নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

অং সান সুকি, সামরিক জান্তা ও তাদের সমর্থকগণ কি গৌতম বুদ্ধের অনুসারী ?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৬



মহান স্রষ্টার সৃষ্টি পৃথিবীতে অনেক ধর্মের জন্ম হয়েছে এবং হচ্ছে, যার যেটা ভালো লাগে সে সেটা পালন করবে, এটা ব্যক্তি স্বাধীনতা । ধর্মের কারণে মানুষ হত্যা কোনো ধর্মেই নেই, সকল ধর্মেই অন্যায়কে অন্যায় বলা হয়েছে । তারপরও দুনিয়াব্যাপী স্বার্থান্বেষী মহল-গোষ্ঠী-ব্যক্তি শত শত বছর যাবত ধর্মকে ব্যবহার করে হিংসা-বিদ্বেষ-হানাহানি-মারামারি-ক্ষমতার দ্বন্দ তথা সত্য-সভ্যতা-মানবতা বিনাশী কর্মকান্ড চালাচ্ছে ।

ধর্ম মানুষকে মনুষ্যত্ব শেখায় । শৃংখলা-সাম্যতা অন্যের প্রতি ভালোবাসা ও যত্নবান হওয়ার উপদেশ । সব ধর্মগ্রন্থে এসব উপদেশ রয়েছে । ধর্ম বিশেষজ্ঞগণ সেভাবেই তাদের ভক্ত-অনুসারীদের শিক্ষা দেয় ।




সন্দেহ জাগছে, “জীবহত্যা মহাপাপ-অহিংস পরম ধর্ম” বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী বার্মার সামরিক জান্তা ও অং সান সুকি'র অসহায় নিরপরাধ রোহিঙ্গা গণহত্যার নিষ্ঠুর নীতি দেখে । আসলে তাঁরা কোন ধর্মের অনুসারী ? তাঁরা যদি সত্যিই বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী হয় তাহলে তারাতো তাদের ধর্মের আইন-কানুন মানার কথা ।

ধর্ম মানে না সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার । তাঁরা তো মানবতার কল্যাণকামী দুনিয়ার কোনো সংগঠনের অনুরোধকেও মানছে না । ২০১৬ সাল থেকে ক্রমেই অসহায় নিরপরাধ রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন-জুলুম বৃদ্ধি করছে । তাদের আচরণে মানবতার প্রতি কোনো শ্রদ্ধা ভালোবাসা মানবধিকার কোনোটাই পাওয়া যাচ্ছেনা । তাহলে তাঁরা কি হিংস্র পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হয়ে গেল ?

গৌতম বুদ্ধ যে ধর্মের প্রবর্তন করেন তাতে সৃষ্টিকর্তার কোনো স্থান নেই । যদিও জন্মান্তরবাদ বৌদ্ধ ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ । গৌতম বুদ্ধ ছিলেন বর্ণপ্রথার ঘোর বিরোধী এবং তিনি তাঁর ধর্মের মাধ্যমে মানুষে-মানুষে ঐক্য, সমতা ও সমধিকারের বাণী প্রচার করেছিলেন । বর্ণপ্রথার মাধ্যমে ভারতীয় জনগণকে ধর্মের কাঠামোর মধ্যে যেভাবে বিভক্ত রাখা হয়েছিল, বৌদ্ধ ধর্ম ছিল তাঁর বিরুদ্ধে এক মহাবিদ্রোহ ।



গৌতম বুদ্ধের জন্ম ও মৃত্যুর সময়কাল সমন্ধে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না । বিংশ শতাব্দীর অধিকাংশ ঐতিহাসিকদের মতে আনুমানিক ৪২৩ অব্দ বা আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮০ অব্দ পর্যন্ত সময়কালকে তাঁর জীবনকাল হিসেবে নিরূপণ করেন ।
আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪৩ অব্দ বা আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ অব্দের (৮০ বছর) মধ্যে মৃত্যুর সময়কাল বলে নিরূপণ করেন ।

বুদ্ধের পরিনির্বানের পরে ভারতীয় উপমহাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার হয় । বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্ম দু’টি প্রধান মতবাদে বিভক্ত । প্রধান অংশটি হচ্ছে হীনযান বা থেরবাদ (সংস্কৃত: স্থবিরবাদ) । মহাযান নামে পরিচিত । বজ্রযান বা তান্ত্রিক মতবাদটি মহাযানের একটি অংশ । শ্রীলংকা, ভারত, ভুটান, নেপাল, লাওস, কম্বোডিয়া, মায়ানমার, চীন, জাপান, মঙ্গোলিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও কোরিয়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্ম বিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে । সবচেয়ে বেশী বৌদ্ধধর্মালম্বী বাস করে চীনে । বাংলাদেশের উপজাতীয়দের বৃহত্তর অংশ বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত ।



গৌতম বুদ্ধের প্রচারিত বাণীর মূল অর্থ "অহিংসা" হলেও, এখন তা মানছেনা অং সান সুকি, সামরিক জান্তা ও তাদের সমর্থকগণ । বৌদ্ধদের অন্তর-আত্মা হিংসায় পরিপূর্ণ, তবে কিছু ভাল হৃদয়ের অনুসারী অবশ্যই আছেন কিন্তু তা সংখ্যায় অতি নগণ্য ।
(লেখাটি অসমাপ্ত)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


গৌতম সেই যুগের জন্য বোদ্ধা ছিলেন, আজকের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র গৌতম থেকে বেশী জানে।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২১

বারিধারা বলেছেন: সুকি কে বৌদ্ধ বলার আগে বাদশাহ সালমান কতটা মুসলমান - সেটা যাচাই করে দেখুন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

রাসেল সরকার বলেছেন: “আরবের নজদ থেকে বের হবে শয়তানের শিং ও ভূমিকম্প ”
(এখানে শয়তান বাতেল-জালেম-পথভ্রষ্টকারী অর্থে, শিং আঘাতকারী অনিষ্টকর ক্ষমতাসীন অর্থে এবং ভূমিকম্প দ্বীন-মিল্লাত-মানবতার জন্য ধ্বংসাত্মক অর্থে) -আল হাদিস(বোখারী শরীফ ২য় খন্ড, ১০৫০ পৃষ্ঠা)
ঈমানের রক্ষাকারী এ পবিত্র হাদিস শরীফ, দ্বীন রক্ষাকারী এ মহান হাদিস শরীফ, হকের দিশারী এ আলোকময় হাদিস শরীফ, বাতেল থেকে উদ্ধারকারী এ রহমতময় হাদিস শরীফ। প্রকৃত পক্ষে সব সহী হাদিস শরীফও সরাসরি অহী। দয়াময় আল্লাহতাআলা ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম দোজাহানে জীবনের সুরক্ষা ও সাফল্যের জন্য ঈমান দ্বীন দান করেছেন এবং একই সাথে তা হরণকারী জীবনের ক্ষতিকর শত্রু সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। ইসলামের ছদ্মনামেও কোরআনুল করীম হাদিস শরীফের অপব্যাখ্যা করে ঈমান বিণষ্ট ও দ্বীন বিকৃত করে যে জীবনের শত্রু বাতেল ফেরকা আবির্ভাব হবে এবং তা থেকে নিজেদের ও দ্বীন মিল্লাত মানবতাকে রক্ষায় এ হাদিস শরীফ জীবনের দিশা ও দায়িত্ত্বের নির্দেশিকা।
এ মহান হাদিস শরীফ এবং আরও অনেক হাদিস শরীফে ভবিষ্যতে ইসলামের নামে বেনামে কি কি প্রতারণা ধোকা বিপর্যয় ঘটতে পারে এবং তা থেকে কিভাবে সুরক্ষিত থাকতে হবে সে সম্পর্কে উদ্ধারের দিশা রয়েছে। উম্মতদেরকে যেন কোন বাতেল জালেম অপশক্তি ক্ষতি করতে না পারে, পথহারা ও বিচ্ছিন্ন করতে না পারে এবং সত্যের ধারা উৎখাত করে মানবমন্ডলীকে মিথ্যা আঁধারে বিণাশ করতে না পারে, সেজন্য ভবিষ্যৎবাণী হিসেবে এ হাদিস শরীফ ঘোষণা করেছেন রহমতের নবী মানবজীবনের পরম আপন ও উদ্ধারকারী আদি-অন্ত দৃশ্য-অদৃশ্য সর্বদৃষ্টি সর্ব জ্ঞানের মূল কেন্দ্র মহান প্রিয়নবী। দয়াময় আল্লাহতাআলা স্বয়ং কোরআনুল করীমে কোরআনুল করীমের অপব্যাখ্যাকারী দ্বীনের নামে বাতেল ফেরকা সম্পর্কে সুস্পষ্ট সতর্ক করেছেন এবং তা থেকে সুরক্ষার জন্য বারবার তাঁর হাবীব কেন্দ্রিক হয়ে থাকার তাঁর হাবীবের প্রেমভিত্তিক হওয়ার, তাঁর হাবীবের আপনদের তথা আহলে বায়েত খোলাফায়ে রাশেদীন মকবুল সাহাবায়ে কেরাম ইমামবৃন্দ ও আওলিয়া কেরামের পথে ও সাথে থাকার তাকিদ দিয়েছেন।
হক বাতেল পার্থক্যকারী এ হাদিস শরীফে বাতেলের ঠিকানাসহ বলে দেয়া আছে যা রিয়াদ নামধারী নজদ। নজদ থেকে নজদের দরিয়া এলাকা থেকেই বাতেল জালেম সালাফী মতবাদ অনুসারী ওহাবী মতবাদ উদ্ভব। সেখানেই তারা ১৭৪৪ সালে ব্যপক রক্তপাতের মাধ্যমে প্রথম ওহাবী রাষ্ট্র কায়েম করে এবং ১৮১৮ সালে উৎখাত হয়। ১৮২৪-এ পূণঃ দখল করে ১৮৯১-এ আবার বিতাড়িত হয়। আবার ১৯০২ সালে নজদে পূণঃ ওহাবী রাষ্ট্র করে সেখান থেকে আগ্রাসন শুরু করে ১৯২৫ থেকে ভয়ংকর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে অন্যান্য অপশক্তির সহায়তায় আল আরব জবর দখল শুরু করে ১৯৩২-এ কেবলাভূমিকে গোত্রবাদী ওহাবীবাদী “সৌদী আরব” ঘোষণা করে, যা কলেমার চেতনা উৎখাত ইসলাম ও মুসলিম মিল্লাতের জন্য মৃত্যু সমতুল্য।
আমরা যেন বাতেলের ধ্বংসের গর্তে পড়ে দোজাহানের বিণাশ না হই, সালাফী ওহাবী ইত্যাদি বাতেল ফেরকাকে ইসলাম মনে না করি, সতর্ককারী আয়াত শরীফ ও হাদিস শরীফে সে দিশা সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। দয়াময় আল্লাহতাআলার প্রতি অশেষ শোকরিয়া সিজদাহ এবং প্রাণপ্রিয় প্রিয়নবীর প্রতি অনেক অনেক সালাতু সালাম।
- ইমাম হায়াত
বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন (World sunni movement) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সার্বজনীন মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থার দিকদর্শন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব এর প্রবর্তক - ইমাম হায়াত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.