নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

আমি একই সাথে প্রেমিক এবং বুর্জোয়া

রাব্বি রহমান

যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

রাব্বি রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাংক ডাকাতি এবং কিছু ভাবনা

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

ব্যাংক-ট্যাংক নিয়ে আগ্রহের মাত্রা এমনিতেই খুব কম, তবে ছোট বেলায় বাবার রূপালী ব্যাংকের একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে ব্যাংকে যেতাম। চেক জমা দিয়ে টোকেন নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলতে হতো। এই দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পারিশ্রমিক হিসেবে দশ টাকা পাওয়া যেতো বলেই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতাম। পরে দশ টাকার মূল্য কমে আসতে থাকলে ব্যাংকের লেজার আর টোকেনকে আমার শত্রু মনে হতে শুরু করলো। তখন এটিএম বুথ ছিলো নাহ। ব্যাংক নিয়ে যা জানা শোনা তা ঐ টোকেন আর ছেড়া ফারা লেজার পর্যন্তই। তাই ব্যাংক চুরি টুরি নিয়ে সল্প জ্ঞানের কারনে কিছু লিখতে সাহস করি নাই। ছোটো খাটো ব্যাংক হলে কথা ছিলো তাও আবার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে ডাকাতি। আমার এই ইক্যোনোমিক্যাল কনফেশন দূর করতে ব্যাংক বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক বড় ভাই আছে, একদিন চা খেতে খেতে সব শিখে এটা নিয়ে একটা লেকচার লিখে দিবো। এই ব্যাংক চুরি নিয়ে আপাতত সদ্য পড়া একটা গল্প শেয়ার করি -

তিন ব্যাংক ডাকাত গভীর রাতে ব্যাংকের তালা ভাঙল। ভাঙল ভল্টের তালা। কিন্তু তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোনো টাকা পেল না। এক ডাকাত খুঁজে পেল গোপন এক বাক্স। সে তখন তার সঙ্গীকে জানাল, টাকা-পয়সা কিছু নাই। কেবল আছে খাওয়ার জন্য এক বাটি দই। কি আর করা। দইটা খেয়ে তারা চলে গেল।

পরের দিন বড় বড় শিরোনামে খবর দেওয়া হলো-‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্পার্ম ব্যাংকে ভয়াবহ ডাকাতি’।

জানার কোনো শেষ নাই জানার চেষ্টাবৃথা তাই। তবুও জানার আগ্রহে ব্যাংক ডাকাতি নিয়ে সিনেমা দেখতে বসলাম টানা তিনটা সিনেমা দেখে এখন ঘুমাতে যাচ্ছি। ১৯৭২ সালের ২২ আগস্ট ব্রুকলিন ব্যাংকে ডাকাতি হয়েছিলো সেই ঘটনা থেকে নির্মিত সিনেমা ডগ ডে আফটারনুন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯২৯ সালে শুরু হওয়া সেই বিশ্ব মহামন্দার প্রভাবে সংগঠিত ব্যাংক ডাকাতি নিয়ে নির্মিত সিনেমা বনি এন্ড ক্লাইড এবং হিন্দি শোর ইন দ্য সিটি দেখে উঠলাম মাত্র।

যা শিখলাম হলিউডেও এমন পরিচালক জন্মায় নি যে আমাদের মাল সাহেবের চরিত্রকে পর্দায় রূপায়ন করবে। শেয়ার মমার্কেট-হল মার্ক-সোনালী ব্যাংকের ভল্ট-রিজার্ভ ব্যাংকের ডাকাতি এসবের সত্য কাহিনী পর্দায় কেউ হুবাহু তুলে দিতে পারলে ওলফ অফ ওয়াল স্ট্রীট এর ক্লাস আমাদের শাকিব খানের কাতারে নেমে আসবে।

যাই হোক- গরীব মানুষ এত বড় কিছু নিয়ে ভেবে লাভ নেই, আমার দুইটা ব্যাংক আর একটা মোবাইল একাউন্টে জমা ১৭৮৯ টাকা শান্তিতে থাকলেই আমি খুশি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

বিজন রয় বলেছেন: যার কিছু নাই সেই বেশি সুখী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.