নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেরাজুন্নবীতে খুশি ও শোকরিয়া প্রকাশ মহাকল্যাণময় —বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২৫


দয়াময় আল্লাহতাআলা স্থান কালের উর্ধ্বে মানব জ্ঞানের অতীত অচিন্তনীয় উর্ধ্ব জগতে তাঁর একান্ত সান্নিধ্যে দূরত্ত্বহীন নৈকট্যে উপনীত করে তাঁর প্রিয়তম মহান রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাক্ষাত দানের মাধ্যমে সর্বসৃষ্টির উদ্দেশ্যে তাঁর প্রথম অতুলনীয় মহাপ্রকাশের চির গৌরবময় মহাউপলক্ষ পবিত্র ঈদে মেরাজ শরীফ। সত্য ও জীবনের উপলব্ধির জন্য অতিঅপরিহর্য্য মৌলিক বিষয় ঈদে মেরাজ শরীফের মহান তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের উদ্যোগে আজ ঢাকা ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্সে এক ঈদে মেরাজ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তফসিরে মাশাহেদুল ঈমানের প্রণেতা ও পবিত্র বোখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ প্রণেতা, বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা, ওস্তাজুল ওলামা, শায়খুল হাদিস, ইমামে আহলে সুন্নাত, পীরে হাক্কানী, ওলীয়ে রাব্বানী--হজরত আল্লামা ছৈয়দ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ। শত শত বিশিষ্ট পীর মাশায়েখ, ওলামায়ে কেরাম ও শিক্ষাবিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ বিশাল সমাবেশে সভাপতি ও বিশেষ দিকনির্দেশনা মূলক প্রধান বক্তা হিসেবে মহান মেরাজ শরীফের মহিমা ও দিশা ব্যাখ্যা করে এবং এ মহান উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় ছুটির আবেদন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন এর প্রতিষ্ঠাতা এবং আহলে সুন্নাতের নিদের্শিত জীবন ব্যবস্থার মানবিক রূপরেখা খেলাফতে ইনসানিয়াত তথা সর্বজনীন মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও মুক্ত মানবতার অখন্ড বিশ্বব্যবস্থার দিকদর্শন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রবর্তক- হজরত ইমাম হায়াত। বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা আবেদ শাহ মোজাদ্দেদী (রঃ) এর সাহেবজাদা পীর আল্লামা সৈয়দ জাহান শাহ, শাহ মোঃ জামাল উদ্দিন পীর সাহেব কুতুবিয়া দরবার (বন্দর নারায়নগঞ্জ), অধ্যাপক আল্লামা ডঃ আতাউর রহমান মিয়াজী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক আল্লামা ডঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল-মারুফ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক আল্লামা ডঃ নুরুন্নবী (এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, ঢাকা), ওস্তাজুল ওলামা হাফেজ আল্লামা আব্দুস সাত্তার (প্রাক্তন অধ্যক্ষ-কাদেরিয়া তৈয়বিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, ঢাকা), পীরে তরিকত আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালী (হাক্কানী আঞ্জুমান হেলালীয়া দরবার শরীফ, ঢাকা), পীরে তরিকত আল্লামা আলমগীর হোসাইন যুক্তিবাদী (মহাসচিব, জাতীয় ইমাম সমিতি, মালিবাগ-ঢাকা), পীরে তরিকত আল্লামা তাজুল ইসলাম চাঁদপুরী(দারুল হাবীব জামেয়া ইসলামীয়া, কুতুবখালী-ঢাকা )। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আল্লামা আরেফ সারতাজ, অধ্যাপক আল্লামা ডঃ কাওছার আমীন, আল্লামা আবরার চিস্তি, আল্লামা মোর্শেদ শাহ, আল্লামা খাজা নাজমুদ্দিন, আল্লামা জাকির আহসান, আল্লামা রায়হান রাহবার, আল্লামা এমদাদ সায়ীফ, আল্লামা হাফেজ ইলিয়াছ শাহ, আল্লামা শেখ নয়ীমুদ্দিন, আল্লামা আওয়াল কাদেরী।

মহান মেরাজ শরীফ দয়াময় আল্লাহতাআলার সাথে আমাদের মহান প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মোবারক প্রত্যক্ষ সাক্ষাত উল্লেখ করে ইমাম হায়াত বলেন, মহান মেরাজ শরীফ প্রিয়নবীর নিকট স্বয়ং আল্লাহতাআলার মহিমাময় প্রত্যক্ষ প্রকাশ এবং প্রিয়নবীর মাধ্যমে সমগ্র সৃষ্টির নিকট রহমতময় পরোক্ষ প্রকাশ। আল্লাহতাআলা তাঁর অসীম ক্ষমতায় মহান প্রিয়নবীকে স্থান কালের উর্ধ্বে তাঁর পরম নৈকট্যে পৌঁছিয়ে তাঁর পবিত্র মহাসত্ত্বার নূর ও তাজাল্লিতে মিলিত করে সমগ্র মানবমন্ডলীর জন্য সত্যের আলো, জীবনের কেন্দ্র এবং সর্বজ্ঞান, সর্বগুণ ও সর্বকল্যাণের উৎসরূপে প্রকাশ করেছেন। সভাপতির বক্তব্যে ইমাম হায়াত বলেন, দয়াময় আল্লাহতাআলা ও তাঁর মহান হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ সরাসরি মহাসাক্ষাত মহামিলন আমরা সকল মুমিনের জন্য আত্মার প্রাণপ্রদীপ, হৃদয় ও জীবনের অতুলনীয় মহাউৎসব, দয়াময় আল্লাহতাআলা ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেম ও নৈকট্য সাধনার সর্বোচ্চ পাথেয়, সত্য ও মুক্তির মহাদিকদর্শন। সঠিক লক্ষ্য ও দিশায় ঈদে মেরাজ শরীফ উদযাপনের মধ্যে নিহিত জীবন ও জগতের সর্বস্তরে সত্য ও মানবতার প্রতিষ্ঠা এবং সমগ্র মানবমন্ডলীর দোজাহানের সার্বিক কল্যাণ। ইমাম হায়াত বলেন, অনেকে রমজান ও কোরবাণীর ঈদ ছাড়া আর কোন উপলক্ষ শোকরিয়া বা ঈদ হতে পারেনা মনে করেন যা অজ্ঞতা ও ভুল ধারণা মাত্র, কারণ কোরআনুল করীম ও হাদীস শরীফে আরও অনেক উপলক্ষকে পূর্বাপর সবার জন্য ঈদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যা পালনের পদ্ধতি ভিন্ন(সুরাঃ মায়েদা আয়াত শরীফঃ ১১৪)। আল্লাহতাআলার সকল অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে শোকরিয়া ও খুশী তথা ঈদ পালন মহাকল্যাণকর হিসেবে উল্লেখ করে তাকিদ রয়েছে(সুরাঃ ইউনুস, আয়াত শরীফঃ ৫৮)। ইমাম হায়াত বলেন, জীবনের জন্য আল্লাহতাআলার সর্বোচ্চ পরম দান সব ঈদের মূল ঈদ ঈদে আজম দুনিয়ায় প্রিয়নবীর শুভাগমন যা না হলে আমরা আল্লাহতাআলাকেই পেতাম না। লাইলাতুল কদর তথা কোরআনুল করীম নাজিল হওয়ার মাধ্যমে শানে রেসালাতের প্রকাশ ও দ্বীনে হকের সূর্যোদয়ের ঈদ হিসেবেই রমজানের ঈদ পালন হয় যা ঈদুল ফিতর হিসেবে মানবতার দিকে লক্ষ্য রেখে নামকরণ হয়েছে। ইমাম হায়াত বলেন, মেরাজ শরীফ মহান প্রিয়নবীর সাথে প্রত্যক্ষ সাক্ষাতের মাধ্যমে আল্লাহতাআলার স্বয়ং প্রকাশ যা সমগ্র সৃষ্টির জন্য অসীম রহমত ও দিশার উৎস, যে শোকরিয়া না হলে নাফরমানী হবে। তবে রমজান ও কোরবাণীর ঈদের মত ঈদে আজম ও ঈদে মেরাজ হুকুমগত বিধিবদ্ধ নির্ধারিত পদ্ধতিগত ঈদ নয়, ঈমানী হৃদয়ের ঈদ-ঈমানী প্রাণের ঈদ-অসীম প্রেমের ঈদ, যার সাথে অন্য কোন আমলগত বিষয়ের তুলনা চলেনা, যা অন্য সবকিছুর উৎস। ইমাম হায়াত বলেন, মহামহিম পবিত্র আহলে বায়েত-মহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীন-মকবুল সাহাবায়ে কেরাম-সত্যের ইমামবৃন্দ ও আওলিয়া কেরাম সবাই সব যুগে তাঁদের সময়ের প্রয়োজন মোতাবেক সবকিছু পালন করেছেন এবং তাঁদের সবার সমগ্র জিন্দেগীই এসব মহান উপলক্ষের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নেই উৎসর্গীকৃত। দয়াময় আল্লাহতাআলা ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আত্মার বন্ধন ঈমানী উপলক্ষ সমূহই ঈমান-জীবন ও দ্বীনের প্রাণপ্রবাহ যা উপেক্ষিত হলে আত্মা ও দ্বীন মৃত হয়ে যায়। ইমাম হায়াত বলেন, দয়াময় আল্লাহতাআলা ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেমের সাধনায়, জীবনসত্যের আলোকময় বিকাশের লক্ষ্যে, মিথ্যা-আঁধার-মূর্খতা-বিণাশের কবল থেকে মানবতার মুক্তির অভিযাত্রায়, সত্য ও মানবতার ভিত্তিতে শান্তিময় আলোকিত দুনিয়ার প্রতিষ্ঠায় ঈদে মেরাজ শরীফ উদ্যাপনের এ মোবারক ঈমানী কর্মসূচীকে এগিয়ে নেয়া আমরা মুমিন ভাইবোন সবার ঈমানী দায়িত্ত্ব। মহান মোবারক মেরাজ শরীফের রহমত ও আলোকধারায় যুক্ত থাকতে হলে আমাদের অবশ্যই ঈদে মেরাজ কর্মসূচীতে যুক্ত থাকতে হবে এবং ঈদে মেরাজ শরীফের শিক্ষা ও মর্মধারা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দুনিয়াব্যাপী মিথ্যা ও অবিচারের ধারক নানাবিধ অপশক্তির গ্রাসে রূদ্ধ সত্য ও বিপন্ন জীবনের মুক্তি সাধনায় মহান ঈদে মেরাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষা ও নির্দেশনার বাস্তবায়নে প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদত্ত সর্বজনীন মানবিক সমাজ-রাষ্ট্র-বিশ্বব্যবস্থার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আল্লামা ইমাম হায়াত সত্য ও মানবতায় বিশ্বাসী সকল মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আত্মার বন্ধন ঈমানী জীবন ও দ্বীনের প্রাণপ্রবাহ যা উপেক্ষিত হলে আত্মা ও দ্বীন মৃত হয়ে যায়।


++++++++++++++

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

রাসেল সরকার বলেছেন: ১০০% সঠিক ।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রবর্তক- বিশ্ব ইমাম- বিশ্ব আল্লামা- বিশ্ব পীরে কামেল- বিশ্ব অলিকুল শিরোমনি- বিশ্ব বিশ্ব বিশ্ব বিশ্ব.........!!!!!!!
বাপরে বাপ, দেখে এলাম, অনেক আল্লামা কুরআন শরীফ সহীহ করে পড়তে জানেন না!!!!!!!!!!!!

রাসেল ভাই, আপনার বিশ্ব ইমাম। অবাক বিশ্ব। আমরা টাস্কিত!!!!!!!!

নিসন্দেহে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র মিরাজ আল্লাহ পাক প্রদত্ত, সৃষ্টি জগতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অলৌকিক ঘটনাবলীর অন্যতম। কিন্তু-

পবিত্র কুরআন এবং সুন্নতে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দ্বারা প্রমানিত নয় এমনসব আচার অনুষ্ঠানের সাথে ইসলামের নূন্যতম সম্পর্ক নেই। যেসব কাজ বা আচার-অনুষ্ঠান রাসূল পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় কিংবা তাঁর ইন্তেকালের পরে জীবিত থাকা খোলাফায়ে রাশেদীনের চার জামানায়, কিংবা তাদের পরবর্তী তাবেয়ীদের জামানায় অথবা তাবে'-তাবেয়ীগনের জামানায় ছিল না, সেই কাজগুলোকে সওয়াবের বিষয় গন্য করে তা বাস্তবায়ন করা বিদআত নয় কি? আচ্ছা, একটা প্রশ্ন করি, রাসূলে মাকবূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাহাবীগন বেশি ভালবাসতেন, না কি এই যুগের মুসলমানগন? নি:সন্দেহে স্বীকার করবেন, মহান সাহাবীগন নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য তাদের জান প্রান কুরবান করতে সদা প্রস্তুত থাকতেন। তো, তারা যদি মিরাজ দিবসকে 'ঈদ' নামে আখ্যায়িত না করে থাকেন, তাহলে আপনারা কেন করছেন? তাদের চেয়ে কি আপনারা বেশি জ্ঞানী ভাবেন নিজেদের? তাদের চেয়ে কি আপনারা রাসূলের বড় প্রেমিক ভাবেন নিজেদের?

ভাল থাকবেন।
আল্লাহুম্মাগফিরনা।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

রাসেল সরকার বলেছেন: ঈদ মানে খুশি । আল্লাহ্ তাআলার প্রিয়তম হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম দয়াময় আল্লাহ্ তাআলার প্রত্যক্ষ সাক্ষাত লাভ করেছেন । প্রিয়নবীর উম্মতের জন্য এটা খুশি বা ঈদ নয় কি ? কেউ যদি মনে করেন যে, প্রিয়নবী উর্ধে গমনে আল্লাহ্ তাআলার সাক্ষাত লাভ করাতে আমি খুশি না !! তা একান্তই তার ব্যক্তিগত । পবিত্র জুম'আা দিনকেও হাদিস শরীফে ঈদ বলা হয়েছে । এমনিভাবে পৃথিবীতে যত নবী রাসুল আলাইহিমুস সালামগণ শুভাগমন করেছেন, মানবতার কল্যাণে মুক্তির কল্যাণে, নবী রাসুল আলাইহিমুস সালামদের শুভাগমনে আমরা খুশি ।

আজ থেকে এক হাজার দেড় হাজার বছর পূর্বে মাইকে আজান দেওয়া হত না, প্লেনে করে হজ্বে যেত না, এখন যেভাবে তাফসির মাহফিল হয় ইসলামী জলসা হয়— এই ভাবে হত না, এখন যেভাবে মসজিদের সম্মানিত ইমামদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয় –এইভাবে দেওয়া হত না । বর্তমানে এগুলি কি বিদ'আত ???

পবিত্র মেরাজুন্নবী কেন সংঘটিত হয়েছিল এবং মেরাজ শরীফের তাৎপর্য ও লক্ষ-উদ্দেশ্য সর্ব স্তরের মানুষের নিকট তুলে ধরার জন্যই "বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের মহামান্য ইমাম 'ইমাম হায়াত' এই আয়োজন করে যাচ্ছেন । ধন্যবাদ

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



মেরাজ শরীফের তাৎপর্য ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য-
আপনার শেষের কথাটা দিয়ে শুরু করি। পবিত্র মেরাজুন্নবী কেন সংঘটিত হয়েছিল এবং মেরাজ শরীফের তাৎপর্য ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সর্ব স্তরের মানুষের নিকট তুলে ধরার -যে কথাটি বলেছেন, আমরা তাতে একমত। এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।


বিদআত কি এবং প্রকারভেদ-
কথায় কথা বাড়ে। তর্কে বহুদূর। তর্ক করার ইচ্ছে নেই। সোজা সাপ্টা বলি, বিদআত বলতে আমরা বুঝি- দ্বীন ইসলামের ভেতরে নতুন কিছুর সংযোজন। এই বিষয়টির আরেকটু গভীরে গেলে দেখা যাবে, বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে নতুন নতুন অনেক বিষয় আমাদের সামনে চলে এসেছে এবং আসছে, যা দেড় হাজার বছর পূর্বে ছিল না। মোটর যান, বিমান, ট্রেন, বাস থেকে শুরু করে, রেডিও, টিভি, ইনটারনেট, কম্পিউটার, বহুতল মসজিদসহ এরকম অসংখ্য জিনিষ তখন আবিষ্কৃত হয় নি। এগুলো বিশ্ব সভ্যতাকে এগিয়ে নেয়ার বাহন, নিশ্চিতভাবে মানবতার জন্য কল্যানকর এবং আশির্বাদ স্বরুপ। এই কল্যানকর বিষয়গুলো বিদআত হলেও বিদআতে হাসানাহ নিসন্দেহে।

পক্ষান্তরে, অতি ভক্তি কিংবা অজ্ঞতা থেকে সৃষ্ট আমাদের কিছু আমল সমাজে পরিলক্ষিত হয়, যেগুলোর অস্তিত্ব কিংবা কোন প্রচলন সাহাবায়ে কিরাম রদিআল্লাহু তাআ'লা আজমাঈনদের ভেতরে কিংবা তাদের পরবর্তী সংলগ্ন উত্তম জামানাগুলোয় আদৌ ছিল না। এগুলোও বিদআত। এবং হাদিসের সূত্র অনুসারে ধরে নিতে হবে, এগুলো বিদআতে সাইয়্যিআহ। নিকৃষ্ট বিদআত। এই নিকৃষ্ট বিদআত সম্মন্ধেই হাদিসে এসেছে- 'অকুল্লু বিদআতিন দলা-লাহ, অকুল্লু দলা-লাতিন ফিন্নার' -প্রত্যেক বিদআত (বিদআতে সাইয়্যিআহ) পথভ্রষ্টতা, আর প্রত্যেক পথভ্রষ্টতা জাহান্নামের পথ প্রদর্শন করে।

আধূনিক আবিষ্কৃত যন্ত্র যানবাহন ব্যবহারের বিদআত আর সওয়াবের বিষয় মনে করে ইবাদতের নামে কোন নতুন সংযোজন এক নয়-
উড়োজাহাজ কিংবা প্লেনে করে হজ্বে গমন, মাইক ব্যবহার করে আজান দেয়া কিংবা তাফসির মাহফিল করা বিজ্ঞানের আবিষ্কারের উপর নির্ভরশীল ছিল। এগুলোর উদ্ভাবন তখনও ঘটে নি বিধায় এগুলো হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিংবা আসহাবে রাসূলগনসহ প্রাথমিক যুগের মহান মুসলমানগন ব্যবহার করেন নি। কিন্তু, তাদের নিকট যদি সওয়াবের বিষয় মনে হত, এবং গ্রহনযোগ্যই হত, তাহলে মিরাজ দিবসে ঈদ পালন করা কিংবা বারই রবিউল আউয়ালকে 'সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ' বা 'ঈদে আজম' বলাসহ এরকম আরও আরও দিবস সৃষ্টি করে সেগুলোকে 'ঈদ' নামে চালু করে দেয়াতে তো তাদের কোন প্রতিবন্ধকতা ছিল না।

বিনয়ের সাথে জানতে চাই, আসলে বিষয়টি কি? তাদের জ্ঞানের কি কোন ঘাটতির জন্য তারা এগুলো করেন নি? না কি তারা সওয়াবের কাজ করার প্রতি এই যুগের পাক্কা(!) মুসলমানদের মত এত আগ্রহী ছিলেন না? (নাউ'জুবিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম)।

জুমুআহ কি ঈদ না হজ্ব?
হাদিসে 'আলজুমুআতু হাজ্জুল মাসাকীন' -জুমুআ দিবসকে গরিব মুসলমান, যারা হজ্বে যেতে সামর্থ্য রাখেন না, তাদের জন্য হজ্ব স্বরুপ বলা হয়েছে। কিন্তু জুমুআকে ঈদ বানালেন কিভাবে?

আপনাদের কাছে কুরআন শরিফ সহীহ করে পড়ার গুরুত্ব কতটুকু?
আরেকটি কথা, প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান কেন, প্রিয় ভাই আমার? যারা কুরআন ঠিকমত পড়তে জানেন না, মাখরাজ বুঝেন না, উচ্চারন সঠিক নয়, এক ঘন্টা কথা বললেও যাদের মুখ থেকে কুরআনের একটি আয়াত রেফারেন্স হিসেবে আসে না, তারা ইমাম হন কিভাবে? তাদের মহান বলার মানে কি? তাদের পেছনে নামাজ সহীহ হবে কি? তারা আসলে কিসের ইমাম?

মুসলিম জাতির মুক্তি ও কল্যান কোন পথে?
মাইন্ড করবেন না প্লিজ, এইসব কারনেই অতি ভক্তির দাবিদার অনেকের ভেতরের অন্তসারশুন্যতা আড়াল করার জন্য বাইরে চাকচিক্যময় আলোকসজ্জা, ব্যানার, মিছিল, মিটিংসহ ব্যাপক অপ্রয়োজনীয় বিদআতি কার্যকলাপ সমাজের প্রান্তসীমার সাধারন্যে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়ে নিজের পকেট ভারি করা এক শ্রেনির লোকের ব্যবসা ও অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। নানান বাহানায়, যতটা না ধর্মীয় গুরুত্ব তার চেয়ে অনেক গুন বেশি ব্যবসায়িক কারনে, মানুষের দৃষ্টি আকর্ষনের প্রচেষ্টা এই শ্রেনি থেকে পরিলক্ষিত হয়। ভাই, ক্ষমা করবেন, বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, সত্যিকারের সূফি হতে হলে, জাতির নেতৃত্বে আসতে হলে, বিদআত ছেড়ে দিতে হবে, অন্য মুসলমানদের কাফের বলার সংকীর্ন দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই পরিহার করতে হবে।, ভেতরে বাইরে দু'জায়গাতেই মাল দরকার বৈকি! আর কুরআনের সাথে একটু সম্পর্কেরও প্রয়োজন এড়িয়ে যাওয়া যায় না! কি বলেন!

প্রতি দিন ঈদ করলেও শেষ হবে না-
আপনি বলেছেন- 'এমনিভাবে পৃথিবীতে যত নবী রাসুল আলাইহিমুস সালামগণ শুভাগমন করেছেন, মানবতার কল্যাণে মুক্তির কল্যাণে, নবী রাসুল আলাইহিমুস সালামদের শুভাগমনে আমরা খুশি।'

-এই কথার প্রত্যুত্তরে বলছি, আমরাও এতে খুশি। আলহামদু লিল্লাহ। সীমাহীন আনন্দিত। অশেষ উৎফুল্ল। কিন্তু, তাতে কি প্রত্যেক নবী আলাইহিস সালামের জন্ম দিনে ঈদ পালন করে সেই খুশির প্রকাশ ঘটাতে হবে? এটা কি আদৌ সম্ভব? লক্ষাধিক নবী রাসূলের জন্ম দিবসে ঈদ পালন করার চিন্তা যদি কেউ করে থাকেন, তাকে কি কোনভাবে সুস্থ্ লোক মনে করবেন?

আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

রাসেল সরকার বলেছেন: বলেছেন: আপনার সাথে তর্ক করার ইচ্ছা আমারও নেই ।
প্রাকৃতিকভাবে দুনিয়া অন্ধকার, সূর্য উদয়ের মাধ্যমে আলোকিত হয়। তেমনিভাবে মানুষের আত্মার জগতেও এক বিরাট অন্ধকার আছে, সেখানে প্রিয়তম নূরনবীর হেদায়েত না পৌছলে আত্মা আলোকিত হয়না, বস্তুবাদের আধাঁরে নিমজ্জিত থাকে । আত্মা যখন বস্তুর আধাঁরে নিমজ্জিত হয়ে যায় বা থাকে, তখন সেই আত্মা সত্য-মিথ্যা উপলব্দির ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে । শানে রিসালাত বুঝতে অক্ষম হয়, শানে রিসালাত অসীম বিষয় কারো পক্ষেই পূর্ণাংগ বুঝা সম্ভব নয়, তারপরও ততটুকু অবশ্যই বুঝতে হবে যতটুকু না বুঝলে ঈমানদার দাবী করা যাবে না ।
দলিল অনেক পেশ করা যাবে কিন্তু করে লাভ কি ? যেখানে শানে রিসালাতের শোকরিয়া জ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্নের উদয় হয়, সেখানে দলিল পেশ না করাই উত্তম মনে করি । তাই আপনি যেটাকে সত্য-জ্ঞান মনে করেন, সেটা নির্দিধায় প্রচার করেন । আমি আমারটা প্রচার করি মানুষ যেটাকে সঠিক মনে করবে, সেটা গ্রহণ করবে । ধন্যবাদ

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই,
ধন্যবাদ।

আপনি বলেছেন,
//আপনার সাথে তর্ক করার ইচ্ছা আমারও নেই ।
প্রাকৃতিকভাবে দুনিয়া অন্ধকার, সূর্য উদয়ের মাধ্যমে আলোকিত । তেমনিভাবে মানুষের আত্মার জগতেও এক বিরাট অন্ধকার আছে, সেখানে প্রিয়তম নূরনবীর হেদায়েত না পৌছলে আত্ম আলোকিত হয়না, বস্তুবাদের আধাঁরে নিমজ্জিত থাকে । আত্মা যখন বস্তুর আধাঁরে নিমজ্জিত হয়ে যায় বা থাকে, তখন সেই আত্মা সত্য-মিথ্যা উপলব্দির ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে । শানে রিসালাত বুঝতে অক্ষম হয়, শানে রিসালাত অসীম বিষয় কারো পক্ষেই পূর্ণাংগ বুঝা সম্ভব নয়, তারপরও ততটুকু অবশ্যই বুঝতে যতটুকু না বুঝলে ঈমানদার দাবী করা যাবে না ।
দলিল অনেক পেশ করা যাবে কিন্তু করে লাভ কি ? যেখানে শানে রিসালাত নিয়ে প্রশ্নের উদয় হয়, সেখানে দলিল পেশ না করাই উত্তম মনে করি । তাই আপনি যেটাকে সত্য-জ্ঞান মনে করেন, সেটা নির্দিধায় প্রচার করেন । আমি আমারটা প্রচার করি মানুষ যেটাকে সঠিক মনে করবে, সেটা গ্রহণ করবে । ধন্যবাদ//

-দলিল পেশ না করাই ভাল, এসব কি ধরনের কথাবার্তা বলছেন? দলিল চাওয়ার প্রয়োজন শুধুমাত্র একটি ক্ষেত্রেই নেই, সেটা হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাকের মহান সত্ত্বা নিয়ে। এছাড়া কোন বিষয়ে শরিয়ত প্রবর্তিত নিয়ম কানূন জলাঞ্জলি দিয়ে যদি বিদআতের অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ানোর ইচ্ছে থাকে তাহলেই কেবল এসব কথা বলা মানানসই মনে হয়।

যাক, আল্লাহ পাক আপনার মঙ্গল করুন। আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমা চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.