নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হজরত হাসান রাঃ এর মর্মান্তিক শাহাদাতে মোয়াবিয়ার আনন্দ প্রকাশ

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৯




সকল মুমিনের প্রাণপ্রিয় খলিফাতুর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইমামে আকবার সাইয়েদেনা হজরত ইমাম হাসান রাদিআল্লাহু আনহুর মর্মান্তিক শাহাদাতের খবর শুনে আমীর মোয়াবিয়া (যে মারাত্মক কুফরি হত্যা
তার চক্রান্তেই হয় বলে ঐতিহাসিকের বর্ণনা রয়েছে) আনন্দ প্রকাশ করে আল্লাহু আকবর বলে তাকবীর দেন।
(তারিখে ইসলাম, ঢাকা আলিয়ার প্রাক্তন প্রধান মুফতি ও বায়তুল মোকাররমের প্রাক্তন খতিব আল্লামা আমীমুল ইহসান মুজাদ্দেদী বারকাতী র: এর লিখিত, উরদু-১৪৪ পৃ, বাংলা ১৪৮ পৃ)
==================================

এই আল্লাহু আকবার আল্লাহতাআলার নাম নয়, এটা তার নফ্স,
এটা শয়তানি নফ্সকে আল্লাহ মনে করা, এটা কুফরির চরম আঁধার, এই আল্লাহু আকবার আল্লাহতাআলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ, মোনাফেকদের কলেমা আসল কলেমা নয়, ধোকা।

মিথ্যার ধারকরা মিথ্যাকে আল্লাহতাআলার নামে চালিয়ে দেয়, মিথ্যার ধারক নফ্সের দাসগণ শয়তানি নফ্সের অহং ও অহংকারে এতোটাই নিমজ্জিত থাকে যে মিথ্যাকেই সত্য মনে করে এবং সত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। দয়াময় আল্লাহতাআলা কেবল সত্যের সাথে। আল্লাহতাআলার পবিত্র নাম মোবারক মিথ্যার সাথে ব্যবহারের চেয়ে চরম ধ্বংসাত্মক আর কিছু নেই।

ইবলিস অনেক হাজার বছর এবাদত করতো কিন্তু অন্তর বিশুদ্ধ না হওয়ায় এবং নবুওয়াত কেন্দ্রীকতার মাধ্যমে বিশুদ্ধভাবে আল্লাহতাআলার জন্য উৎসর্গীকৃত না হওয়ায় সে চেতন বা অবচেতন মনে প্রকৃতপক্ষে সেটা তার নফ্স বা প্রবৃত্তিগত আঁধার মনের উপাসনা হয়ে যেতো।

নবুওয়াত কেন্দ্রীকতার মাধ্যমে নবুওয়াতের আলোকধারায় নিজেকে বিলীন করে না দেয়া পর্যন্ত কেউ আল্লাহতাআলার দরবারে প্রবেশ করার যোগ্যতা ও পবিত্রতা অর্জন করে না এবং আল্লাহতাআলার বান্দাও হতে পারে না বরং নফ্সের বান্দা ও শয়তানের বান্দা হয়ে থাকে।

খলিফাতি রাসুলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইমামে আকবার সাইয়েদেনা হজরত ইমাম হাসান রাদিআল্লাহু আনহু এবং খলিফাতি রাসুলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইমামে আকবার সাইয়েদেনা হজরত ইমাম হোসাইন রাদিআল্লাহু আনহু তাঁদেরকে ছাড়া কেউ আল্লাহতাআলা ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হওয়া তথা ঈমান ই অসম্ভব, তাঁরা কলেমার অবিচ্ছেদ্য বন্ধন ও আলোকধারা, তাঁরাই সত্যের কেন্দ্র, যাঁদের বিপরীত ও খেলাফ কুফরির অন্ধকার ও আল্লাহতাআলার ক্রোধনিপতিত লাআনতগ্রস্ত জাহান্নামী ধারা ছাড়া কিছু নেই।

========================
আল্লামা আরেফ সারতাজ, ডঃ আল্লামা অধ্যাপক কাওসার আমীন, আল্লামা রায়হান রাহবার, আল্লামা জাকির আহসান,আল্লামা মোর্শেদ শাহ, হাফেজ আল্লামা ইলিয়াস শাহ,আল্লামা শেখ নয়ীমুদ্দীন, আল্লামা আওয়াল কাদেরী, আল্লামা গোলাম সাদেক, আল্লামা রেজাউল মোস্তফা কাওসার।

(আহলে সুন্নাত ওলামা ফেডারেশন)

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৭

আমি তিতুমীর বলছি বলেছেন:




আপনার এই বক্তব্যের রেফারেন্স কি?
আমি যতটুকু জানি, তিনি জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্তদের একজন, এভাবে তাঁর বিরুদ্ধে লেখা ঠিক না, এমনিতেই মুসলমিদের অবস্থা ভাল যাচ্ছে না তারমধ্যে সাহাবীদের এভাবে সমালোচনা করলে ইসলামের অনেক ক্ষতি হবে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৬

রাসেল সরকার বলেছেন: عن أَبِي سَعِيدٍ الخدري ، قَالَ: " كُنَّا نَحْمِلُ لَبِنَةً لَبِنَةً وَعَمَّارٌ لَبِنَتَيْنِ لَبِنَتَيْنِ ، فَرَآهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَنْفُضُ التُّرَابَ عَنْهُ ، وَيَقُولُ: وَيْحَ عَمَّارٍ ، تَقْتُلُهُ الفِئَةُ البَاغِيَةُ، يَدْعُوهُمْ إِلَى الجَنَّةِ ، وَيَدْعُونَهُ إِلَى النَّارِ قَالَ: يَقُولُ عَمَّارٌ: " أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الفِتَنِ "

হাদিস শরীফের সারকথাঃ হযরত আবু সাঈদ খুদুরী রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- আমরা মসজিদ বানানোর জন্য একটি একটি করে পাথর বহন করছিলাম আর হযরত আম্মার বিন ইয়াসির রাদিআল্লাহু আনহু দুটি দুটি করে পাথর বহন করছিলেন প্রিয়নবী দৃশ্যটি দেখে তার শরীর থেকে ধুলা-বালি ঝেড়ে দিলেন এবং বলতে লাগলেন- আম্মারের জন্য আফসোস!! তাঁকে একটি বিদ্রোহী গ্রুপ শহীদ করবে, আম্মার তাদেরকে জান্নাতের দিকে ডাকবে আর তারা আম্মারকে জাহান্নামের দিতে ডাকবে এটা শুনে আম্মার রাদিআল্লাহু আনহু বললেন- হে আল্লাহ আমি আমি সেই ফেতনা থেকে ফানা চাই।
১. বুখারী শরীফ , ৮খন্ড, পৃষ্ঠা-১৮৫-১৮৬
২. তিরমিজি শরীফ, ৫ খন্ড, পৃ. ৬৬৯
৩. মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল, ২খন্ড, পৃ. ১৬১,১৬৪,২৬৪

প্রায় ২৫ জন রাবী থেকে বর্ণিত হাদিস শরীফটি নিঃসন্দেহে মুতাওয়াতির হাদিস যার ব্যাপারে সন্দেহ রাখলেও ঈমান থাকবেনা এই হাদিস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে, সেই বিদ্রোহী গ্রুপ কোনটা? কে সেই বিদ্রোহী গ্রুপের নেতৃত্বে ছিল?
আর কেহ নয়, কাফের এজিদের বাপ।

খোলাফায়ে রাশেদীনের বিরোধীতা, হক্বের ধারক মাওলা আলী রাদিআল্লাহু আনহুর বিরোধীতা করা কখনো বৈধ হতে পারেনা আর এটাকে ইজতিহাদী ভূল বলে হত্যাকারীকে বাঁচানোর কোন সুযোগ নাই কেননা ইজতিহাদ ঈমান নিয়ে নয় শরীয়তের মাসয়ালা নিয়ে হয় অতএব আমি খেলাফতের পক্ষে থাকবো নাকি বিপক্ষে থাকবো সেটা ঈমানের বিষয় অর্থাৎ আমাকে খেলাফত তথা খোলাফায়ে রাশেদীনের পক্ষে থাকতে হবে কেননা উনাদের পক্ষে থাকা ই ইসলামের পক্ষে থাকা উনাদের হুকুম উনাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার ব্যাপারে প্রিয়নবীর নির্দেশনা আছে যথা-

عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ
অর্থঃ তোমাদের উপর আমার নির্দেশিত সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশেদীনদের সুন্নাত (সিদ্ধান্ত) মেনে নেওয়া আবশ্যক। (তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ শরীফ)

এই হাদিস শরীফে থেকে স্পষ্ট হয়ে গেলো- খোলাফায়ে রাশেদীনদের অনুসরণ কেবল আমাদের উপর নয় বরং সকল মাকবুল সাহাবায়ে কেরামদের উপরও ছিলো এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাদের অনুসরণ করাই ঈমান তাদের বিপক্ষে যাওয়া মানে প্রিয়নবীর বিপক্ষে যাওয়া আর প্রিয়নবীর বিরুদ্ধে যাওয়া সরাসরি আল্লাহর বিরুদ্ধে যাওয়া। মাওলা আলী রাদিআল্লাহু আনহু সহ খোলাফায়ে রাশেদীন উনারা ই সর্বোচ্চ উলিল আমর তথা উম্মতের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত প্রণয়নকারী যাদের আনুগত্য করার হুকুম আসছে সরাসরি পবিত্র কুরআন শরীফে যেমন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْ

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ ও তাঁর হাবীব এবং তোমাদের মধ্যে যারা সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী তাদের আনুগত্য স্বীকার করো।
(সূরা আন-নিসা, আয়াত নং-৫৯)

যেহেতু মাওলায়ে আলা মাওলা আলী রাদিআল্লাহু আনহু খোলাফায়ে রাশেদীনের একজন শুধু তা নয় তিনি বাবুল ইলম অর্থাৎ উনার জ্ঞান উনার সিদ্ধান্ত উনার অবস্থান সবকিছু মদিনাতুল ইলম প্রিয়নবী থেকে সরাসরি আসা সুতরাং কেউ যদি উনার সিদ্ধান্ত উনার জ্ঞানের বিপরীতে অবস্থান নেই তখন তাকে মুমিন বলার কোন সুযোগ নাই কেননা মাওলা আলী রাদিআল্লাহু আনহু মুমিনের অবিভাবক, মুমিন ছাড়া কেউ তাঁর আপন হবেনা আর মুনাফিক ছাড়া তার কেউ শত্রু হবেনা।
হাদিস শরীফে মাওলা আলী রাদিআল্লাহু আনহু সম্পর্কে অনেকভাবে আলোচনা আসছে যথা- مَنْ كُنْت مَوْلَاهُ فِعْلِيٌّ مَوْلاه
অর্থঃ আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা।
(তিরমিযী শরীফ-৩৭১৩, ইবনে মাজাহ- ১২১ হাদিস নং)

*‏أنا دار الحكمة ‏ ‏وعلي ‏ ‏بابها
অর্থঃ প্রিয়নবী এরশাদ করেন- আমি হেকমত তথা বিজ্ঞানের ঘর আর আলী তার দরজা।
(তিরমিযী শরীফ- কিতাবুল মানাকিব, হাঃনং- ৩৭২৩)

*انا مدينة العلم وعلي بابها
অর্থঃ আমি জ্ঞানের শহর আর আলী তার দরজা।
(তিরমিযী শরীফ, তাবারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

لا يحبك إلا مؤمن ولا يبغضك إلا منافق
অর্থঃ মাওলা আলী রাদিআল্লাহু আনহুর শানে প্রিয়নবী এরশাদ করেন,মুমিন ছাড়া তোমাকে কেউ ভালবাসবেনা আর মুনাফিক ছাড়া তোমাকে কেউ ঘৃণা করবেনা।

এ হাদিস শরীফগুলোর মাধ্যমে মুমিনের অবস্থান স্পষ্ট করার দরকার কেননা একসাথে দুটি হক্ব হতে পারেনা আর মুমিন-মুনাফিক এক বিষয় নয় বরং বিপরীত সুতরাং যে বা যারা মাওলা আলী রাদিআল্লাহু আনহুর বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করেছে সে বা তারা কখনো হক্ব হতে পারেনা! সিফফিনের যুদ্ধে মাওলা আলী রাদিআল্লাহু আনহুর বিপক্ষে যারা লড়েছে তারা অবশ্যই মিথ্যা ও মুনাফিকি দল সুতরাং তাদের হক্ব বলা মানে বিপরীত তথা মাওলা আলী রাদিআল্লাহু আনহুকে না হক্ব বলা যেমন কাফের এজিদ হক বলা মানে ইমামে আকবর ইমাম হোসাইন রাদিআল্লাহু আনহুকে না হক বলা নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক!

বিঃদ্রঃ কাফের এজিদের বাপের বিষয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদিস শরীফ ও সঠিক ইতিহাসের আলোকে বাস্তব বিষয় তুলে ধরা শিয়া আক্বিদা নয় বরং শিয়াবাদ, খারেজী মতবাদ ও মুলুকিয়ত চিনার অন্যতম সহায়ক। কাফের এজিদ ও তার পিতার কালো অধ্যায় থাকলেও কাফের এজিদের ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি কিন্তু একজন মুমিন তিনি কাফের এজিদের বিরুদ্ধে ছিলেন এবং আহলে বাইত, খোলাফায়ে রাশেদীন এবং মাকবুল সাহাবায়ে কেরামের পক্ষে ছিলেন যার জন্য উনাকে আমরা অনেক সম্মান করি ও ভালবাসি তবে কষ্টের বিষয় হলো কাফের এজিদের গ্যাং এই মুমিন সন্তান এবং উনার শিক্ষককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ।
সোর্স: আল্লামা রেজাউল কায়সার

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১২

আমি তিতুমীর বলছি বলেছেন:




তাহলে কি মুয়াবিয়া (র) জান্নাত বাতিল?
মুয়াবিয়া (রা) ও আলী (রা) মধ্যে যুদ্ধে মা আয়েশা (রা) কার পক্ষে সমর্থন দিয়েছিলেন?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৫

রাসেল সরকার বলেছেন: মুয়াবিয়ার নির্দেশে ৭০ হাজার এর অধিক মসজিদ এ যখন মওলা আলী আঃ ও তার পবিত্র বংশধর দের গালিগালাজ ও অভিসম্পত দেয়া হচ্ছিল তখন হযরত হাজর ইবনে আদি কুরআন ও হাদিস থেকে শেরে খোদা মওলা আলীর শানে বর্ণিত তা পাঠ করতে লাগলেন। অতঃপর মুয়াবিয়ার নির্দেশে হাজর বিন আদি রাঃ ও তার সাত জন সঙ্গিকে হত্যা করা হয় অত্যন্ত নির্মম ভাবে। যাতে কেও মুয়াবিয়ার আদেশ অমান্য করার সাহস না পান।( এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরন তাবারী ৪র্থ খন্ড,ইবনুল আসীর ৩য় খণ্ড,আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া ৮ম খন্দ,ইবনে খালদুন ৩য় খণ্ড) এই নির্মম হত্যা কাণ্ডের পর আবুল আওলিয়া হযরত হাসান বসরি রাঃ অভিমত প্রকাশ করেন যে, এ অহেতুক হত্যাকাণ্ডের কারনে মুয়াবিয়ার নিষ্কৃতি নেই। ( ইবনুল আসীর ৩য় খণ্ড, আল বেদায়া ৮ম খণ্ড) এই ঘটনা থেকে বিরত থাকার জন্য হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ আগেই পত্রের মাধ্যমে নিষেধ করেছিলেন কিন্তু মুয়াবিয়া হযরত আয়েশার এই কথা শুনেন নি। পরে হযরত আয়েশা রাঃ মুয়াবিয়ার সাক্ষাতে আসলে বলেন –হে মুয়াবিয়া তুমি হাজর কে হত্যা করতে গিয়ে আল্লাহকে একটুকুও ভয় করলা না? (বিস্তারিত দেখুন আল ইস্তিয়াব ১ম খণ্ড, তাবারী ৪র্থ খণ্ড) এই সব মুনাফিক হত্যাকারী দের সম্পর্কে আল্লাহ্‌ কুরআন এ বলেন- কোন মুসলমান কে যে স্বেচ্ছায় হত্যা করবে তার শাস্তি দোজখে এবং সেথায় সে চিরস্থায়ী হবে, তার উপর আল্লাহর লানত (সুরা নেছা ৯৩)

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

আমি তিতুমীর বলছি বলেছেন:



রাসূল (সঃ) যাকে জান্নাতি ষোষণা দিলেন আপনি যুক্তি দিয়ে তাকে দোযখে দিচ্ছেন!! বেশ ভাল,
রাসূল (সঃ) চেয়ে বড় ইসলামী পন্ডিত পাওয়া গেল!! নাউযুবিল্লাহ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১২

রাসেল সরকার বলেছেন: প্রাণাধিক প্রিয়নবী যা বলেননি, অপনি তা গায়ছর জোরে বলতেছেন ।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মোয়াবিয়া (রাঃ) ইয়াজিদের খলিফা হওয়ার পূর্বেই মারা যান।আর মোয়াবিয়া (রাঃ) এর বিরুদ্ধে এই ধরনের বানোয়াট একটা কথা প্রকাশ করে আপনি নিজেই কুফুরী করে বসলেন এবং সেই সাথে যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তারাও।এগুলো অন্যায়।

ঈমাম হাসান(রাঃ) আর ঈমাম হোসেইন(রাঃ) এর আপনি যতই ভক্ত হন আপনাকে একথা স্মরণে রাখতে হবে মোয়াবিয়া(রাঃ) রাসূল (সঃ) এর অনেক কাছের একজন সাহাবী।আর রাসূলের সাহাবাদের বিরুদ্ধাচারন মানে রাসূল(সঃ) কে অমান্য করা।আর রাসূল (সঃ)কে অমান্য করার অর্থ আল্লাহকে অমান্য করা।এবার আপনি জান্নাতের আশায় বসে থাকেন।

সময় থাকতে তওবা করে নিন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১০

রাসেল সরকার বলেছেন: আহলে রাসুলদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করে সাহাবী দাবী করা যায় না । সিফফিনের যুদ্ধে হজরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে মোয়াবিয়া ই বিদ্রোহী পতাকা উত্তোলন করে এবং মোয়াবিয়া ইসলামী খেলাফতের বিলুপ্তি ঘটিয়ে ইসলামের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে, যা কোনদিন পূরণ হবার নয় ।

মুয়াবিয়ার পক্ষে রচিত একটাও হাদিস সহিহ নয় অর্থাৎ হাদিস শরীফের নামে উমাইয়া খারেজি বাতিলদের বানানো ধোকা ।

ক) ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি তার কিতাব ‘আল লাইলে আল মাসনুয়া খণ্ড ১ পাতা ৪২৪
ইবনে জাওজি তার ‘আল মাওযুয়াত’ এর খণ্ড ২ পাতা ২৪ এ লিখেছেন।

قال الحاكم سمعت أبا العباس محمد بن يعقوب بن يوسف يقول سمعت أبي يقول سمعت إسحق بن إبراهيم الحنظلي يقول لا يصح في فضل معاوية حدي

“…… ইসহাক বিন ইব্রাহীম বলেছেন ‘ মুয়াবিয়ার শানে কোন সহিহ হাদিস নেই’”।
খ) মুহাদ্দিস শেইখ আব্দুল হক দেহলবি তার ‘শারাহ মিসকাত শরীফ’ এখন খণ্ড ৪ পাতা ৭১৬ এ মুয়াবিয়ার শানে কয়েকটা হাদিস বর্ননা করে লিখেছেন এই তথা কথিত ‘হাদি’ ‘হাদিস’ ও উল্লেখ করে লিখেছেন।
“জামে আল উসুল এ বহু মুহাদ্দিস আলেম এটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে মুয়াবিয়ার শানে একটা ও সাহিহ হাদিস নেই”

গ) ইমাম যাহাবি তার ‘সিয়ার আলাম আন নাবুলা’তে খণ্ড ৩ পাতা ১৩২ তে লিখেছেন।

الأصم حدثنا أبي سمعت ابن راهويه يقول لا يصح عن النبي صلى الله عليه وسلم في فضل معاوية شيء

“ ইসহাক ইবনে রাওয়াই বলেছেন ‘মুয়াবিয়ার শানে একটাও সহিহ হাদিস নেই”

ঘ) শাওকানি তার ‘ফাও্যাইদ আল মুজমু’আ’-এর ১৪৭ পাতাতে লিখেছেনঃ-
“ইবন হেব্বান বলেছেন মুয়াবিয়ার শানে সমস্ত হাদিস জালি”।

ঙ) আল্লামা বদ্রুদ্দিন ‘আইনি তার সারাহ বুখারি উমদাতুল কারী এর খণ্ড ৭ পাতা ৯৯৪ এ লিখেছেনঃ

فإن قلت قدر ورد في فضيلته احاديث كثيرة. قلت نعم ولكن ليس فيها حديث يصح من طريق الإسناد نص عليه إسحاق بن راهويه والنسائي وغيرهما ، فلذلك قال باب ذكر معاوية ولم يقل فضيلة ولا منقبة

“যদি তুমি বল যে মুয়াবিয়ার শানে অনেক হাদিস বর্ণনা হয়েছে, তবে আমি বলব হা কিন্তু সেগুলির একটাও সহিহ সনদ সহ বর্ণিত হয়নি আর এটাই ইসহাক ইবনে রাওয়াই এবং নাসাই ও অন্যান্যরা বলেছেন। আর সেই জন্যই তিনি (বুখারি) বাবের নাম রেখেছেন ‘জিকরে মুয়াবিয়া’- মুয়াবিয়ার বর্ণনা, মুয়াবিয়ার গুলাবলি বা মুয়াবিয়ার মর্যাদা রাখেন নি”।
পাঠকগন অবগত আছে যে বুখারি তার সাহিহতে সাহাবিদের মর্যাদা বর্ণনা করতে গিয়ে যে সমস্ত বাব ( অধ্যায়) গঠন করেছে তার নাম সাধারণত ‘মানাকিব’ বা ফাযাইল শুরু করেছেন। কিন্তু মুয়াবিয়ার ক্ষেত্রে শুধু মাত্র লিখেছেন “জিকরে মুয়াবিয়া’ মানে মুয়াবিয়ার আলোচনা।
আল্লামা আরেফ সারতাজ ও আল্লামা অধ্যাপক ডঃ কাওসার আমীন ।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পোস্ট মন্তব্য কী কপিপেস্ট! কোনো ধান্দায় আছেন মনে কয়!!! ঘটনা কী?

বায়তুল মোকাররমের খতিবের নামের শেষে র: আছে, অথচ সন্মানিত সাহাবির নামের শেষে রা: নেই। বিরাট মুমিন আপ্নে। পোস্ট দদিয়ে অশেষ ছোয়াব হাসিল করেছেন।





পুনশ্চঃ পাঠকদের জন্য

১৪। মুয়াবিয়া- সম্পর্কে আমাদের ধারনা কিরুপ হওয়া উচিত?
ইয়াজীদকে খলিফা হিসাবে মনোনয়ন দিয়ে হযরত মুয়াবিয়া একটা বড়রকমের ভুল করেছেন-এতে কোনই সন্দেহ নেই। ঐসময়টা ছিল সাহাবী,তাবেইনদের যুগ, খলিফা মনোনয়নের জন্যে অনেক যোগ্য লোক থাকা সত্বেও তিনি কি কারনে পুত্র ইয়াজীদকে মনোনীত করেছিলেন, সেটা আল্লাহই ভাল জানেন। তবে তার বর্তমানে কারবালার এই ঘটনা ঘটেনি। তিনি হযরত আলীর খেলাফতের বিরুদ্ধেও অস্ত্র হাতে নিয়েছিলেন। তিনি চাইছিলেন ওসমান হত্যার প্রতিশোধ আগেনিতে, কিন্তু আলী চাইছিলেন আগে খিলাফত ঠিক করতে। দু’জনই নিজনিজ অবস্থান থেকে হয়তো সঠিক ছিলেন, যদিও পথ ছিল ভিন্ন। তাদের উভয়েরই ইজতেহাদী অনেক ভুল ছিল। সবার উপরে যে কথা, তাহলো, উভয়েই ছিলেন সম্মানিত সাহাবী। হযরত আলী ছিলেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবী। সাহাবীদের সম্পর্কে কোন খারাপ ধারনা কোন মুসলমানের থাকতে পারে না। মুয়াবিয়ার ভুলে পরবর্তীতে ইসলামের চরম ক্ষতি হয়েছে।ইসলামের খিলাফত ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, তথাপি একজন সম্মানিত সাহাবী হিসাবে তিনি মুসলমানদের শ্রদ্ধার পাত্রই থাকবেন। কারবালার ঘটনার জন্যে তিনি দায়ী ছিলেন না। দায়ী ছিল তার দুরাচারী পুত্র ইয়াজীদ। নবীর দৌহিত্রকে এমন নৃশংশভাবে হত্যাকান্ডে যার সামান্যতম সম্পর্কও থাকবে, তেমনটা জানলে তিনি নিশ্চয়ই ইয়াজীদকে খলিফা হিসাবে মনোনয়ন দিতেন না। রোম অভিযানে সমুদ্র যাত্রায় নেতৃত্ব দেওয়ায় মুয়াবিয়ার ক্ষমা প্রাপ্তি সংক্রান্তে সহি হাদীস রয়েছে। কাজেই তিনিও জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত। তবে তাদের ভুলগুলোকেও যারা সুন্নত হিসাবে বিবেচনা করেন তারা কি কারনে করেন তা তো সহজেই অনুমেয়।


[প্রোপিক দেখলেই বোঝা যায় আপ্নে কেমন গর্বেজ]

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৫২

রাসেল সরকার বলেছেন: হজরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে আস্ত্রধারণকারী, হজরত হাসান রাঃ এর সাথে ওয়াদা ভঙ্গকারী হাজার হাজার সাহাবায়েকেরাম হত্যাকারী মুয়াবিয়া । মুয়াবিয়াকে সাহাবি মেনে নিলে এসব অপকর্মকে বৈধতা দিতে হবে,....

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪১

আরোগ্য বলেছেন: এসব বিষয় নিয়েই মাথা ঘামান। কোরআন আলমারির উপরে সসম্মানে সাজানো থাক।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৪

রাসেল সরকার বলেছেন: চার দেওয়ালে বন্দি হয়ে জপমালা জপার নাম ইসলাম নয়

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পাঠকের প্রতিক্রিয়াঃ

আপনার আর পোষ্টদাতার মাঝে কোন পার্থক্য নেই।

মুয়াবিয়া(রাঃ) সম্পর্কে আপনার জ্ঞান কম সাথে ইয়াজিদ সম্পর্কেও।অনুমান নির্ভর কথা বাদ দিয়ে সঠিক ইতিহাস খোঁজ করেন।উপকৃত হবেন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৫

রাসেল সরকার বলেছেন: অনুমান নির্ভর নয়, ঐতিহাসিক দলিল দিয়েই পোষ্ট করা হয়েছে ।

৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম সম্পর্কে কম জানি। তাই চুপ থাকলাম।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫০

রাসেল সরকার বলেছেন: জানার অনুরোধ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.