নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

আমি একই সাথে প্রেমিক এবং বুর্জোয়া

রাব্বি রহমান

যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

রাব্বি রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তেঁতুল তত্ব ও নব্য জাস্টিস লীগ

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

একটা নতুন জাস্টিস লীগ বের হয়েছে যারা তেতুল তত্বের বিরুদ্ধাচরণ যারা করে তাদের সরাসরি আক্রমণ না করে কিংবা তেতুল তত্ব প্রণেতাদের বাহবা সরাসরি না দিয়ে একটু ঘুরিয়ে পেচিয়ে একটা পোস্ট দিচ্ছে। যেটা অনেকটা এরকমের - তেতুল আইন যেমন খারাপ ঠিক তেমনি বোরকা,কওমী মাদ্রাসা নিয়ে বিরোধিতাও খারাপ। একটা বেশ আলোচিত টার্ম মনে পরছে - ২০১৩ তে শাহবাগ বিপ্লবের পরবর্তী অবস্থায় আওয়ামী পালকে মোড়া অন্তবর্তী শিবিররাও বলতো - আমিও ফাসি চাই কিন্তু।

এই দুই দলকে আমি একই কাতারে ফেলছি না কারন। আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন সময়ের সাথে সাথে প্রগতিশীলতার রূপ ধরন পরিবর্তিত হয়। তারাও হয়তো পরিবর্তিত রূপে আবির্ভূত হয়েছে। এবার আসা যাক এই ঠিক কিন্তু দলবাদীদের যৌক্তিকতার যায়গায়, বিষয়টা অনেকটা চেক এন্ড ব্যালেন্স থিওরির মতো। তারা একই সাথে তেতুল বিরোধী এবং তেতুল প্রেমী দুই দলকেই খুশি রাখতে চেয়েছে। তার অন্যতম কারন তারা মুসলিম লীগ থেকে বেরিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলের বাহক স্বাধীন বাংলার প্রতিষ্ঠাতা বাঙালি জাতির জনকের দল করে।

আবার তারা যে একই সাথে সকল তেতুল তত্ব ঘৃণা কারীকেই নাস্তিকের দলে ফেলে দেয় এটা ভুল। তাদের বোঝা উচিত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি মানেই নাস্তিকতা নয় এই সহজ বিষয়টি। যদি কেউ ছয় দফা গভীর ভাবে না জানে তাহলে তার যেমন আওয়ামীলীগ করা ভুল আবার ধর্মনিরপেক্ষতা-নাস্তিক্যবাদের সহজ পার্থক্য না করতে পারলেও তাদের মতো মূর্খদের আওয়ামীলীগ করার দরকার নেই। আমি নির্দিষ্ট কাউকে লক্ষ্য করে কিছু বলছি না।

আমার নিজের কথাই বলি, আমি রামপাল বিরোধীদের সব সময়ই তাচ্ছিল্য করেছি, কিছুদিন আগে আনু মুহাম্মদের মতো গুনী মানুষও আইএস নিধনকে নাটক বলায় তার সমালোচনা করেছি। কিন্তু এই শফি হুজুরকে ট্রাম্প কার্ড করাকে কোনোভাবেই সমর্থন দিতে পারছি না। হুমায়ুন আজাদের প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নিচে যারা পরেছিলেন তারা কিছুটা অনুধাবন করবেন।

আমাদের সমাজে একটা কথা বেশ প্রচলিত রয়েছে যে - আওয়ামীলীগ না থাকলে যারা প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা করেন তাদের পিঠের ছাল বাকল অবশিষ্ট থাকবে না। আমি নিজেও সেটা বিশ্বাস করি এবং বিশ্বাস করি বলেই নৌকা ছাড়া কখনো ভোট দেই নি। স্কুল জীবন থেকেই আওয়ামীলীগের সকল যৌক্তিক, অনেক সময় সিলি অযৌক্তিক সিদ্ধান্তকেও যৌক্তিক করতে তর্ক করেছি।

পাঁচটি সুনির্দিষ্ট কারনে আমি আওয়ামীলীগ করি -
১. তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল।
২. এটি লৌহমানব শেখ মুজিবের দল।
৩. তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনার দল।
৪. তারা বামদের মতো থিওরি না প্র‍্যাক্টিক্যালি মানুষের সেবা করে।
৫. তারা মানুষকে ধর্ম নিরেপেক্ষ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়।

ঠিক এরকম সুনির্দিষ্ট কিছু কারনে আমি বাংলাদেশের অন্যদলগুলোকে সমর্থন দেই না।

এখন যদি আওয়ামীলীগও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করে তখন কিন্তু আমাদের মতো যারা শুধু সমর্থক তাদের যাওয়ার যায়গা টা সংকুচিত হবে। আবার অতীতে আওয়ামীলীগ প্রগতিশীলদের নিরাপত্তা দিয়ে আসলেও সামনের দিনগুলোতে হেফাজতি তেতুলদের পৃষ্ঠপোষকতা করা আওয়ামীলীগ কতটা আগলে রাখতে পারবে প্রগতিশীলদের সেটাই বিষয়।

আমাদের এই রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা অনেকটা নিজের খেয়ে বনের ধারে মোষ তাড়ানোর মতো বিষয়। দল কিংবা সরকার থেকে সুবিধা যা নেবার তা নিবে কর্মীরাই। কিন্তু একজন মাঠের কর্মী আপনাদের যেমন দরকার ঠিক তেমনি আমাদের মতো সমর্থকও আপনাদের দরকার। কারন আপনাদের কর্মীরা মাঠকে যতটা সুরক্ষা করতে পারবে আমরাও আমাদের আত্নস্থ ভোটগুলো আপনাদের জন্যে সুরক্ষিত করতে পারবো। আর আওয়ামীলীগ টিকেও আছে এইই কারনে। বামরা টেবিল খুব ভালো সামলালেও মাঠে কিছু পারে না,বর্তমান সংবাদ সম্মেলন নির্ভর দল বিএনপির মতো। কিন্তু আওয়ামীলীগ পারে তারা স্বপ্ন দেখায় আবার সেই স্বপ্ন বাস্তাবয়নও করে।

পুনশ্চ-
এই তেতুল খেয়ে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করাটা বেশ বড়রকমের বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারে বলেই মনে হচ্ছে। সমাজে ভাসমান ভোটার বলে যে ৪০% আছে তাদের মধ্যে থাকা হুজুররা কোনোভাবেই আওয়ামীলীগে ভোট দিবে না। তেতুলদের স্পন্সর করে হয়তো ২০১৯ এর পূর্বে তাদের মাঠ থেকে ফিরিয়ে রাখা যাবে কিন্তু ২০১৯ এর পরে যে সরকারি দলীয় তেতুল বের হবে তাদের তোপে বর্তমান আওয়ামীলীগারদের টেকা কষ্ট হবে। আর অভ্যন্তরীণ দাঙ্গা যে কতটা ভয়ংকর তা আমরা ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির ১৯৪৭ পূর্ব সময়টাতেই দেখেছি।

আর হ্যা শেখ হাসিনায় আস্থা এবং বিশ্বাস বলে একটা টার্ম খুব ব্যাবহার হয় আজকাল। আমিও শেখ হাসিনায় বিশ্বাস করি কিংবা আস্থা রাখি। কিন্তু মনে রাখতে হবে তার আশে পাশে কিন্তু আগের সেই সারাউন্ডিংসটা নেই। আশরাফ,তোফায়েলরা আজ কাউয়ার ভীরে ব্রাত্য। যে কারনে ইতিহাস যে নতুন মোশতাক বাঙালিকে উপহার দিবে না তা বর্তমান আনসাসস্টেইন পলিটিক্যাল কন্ডিশনে বলা খুবই মুশকিল।

সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা "শুভ নববর্ষ"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.