নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতৃভূমিকে সাজাই সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিনির্ভর মঞ্চ করে।

রাহমান বিপ্লব.

মাতৃভূমিকে সাজাই সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিনির্ভর মঞ্চ করে।

রাহমান বিপ্লব. › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবতায় শর্তারোপ!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

মানবতা মানবতা, বল তুমি কার!
বলছি শোন শোন! আমি মুক্ত সবার...!



ক-

বর্বর মিয়ানমার কেবল সর্বাধিক নির্যাতিত রোহিংগা জনগোষ্ঠীর কারনে এবং প্রতিবেশী হিসেবেই আমাদের জন্য 'বিষয়বস্তু' নয়। কেবল এজন্যই মিয়ানমার বিষয়বস্তু নয়, যে এর আভ্যন্তরীন বর্বরতার ঢেউ শতাব্দীর পর শতাব্দী আমাদের দক্ষীণ উপকুলীয় অঞ্চলে এসে আছড়ে পড়েছে! প্রচন্ড অমানবিক সে ঢেউ! মানবিক আবেদনে বারেবার ছোবল মারে ঘনবসতির ছোট্ট এই বাংলাদেশে!

বরং-
আরেকটি বড় কারনে মিয়ানমার আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু। আর তা হল- অমানবিক বার্মারই 'নাগরিক যোগ্যতায় উত্তীর্ণ' এমন কিছু জনগোষ্ঠী আমাদের কাঁধে ভর করেছে, যারা মূলত বার্মায় অবস্থানরত উগ্র গোষ্ঠীগুলোর চাইতে বেশি ভয়াবহ! ফলশ্রুতিতে কোন একসময় উগ্র বার্মিজ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হওয়ায় এরা এ অঞ্চলে পালিয়ে এসে জীবন বাঁচায়। যার প্রমাণ রয়ে গেছে তৎকালীন ইংরেজ গভর্নরদের তথ্যবহুল লেখনীতে।

একটি খবর চোখে পড়ল আজ! গত ১৩ তারিখে বাংলা মেইলে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে- বার্মার শান প্রদেশে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীদের গোড়ে তোলা স্বশস্ত্র মুক্তিবাহিনীর আক্রমনে হানাদার বার্মিজ আর্মির ৫০ জন খতম হয়েছে। এই শান প্রদেশটি ঠিক আরাকান এর মতই আক্রান্ত আরেকটি এলাকা। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নাম কোকাং। এই কোকাংদের বাস্তুচ্যুত করেছে উগ্র বার্মিজ সরকার!

মানবতাহীন বার্মার মানবতাহীন কার্যক্রম সারা বিশ্বে নিন্দনীয়। আর এই নিন্দা মানবিক হবে ঠিক তখন যখন তা একান্তই মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচিত হবে। যখন এই বিবেচনা বোধের স্থানটিতে কোন শর্ত জুড়ে দেয়া হবেনা।

আমরা এই ঘটনাটিকে তুলনা করতে পারি আমাদের দেশীয় বিষয় সংশ্লিষ্ট রোহিংগা ইস্যুটির সাথে। বর্তমান বিশ্বে নির্যাতিত এই গোষ্ঠিটি সবচেয়ে ভয়াবহ জাতিগত নির্যাতনের শিকার। এরা আমাদের বিষয় এ কারনে নয় যে, এরা জাতীগত মুসলিম। বরং প্রেক্ষাপটের দিক থেকে সেটা একান্ত গৌন বিষয়। এরও ওপরে আরও অনেক বিষয় রয়েছে যা মানবতার সাথে সংশ্লিষ্ট। রয়েছে এই আগত উদবাস্তু জনগোষ্ঠীর চাপ ও স্থানীয় ইকো সিষ্টেম লসের মত মাথা ব্যাথার কারনও।

আর এসব কারন আমাদের বাধ্য করে রোহিংগা ইস্যুর সুষ্ঠু সমাধান কামনা করতে।

খ-

কোকাং বিদ্রোহীদের স্বশস্ত্র আক্রমনে বার্মিজ সেনাদের ৫০ জন মারা যাওয়াটা কোনদিন সাম্প্রদায়িক ব্যাপার হবেনা। হওয়া উচিত নয়। স্বাধীকার আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতাই আমরা আজ ভোগ করছি। সে স্থান থেকে বিশ্বের প্রতিটি বৈধ স্বাধীকার আমারা স্বীকার করে নিই। (সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাষণের বাইরে) ঘটে চলা নিত্যবিদ্রোহ আমাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ।

তেমনি রোহিংগা জনগোষ্ঠীর মুক্তি সংগ্রাম আমাদের জন্য নতুন বিষয় হতে পারেনা। বৌদ্ধ ধর্ম, যেমন চীনকে কোকাং মুক্তিকামীদের অস্ত্র, ট্রেনিং ও সাহায্য দিয়ে সাহায্যের ক্ষেত্রে বার্মার প্রতি অবিচার করেনি। অনুরুপ আমাদেরও উচিত হবেনা ধর্মকে অবলম্বন করে রোহিংগা ইস্যুকে বাধাগ্রস্থ করা। বরং যথাসাধ্য চেষ্টা করে যেতে হবে স্বস্থানে এই নির্যাতিত জনগোষ্ঠীকে ফিরে যেতে যথাযথ প্রায়োগিক চেষ্টা করা।

গ-

শুরুতে বার্মার জনগোষ্ঠীগুলোর প্রসংগে এদেশে বসবাস করা বার্মিজদের ব্যাপারে উল্লেখ করেছি। এই গোষ্ঠীটি নিতান্তই উগ্র স্বভাবের কারনে বিতাড়িত হয়ে এ অঞ্চলে এসে সেই ধারা বজায় রাখছে। ফলে এরা স্বস্থানে ফিরে যেতে আগ্রহী হয়নি যেমন, ঠিক তেমনই খোদ বাংলার এ অঞ্চলটিকেই আশেপাশে অন্যান্য দেশে অবস্থানকারী নিজেদের জনগোষ্ঠীদের সুযোগে হাতিয়ে নিতে তৎপর রয়েছে। যাদের পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে দক্ষিণ এশিয়ায় ফের প্রত্যাবর্তনে আগ্রহী সাবেক ইষ্ট ইন্ডিয়া কম্পানির দোসর পশ্চিমা দালালরা।

দেখার মত বিষয়টি হল- এই গোষ্ঠীটি এতটাই উগ্র যে, খোদ বার্মিজ ম্যাসাকারের সময় এরা মানসিকতায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক লবি চক্রের পক্ষে কাজ করেছে। বার্মাকে জয়ধ্বনি দিয়েছে। প্রায়ই বাংলাদেশের পাহাড়ে রোহিঙ্গাদের মুক্তিযোদ্ধা ঘাঁটি আবিস্কারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে স্বঘোষিত নির্জাতিত এই গোষ্ঠীগুলোই! সেগুলোর কল্পিত চিত্র ধারন করে অনলাইনে প্রকাশের মাধ্যমে স্পষ্টট এদের উগ্র সাম্প্রদায়িকতার জানান দিয়ে যাচ্ছে!

"মানবতাবোধে ধর্ম-বর্ণ বাধা হতে পারেনা" এই মানবিক বোধ থেকে বেরিয়ে এরাই অমানবতার ক্ষেত্রে ধর্মের ঢাল ব্যবহার করেছে। যুগ যুগ চলে আসা এই উগ্রগোষ্ঠীয় অপশক্তিটি আজ বার্মার ৫০ জন হানাদারের মৃত্যুতে ধর্মীয় ঢালের কোন পার্শ্বে অবস্থান নেবে?
আর যারা এইসব প্রমানিত উগ্র গোষ্ঠীগুলোকেই উপরন্তু নির্যাতিত বলে প্রচারনা অব্যাহত রেখেছেন তাদের মানবিকতাবোধের স্থানটি ঠিক কোন শর্তে আবদ্ধ তা বুঝতে ইতিহাসে মীরজাফরের উপমাই বোধ করি, যথেষ্ট।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৭

নাসির৩৩৫৩ বলেছেন: বর্বর মিয়ানমার কেবল সর্বাধিক নির্যাতিত রোহিংগা জনগোষ্ঠীর কারনে এবং প্রতিবেশী হিসেবেই আমাদের জন্য 'বিষয়বস্তু' নয়। কেবল এজন্যই মিয়ানমার বিষয়বস্তু নয়, যে এর আভ্যন্তরীন বর্বরতার ঢেউ শতাব্দীর পর শতাব্দী আমাদের দক্ষীণ উপকুলীয় অঞ্চলে এসে আছড়ে পড়েছে! প্রচন্ড অমানবিক সে ঢেউ! মানবিক আবেদনে বারেবার ছোবল মারে ঘনবসতির ছোট্ট এই বাংলাদেশে!

Visit our HTML tutorial

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.