নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

আমি একই সাথে প্রেমিক এবং বুর্জোয়া

রাব্বি রহমান

যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

রাব্বি রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

NBR এর মেসেজ ও কিছু প্রশ্ন?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

টিউশন ফি এর উপরে ভ্যাট কারা দিবে সেটা নিয়ে এন বি আর থেকে আজ একটা মেসেজ এসেছে সকলের মোবাইলে। যেটাতে লেখা হয়েছে ভ্যাট দিবে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ , অর্থাৎ ছাত্ররা কোনো প্রকারের ভ্যাট প্রদান করবে না।

কিছু প্রশ্ন-
> এন বি আরের জনসংযোগ কর্মকর্তা কিভাবে এক ঘন্টার আলোচনায় সংসদে অনুমোদিত একটি বিষয় বাতিল করে গনমাধ্যম ও মোবাইলে প্রচার কার্জ চালায়?
> গত সেমিস্টারে যে সব শিক্ষার্থী ভ্যাট দিয়েছেন তাদের টাকা কি ফেরত দেয়া হবে?

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আজ সংসদেও বলেছেন ভ্যাট দিতে হবে কতৃপক্ষের কিন্তু সু স্পষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা আসে নি। আসলেই কি ছাত্রদের মাথার উপর থেকে ভ্যাটের বোঝা বাতিল করা হয়েছে, নাকি আন্দোলন থামাতে একটি ফাঁদ দেয়া হয়েছে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ৭.৫% ভ্যাট প্রদান করেও থাকে সেটা কিভাবে করবেন। তারা কি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উপরে ভ্যাট দিবেন নাকি প্রতিটি ছাত্রের উপরে ভ্যাট দিবেন। সরকার এখনও নিশ্চিত করেনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান কি হবে এবং ছাত্ররা কি ভাবে এই ভ্যাটের মুক্ত থাকবেন। কোনো প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয় নি।

সুতারং এটি স্পষ্ট যে এই মেসেজটি একটি কৌশল মাত্র। যাতে ছাত্ররা ভ্যাটের আন্দোলন থেকে সরে আসে এবং একই সাথে তাদের আন্দোলন সরকারের পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে চলে আসে।

এখন দেখা যাক , একজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আসলেই বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো দাবী দাওয়া আদায়ে আন্দোলন করা সম্ভব কিনা। একজন প্রাইভেটের ছাত্রের ১০ সেমিস্টার শেষ হয়ে যাওয়ার পর যদি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিঃস্কার করে দেয় তখন তার পুরো শিক্ষা জীবন তো ধ্বংস হয়েই যায় সাথে সাথে লক্ষ লক্ষ টাকাও শেষ হয়ে যায়। কারন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি চাইলেই প্রক্টোরিয়াল মিটিং ডেকে যে কাউকে যখন ইচ্ছা বহিঃস্কার করতে পারেন। সরকার কিংবা ইউজিসির এ ব্যাপারে কোনো নীতিমালাও নেই।

তাই আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে অধিকার আদায়ের ব্যাপারে এবং সরকারে প্রণোদনা প্যাকেজে ভুলে গিয়ে আন্দোলন থেকে সরে আসলে চলবে না

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

অতি মানব বলেছেন: অসাধারন আপনার লেখা,ভালো লাগলো।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

শান্তি প্রিয় একজন মানুষ বলেছেন: ভ্যাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই ছাত্র/ছাত্রীদের নিকট হতে যেকোন কৌশলে আদায় করে সরকারি কোষাগারে প্রদান করে আসবেন। ছাত্রদের কষ্ট করে প্রদান করে আসতে হবে না। অতএব পরোক্ষ ভাবে ভ্যাট প্রদান করছে ছাত্র/ছাত্রী এবং প্রত্যক্ষ ভাবে ভ্যাট প্রদান করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.