নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

আমি একই সাথে প্রেমিক এবং বুর্জোয়া

রাব্বি রহমান

যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

রাব্বি রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্যাটম্যানঃআমাদের একজন \'তমঘা ই খিদমত\'

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

সংস্কৃত “মল” ধাতুর সাথে ‘অ’ প্রত্যয় যোগে “মাল” শব্দটির আবির্ভাব যার একাধিক আভিধানিক অর্থ রয়েছে । যেমন: পণ্যদ্রব্য, ধনসম্পদ, কুস্তিগির, সাপের ওঝা, মদ-সুরা, খাজনা, মালা ইত্যাদি। সুতারং Goods এর বাংলা প্রতিশব্দও হচ্ছে 'মাল' । তবে অধুনা কথ্য বাংলা ভাষায় “মাল” একটি চমকপ্রদ শব্দ যার অর্থ ও প্রয়োগ ততোধিক ব্যাপক। স্থান, কাল, পাত্র ভেদে “মাল” হতে পারে অর্থ-সম্পদ, জিনিস-পত্র, মদ-মাদক, বিতর্কিত/অদ্ভুত ব্যক্তিত্ব (আজব চিজ বা আজীব), আবেদনীয় নারী/পুরুষ এবং আপত্তিকর কিছু অর্থ। আবার আরবীতে 'মাল' শব্দের অর্থ হলো সম্পদ। সুতরাং বায়তুলমালের শাব্দিক অর্থ হলো সম্পদাগার। সাধারণত রাষ্ট্রীয় কোষাগারকেই বায়তুলমাল বলা হয়। নামের সঙ্গে তার মন্ত্রিত্বের কার্যভার বা Portfolio সুন্দরভাবে মিলে গেছে। আপনি বিশ্বের এমন কোনো দেশ খুঁজে পাবেননা যেখানে স্বয়ং অর্থ মন্ত্রীর নামের সাথেই ইকোনোমিকসের এরকম একটা বিস্তৃত টার্ম যুক্ত আছে। ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সরকার তাকে ' তমঘা ই খিদমত' পদকে ভূষিত করে।

এই 'তমঘা ই খিদমত' ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্র হলেও নিজের যোগ্যতা এবং মেধা বলে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন। আমি নিজে তার সাহিত্য নিয়ে দু-তিনটি বক্তব্য শুনেছি , যদি ভাষায় প্রকাশ করতে চাই এক কথায় অসাধারন। জীবনান্দ দাশলে তার মতো সুন্দর করে আর কেউ বিশ্লেষণ করতে পারবে বলে মনে হয় না। কথা হচ্ছে তিনি সাহিত্যের জন্যে পারদর্শী হলে অর্থ মন্ত্রনালয়ের জন্যে কতটা পারদর্শী?

অর্থমন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে 'তমঘা ই খিদমত' সাহেব এর আগেও ছিলেন। সেটা স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের সময়ে। বাংলাভাষায় ততটা পারদর্শী না হলেও উর্দু এবং ইংরেজীতে পারদর্শী আমাদের মাল সাহেবের মাথার চুল নেই এবং তিনি খুব ভালো ভাবেই জানেন সরকারের স্বার্থে কি করে, কোন প্রক্রিয়ায় জনগনের উপরে চাপিয়ে দিয়ে হলেও অর্থ আদায় করা যায়। চাটুকার এবং তোষামোদের গল্প তার নামের পাশে না থাকলেও বদ মেজাজী এবং বয়সের ভারে মস্তিস্ক ন্ব্যুজ্ব হয়ে যাওয়া এক অর্থ মন্ত্রীর প্রচুর গল্প আছে। তার এইসব বেফাস এবং অবিবেচকের মতো মন্তব্য নিয়ে চাইলেই একটা বই সম্পাদনা করে ফেলতে পারি কিন্তু সেটাও করছি না। যেটা করছি সেটা হলো তার কিছু মহান উক্তি তুলে ধরছি।

'তমঘা ই খিদমত' এর অমৃত বচনসমূহ-

১) “শেয়ার মার্কেটে কোন ইনভেস্টর নাই, সব জুয়াড়ি”
২) ‘শিক্ষকদের জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন’
৩) 'তারা ৫০ হাজার, ৩০ হাজার টাকা বেতন দিতে পারে। আর মাত্র ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে পারবে না কেন?'
৪) 'ঘুষ অবৈধ নয়'
৫) ‘চার হাজার কোটি টাকা তেমন বেশি কোনো টাকা নয়
৬) ‘ড. ইউনূস দেশের একমাত্র সমস্যা…, ড. ইউনূসের কথায় সততা নাই’
৭) 'একদিন বাজারে না গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে'
৮) 'ভারত ট্রানজিটের বিনিময়ে ফি নয়, একটা কিছু নিবো'
৯) 'পে-স্কেলে সরকারি চাকরিজীবীদের দুর্নীতি কমবে'
১০) 'কিছু খুনের ঘটনা ছাড়া’ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘স্থিতিশীল’
১১) 'সিপিডির বক্তব্য টোটালি রাবিশ'

সর্বক্ষণ মুখে হাসি ধরে রাখা এক বিরল অভ্যাসের ব্যাপার এবং এই বিরল অভ্যাসটিই বিগত সাত দশক ধরে মুখে ধরে রেখেছেন আমাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সাহিত্যের পারদর্শীতা তিনি অতন্ত্য চমৎকার ভাবে ইকোনোমিকসেও ব্যবহার করে থাকেন। অল্প কথায় কাজ হলে বেশি কথার প্রয়োজন কি বঙ্কিমের এই তত্ত্ব ধারন করে তিনি 'টোটালি রাবিশ এন্ড ভোগাস' উক্তিটি ব্যবহার করে থাকেন। তিনি কোনো বিশ্লেষণ দিতে প্রস্তুত কিংবা দায়বদ্ধ নয়, তার সকল মতামতই খুঁজে পাবেন এই 'টোটালি রাবিশ এন্ড ভোগাস' তত্বের মধ্যে।

শেষ করছি এক ভাইয়ের মুখে শোনা অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে একটা কৌতুক দিয়ে -

- আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী তার অফিসের লিফটে কখনো উঠতে পারেনা । সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠে! কেন বলুনতো?
- কারন তার লিফটের সামনে লিখা একটি সাইনবোর্ড রয়েছে’ “ এই লিফটে মাল পরিবহন নিষেধ

(নিতান্তই শখের বশে লেখা এবং রাজনৈতিক কাজে ব্যবহারের জন্যে নয়)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন:

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"
উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?
উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?
উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।
-ড. সাকিল আল মামুন।
১. সরকার কোনদিনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা এর শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দেবে না জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আর এটা ভোরের কাগজের লিঙ্ক।
এতো গেল ‘রাজপুত্রের’ কথা, আর চেতনাবাদী মিডিয়া, তার অবস্থান কি?
শাহবাগে চিল্লাচিল্লি আর বিরিয়ানি খাওয়া টেলিকাস্ট করতে লাইন লেগে যায় চেতনা মাখা সকল মিডিয়ার! আর আজকে ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনরে " জন-দূর্ভোগ" হিসেবে দেখাচ্ছে। মনে হয় যেন জীবনে , রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে দাবী আদায় এই প্রথম দেখছে।
আজ দেশের ছাত্র সমাজের এই ভ্যাট বাতিলের জোয়ার কে কেন তারা টেলিকাস্ট করছে না?
দেখাচ্ছে " সড়ক অবরোধের কারনে যানজটে নগরবাসীর অবস্থা নাকাল " জাতীয় রিপোর্ট ।
কোথায় আজ মুন্নি সাহা?
কোথায় আজ রুপার সরাসরি সম্প্রচার?
কোথায় আজ নবনিতার টকশো?কোথায় ?
জাফর নামক ষাঁড় টা কই? তাঁর বিবেক কি বলে???
এই দেশের রন্ধে রন্ধে দালালে দালালে ভরে গেছে আর সব দালালের বড় দালাল হচ্ছে এই সাংবাদিক আর মিডিয়া । যাদের কাছে বিরিয়ানি খাওয়া মানেই আন্দোলন আর লক্ষ লক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের লাঠি পেটা খাওয়ার নাম হচ্ছে সন্ত্রাসী দমন।
থু থু থু
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ‘চেতনাবাদীদের’ কমেন্ট ........



চটি পিয়াল ও তাঁর অনুসারীদের কমেন্ট-

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.