নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাকা নয়, দেহ বিনিময় করে মাছ কেনেন তাঁরা—

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১১



টাকা নয়, দেহ বিনিময় করে মাছ কেনেন তাঁরা – কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের সিয়াইয়া কাউন্টি সহ সাব-সাহারান আফ্রিকার দরিদ্র নারীদের অনেকে জেলেদের সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার বিনিময়ে মাছ পান৷ এরপর সেগুলো বিক্রি করে তাঁরা সংসার চালান৷

পাঁচ সন্তানের জননী ৩২ বছরের রাচেল আটিনো এমনই একজন নারী৷ বছর দশেক আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর সংসার চালাতে তাঁকে ‘জাবোয়া’র পথ বেছে নিতে হয়েছিল৷ স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত জাবোয়া শব্দের মানে হচ্ছে ‘সেক্স-ফর-ফিশ’, মাছের জন্য যৌনকর্ম৷

সিয়াইয়া রাজ্যের জেলেরা সারারাত ধরে ভিক্টোরিয়া হৃদে মাছ ধরার পর সকালে বিক্রি করেন৷ তবে নারী ক্রেতাদের মধ্যে অর্থের বিনিময়ে মাছ কিনছেন, এমনটা কমই দেখা যায়৷ বরং বেশিরভাগ নারীকে দেহ বিনিময় করতে দেখা যায়৷ কারণ অর্থ দিয়ে মাছ কেনার মতো সামর্থ্য তাঁদের থাকে না৷ আটিনো বলেন, ‘‘অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, যে নারীরা যৌনকর্ম করতে প্রস্তুত তাদেরকে ভালো মানের মাছ দেন জেলেরা৷”

আটিনো থাকেন আবিম্বো গ্রামে৷ সেখানকার অনেক নারীই জাবোয়ার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন৷ আটিনো বলেন, ‘‘জাবোয়া সবসময়ই থাকবে৷ আগের চেয়ে বরং এর ব্যবহার বেড়েছে৷ কারণ দারিদ্র্যের কারণে মেয়েদের আর অন্য কোনো উপায় নেই৷”

অবশ্য আটিনোকে এখন আর জাবোয়ায় অংশ নিতে হচ্ছে না৷ কারণ একটি এনজিও ঐ এলাকার নারীদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে৷ তাঁরা নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ঋণ দেন৷ ঐ অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হলে নারীরা তা ফেরত দিয়ে আরও বড় অংকের ঋণ পান৷ ‘চ্যালেঞ্জ আফ্রিকা’ নামের ঐ এনজিওর কাছ থেকে ৫০ ডলার ঋণ পেয়েছেন আটিনো৷ সেই অর্থ দিয়ে মাছ কিনে এখন সেগুলো শুকাচ্ছেন৷ তারপর সেগুলো বিক্রি করবেন৷ এছাড়া গ্রামের নিকটবর্তী সোনার খনিতে শ্রমিকদের জন্য রান্নার কাজও করেন আটিনো৷

চ্যালেঞ্জ আফ্রিকার কান্ট্রি ডিরেক্টর এডউইন ওগিলো বলেন, তাঁরা অসহায় নারীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেন৷ সেখানে যাঁরা ভালো করেন তাঁদের ঋণ দেয়া হয়৷ এই প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য, ঐ এলাকায় এইচআইভির প্রসার কমানো৷ কারণ সিয়াইয়ার প্রতি চারজনের একজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত, যেটা এইডসের জন্য দায়ী৷ সেক্স-ফর-ফিশের কারণে এইচআইভির প্রসার আরও বাড়ছে বলে মনে করেন ওগিলো৷ সুত্রঃ এই বার্তা

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: হে দারিদ্র ...!!!

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

রাসেল সরকার বলেছেন: দুনিয়া মানুষের নিয়ন্ত্রে নেই, অমানুষের জবর-দখলে । মুক্তির একমাত্র পথ মানবতার বিপ্লব

২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

জে আর সিকদার বলেছেন: আহ্ জীবন!

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

রাসেল সরকার বলেছেন: দুঃখ জনক

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দারিদ্র্যের কপালে ঝাটা মারি।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৩

রাসেল সরকার বলেছেন: স্বৈরতান্ত্রিক দস্যু রাষ্ট্র ও বিশ্ব ব্যবস্থার ফসল

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: দারিদ্রতার চরম পর্যায়ে যখন মানুষ অসহায় তখন তাদের হয়ত জাবোয়া নামক এমন এক পেশাই বেছে নিতে হয়। :(

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৫

রাসেল সরকার বলেছেন: অপরাজনীতির বিষ বাষ্পের বলি হচ্ছে পৃথিবীর অসহায় নিরপরাধ মানুষ গুলো

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দারিদ্র্যের কারণে দেহব্যবসা পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই আছে। এটা নতুন কিছু নয়।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৭

রাসেল সরকার বলেছেন: উদ্ধার ও মুক্তির পথে এগোতে হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.