নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতৃভূমিকে সাজাই সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিনির্ভর মঞ্চ করে।

রাহমান বিপ্লব.

মাতৃভূমিকে সাজাই সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিনির্ভর মঞ্চ করে।

রাহমান বিপ্লব. › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দৃষ্টিতে পেট্রোল বোমায় হঠাত মানুষ জ্বালানোর পেছনে কিছু বিপরীতমূখী আশংকা এবং সতর্কতা-

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩০



ক-



সাধারন দৃষ্টিতে চলমান অবরোধে পেট্রোল বোমার ব্যবহার এবং তার দ্বারা নীরিহ মানুষ হত্যার দায় আন্দোলনকারীদের ওপরেই বর্তায়, বলে প্রাথমিক সন্দেহ হয়।



কিন্তু নোংরা রাজনৈতিক চর্চার দিক থেকে চিন্তা করলে কিছু ব্যাতীক্রম ধারনারও সযোগ থেকে যায়। মানুষ হত্যা করে আন্দোলন দমনের বেনিফিশারি কারা হতে পারে তা আমাদের ধারনায় রাখতে হবে।



আমাদের মনে রাখা দরকার, মানুষের জীবন নিয়ে রাজনীতির ইতিহাস এদেশে নতুন কিছু নয়।

এদেশের জনমানুষ কতটুকু জানে তাদের শাসক গোষ্ঠীর নির্মমতা সম্পর্কে?

তারা কতটুকু জানার সুযোগ পায়?



যেখানে খোদ দলীয় মিছিলে ট্রাক তুলে দিয়ে নিজেদের দলের জন্য জীবনবাজী রাখা কর্মীদের লাশ ফেলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিজেদের অনুকুলে নেয়ার নোংরা চেষ্টাতেও দ্বীধাটুকু নেই!



সেখানে জনগণ কোন ছার!?



হ্যাঁ!

এরশাদ সরকারের আমলে ঘটানো ঠিক এমন একটি অচিন্তনীয় নিষ্ঠুরতার বর্ননা এসেছে "আমার ফাঁসি চাই" গ্রন্থে! যেখানে লেখক নিজের সামনে থেকে দেখা অবিশ্বাস্য ঘটনা গুলোর বর্ণনা লিখে গেছেন একের পর এক!



কিন্তু প্রশ্ন হল,

আজ জনসম্পৃক্ত তীব্র প্রতীরোধের মুখে জনগণকে পেট্রোলে পুড়িয়ে ছাইভস্ম বানিয়ে আন্দোলনকে বিতর্কিত করার সুযোগ কী ছেড়ে দিতে চাইবেন তারা?



সে জন্যেই কি, আমরা-

যাত্রীহীন, লক্কর ঝক্কর বাসে আগুন দেয়ার সময় এরেষ্ট ও গুলি করে প্রতিদিন দেখা নির্বিচার হত্যার ঘটনাগুলোর বিপরীতে "একটি এরেষ্টের খবরও পাইনা"- ঠিক পুড়িয়ে মারার ঘটনা গুলোর ক্ষেত্রে!! আবার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বোমা হামলাকারীকে জনতা ধরে পিটিয়ে পুলিশে দেয়ার পরও মুহুর্তেই তাকে পুলিশের হাত থেকে ছেড়ে দেয়ার খবর পাওয়া যায় প্রতি সপ্তাহেই!



এই তো কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যে স্থানটায় আগুন দিয়ে কয়লা করা হল নীরিহ যাত্রীদের, সেখানেই বেশ কিছুদিন থেকেই রেল মন্ত্রীর ঘোষনায় খোদ ছাত্রলীগ পাহারা বসিয়ে রেখেছিলো। আজ শোনা যাচ্ছে ঐসব এলাকা থেকেই দু জন যুবলীগ কর্মীকে পেট্রোল বোম্ব সহ এরেষ্ট করা হলেও পুলিশ বলছে রোডে দুটি পেট্রোল বোম্ব পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে!!



এলাকার মানুষদের স্বাক্ষাতেই বোম্বসহ ২ জন যুবলীগকে এরেষ্টের পরও এটা কী কোন স্বাভাবিক কথা হতে পারে? রোডে ঘাটে পেট্রোল বোম্ব পড়ে পাওয়া যায়?



আমরা সম্প্রতি আরও দেখলাম, খোদ সরকারী দলের কেন্দ্রীয় অফিসে পর্যন্ত বোমা মেরে ছাত্রলীগকে জনতার হাতে আটক হতে। আবার, বিশ্বয়কর ভাবে সরকারী দলেরই সমাবেশে পেট্রোল বোমা এবং ভারি অস্ত্রসহ আটক হয়ে পুলিশের থানা থেকে ছাড়া পাচ্ছে ছাত্রলীগ নামধারী অন্ধকারের যুবকরা!



কীসের লক্ষন এসব??



আমরা জনগণ তো এসব দেখতে চাইনা! দুটি দলের এই যে ক্ষমতা কেন্দ্রীক লড়াই তা নিয়ে যেমন আমরা চিন্তিত ঠিক তারও আগে আমাদের দুশ্চিন্তা কাজ করে শত শত মানুষের জীবন বিপন্ন করে আনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ম একতরফা বাতিল করে দেশকে এক জাহান্নাম বানানোর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে! অন্তত আরও দুই বার এই নিয়মের মাধ্যমে নির্বাচল চালাবার কথাও বলা হয়েছিলো খোদ আলোচিত বিচারপতির পক্ষ থেকে!



নির্দলীয় সরকার যেখানে এতবড় একটি সংঘাতের বিষয়, বিষয় সংঘাত থেকে উত্তরনের! অথচ সম্পূর্ণ নিজেদের স্বার্থে ৫ জানিয়ারীর নির্বাচন করার সময় সরকার কী জনগণের আজকের এই ভোগান্তির কথা সেদিন ভেবেছিলেন?



আজ কথায় কথায় নতুন মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কথা বলে সরকার কীসের ইংগিত দিচ্ছে? তারা কি দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে গিয়ে হলেও নিজেদের ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে চাইছেন?



জনগণ কী তবে শেষমেশ মুক্তিযুদ্ধের নব্য ব্যবসায়ীদের হাতেই বলি হতে চলেছে?



হায় বিধাতা! আমাদের রক্ষা করুন।





খ-



নিচে পেট্রোল বোম্ব থেকে বাঁচতে কিছু করনীয় উল্লেখ করছি- যা ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রচার করা হচ্ছে।







পেট্রোল বোমা থেকে বাঁচতে করনীয়:

১. যানবাহন চালানোর সময় গাড়ির জানালার কাঁচ বন্ধ রাখুন।

২. নিজের শরীরের পোশাকে আগুন লাগলে তৎক্ষণাৎ দুই হাতে মুখ ঢেকে মাটিতেই গড়াগড়ি দিন। কারণ দৌঁড় দিলে আগুন বরং আরও বেশি করে লাগে।

৩. আগুনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভেজা অথবা মোটা কাপড় দিয়ে জড়িয়ে ধরুন, এতে আগুন নিভে যাবে।

৪. পোড়া জায়গায় পর্যাপ্ত পানি ঢালুন। এ জন্য গাড়িতে সব সময় পানি সংরক্ষণ করুন এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।

৫. এজন্য প্রতিটি গাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স সংরক্ষণ করুন। এছাড়া বড় গাড়িতে দু`টি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখুন।

৬. বাসের ভেতর দৃশ্যমান স্থানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের সচিত্র ব্যবহারবিধি টাঙিয়ে রাখুন। রাস্তার পাশে কিংবা অরক্ষিত স্থানে গাড়ি পার্ক করে ঘুমাবেন না।





এছাড়াও গাড়িতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন নম্বর (০২-৯৫৫৫৫৫৫ অথবা ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯) দৃশ্যমান স্থানে বড় অক্ষরে লিখে রাখুন। এতে যত তাড়াতাড়ি যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। একই সাথে জরুরি অবস্থায় আতঙ্কিত না হয়ে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করুন এবং সাহায্যের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিন।



ছবি ও নিরাপত্তা নির্দেশিকা - ফায়ার সার্ভিস

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫

তোমোদাচি বলেছেন: আপনার আশংকা অমূলক নয়, আওয়ামীগের দ্বারা সব সম্ভব।

আবার বি এন পি - জামাত তাদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এসব অপকরম করতে পারে এটাও মিথ্যা না।

আমার ধারনা, দুই পক্ষ ই জড়িত আছে, যে যেখানে পারছে সাধারণ মানুষ পুড়িয়ে নিজেদের ধান্দা পুরণের চেষ্টা করছে।

আমাদের সচেতন থাকতে হবে...
পোষ্টের শেষ অংশের জন্য ধন্যবাদ ...

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

জীবনতরী চলছে বলেছেন: ক্ষমতাধর ও ক্ষমতােলাভীেদর করুনা নিঝয়েই চলছি আছি তো বেশ! রক্তের লালদাগটা বেশ লাগছে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: মুক্তির ঠিকানায় ভুল অঙ্কন ছিলো কিনা জানিনা

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

অেসন বলেছেন: যে বা যারাই পেট্রোল বোমা হামলার জন্য দায়ী হোক না কেন, সুযোগ পাচ্ছে অবরোধ/হরতালের কারনে। যে কর্মসূচী মানুষকে কয়লা বানায় সেই কর্মসূচী থেকে সরে এসে অন্য কোন আন্দোলনের পথে যাওয়া উচিত।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: নির্দিষ্ট ও কার্যকর আন্দোলন পদ্ধতী না পাওয়া পর্যন্ত যে আন্দোলনের পরিস্থিতি দেশে তৈরি হয়েছে তা থেকে এভাবে আন্দোলনকারীদের ফেরানো যাবে বলে মনে হচ্ছে না। কারন একটি বিরাট জনসমর্থণ এই সরকারী ও বিরোধী দলের বাইরা থাকাদের রয়েছে। আন্দোলনের নৈতিক অধিকারের স্থানটি তাদের থেকে যায় বলে আন্দোলন বন্ধের দাবী অযৌক্তিক।

এক্ষেত্রে কার্যকর সমাধানের বিষয়টিই ভাবা দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.