নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই রকম পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখা হবে। যেখানে থাকবে না কোন পাপ পঙ্কিলতা।

ইসিয়াক

সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরব গাঁথা আমাদের ইতিহাস : ঘটনাপঞ্জি ও জানা অজানা তথ্য। [২]

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮


[link|https://www.somewhereinblog.net/blog/Rafiqvai/30280327|মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরব গাঁথা আমাদের ইতিহাস : ঘটনাপঞ্জি ও জানা অজানা তথ্য। [১]]
২য় পর্ব
যুক্তফ্রন্ট গঠনঃ
৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৩।
প্রধান সংগঠকঃ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী,শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
১৪ অক্টোবর, ১৯৫৪: ১৯৪৮ সালে গঠিত গণ পরিষদ বাতিল হয়।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনঃ
যুক্তফ্রন্ট গঠিত হবার পর ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে- যার প্রথম দফা ছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা।
নির্বাচনের আসন সংখ্যাঃ ৩০৯
(স্পিকার সহ ৩১০)। মহিলা আসন ৯টি।
মুসলিম আসনঃ ২৩৭
যুক্তফ্রন্ট জয়ী হয়ঃ ২২৩ টি আসনে।
৩ এপ্রিল, ১৯৫৪: যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করে। পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী হন শেরেবাংলা এ. কে.ফজলুল হক।
৩০ মে, ১৯৫৪: কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট সরকার বাতিল করে।
২৯ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫৬: পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র (দ্বিতীয় গণ পরিষদ কর্তৃক) গৃহীত হয়।
২৩ মার্চ, ১৯৫৬:
১. পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র কার্যকর হয়,
২. পূর্ব বাংলার নাম রাখা হয় পূর্ব পাকিস্তান,
৩.বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় শাসনতন্ত্রের ২১৪ নং অনুচ্ছেদে।
১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনঃ
৭ অক্টোবর, ১৯৫৮:
১. ইস্কান্দর মির্জা পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামরিক শাসন জারী করেন,
২. ২৩ মার্চ, ১৯৫৬ সালে গৃহীত শাসনতন্ত্র তিনি বাতিল করেন।

২৭ অক্টোবর, ১৯৫৮: ইস্কান্দর মির্জার স্থলে আইউব খান দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬২:
১৯৬২ সালে ’হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন’ শিক্ষাকে এলিট শ্রেণীর উপযুক্ত বলে শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি করে দেয়। কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে শিক্ষাকে লাভজনক করার জন্য অবৈতনিক শিক্ষা অবাস্তব ঘোষণা করা হয়। যার ফলে,
শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার করে তোলার জন্য আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে।
৩০ জানুয়ারী, ১৯৬২: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে করাচীতে গ্রেফতার করা হয়। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনি ধর্মঘট জারী হয়। গ্রেফতার হন,তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, শেখ মুজিবর রহমান এবং আবুল মনসুর আহমেদ।
১ মার্চ, ১৯৬২: পাকিস্তানের নতুন শাসনতন্ত্র জারী।
১৯ আগষ্ট, ১৯৬২: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে মুক্তি দেয়া হয়।
১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২: ’হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট বাতিলের দাবীতে মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়, এবং তাতে কয়েকজন শহীদ হন। ১৭
সেপ্টেম্বরকে শিক্ষা দিবস ঘোষণা করা হয়।
৭ অক্টোবর, ১৯৬২: সমগ্র পাকিস্তানে প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়।

৬ দফা, ১৯৬৬:
উত্থাপকঃ শেখ মুজিবর রহমান জাতীয় ’মুক্তির সনদ’ খ্যাত ৬ দফা রচিত হয় লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে।
দফা সমূহঃ
১. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ফেডারেশন সরকার গঠন,সংবিধান প্রণয়ন ও স্বায়ত্বশাসন,
২. প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের,বাকী ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের,
৩. দুই প্রদেশের জন্য আলাদা মুদ্রা এবং আলাদা স্টেট ব্যাংক স্থাপন,
৪. কর ও শুল্ক নির্ধারণ ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের,
৫. বৈদেশিক মুদ্রা তত্ত্বাবধান,নিয়ন্ত্রণ ও বিনিময় প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে,
৬. আঞ্চলিক প্রতি্রক্ষা বাহিনী গঠন।সম্মেলনে ৬ দফা উত্থাপন
৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬: কেন্দ্রীয়১৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬: বিরোধী দলীয় সম্মেলনে ৬ দফা উত্থাপন।
২৩ মার্চ, ১৯৬৬: লাহোরে আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ দফা উত্থাপন।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৮:
৩ জানুয়ারী, ১৯৬৮: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের।
১৮ জানুয়ারী, ১৯৬৮: শেখ মুজিবগ্রেফতার।মামলার অভিযোগঃ আগরতলায়,বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রয়োজনে ভারতের সহযোগিতার পরিকল্পণা করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহীতার কারণ দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়।আগরতলা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনঃ শেখ মুজিবর রহমান, আলী রেজা, ভারতের ইন্টার ইন্টেলিজেন্স বিভাগের ব্রিগেডিয়ার মেনন।
মামলার আসামীঃ ৩৫ জন।ষড়যন্ত্র ফাঁস করেনঃ আমির হোসেন মামলার বিশেষ আদালতের বিচারপতিঃ এস. এ. রহমান
শেখ মুজিবের পরে আইনজীবিঃ শহীদ ময়েজ উদ্দিন।
গণ অভ্যুত্থান, ১৯৬৯:
৫ জানুয়ারী, ১৯৬৯: ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন।
২১ দফার সাথে ৬ দফা মিলিয়ে ১১দফা এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাতিল করে শেখ মুজিব সহ ৩৫জন আসামীর মুক্তির দাবীতে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ এর নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়।
৮ জানুয়ারী, ১৯৬৯: গণতান্ত্রিকসংগ্রাম পরিষদ গঠন।
১৮ জানুয়ারী, ১৯৬৯: চূড়ান্ত বিক্ষোভশুরু।
২০ জানুয়ারী, ১৯৬৯:
১. এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারী,
২. বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণ, ৩. গুলিতে আসাদ শহীদ হন।
২৪ জানুয়ারী, ১৯৬৯: নবকুমারইনস্টিউটের দশম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর শহীদ হন।
১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯:আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হক-কে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রক্টর শামসুজ্জোহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়
২২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: গণঅভ্যুত্থানেরমুখে আগরতলা মামলা প্রত্যাহারকরে শেখ মুজিবকে মুক্তি দেয়া হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন তোফায়েল আহমেদ।
২০ মার্চ, ১৯৬৯: গভর্ণর মোনায়েম খানের অপসারণ
২৫ মার্চ, ১৯৬৯: আইয়ুব খানের পদত্যাগ ও জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।
৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবর রহমান পূর্ব পাকিস্তানেরনামকরণ করেন ’বাংলাদেশ’।

১৯৭০ সালের নির্বাচনঃ
৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০: জাতীয় পরিষদের নির্বাচন।
১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০: প্রাদেশিকপরিষদের নির্বাচন।
নির্বাচনের বিবৃতিঃ
জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ১৬৭ টি আসন।
প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ৩১৩ টি আসনের (১৩টি মহিলা আসন) মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ২৮৮ টি আসন।
চলবে
তথ্য সূত্রঃইন্টারনেট ও বিভিন্ন বই এর সাহায্য নেওয়া হয়েছে ।

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। ভালো লাগা জানবেন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

ইসিয়াক বলেছেন: আগে আরেকটি পর্ব আছে লিঙ্ক দিচ্ছি এক মিনিট ।
[link|https://www.somewhereinblog.net/blog/Rafiqvai/30280327|মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরব গাঁথা আমাদের ইতিহাস : ঘটনাপঞ্জি ও জানা অজানা তথ্য। [১]]

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। তথ্য বহুল পোস্ট।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম ভাই শুভ কামনা রইলো

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


তোফায়েল আহমেদ দেশের বা জাতির কি ধরণের নায়ক ছিলো যে, উনি শেখ সাহেবকে "বংগবন্ধু" উপাধি দিলেন?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪

ইসিয়াক বলেছেন: ১৯৬৯- ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি লাভ করেন শেখ মুজিবুর রহমান।

কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবের সম্মানে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক সভার আয়োজন করে। লাখো জনতার এই সম্মেলনে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়া হয়। উপাধি ঘোষণা দিয়েছিলেন তোফায়েল আহমেদ। এ সভায় রাখা বক্তৃতায় শেখ মুজিব ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এগার দফা দাবির পক্ষে তার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
https://www.banglanews24.com/feature/news/bd/702686.details

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

ইসিয়াক বলেছেন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি
১। বঙ্গবন্ধু উপাধি< ২৩ফেব্রু ১৯৬৯সালে, তোফায়েল আহমেদ, রেসকোর্স ময়দানে।

২। জাতির জনক< ৩মার্চ ১৯৭১। আ, স, আব্দুর রব। পল্টন ময়দানে
৩। রাজনীতির কবি(Poet of politics) < ৫ এপ্রিল ১৯৭২ সালে মার্কিন সাময়িকী< ‘নিউজ উইক‘ ম্যাগাজিন বঙ্গবন্ধুর উপর একটি কভার স্টোরি করে।
৪। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি << ২৬শে মার্চ ২০০৪ বিবিসির শ্রোতা জরিপে ২০তম সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় স্থান। ১৪এপ্রিল ২০০৮ সর্বকালের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
৫। পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি<৮জানু, ১৯৭২।
৬। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন <<< ১০জানুয়ারি ১৯৭২।
৭।আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার < ২২ ফেব্রু ১৯৬৯।
৮। বাঙালির মুক্তিসনদ বা বাঙালির ম্যাগনাকার্টা ৬দফা দাবি পেশ।< ৫-৬ফেব্রু ১৯৬৬।
৯।ছয় দফা দিবস< ৭জুন । কারণ ১৯৬৬ এইদিনে সালে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয় ও কারফিউ জারী করা হয়।
১০।বাংলাদেশ -এর নামকরুনণ করেন< ৫ডি: ১৯৬৯।
১১। আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন << ২৩জুন ১৯৪৯।শেখ মুজিব যুগ্ন সম্পাদক।।মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয় ২২-২৩সেপ্টম্বর,১৯৫৫। । সম্পাদক হন ১৬নভে:১৯৫৩।
১২। শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের সভাপতি হন< ১৯৬৬।
১৩।বিশেষ ক্ষমতা তথা অস্থায়ী সংবিধান জারি করেন ১২ জানু, ১৯৭২।

১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু যে উপাধিগুলো পানঃ

১।৩মার্চ পল্টন ময়দানে “”স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ”” করুন্তৃক আয়োজিত সমাবেশে ওনাকে জাতির জনক ও বাংলাদশের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করা হয়।
২।এপ্রিল মাসে “”নিউজ উইক”” ম্যাগাজিন ওনাকে “”Poet of Politics”” (রাজনীতির কবি) বলে আখ্যায়িত করে।
৩।মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডে ওনার উপাধি ছিল “”সুপ্রিম কমান্ডার অব দি আর্মড ফোর্সেস””।

বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত ৪০টি প্রশ্ন

(১) ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির লেখকের নাম কী?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
(২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম কত সালে, কোথায়?
উত্তর: ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।
(৩) বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কোন স্কুলে?
উত্তর: গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
৪) বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিক পাশ করেন কোন স্কুল থেকে, কত সালে?
উত্তর: গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে, ১৯৪২ সালে।
(৫) বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোষ্টেলের কত নম্বর কক্ষে থাকতেন?
উত্তর: ২৪ নম্বর কক্ষে।

(৬) বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন কীভাবে?
উত্তর: ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে।
(৭) বঙ্গবন্ধু কত সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন?
উত্তর: ১৯৪৬ সালে।
(৮) বঙ্গবন্ধু বিএ পাশ করেন কত সালে, কোন কলেজ থেকে?
উত্তর: ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে।
(৯) বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন?
উত্তর: আইন বিভাগের।
(১০) বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত সালে কেন বহিস্কৃত হন?
উত্তর: ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির করুন্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করায় তাঁকে বহিস্কার করা হয়।
(১১) বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথম কারাভোগ করেন কত সালে কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৩৯ সালে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার কারণে তাঁকে কারভোগ করতে হয়।
(১২) ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে কী পদ পান?
উত্তর: যুগ্ম সম্পাদক।
(১৩) ১৯৫২ সালের কত তারিখে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন?
উত্তর: ১৪ ফেব্রুয়ারি।
(১৪) যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন আসনে বিজয়ী হন?
উত্তর: গোপালগঞ্জ আসনে।
১৫) বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রীসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন?
উত্তর: ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায়।
(১৬) ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করা হয়। দলটির নাম কী?
উত্তর: কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি।
(১৭) বঙ্গবন্ধু মুজিব ছয়দফা ১ম কবে ঘোষনা করেন?
উত্তর: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
(১৮) আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ।
(১৯) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ছয়দফা ঘোষনা করেন?
উত্তর: ২৩ মার্চ ১৯৬৬
(২০) কোন প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয়দফা রচিত হয়?
উত্তর: লাহোর প্রস্তাব
(২১) ছয়দফার প্রথম দফা কি ছিল?
উত্তর: স্বায়ত্বশাসন
(২২) ‘বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ’ হিসেবে পরিচিত কোনটি?
উত্তর: ছয় দফা।
(২৩) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ছিল কত জন? বঙ্গবন্ধু কততম আসামী ছিলেন?
উত্তর: ৩৫ জন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ১ নং আসামী।
(২৪) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কী নামে দায়ের করা হয়েছিল?
উত্তর: রাষ্ট্রদ্রোহীতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য।
(২৫) শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।
(২৬) শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি কে দেন?
উত্তর: তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ।
(২৭) কোথায় ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তর: রেসকোর্স ময়দানে।
(২৮) বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরুনন করেন কত সালে?
উত্তর: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ ।
(২৯) বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ কোথায় দেন?
উত্তর: ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে, যেটি এখন সোহরাওয়ার্দি উদ্যোন নামে পরি চিতি।
(৩০) বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল?
উত্তর: এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
(৩১) বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত অর্থাৎ ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
(৩২) ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের বঙ্গবন্ধুর পদ কী ছিল?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদ ছিল রাষ্ট্রপতি।
(৩৩) বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান কবে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি।
(৩৪) বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন কবে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যেটি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নামে পরিচিত।
(৩৫) বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।
(৩৬) বঙ্গবন্ধু প্রথম নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন কত সালে, কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।
(৩৭) বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হন কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট।
(৩৮) বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর: শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
(৩৯) বঙ্গবন্ধুর ছেলে-মেয়ে কত জন? তাদের নাম কী?
উত্তর: ৫ জন। তিন ছেলে দুই মেয়ে। শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রেহানা, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল
(৪০) বঙ্গবন্ধু জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে।

বঙ্গবন্ধু কত তারিখে শহীদ হন?

ইংরেজী ১৫ অগাস্ট ১৯৭৫
বাংলা ২৯ শ্রাবণ ১৩৮২
আরবি ৮ শাবান ১৩৯৫
সেদিন শুক্রবার ছিল।
২১শে ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা কি ছিল বা তিনি কোথায় ছিলেন?
144 ভঙ্গকরলে তাঁকে জেলে যেতে হয়।
বঙ্গবন্ধুর শরীরে গুলি লেগেছিল কতটি?
১৮টি (৯-১০শ্রেণির বইয়ৈ)/২৯টি(সজীব ভাইভা/ওরাকল এ বই)?
বঙ্গবন্ধুকে কিভাবে গ্রেফতার করা হয়?
#অপারেশন_বিগ _বার্ড
How many times bangabandhu was arrested?
— কোথাও ১৯ বার আবার কোথাও ২২ বার দেয়া আছে।১ম ১৯৩৮ সালে।

প্রশ্ন : জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কতবার গ্রেফতার হন?

১৯৩৮ সালে মার্চ- এপ্রিল প্রথম জেল হয় ৭ দিনের জন্যে (অসমাপ্ত আত্মজীবনী)
১.১১ ই মার্চ১৯৪৮ শেখ মুজিব প্রথম গ্রেফতার হন।
২.১৪ ই অক্টোবর ১৯৪৯ শেখ মুজিব ২য় বার গ্রেফতার হন।
৩.১১ ই অক্টোবর ১৯৫৮ শেখ মুজিব ৩য় বার গ্রেফতার হন।
৪.৬ ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬২ শেখ মুজিব ৪র্থ বার গ্রেফতার হন।
৫.১৮ই জানুয়ারি ১৯৬৮ শেখ মুজিব ৫ম বার গ্রেফতার হন।
৬.২৬ মার্চ ১৯৭১ শেখ মুজিব ষষ্ঠ বার গ্রেফতার হন।

এগুলো উল্লেখ যোগ্য । এছাড়াও অসংখ্যবার তিনি গ্রেফতার হন । কোথাও কোথাও ৩১বারের উল্লেখ আছে।
Bangladesh a nibondhito freedom fighters kotojon eder modhey nari freedom fighters kotojon ?
–204929. Women 203 Jon . সম্প্রতি ৪১জন বীরঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয । মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স < ১৩বছর।

1971 মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথায় ছিল?
— প্রথমে প্রতিবেশী মোশারফ হোসেন এর বাড়িতে, এরপর মগবাজার এ জনৈক মহিলার ফ্লাটে এবং সবশেষে ১৮ নম্বর রোডে…
বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভায় ২ জন নারী মন্ত্রী ছিলেন,,,,,
১. বদরুন নেছা আহমেদ- শিল্প প্রতিমন্ত্রী
২.বেগম নুরজাহান মোশের্দ – শ্রম প্রতিমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার পলাতক আসামী ও বর্তমান অবস্থান :
১. করুন্নেল ( অব) খন্দকার রশীদ = লিবিয়া
২. লে. করুন্নেল ( অব) শরিফুল হক ডালিম = কানাডা
৩. লে. করুন্নেল এম এ রাশেদ চৌধুরী = দক্ষিণ আফ্রিকা
৪. মেজর ( অব) নুর চৌধুরী = USA
৫. রিসালাদার মোসলেহ উদ্দিন = USA
৬. ক্যাপ্টেন ( অব) আবদুল মাজেদ = কেনিয়া।
কেন শেখ মুজিবকে ১৯৭২সালে শান্তিতে জুলিও কুরি পুরস্কার দেওয়া হয় ?

-বিশ্ব শান্তি পরিষদ জাতির পিতাকে ১৯৭২ সালে ১০ অক্টোবর জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করে।

বঙ্গবন্ধুর << নিউক্লিয়াস

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তি জন্য বঙ্গবন্ধু ভিতরে ভিতরে ১৯৬২সালে তাঁর অনুগত কিছু ছাত্রনেতাদের নিয়ে েএকটি সংগঠন গোপনে প্রতিষ্ঠা যাকে নিউক্লিয়াস বলে । ছাত্রদের নেতাদের মধ্যে ছিলেন
১. সিরাজুল আলম খান
২. তোফায়েল আহমেদ
৩. ফজলুল হক মনি
৪.আব্দুর রাজ্জাক
৫.কাজী আরিফ
৬.মনিরুল ইসলাম (মার্শাল মনি) ও আরো কয়েকজন ।
বঙ্গবন্ধু নিউক্লিয়াসের সদস্যদের নিজের সন্তানদের মতোই আদর করতেন । নিউক্লিয়াসের প্রচেষ্টায় ১৯৬৪সালে বাংলাদেশ স্বাধীন করার কথা প্রচারে আসে। িএবং স্লোগান আসে বীর বাঙালি অস্ত্র ধর , বাংলাদেশ স্বাধীন করুন ।

বঙ্গবন্ধুর <<<<< ৪খলিফা

নিউক্লিয়াসের করুন্মসূচি এগিয়ে নেয়ার জন্য ৪জন ছাত্রনেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয় তারা হলেন
১. তত্কালীন ছাত্রলীগের সভাপতি <<< নূর আলম সিদ্দিকী
২. তত্কালীন ছাত্রলীগের সা. সম্পাদক <<<শাহাজান সিরাজ
৩. ঢা.বি ছাত্রসংসদের নির্বাচিত ভিপি <<< আ, স. ম , আব্দুর রব
৪. ঢা.বি ছাত্রসংসদের নির্বাচিত জি, এস <<<আব্দুল কুদ্দুস মাখন

মুজিব ব্যাটারি

স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামানুসারে ১৯৭১সালের ২২জুলাই ভারতের কোনাবনে গঠন করা হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম গোলন্দাজ ইউনিট ‘মুজিব ব্যাটারি‘ ।

মুজিব বাহিনী

১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় শুধু ছাত্রদের নিয়ে গঠিত মুক্তিবাহিনীকে বলা হয় মুজিব বাহিনী

প্রশ্ন:১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্ট মোট কতজন নিহত হন?
—-পরিবারের সদস্য ১৬ জন (বঙ্গবন্ধু সহ) । আর নিরাপত্তা করুন্মকরুন্তা করুন্নেল জামিল উদ্দিন। মোট ১৭ জন
————

বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো
–অপারেশন বিগ বার্ড’ এর মাধ্যমে ।’

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত বই:
১. শেখ মুজিব আমার পিতা = প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২. মুজিব ভাই = এবিএম মুসা
৩. বঙ্গবন্ধুর সহজ পাঠ = আতিয়ার রহমান
৪. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাঙালী = কামাল উদ্দিন আহমেদ
৫. দেয়াল ( উপন্যাস) = হুমায়ুন আহমেদ
৬. বঙ্গবন্ধু জাতি রাষ্টের জনক = প্রত্যয় জসিম
৭. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান =সিরাজ উদদীন আহমেদ
8. অসমাপ্ত আত্মজীবনী
৯. জনকের মুখ (গল্পগ্রন্থ)

অসমা্প্ত আত্মজীবনী অনুবাদ

১। চীনা ভাষায় ‘‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’’ গ্রন্থটির অনুবাদক <<< চাই সি
২। জাপানী ভাষায় ‘‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’’ গ্রন্থটির অনুবাদক <<< কাজুহিরো ওয়াতানাবে
৩। ইংরেজী ভাষায় ‘‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’’ গ্রন্থটির অনুবাদক <<< ফকরুনুল আলম
৪।আরবিতে অনুবাদ করেন প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, এম পি
৫। হিন্দি (প্রস্তাবিত
৬। স্প্যানিশ((প্রস্তাবিত

———–
“”অসমাপ্ত আত্নজীবনী”” সম্পর্কে কিছু তথ্য।
♦বইয়ের নামঃ
বাংলায় – অসমাপ্ত আত্নজীবনী।
ইংরেজীতে- Unfinished Memoirs.
♦প্রথম প্রকাশঃ ২০১২।
♦প্রকাশকঃ মহিউদ্দিন আহমেদ, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড।
♦প্রচ্ছদঃ সমর মজুমদার।
♦কম্পিউটার ফরমেটিং: মোঃ নাজমুল হক।
♦কনসাল্টিং এডিটরঃ বদিউদ্দিন নাজির।
♦কম্পিউটার গ্রাফিক্স ও স্ক্যানঃ ধনেশ্বর দাশ চম্পক।
♦গ্রন্থস্বত্বঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট ২০১২।
♦পৃষ্ঠাঃ ৩২৯।
♦মূল্যঃ ৫২৫ টাকা।
♦রচনাকালঃ ১৯৬৬ – ৬৯।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ থাকা অবস্থায়।গ্রন্থটিতে বঙ্গবন্ধু ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ওনার আত্নজীবনী লিখেছেন।
♦আত্নজীবনীটি প্রকাশে যাঁরা নিরলসভাবে কাজ করেছেনঃ
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, আবদুর রহমান রমা, মনিরুন নেছা, ইতিহাসবিদ প্রফেসর এ এফ সালাহউদ্দীন আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর শামসুল হুদা হারুন, অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বেবী মওদুদ।
♦ভূমিকা লিখেনঃ
শেখ হাসিনা।প্রথমবার ২০০৭ সালে কারাবন্দী অবস্থায়, পরবর্তিতে ২০১০ সালে গণভবন থেকে।
♦বইটির প্রথম লাইনঃ “”বন্ধুবান্ধবরা বলে তোমার জীবনী লেখ””।
♦শেষ লাইনঃ “”তাতেই আমাদের হয়ে গেল””।
♦বঙ্গবন্ধুর লেখা আত্নজীবনীর ৪ খানা খাতা শেখ হাসিনার হাতে আসেঃ
বঙ্গবন্ধুর মহাপ্রয়াণের ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার পর পরই।
♦বঙ্গবন্ধু ওনার বাংলার মানুষদের একটি বিশেষণে বিশেষায়িত করতেন, সেটি হলঃ “”দুঃখী মানুষ””।
♦অনুবাদঃ বইটি ইতোমধ্যে ৪ টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে।এগুলো হল–
১।ইংরেজী। অনুবাদক – মোঃফকরুনুল আলম।
২।জাপানি।অনুবাদক – কাজুহিরো ওয়াতানাবে।
৩।আরবী। অনুবাদক – প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
৪।চীনা।অনুবাদক – চাই সি।
এছাড়াও খুব শিঘ্রই হিন্দী ও স্প্যানিশ ভাষায় অনুদিত হবে।
♦বইটিতে যেটি আছেঃ
আত্নজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট, বংশ পরিচয়, শৈশব, শিক্ষাজীবন, দুর্ভিক্ষ, বিহার ও কলকাতার দাঙ্গা, দেশভাগ, প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট সরকার, আদমজীর দাঙ্গা, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন।এছাড়াও আছে লেখকের কারাজীবন, পিতা মাতা, সন্তান সন্ততি ও সর্বোপরি সর্বংসহা সহধর্মিণীর কথা।
♦বঙ্গবন্ধুকে বলা ওনার পিতার উক্তিঃ “Sincerity of purpose and honesty of purpose”.
♦বঙ্গবন্ধুর মা শেরে বাংলাকে উদ্দেশ্য করে ওনাকে বলেনঃ
“বাবা যাহাই করুন, হক সাহেবের বিরুদ্বে বলিও না”।
♦শেরে বাংলা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর উপলব্ধিঃ “শেরে বাংলা মিছামিছিই শেরে বাংলা হন নাই।বাংলার মাটি ও তাঁকে ভালবেসে ফেলেছিল।যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেছি, তখনই বাধা পেয়েছি”।
♦বঙ্গবন্ধু শেরে বাংলাকে নানা বলে ডাকতেন।বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে শেরে বাংলার উক্তিঃ
“আমি বুড়া আর মুজিব গুড়া, তাই ওর আমি নানা ও আমার নাতি”।
♦হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে উদ্দ্যেশ্য করে বঙ্গবন্ধুর অভিমানী উক্তিঃ
“If I am nobody, then why have you invited me? You have no right to insult me.I will prove that I am somebody. Thank you sir. I will never come to you again”.
♦বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা কে ডাকতেনঃ হাচু।
♦পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠনের সময় অলি আহাদের প্রস্তাব ছিল, এর নামকরুনন “”পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ”” করা হোক।
♦যাদের গান শুনে বঙ্গবন্ধু মুগ্ধ হয়েছিলেনঃ
আব্বাসউদ্দিন আহমেদ, সোহরাব হোসেন, বেদারউদ্দিন সাহেব ।

♦দার্শনিক বঙ্গবন্ধুঃ
১।একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি।একজন বাঙালি হিসাবে যেটি কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়।এই নিরন্তর সম্পৃিক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।
২।রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্বীয়স্বজন ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।

♦বইটির এমন একটি ঘটনা বলুন, যেটি আপনাকে প্রবলভাবে নাড়া দেয়ঃ
(নিজের ভাষায়, এর উত্তরে আপনার নিজের যে অংশ ভালো লেগেছে তাই ই বলবেন)
নমুনাঃ
১।বঙ্গবন্ধু ছিলেন এমন একজন মানুষ, যাঁকে কোন বিশেষণে বিশেষায়িত করার মত শব্দভাণ্ডার আমার নেই।বঙ্গবন্ধু ওনার নিজের আত্নজীবনী লিখতে গিয়ে নিজেকে নয় বরং অন্যদেরকেই নায়ক করে তুলেছেন।যেমনঃ শেরে বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হকের জনপ্রিয়তাকে তিনি স্পষ্টভাবে বইটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন।বঙ্গবন্ধু নির্ধিদ্বায় লিখেছেনঃ একদিন আমার মনে আছে একটা সভা করুনছিলাম আমার নিজের ইউনিয়নে, হক সাহেব কেন লীগ ত্যাগ করলেন, কেন পাকিস্তান চান না এখন? কেন তিঁনি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সাথে মিলে মন্ত্রীসভা গঠন করুনছেন? এই সমস্ত আলোচনা করুনছিলাম, হঠাৎ একজন বৃদ্ধলোক যিনি আমার দাদার খুব ভক্ত, আমাদের বাড়িতে সকল সময়ই আসতেন, আমাদের বংশের সকলকে খুব শ্রদ্ধা করতেন—- দাড়িয়ে বললেন, যাহা কিছু বলার বলেন, হক সাহেবের বিরুদ্বে কিছুই বলবেন না।তিঁনি যদি পাকিস্তান না চান, আমরাও চাইনা। জিন্নাহ কে? তার নামও তো শুনি নাই। আমাদের গরিবের বন্ধু হক সাহেব।বঙ্গবন্ধু একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন বিধায় তিঁনি লিখেছেন, শুধু এইটুকু না, যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কালো পতাকা দেখাতে গিয়েছি, তখনই জনসাধারণ আমাদেরকে মারপিট করেছে।অনেক সময় ছাত্রদের নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি, মার খেয়ে।

২।১৯৩৭ সালে বঙ্গবন্ধু ওনার গৃহশিক্ষক আবদুল হামিদ এম এস সি এর উদ্বোগে মুসলমানবাড়ি থেকে প্রত্যেক রবিবার মুষ্ঠি ভিক্ষার চাল ওঠাতেন ।
এই চাল বিক্রি করে তিনি গরিব ছেলেদের বই এবং পরীক্ষার ও অন্যান্য খরচ দিতেন ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন: আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানকে দমাতে বার বার কারাগারে পাঠায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা করা হয়।একের
পর এক মিথ্যা মামলা করা হয়। তেমনই এক মামলা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। ১৯৬৮ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার অভিযোগ আনে, শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন রাজনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং গুটিকয় সাধারণ সৈনিক সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ববাংলাকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। এই মিথ্যা মামলায় শেখ মুজিবুর রহমানসহ মোট ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। ৩৫ জন আসামির সবাইকে পাকিস্তানি সরকার গ্রেফতার করে। মিথ্যা মামলায় শেখ মুজিবুর রহমানকে সাজা দেওয়ার পরিকল্পনা টের পেয়ে বাঙালি জাতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং স্বৈরাচারী আইয়ুবের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলে। ছাত্র-জনতার মিছিলে রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে। গণআন্দোলনে নতিস্বীকার করে আইয়ুব খান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবুর রহমানসহ অভিযুক্ত সব আসামিকে মুক্তি প্রদানের ঘোষণা দেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে রমনার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয় এবং ওই সভায় তৎকালীন ডাকসুর সভাপতি, বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সহচর তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। বাংলার জনগণের কাছে শেখ মুজিবুর রহমান নাম ছাপিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিটি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

ইসিয়াক বলেছেন: অনেকেরই জানা নেই যে, শেখ মুজিব কেমন করে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন। সম্প্রতি রেজাউল হক মুশতাক ইন্টারনেটে এই বিষয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। সেখানে এই উপাধি দেবার বিষয়ে তিনি তার নিজের কথা উল্লেখ করেছেন।“১৯৬৮ সালের কথা। ছাত্রসংসদের নির্বাচনী প্রচার উপলক্ষ্যে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নভেম্বর মাসে চার পাতার একটা প্রচারপত্র প্রকাশ করে। এর নাম ছিল ‘প্রতিধ্বনি’, সম্পাদক আমিনুর রহমান। শেষের পাতায় দুটো লেখা ছিল, দুই কলামে। প্রথম কলামে ছিল ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে একটা বিবৃতি। শিরোনাম ছিল ‘কর্মমুখর অতীতের স্বাক্ষর’। এতে বিগত ছাত্রসংসদের কর্মকাণ্ডের একটা ফিরিস্তি ছিল। দ্বিতীয় কলামে ছিল ছয় দফা কর্মসূচির বর্ণনা।

ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ প্রকাশিত বুলেটিন ‘প্রতিধ্বনি’র শেষ পৃষ্ঠায় ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দের প্রথম ব্যবহার হয়। এর শিরোনাম ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রস্তাবিত পূর্ব বাংলার ‘মুক্তি সনদ’ ছয় দফা। ‘বঙ্গবন্ধু’ দুই শব্দের আলাদা করে ছাপা হয়েছিল। শেখ মুজিবের জন্য এই উপাধির আবিষ্কর্তা ছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতা এবং ওই সময়ে ঢাকা নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক মুশতাক। তাঁর চিন্তা ছিল দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মতো একটা জুতসই কিছু শেখ মুজিবের জন্য খুঁজে বের করা। এই ভাবনা থেকেই বঙ্গবন্ধু শব্দের উৎপত্তি। বিষয়টি একসময় সিরাজুল আলম খানের কানে যায়। তিনি এটা ‘অনুমোদন’ করেন।

১৯৬৯ সারের ২৩ ফেব্রুয়ারি সদ্য কারামুক্ত শেখ মুজিবকে রেসকোর্স ময়দানে (পরবর্তী সময়ে যার নাম হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে যে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল, সেই সভায় তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকে ‘ বঙ্গবন্ধু’ হিসেবে ঘোষণা দেন। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ ঘোষণা দেওয়ার ব্যাপারে ছাত্র ইউনিয়নের উভয় গ্রুপেরই আপত্তি ছিল। সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা এবং ছাত্র ইউনিয়নের (মতিয়া গ্রুপ) সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দোহা এ নিয়ে এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে, তিনি ওই সভায় মঞ্চের ওপর বসেননি। মঞ্চে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সঙ্গে সিরাজুল আলম খানও উপস্থিত ছিলেন। রাজনীতিতে শেখ মুজিবের একচেটিয়া ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার পথে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি বিরাট ভূমিকা রেখেছিল। এটা পরবর্তী সময়ে তাঁর নামের অপরিহার্য অংশ হয়ে যায়। শেখ মুজিবের নামের আগে বঙ্গবন্ধু না বললে কেউ কেউ প্রচণ্ড রকম ক্ষুব্ধ হতেন। এখনো হন।

রেজাউল হক মুশতাক এখনও তার সেই স্মরণিকা প্রকাশের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি লিখেছেন: “(১৯৬৫ সালে) আমি তখন চট্টগ্রাম মুসলিম হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তারুণ্যের সমগ্র উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য নিয়ে চলমান ঘটনাকে অবলোকন করতাম চরম বিস্ময়ের সাথে। এই বোধ থেকেই জড়িত হয়ে পড়ি তৎকালীন ছাত্র আন্দোলনের মূলস্রোতধারা পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের সাথে। পড়াশুনার পাশাপাশি স্কুল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন এবং একই সাথে ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে আমি অতি অল্প সময়ের মধ্যেই সামগ্রিক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে জড়িত হয়ে পড়ি।

১৯৬৭ সালে এস এস সি পাশ করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে ঢাকা কলেজে ভর্তি হই। এখানেও রীতিমত লেখাপড়ার পাশাপাশি উত্তপ্ত ছাত্র আন্দোলনের ছোঁয়া আমাকে আরও উজ্জীবিত করে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার ঘটনাবলী প্রত্যক্ষভাবে কাছ থেকে দেখার সুযোগ ঘটে। এই সময় তৎকালীন রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যমণি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম পুত্র শেখ কামালের সাথে সহপাঠী হিসেবে আমার পরিচয় ঘটে এই ঢাকা কলেজেই। ১৯৬৭ সালেই আমি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে এবং একই সাথে লেখাপড়ায় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঐ সময় ঢাকা কলেজের ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্ব ছিল বহুমাত্রিক। ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎকালীন ছাত্র আন্দোলনের খবর প্রকাশ, বিকাশমান বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আমি ও শেখ কামাল একটি বুলেটিন প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। বুলেটিনের নামকরণ করা হয় ‘প্রতিধ্বনি’।

তখনও শেখ মুজিবের নামের সাথে সুনির্দিষ্ট কোন বিশেষণ যুক্ত হয়ে ওঠেনি। বিভিন্ন জন বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন নামকরণ করলেও কোনটি তেমন স্বীকৃতি লাভ করেনি। শেখ মুজিবুর রহমান তখনও ‘বঙ্গবন্ধু’ নামে পরিচিত নন। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের কাছে তিনি মুজিব ভাই সম্বোধনে পরিচিত। ১৯৬৬ সাল থেকে তাঁর নামের আগে তরুণ সমাজ ‘সিংহশান্দুল’, ‘বঙ্গশান্দুল’ ইত্যাদি খেতাব জুড়ে দিত। এই প্রেক্ষাপটে শেখ মুজিবের নামের সাথে একটি যথাযথ বিশেষণ যুক্ত করার চিন্তা আমার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসারতা উল্লেখ করে সে সময় আমি একটি নিবন্ধ রচনা করি। চার পৃষ্ঠাব্যাপী এই নিবন্ধে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নৃ-তাত্ত্বিকভাবে দুটো পৃথক অঞ্চল হিসেবে পাকিস্তানের দুই অংশের সম্পূর্ণ বিপরীত বৈশিষ্ট্যকে জোরালোভাবে তুলে ধরার প্রয়াস পাই। এই নিবন্ধে গণমানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবের নামের সাথে প্রচলিত বিভিন্ন বিশেষণের পাশাপাশি সর্বপ্রথম লিখিত আকারে আমি ‘বঙ্গবন্ধু’ বিশেষণটি ব্যবহার করি।

প্রসঙ্গক্রমে নিবন্ধের উপসংহার অংশটুকু নিম্নে উদ্বৃত্ত করা হল :“পরিশেষে একটি কথা বলা যায় দুই অংশের পার্থক্য ও অমিলকে স্বীকার করে দুই অংশের পৃথক ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে পাশাপাশি স্থান দিয়ে ও সর্বোপরি পূর্ব বাংলার নয়নমনি-মুক্তিদিশারী, “বঙ্গবন্ধু”, সিংহশর্দুল শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রস্তাবিত ৬ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজব ও অভিনব পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতি টিকে থাকতে পারে নতুবা নয়।” বলাবাহুল্য, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ, ঢাকা কলেজ শাখার প্যাডে ৩ নভেম্বর, ১৯৬৮ সালে আমার স্বহস্তে লেখা এই নিবন্ধটি আমি ছদ্মনামেই প্রকাশ করি। নিবন্ধের নাম ‘আজবদেশ’, আমার ছদ্মনাম ছিল ‘সারথী’।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই নিবন্ধটি হুবহু কোথাও প্রকাশিত হওয়ার সুযোগ ঘটেনি। এর পেছনেও রয়েছে একটি ছোট্ট ইতিহাস। শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক উত্থাপিত ঐতিহাসিক ৬ দফার আলোকে লিখিত এই নিবন্ধে মূলত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসাড়তাই ফুটে উঠেছিল। সে সময়ের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর দৃষ্টিতে এ ধরনের নিবন্ধ ছিল রীতিমত রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ। ‘প্রতিধ্বনি’তে এই নিবন্ধটি প্রকাশের উদ্যোগ নিলে শেখ ফজলুল হক মনি ও সিরাজুল আলম খানসহ ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাকে ওই মুহূর্তে নিবন্ধটি না ছাপানোর পরামর্শ দেন। উনাদের যুক্তি ছিল, এই নিবন্ধ প্রকাশিত হলে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের ধারাবাহিক কার্যক্রম পুলিশী রোষানলে পড়বে এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হবে।

‘আজবদেশ’ নামে এই লেখায় ‘বঙ্গবন্ধু’ বিশেষণটি আমার কাছে খুব যুৎসই ও যথার্থ বলে অনুমিত হওয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি কোথাও ছাপিয়ে ব্যবহারের চিন্তায় ছিলাম। ১৯৬৮ নভেম্বরে প্রতিধ্বনি বুলেটিনে ঐতিহাসিক ৬ দফা পুনর্মুদ্রণের সময় সর্বপ্রথম ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি আনুষ্ঠানিকভাবে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়। ‘৬৯ এর গণআন্দোলনের প্রাক্কালে ঝিমিয়ে পড়া ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা শহরে ছাত্রলীগের আমরা ৩০/৪০ জন সার্বক্ষণিক কর্মী ছিলাম। প্রতিধ্বনির লেখা তৈরি করে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের নেতা একরামুল হকের পুরানা মোগলটুলি হোস্টেলে প্রেসের সন্ধানে গিয়ে লেখাটা পড়ে শুনালাম। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও বর্তমানে সাংবাদিক বদিউল আলম।

‘বঙ্গবন্ধু’ অভিধাটি উপাধি হিসেবে ব্যবহার করায় আমার এ দু’জন বন্ধু ও রাজনৈতিক সহকর্মী আমাকে সমর্থন করলেন অকুণ্ঠ চিত্তে। আমরা প্রতিধ্বনি ছাপানোর জন্য পুরানা ঢাকার কোর্ট হাউজ স্ট্রিটস্থ কায়দে আযম কলেজ (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী কলেজ) ছাত্র সংসদের তৎকালীণ সাধারণ সম্পাদক মো ইব্রাহিমের বড় ভাইয়ের মোহাম্মদী প্রেসে গিয়ে ছাপানোর ব্যবস্থা করলাম। প্রসঙ্গত, এই প্রেস থেকে আগরতলা মামলা চলাকালীন সময় বিশেষ সামরিক আদালতে প্রদত্ত শেখ মুজিবের জবানবন্দিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত দফতর সম্পাদক মরহুম সৈয়দ ফজলুল হক বিএসসি’র অর্থানুকূল্যে সর্বপ্রথম ছাপিয়ে সাধারণ জনগণের কাছে বিলি করেছিলাম।

‘প্রতিধ্বনি’তে ৬ দফার শিরোনামে ’বঙ্গবন্ধু’ অভিধাটি যুক্ত করা হয়েছিল এইভাবে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রস্তাবিত পূর্ব বাংলার মুক্তিসনদ ৬ দফা”। অজানা ও অনালোচিত এই ঐতিহাসিক তথ্যের প্রাসঙ্গিকপূর্ণ বর্ণনা পাওয়া যায় ১৯৮৭ সালের ৩১ জুলাই ’বাংলার বাণী’ পত্রিকায় কলামিস্ট ওবায়দুল কাদের’র (বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী) বর্ণনায় “মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু খেতাবে ভূষিত হন লক্ষ লক্ষ জনতার সমাবেশে, ১৯৬৯ সালে। অবিস্মরণীয় গণবিস্ফোরণের চূড়ান্ত পর্যায়ে সে আন্দোলনের অগ্রণী বাহিনী ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে সদ্য কারামুক্ত শেখ মুজিবকে রেসকোর্সের স্বতঃস্ফূর্ত বিশাল জনসমুদ্রে ডাকসুর সহ-সভাপতি ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা তোফায়েল আহমদ ‘বঙ্গবন্ধু’ খেতাবে ভূষিত করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সমাজতন্ত্র নামক বইতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম (মার্শাল মনি) ২৩শে ফেব্রুয়ারি ৬৯ শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। আমরা যারা তখন ছাত্রলীগের শ্লোগান দেয়া আর পোস্টার লেখার কর্মী ছিলাম তাদের কাছে বঙ্গবন্ধু উপাধিটি ছিলো এক অসাধারণ পাওনা।“১৯৬৮ সালের কথা। ছাত্রসংসদের নির্বাচনী প্রচার উপলক্ষ্যে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নভেম্বর মাসে চার পাতার একটা প্রচারপত্র প্রকাশ করে। এর নাম ছিল ‘প্রতিধ্বনি’, সম্পাদক আমিনুর রহমান। শেষের পাতায় দুটো লেখা ছিল, দুই কলামে। প্রথম কলামে ছিল ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে একটা বিবৃতি। শিরোনাম ছিল ‘কর্মমুখর অতীতের স্বাক্ষর’। এতে বিগত ছাত্রসংসদের কর্মকাণ্ডের একটা ফিরিস্তি ছিল। দ্বিতীয় কলামে ছিল ছয় দফা কর্মসূচির বর্ণনা।

ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ প্রকাশিত বুলেটিন ‘প্রতিধ্বনি’র শেষ পৃষ্ঠায় ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দের প্রথম ব্যবহার হয়। এর শিরোনাম ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রস্তাবিত পূর্ব বাংলার ‘মুক্তি সনদ’ ছয় দফা। ‘বঙ্গবন্ধু’ দুই শব্দের আলাদা করে ছাপা হয়েছিল। শেখ মুজিবের জন্য এই উপাধির আবিষ্কর্তা ছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতা এবং ওই সময়ে ঢাকা নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক মুশতাক। তাঁর চিন্তা ছিল দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মতো একটা জুতসই কিছু শেখ মুজিবের জন্য খুঁজে বের করা। এই ভাবনা থেকেই বঙ্গবন্ধু শব্দের উৎপত্তি। বিষয়টি একসময় সিরাজুল আলম খানের কানে যায়। তিনি এটা ‘অনুমোদন’ করেন।

১৯৬৯ সারের ২৩ ফেব্রুয়ারি সদ্য কারামুক্ত শেখ মুজিবকে রেসকোর্স ময়দানে (পরবর্তী সময়ে যার নাম হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে যে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল, সেই সভায় তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকে ‘ বঙ্গবন্ধু’ হিসেবে ঘোষণা দেন। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ ঘোষণা দেওয়ার ব্যাপারে ছাত্র ইউনিয়নের উভয় গ্রুপেরই আপত্তি ছিল। সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা এবং ছাত্র ইউনিয়নের (মতিয়া গ্রুপ) সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দোহা এ নিয়ে এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে, তিনি ওই সভায় মঞ্চের ওপর বসেননি। মঞ্চে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সঙ্গে সিরাজুল আলম খানও উপস্থিত ছিলেন। রাজনীতিতে শেখ মুজিবের একচেটিয়া ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার পথে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি বিরাট ভূমিকা রেখেছিল। এটা পরবর্তী সময়ে তাঁর নামের অপরিহার্য অংশ হয়ে যায়। শেখ মুজিবের নামের আগে বঙ্গবন্ধু না বললে কেউ কেউ প্রচণ্ড রকম ক্ষুব্ধ হতেন। এখনো হন।

রেজাউল হক মুশতাক এখনও তার সেই স্মরণিকা প্রকাশের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি লিখেছেন: “(১৯৬৫ সালে) আমি তখন চট্টগ্রাম মুসলিম হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তারুণ্যের সমগ্র উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য নিয়ে চলমান ঘটনাকে অবলোকন করতাম চরম বিস্ময়ের সাথে। এই বোধ থেকেই জড়িত হয়ে পড়ি তৎকালীন ছাত্র আন্দোলনের মূলস্রোতধারা পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের সাথে। পড়াশুনার পাশাপাশি স্কুল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন এবং একই সাথে ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে আমি অতি অল্প সময়ের মধ্যেই সামগ্রিক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে জড়িত হয়ে পড়ি।

১৯৬৭ সালে এস এস সি পাশ করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে ঢাকা কলেজে ভর্তি হই। এখানেও রীতিমত লেখাপড়ার পাশাপাশি উত্তপ্ত ছাত্র আন্দোলনের ছোঁয়া আমাকে আরও উজ্জীবিত করে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার ঘটনাবলী প্রত্যক্ষভাবে কাছ থেকে দেখার সুযোগ ঘটে। এই সময় তৎকালীন রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যমণি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম পুত্র শেখ কামালের সাথে সহপাঠী হিসেবে আমার পরিচয় ঘটে এই ঢাকা কলেজেই। ১৯৬৭ সালেই আমি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে এবং একই সাথে লেখাপড়ায় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঐ সময় ঢাকা কলেজের ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্ব ছিল বহুমাত্রিক। ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎকালীন ছাত্র আন্দোলনের খবর প্রকাশ, বিকাশমান বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আমি ও শেখ কামাল একটি বুলেটিন প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। বুলেটিনের নামকরণ করা হয় ‘প্রতিধ্বনি’।

তখনও শেখ মুজিবের নামের সাথে সুনির্দিষ্ট কোন বিশেষণ যুক্ত হয়ে ওঠেনি। বিভিন্ন জন বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন নামকরণ করলেও কোনটি তেমন স্বীকৃতি লাভ করেনি। শেখ মুজিবুর রহমান তখনও ‘বঙ্গবন্ধু’ নামে পরিচিত নন। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের কাছে তিনি মুজিব ভাই সম্বোধনে পরিচিত। ১৯৬৬ সাল থেকে তাঁর নামের আগে তরুণ সমাজ ‘সিংহশান্দুল’, ‘বঙ্গশান্দুল’ ইত্যাদি খেতাব জুড়ে দিত। এই প্রেক্ষাপটে শেখ মুজিবের নামের সাথে একটি যথাযথ বিশেষণ যুক্ত করার চিন্তা আমার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসারতা উল্লেখ করে সে সময় আমি একটি নিবন্ধ রচনা করি। চার পৃষ্ঠাব্যাপী এই নিবন্ধে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নৃ-তাত্ত্বিকভাবে দুটো পৃথক অঞ্চল হিসেবে পাকিস্তানের দুই অংশের সম্পূর্ণ বিপরীত বৈশিষ্ট্যকে জোরালোভাবে তুলে ধরার প্রয়াস পাই। এই নিবন্ধে গণমানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবের নামের সাথে প্রচলিত বিভিন্ন বিশেষণের পাশাপাশি সর্বপ্রথম লিখিত আকারে আমি ‘বঙ্গবন্ধু’ বিশেষণটি ব্যবহার করি।

প্রসঙ্গক্রমে নিবন্ধের উপসংহার অংশটুকু নিম্নে উদ্বৃত্ত করা হল :“পরিশেষে একটি কথা বলা যায় দুই অংশের পার্থক্য ও অমিলকে স্বীকার করে দুই অংশের পৃথক ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে পাশাপাশি স্থান দিয়ে ও সর্বোপরি পূর্ব বাংলার নয়নমনি-মুক্তিদিশারী, “বঙ্গবন্ধু”, সিংহশর্দুল শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রস্তাবিত ৬ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজব ও অভিনব পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতি টিকে থাকতে পারে নতুবা নয়।” বলাবাহুল্য, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ, ঢাকা কলেজ শাখার প্যাডে ৩ নভেম্বর, ১৯৬৮ সালে আমার স্বহস্তে লেখা এই নিবন্ধটি আমি ছদ্মনামেই প্রকাশ করি। নিবন্ধের নাম ‘আজবদেশ’, আমার ছদ্মনাম ছিল ‘সারথী’।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই নিবন্ধটি হুবহু কোথাও প্রকাশিত হওয়ার সুযোগ ঘটেনি। এর পেছনেও রয়েছে একটি ছোট্ট ইতিহাস। শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক উত্থাপিত ঐতিহাসিক ৬ দফার আলোকে লিখিত এই নিবন্ধে মূলত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসাড়তাই ফুটে উঠেছিল। সে সময়ের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর দৃষ্টিতে এ ধরনের নিবন্ধ ছিল রীতিমত রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ। ‘প্রতিধ্বনি’তে এই নিবন্ধটি প্রকাশের উদ্যোগ নিলে শেখ ফজলুল হক মনি ও সিরাজুল আলম খানসহ ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাকে ওই মুহূর্তে নিবন্ধটি না ছাপানোর পরামর্শ দেন। উনাদের যুক্তি ছিল, এই নিবন্ধ প্রকাশিত হলে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের ধারাবাহিক কার্যক্রম পুলিশী রোষানলে পড়বে এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হবে।

‘আজবদেশ’ নামে এই লেখায় ‘বঙ্গবন্ধু’ বিশেষণটি আমার কাছে খুব যুৎসই ও যথার্থ বলে অনুমিত হওয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি কোথাও ছাপিয়ে ব্যবহারের চিন্তায় ছিলাম। ১৯৬৮ নভেম্বরে প্রতিধ্বনি বুলেটিনে ঐতিহাসিক ৬ দফা পুনর্মুদ্রণের সময় সর্বপ্রথম ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি আনুষ্ঠানিকভাবে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়। ‘৬৯ এর গণআন্দোলনের প্রাক্কালে ঝিমিয়ে পড়া ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা শহরে ছাত্রলীগের আমরা ৩০/৪০ জন সার্বক্ষণিক কর্মী ছিলাম। প্রতিধ্বনির লেখা তৈরি করে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের নেতা একরামুল হকের পুরানা মোগলটুলি হোস্টেলে প্রেসের সন্ধানে গিয়ে লেখাটা পড়ে শুনালাম। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও বর্তমানে সাংবাদিক বদিউল আলম।

‘বঙ্গবন্ধু’ অভিধাটি উপাধি হিসেবে ব্যবহার করায় আমার এ দু’জন বন্ধু ও রাজনৈতিক সহকর্মী আমাকে সমর্থন করলেন অকুণ্ঠ চিত্তে। আমরা প্রতিধ্বনি ছাপানোর জন্য পুরানা ঢাকার কোর্ট হাউজ স্ট্রিটস্থ কায়দে আযম কলেজ (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী কলেজ) ছাত্র সংসদের তৎকালীণ সাধারণ সম্পাদক মো ইব্রাহিমের বড় ভাইয়ের মোহাম্মদী প্রেসে গিয়ে ছাপানোর ব্যবস্থা করলাম। প্রসঙ্গত, এই প্রেস থেকে আগরতলা মামলা চলাকালীন সময় বিশেষ সামরিক আদালতে প্রদত্ত শেখ মুজিবের জবানবন্দিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত দফতর সম্পাদক মরহুম সৈয়দ ফজলুল হক বিএসসি’র অর্থানুকূল্যে সর্বপ্রথম ছাপিয়ে সাধারণ জনগণের কাছে বিলি করেছিলাম।

‘প্রতিধ্বনি’তে ৬ দফার শিরোনামে ’বঙ্গবন্ধু’ অভিধাটি যুক্ত করা হয়েছিল এইভাবে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রস্তাবিত পূর্ব বাংলার মুক্তিসনদ ৬ দফা”। অজানা ও অনালোচিত এই ঐতিহাসিক তথ্যের প্রাসঙ্গিকপূর্ণ বর্ণনা পাওয়া যায় ১৯৮৭ সালের ৩১ জুলাই ’বাংলার বাণী’ পত্রিকায় কলামিস্ট ওবায়দুল কাদের’র (বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী) বর্ণনায় “মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু খেতাবে ভূষিত হন লক্ষ লক্ষ জনতার সমাবেশে, ১৯৬৯ সালে। অবিস্মরণীয় গণবিস্ফোরণের চূড়ান্ত পর্যায়ে সে আন্দোলনের অগ্রণী বাহিনী ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে সদ্য কারামুক্ত শেখ মুজিবকে রেসকোর্সের স্বতঃস্ফূর্ত বিশাল জনসমুদ্রে ডাকসুর সহ-সভাপতি ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা তোফায়েল আহমদ ‘বঙ্গবন্ধু’ খেতাবে ভূষিত করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সমাজতন্ত্র নামক বইতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম (মার্শাল মনি) ২৩শে ফেব্রুয়ারি ৬৯ শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। আমরা যারা তখন ছাত্রলীগের শ্লোগান দেয়া আর পোস্টার লেখার কর্মী ছিলাম তাদের কাছে বঙ্গবন্ধু উপাধিটি ছিলো এক অসাধারণ পাওনা।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের তো কিছুই পেলাম না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: আসছে............পরের পোষ্টে।বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তথ্য গুলো পড়ুন ভালো লাগবে।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


নিউক্লিয়াস ইত্যাদি রূপকথা।

বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছে বাংগালীদের নিজস্ব বাসভুমের স্বপ্ন থেকে। নিউক্লিয়াস ফিউক্লিয়াসের রূপকাহিনী পরে যোগ করা হয়েছে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

জগতারন বলেছেন:
উপরে অনেক ঘটনা পঞ্জি আমি শুনেছি ও দেখেছি।
তখন আমি ছোট্ট ছিলাম।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

ইসিয়াক বলেছেন: ভাইয়া আপনার কথাই ভাবছিলাম সকাল থেকে। ভালোই হলো ।ভালো লাগলো ,না হলে ই মেইল করতাম আজ রাতে।
ভালো থাকবেন ।শুভকামনা রইলো ।
নিজের দিকে খেয়াল রাখবেন।
শুভসন্ধ্যা ।
আমি এখন টিউশনিতে যাচ্ছি ।
আল্লাহ হাফেজ ।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভোরের পাখি, আপনি করেছেন কি? এতো বিশাল তথ্য ভান্ডার।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ইসিয়াক বলেছেন: আপনাদের ভালো লাগছে দেখে আমার খুব ভালো লাগছে ।
অনেক ধন্যবাদ । পড়াতে যাচ্ছি অলরেড়ি লেট । আপনার কমেন্ট দেখে আবার বসলাম।
সালাম জানবেন।
শুভসন্ধ্যা

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত পরিশ্রমী তথ্যবহুল পোস্ট। তিন নম্বর প্রতিমন্তব্যের 2 ও 3 নম্বর প্রতিমন্তব্যটিও জব্বর হয়েছে।++
মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু হওয়ার মাঝে সিংহশান্দুল, বঙ্গশান্দুল প্রভৃতি বিশেষণগুলো জেনে চমৎকৃত হলাম।
প্রতিমন্তব্যে একটি জায়গায় আপনি বলছেন ওবায়দুল কাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু খেতাবে ভূষিত করেন।একই অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছেন রেসকোর্সের ময়দানে তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু খেতাবে ভূষিত করেন- জায়গাটি একটু বুঝতে জটিল লাগলো।

শুভকামনা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৫

ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় দাদা পাঠে অনেক ধন্যবাদ
অনেক ক্লান্তি লাগছে পোষ্টটি রেডি করতে অনেক ধকল গেছে ।
ওবায়দুল কাদের এর বদলে তোফায়েল আহমেদ হবে।
অনেক অনেক শুভকামনা ।
শুভরাত্রি ।

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৫

বলেছেন: ভোরের পাখি, বাহে ..............।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৬

ইসিয়াক বলেছেন: হা হা হা .....।ঘুম ঘুম ......।শুভরাত্রি ।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩২

আরোগ্য বলেছেন: পোস্টটি নির্বাচিত পাতায় আসার জন্য অভিনন্দন ইসিয়াক ভাই। ব্যাপক পরিশ্রমিি পোস্ট। সবকিছু মনে রাখতে পারি না।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরোগ্য ভাইয়া ।
ভালো থাকবেন । শুভকামনা
সুপ্রভাত

১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৭

রাকু হাসান বলেছেন:

মনে হচ্ছে ভর্তি কোচিং করছি ;) ,তবে পাঠকদের উপকার হবে পোস্টটি বিশেষ করে যারা বই বিমুখ তারা পড়তে পারবে । তবে আমি আহামরি কিছু পাইনি । সামনে দেখা যাক ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৯

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো থাকবেন । শুভকামনা
সুপ্রভাত

১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বেশ পরিশ্রমি পোষ্ট ।
পোষ্টের সাথে থাকা প্রতিমন্তব্যেও অনেক তথ্য যুক্ত হয়েছে । বিভিন্ন তথ্যসুত্র পর্যালোচনা করে একসাথে সেগুলিকে অতি সংক্ষেপে তুলে ধরা বেশ প্রয়াসলব্দ কাজ । কোন লেখায় রেফারন্সের প্রয়োজন হলে লেখাটিতে থাকা তথ্যসহ সহায়ক গ্রন্থপুঞ্জির সহায়তা নেয়া সহজ হবে বিবেচনায় পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম । তবে প্রতিমন্তব্যের ঘরে থাকা বেশ কিছু তথ্যের বিশুদ্ধতা নিয়ে আরো গবেষনার ও রেফারেন্স পুস্তকাদি ও সেসময়কার প্রকাশিত তথ্যপুঞ্জির পর্যালোচনা ফলাফল থাকলে ভাল হতো, অবশ্য তাতে করে ব্লগের লেখার পরিসর বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে পাঠক ধৈর্যচুক্তি ঘটার সমুহ সম্ভাবনা । তার পরেও লেখাটি ও সাথে থাকা প্রতিমন্তব্যের তথ্যগুলি বিষয়টি সম্পর্কে আগ্রহীদেরকে কিছুটা দিক নির্দেশনা দিতে পারবে বলে মনে করি ।

স্বাধিনতা পুর্বকাল হতে শুরু করে স্বাধিনতাত্তোর বাংলাদেশের মহাবিদ্যায়নগুলিতে নির্বাচিত ছাত্র সংসদের কার্যকলাপের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকায় ঘটনাগুলির অনেকগুলির সাথেই প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিভ্যতার আলোকে এ কথা বলতে পারি যে পোষ্টে থাকা সকল বিষয় যতার্থভাবে বর্ণিত হয়েছে । তারপরেও অনেক ঘটনার মুলে গিয়ে জানার সুযোগ সকলের হয়ে উঠেনা , আমার বেলাতেও তাই । তবে সে সময়কার পত্র পত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যমে এ কথাগুলি তো অনেকটাই নীজ চোখে দেখেছি ও নীজ কর্নে শুনেছি ।

প্রসঙ্গক্রমে আপনার প্রতি মন্তব্যে থাকা ( এখানে মোটা অক্ষরে লেখা ) বিষয়টির প্রতি আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি। পড়াশুনার পাশাপাশি স্কুল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন এবং একই সাথে ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে আমি অতি অল্প সময়ের মধ্যেই সামগ্রিক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে জড়িত হয়ে পড়ি।
স্বাধিনতাপুর্বকালে আমিও স্কুলে পড়াশুনা করেছি । সে সময় আমার জানামতে আমার আশে পাশের বড় বড় কোন স্কুলেও নির্বাচিত ছাত্র সংসদ ছিলনা, তবে ছাত্র লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন ছিল। সে সময় স্কুলে প্রতিটি ক্লাশে একজন নির্বাচিত কেপ্টেন ( ক্ষেত্র বিশেষে ভাইস কেপ্টেন ছিল, আর ক্লাশ টেনের কেপ্টেনকে পুরা স্কুলের কেপ্টেনের দায়িত্ব পালন করতে হতো। সে রকম একটি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উনসত্তরের প্রবল ছাত্র আন্দোলের সময় ছাত্র বিক্ষাভে ও মিছিলে অংশ নেয়ার জন্য যথেষ্ট নিগৃহিতও হতে হয়েছে )।যাহোক, সে সময়ে চট্টগ্রামের মুসলিম হাই স্কুলে যদি নির্বাচিত ছাত্র সংসদের অস্তিত্ব থেকে থাকে তবে তা আমাদের দেশে স্কুল পর্যায়ে নির্বাচিত ছাত্র সংসদের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হয়ে থাকবে :)

শুভেচ্ছা রইল

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৩

ইসিয়াক বলেছেন: স্যার ,
আপনি আমার পোষ্ট পড়েছেন ও মন্তব্য করেছেন এতে আমি যারপর নাই আপ্লুত । আমার খুব ভালো লাগছে ।
ভালো থাকবেন । শুভকামনা রইলো ।
শুভসকাল

১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আসছে............পরের পোষ্টে।বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তথ্য গুলো পড়ুন ভালো লাগবে।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

ইসিয়াক বলেছেন: হুম

১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্য সবসময় নির্ভরযোগ্য হয় না।
অন্যান্ন বইপুস্তকও চেক করে দেখবেন। প্রয়জনে এডিট করবেন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
শুভকামনা রইলো

১৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হুম

হুম আবার কি??
বলুন জ্বী।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০

ইসিয়াক বলেছেন: জ্বী

১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাল প্রচেষ্টা।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
শুভকামনা রইলো

১৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

রেদওয়ান ফেরদৌস বলেছেন: এক পোস্টে অনেক দরকারী তথ্য পেলাম। আপনাকে ধন্যবাদ এতো কষ্ট করে সামারাইজ করার জন্য।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৯

ইসিয়াক বলেছেন: রেদওয়ান ফেরদৌস ভাই ,
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো

১৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৯

এমজেডএফ বলেছেন:
আপনার এই সিরিজটা দেখে আপনার লেখার ওপর আমার আস্থা অনেক বেড়ে গেছে। কালক্রমানুযায়ী ঘটনাগুলোকে অল্প কথায় খুবই সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। পোস্টটি বড় ও পরে কমেন্টে আরো তথ্য যোগ হওয়ায় পড়ে শেষ করতে দেরি হয়েছে। তাই যথাসময়ে কমেন্ট করতে পারি নাই। বাংলাদেশের কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনার সন ও তারিখ দ্রুত দেখার জন্য এই সিরিজটি অনেকের কাজে আসবে। দীর্ঘ সময় কঠোর পরিশ্রম করে এরকম একটি দরকারি সিরিজ উপস্থাপনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় ভাই আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।
শূধু বলি আপনার প্রতি আমার অশেষ শুভেচ্ছা রইলো।
শুভসকাল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.