নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতৃভূমিকে সাজাই সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিনির্ভর মঞ্চ করে।

রাহমান বিপ্লব.

মাতৃভূমিকে সাজাই সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিনির্ভর মঞ্চ করে।

রাহমান বিপ্লব. › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাকে শিক্ষা কোটা প্রদান! চাঁদাবাজ কে?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

পার্বত্য চট্টগ্রামে এবার,

ভাষার মাসে খোদ মাতৃভাষায় শিক্ষা অর্জনের অধিকারের নামে চাঁদাবাজি!!

কাকে শিক্ষা কোটা প্রদান! চাঁদাবাজ কে?

তার 'ইনকাম' কি, সৎ ব্যাক্তিটির চেয়ে কম?







ক-



বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্রপরিষদ বা পিসিপি! কথায় বলে "পরের ধনে পোদ্দারী"। যাদের সব কিছুই অন্যের দেয়া, আর সেটা নিয়েই যারা লম্ফ-ঝম্প করে বেড়ায়, সেসব অকৃতজ্ঞ নির্লজ্জ মানব চেহারা ধারীদের জন্য কথাটা প্রয়োগ করা হয়।



শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা এসব একান্তই ভেতর থেকে ধারন করার বিষয়। একান্তই শ্রদ্ধা ও ভক্তির বিষয়। একটি ছেলে শিক্ষানুরাগী মেধাবী, যথেষ্ট পরিশ্রমী অথচ শিক্ষাব্যয় বহনের স্বামর্থটুকুন নেই; এমন ছেলের জন্য অনেক শিক্ষানুরাগী ধনাড্য ব্যাক্তিরা প্রায়ই এগিয়ে আসেন। সেক্ষেত্রে ছেলেটি নিজের মেধা আর পরিশ্রমী অধ্যয়নে অন্যান্য ছাত্রদের সাথে লড়াই করেই নিজের যোগ্যতম আসন ছিনিয়ে নেয়। হয়ে ওঠে মেধাবী আলোকচ্ছটা! সবাই তারে ধন্য ধন্য করে!



অথচ,

শিক্ষার মত পবিত্র একটি বিষয়কে যখন নোংরামোর চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে, জনবহুল একটি গরিব দেশের 'মাত্র ১ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য পাঁচ শতাংশ' বাধ্যতামূলক কোটাকে অপব্যবহার করা হয়, তখন উপরে বর্নিত মেধাবীদের জন্য তা একদিকে 'মরার ওপর খাড়ার ঘা', তেমনই অন্যদিকে অনুৎসাহিত নিরেট চাঁদাবাজ নিম্ন মানসিক শ্রেণীকে 'শিক্ষিত করনের' বৃথাশ্রম উপরন্তু শিক্ষাকে অপমান করারই নামান্তর।



খোদ জাতির নামে ভন্ডামো করে যারা হাস্যকর 'জুম্ম জাতি' নাম দিয়ে স্বশস্ত্র জাতিগত শোষণ চাপিয়ে দিচ্ছে আরও ১১ টি ক্ষুদ্র জাতীগোষ্ঠীর ওপর! তাদের কাছে আর যা ই হোক মৌলিক অনুভূতির বিষয় গুলো নিরেট একেকটি নিকৃষ্ট ব্যবসাবই কিছুই নয়। যার করালগ্রাসে করুন শিকার হয় সকল জাতীগোষ্ঠীর নিরস্ত্র মানুষেরা!



খ-



শিক্ষার ধারনাই বদলে দেয়া পাহাড়ি ছাত্রপরিষদ বা পিসিপিকে ইতোমধ্যেই পার্বত্য জেলাগুলোতে উচ্চশিক্ষার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন সন্ত্রাষ করতে দেখা গেছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে উস্কে দিতে সেই সন্ত্রাষের বলি করা হয়েছে দুটি মসজিদ ও একটি হিন্দু মন্দিরকেও!



কথায় কথায় মানবাধিকার, মানবতা, ভাষা, সংস্কৃতি, মনুষ্যত্ব, জাতিগত অধিকার ইত্যাদি ইত্যাদি মানবিক অভিধা ব্যবহার করে, যারা নিজেদের বঞ্চিত, পীড়িত, নির্যাতিত হিসেবে সব সময় জাহির করে! খোদ তাদেরই হাতে যখন ভাষাগত, সংস্কৃতিগত ও জাতিগত বিষয়ের পাশাপাশি খোদ শিশুশিক্ষা নিয়েও অনৈতিকতার চূড়ান্তটুকু পরিলক্ষিত হয়, তখন সেটা জেএসএস, ইউপিডিএফ, সংস্কারের নিষ্ঠুর ও অশিক্ষিত তরুনদের অমানবিকতার নামে আর চালিয়ে দেয়ার সুযোগ থাকেনা!



অনুন্নত জাতীগোষ্ঠীর নামে চালু করা বিশাল শিক্ষা/চাকুরি কোটা যে সম্পূর্ণ মুখ থুবড়ে পড়েছে তা বলাই বাহুল্য। আজ বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে থাকা অনুৎসাহিত একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীকে এই কোটার আওতায় আনার ফলাফল অত্যন্ত লজ্জাজনক। যেখানে কোটা সুবিধা নিয়ে তুলনামূলক বৃহত্তর গোষ্ঠী চাকমারা ৯৫ ভাগ শিক্ষিত হয়ে চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজী, নারীবাজী, নেশার আড্ডায় নিমগ্ন, সেখানে সাঁওতাল, গারো, তনচঙ্গা, মুরং, ত্রিপুরা, তংচঙ্গ্যা, লুসাই, বোম, রাখাইন, পাংখো, খুমি, খিয়াং, চাক, ম্রো,কুকিসহ অন্তত ৪৩ টি ক্ষুদ্র জাতীগোষ্ঠী দিনকেদিন আরও পিছিয়ে পড়ছে। অথচ সমগ্র বাংলাদেশের বাঙ্গালী গোষ্ঠীটিই মাত্র ৪২ ভাগ শিক্ষিত হতে পেরেছে।



পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীদের কথায় আসলে, প্রকৃত চিত্র বলে দেয় পার্বত্য অঞ্চলের বাঙ্গালীদের নিদারুন অবস্থা। মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষানূরাগী ছাত্রের অভাব নেই এই অঞ্চলে, অথচ শুধু বাঙ্গালী হওয়ার দোষে(?) তাদের অর্থকষ্ট ও সামাজিক ভাবে অন্যান্য উপজাতীয়দের থেকে বহুগুণ পিছিয়ে পড়া অবস্থাকেও গননায় ধরা হয়না।

শুধুমাত্র উপজাতীয় বিবেচনায় আন্তর্জাতিক সাহায্যগুলোও একতরফা চলে যায় পাহাড়ের একটি অংশেই। অন্য অংশটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে সম্পূর্ণ ভাবেই বঞ্চিত। অথচ পিছিয়ে পড়া, দরিদ্র, সাহায্যপ্রার্থী এমন সকল মানবিক বিবেচনায় এরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাহায্যপ্রাপ্তির অগ্রগন্য হওয়া উচিত ছিলো! অথচ শুধুমাত্র 'বাঙ্গালী' পরিচয়ের কারনেই যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছে এই অঞ্চলের হতভাগ্য এই মানুষগুলো।



আসুন- আমাদের মানবতাকে অন্ধত্ব থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসি। মানবতাকে শর্তযুক্ত নয় নিঃস্বার্থ শর্তমূক্ত করে দেই।

প্রকৃত বঞ্চিত ও যোগ্যদের জন্য হোক মানবতার বরাদ্দটুকুন!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আসুন- আমাদের মানবতাকে অন্ধত্ব থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসি। মানবতাকে শর্তযুক্ত নয় নিঃস্বার্থ শর্তমূক্ত করে দেই।
প্রকৃত বঞ্চিত ও যোগ্যদের জন্য হোক মানবতার বরাদ্দটুকুন!

+++

আদিবাসী নাটক দিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারা জাতিকে আরও বেশি সংকটাপন্ন করে তুলছে! উপাজাতি আর আদিবাসীর মধ্যকার নিরেট আন্তর্জাতিক সংজ্ঞায়নও তারা যেন মানতে চাইছে না। ৭১এও তারা ছিল বাংলাদেশের বিরোধী-পাকিস্তান পন্থী- আজও তারা (কতিপয়) স্বাধীন সার্বভৌম বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত...

শেইম অন দেম!

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.