নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতৃভূমিকে সাজাই সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিনির্ভর মঞ্চ করে।

রাহমান বিপ্লব.

মাতৃভূমিকে সাজাই সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিনির্ভর মঞ্চ করে।

রাহমান বিপ্লব. › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষা নিয়ে রবির আজকের বিজ্ঞাপণ এবং ক্ষুদ্র ভাষাগুলো নিয়ে গুরুতর রসিকতা!"

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৮





আন্তর্জাতিক মাতৃভাষাকে সামনে রেখে মাতৃভাষার জন্মগত দাবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ব্যবসায়ী সংস্থা রবি অজিয়াটা লিমিটেড একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। যাতে তারা বাংলাভাষার পাশাপাশি "মা" শব্দটিকে আরও ৪ টি বাংলাদেশী ভাষায় লিখেছে! বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষার প্রকাশ প্রসংশনীয় দৃষ্টান্ত।



বেশ কিছু সময় ধরেই আমাদের দেশে সংখ্যাগত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর ভাষাগুলোকে রক্ষার জন্য একটি প্রচেষ্টা চলমান। মূলত, বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ভাষা তথা বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য জাতীগোষ্ঠীর ভাষাকে সম্মান ও স্বীকৃতিদান বাঙ্গালী হিসেবে আমাদের ওপরেই সর্বাগ্রে বর্তায়। কারন বিশ্বব্যাপী কেবলমাত্র এই জাতীটিই মাতৃভাষার জন্য স্থাপন করেছে অনন্য নজির। যার স্বীকৃতি মিলেছে খোদ জাতীসংঘ থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার মাধ্যমে। ৮ই ফাগুনের সেই বিপ্লবী আন্দোলই আমাদের অনুভূতিকে অন্যান্য জাতীর ভাষার প্রতি সম্মান দেখানোর এই গর্বিত পথে ধাবিত করে।



তাই সেদিক থেকেই অন্যান্য প্রচেষ্টার পাশাপাশি রবির এই প্রচেষ্টাকেও স্বাগত জানাই। তবে দুঃখিত, সাধুবাদ জানাতে হচ্ছে, নিম্নবর্নিত অসাধুতা ব্যাতীরেকেই ! যেখানে যথেষ্ট "কিন্তু"র সুযোগ রয়ে গেছে। সুযোগ রয়ে গেছে উদ্বেগ প্রকাশের; খোদ ভাষা নিয়ে ষড়যন্ত্র অনুসন্ধানেরও!



ধারাবাহিক ভাবে তা নিম্নরুপ-



১- গোটা বাংলাদেশের সকল ভাষাকে বিবেচনাহীন রেখে, সংখ্যাগত ক্ষুদ্র জাতীগোষ্ঠীর ভাষা রক্ষার প্রচেষ্টা মূলত পার্বত্য অঞ্চলভিত্তিক হওয়াটা, চরম পক্ষপাতদুষ্ট ও একই সাথে ঐ অঞ্চলে বিবেচ্য চলমান বিচ্ছিন্নতাবাদের আশংকাকেই সমর্থন করে।



২- সংখ্যাগত ক্ষুদ্র জাতীগোষ্ঠীর ভাষা রক্ষার নিমিত্বে করা প্রচেষ্টা, যখন সংখ্যাগত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতীগোষ্ঠি গুলোর মাঝেও 'সংখ্যাগত বৃহত্তর'- হিসাবকে 'প্রাধান্য দেয়', তখন তা পুনরায় আরেকটি বঞ্চনার জন্ম দেয়!



৩- হারিয়ে যেতে বসা ভাষা রক্ষার নামে তুলনামূলক বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ভাষা গুলোকে উপস্থাপন করা একটি কৌতুক ছাড়া আর কিছুই নয়।



৪- একদল আহত ব্যাক্তিদের চিকিৎসা বিবেচনায় সবসময় মৃত্যুপথযাত্রীকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। এটাই মানবাধিকার। এবং মানবতার দাবিও। "ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর ভাষা রক্ষার প্রশ্নে" একেবারে প্রান্তিক ভাষাগুলোকেই অগ্রাধিকার দেয়াটাই স্বাভাবিক! ৭ লাখ লোক যে ভাষায় কথা বলে সেটাকেই জরুরী ভিত্তিক স্থান দেয়াটা বিবেক প্রসূত নয়, যেখানে মাত্র কয়েক হাজার লোক নিয়ে গঠিত সংখ্যাগত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতীসত্ত্বার অনেক গুলো ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং বাকীগুলো বিলুপ্ত হয়ে যেতে বসেছে!



৫- বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষাকে রক্ষাচেষ্টায়, বাংলাদেশের অন্যান্য ৪৫ টি জাতীগোষ্ঠীর সব গুলো ভাষাকেই বিবেচনায় রেখে যথাযথ জরিপ এবং গবেষণার মাধ্যমে তুলনামূলক জরুরি ভিত্তির প্রাধান্যের তালিকা প্রনয়ন প্রাথমিক কাজ এবং সেই পরিকল্পনাকেই বাস্তবায়ন করা উচিৎ ছিলো।



সংখ্যাগত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতীসত্তার ভাষাকে রক্ষার নামে তুলনামূলক বৃহৎ গোষ্ঠী চাকমা, মারমা, রাখাইন, মনিপুরী বা সাঁওতালদের গুরুত্ব দেয়ার পৌনঃপুনিক 'সংখ্যাগুরু বিবেচনা'কে সত্যিকার অর্থেই বর্জণ করা হোক।



জয় হোক মানুষের!

জয় হোক মানবতার!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: হুবহু আপনার তত্বকে গ্রহন করতে হবে বা আপনিই সঠিক এমন কোন কথা ভাবা ঠিক হবে কি! ওরা এতো খারাপ কিছু করেনি মনে হয়। উদ্দেশ্যটা তো ভাল।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১০

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: ভাবা না ভাবার প্রসঙ্গ নয়, যুক্তি দিয়ে আপনাকে জবাব দিতে হবে।


উদ্দেশ্য ভালো, সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নই যদি না হয় তাহলে সেই ভালো উদ্দেশ্যের মূল্য কিসে?

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতী সত্ত্বার মাতৃভাষা রক্ষা করতে গিয়ে যদি সেই ভাষাগুলোকেই সংখ্যাগুরু বিবেচনায় ক্ষুদ্র ভাষার হত্যার কারন হয়, তাহলে বাংলা ভাষার পাশাপাশি চাকমা, মারমা, সাঁওতাল ভাষা রক্ষার কোন যুক্তিই খাটে না।

যখন বৃহৎ হিসেবে গনণা করবেন তখন বৃহৎ থেকেই তালিকা হবে, যখন ক্ষুদ্র হিসেবে তখন ক্ষুদ্র থেকে! তাছাড়া প্রদত্ত উদাহরণ থেকেও গুরুত্ব প্রদানের তাতপর্য আপনাকে খন্ডন করতে হবে।

যা ইচ্ছা তা-ই করতে চাইলে উদ্দেশ্যের ভালো খারাপ বিবেচনার কি দরকার? পাকিস্তানিরা যা ইচ্ছা তাই করতে চেয়েছিলো!

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: এখন চারটা ভাষায় দেখিয়েছে, ভবিষ্যতে অন্যান্য ভাষাতেও হয়তো দেখাবে; কাজেই তাদের এই ভাল উদ্যোগকে অহেতুক প্রশ্নবিদ্ধ করার কোন কারণ দেখি না!

"যেখানে যথেষ্ট "কিন্তু"র সুযোগ রয়ে গেছে। সুযোগ রয়ে গেছে উদ্বেগ প্রকাশের; খোদ ভাষা নিয়ে ষড়যন্ত্র অনুসন্ধানেরও!..." আপনারা সব জায়গায় এমন 'কিন্তু' খুঁজে বেড়ান বলেই কেউ ভাল কিছু করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সবখানেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পান আপনারা...অদ্ভুত!

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: ভালো বলেছেন। আমরা আসলে এমনটা ছিলামনা কোন একসময়। আমরা সেসময় কোন কিন্তুর খোঁজ করতাম না। আর সেজন্য ২০০ বছরের পরাধীনতার আগমন আমরা আম বাগানের পাশেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেছিলাম।

আপনার মাঝে ভিনদেশী বহুজাতিক কম্পানীর প্রতি 'সেই নিস্পৃহ সুখী ভাব' এখনও আছে জেনে বেশ অবাক হলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.