাকি সকলকে কুফুরীর প্যাঁচে ফেলে জাহান্নামী ভাবতে পারলে কি অন্তরে অনেক পুলক অনুভব করেন?

ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.