নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতৃভূমিকে সাজাই সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিনির্ভর মঞ্চ করে।

রাহমান বিপ্লব.

মাতৃভূমিকে সাজাই সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিনির্ভর মঞ্চ করে।

রাহমান বিপ্লব. › বিস্তারিত পোস্টঃ

মান্না ধরা খাইছে, ধরা খাইছে সরকার!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মাহমুদুর রহমান মান্না একজন ডাকসাইটে ভিপি ছিলেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের! আগামাথা ডাকসাইটে ছাত্রনেতা এবং পরবর্তীতে বাম সংগঠক হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় নেতা ছিলেন। ১/১১র পর সংস্কারপন্থী হয়ে ছিটকে পড়েন রাজনীতি থেকে। এরপর তিনি গড়ে তুলেন নিজস্ব রাজনৈতিক দল। টকশো সহ বিভিন্ন সভা সমাবেশে সরকারের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন, ফলে দীর্ঘদিন থেকেই সরকারের বিরাগভাজন ছিলেন তিনি। তার পেছনে যে ঘুঘু লেগেছিলো তা ই প্রমাণ করে সরকারের কতটা রোষানলে ছিলেন তিনি। ফাঁস হওয়া দুইটি ডকুমেন্টের একটিতে তাকে বলতে শোনা যায় "মোবাইলে কথা বলতে আমি ভয় পাই"!



এই 'ভয়' কথাটা কতটা স্বাভাবিক ভাবে তিনি বলে ফেললেন তা বুঝতে আমাকে কয়েকবার রিপিট করে শুনতে হয়েছে। ভাবছিলাম! এই মান্না, সেই মান্না! কত বদলে গেলেন!



বাংলাদেশের অপরাজনীতি এতদিন অনেকটা স্টাবল ছিলো একটা নির্দিষ্ট ছকে। কিন্তু এখন তা এমন একটি বৃত্তের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে, যেন বিরোধী দলের পুরাতন আন্দোলন আর হরতাল-অবরোধেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারছেনা।



স্বাভাবিক ভাবে হরতাল অবরোধে সরকারী অপরাজনীতিতে নাকাল সাধারন মানুষ হয়ে পড়ে আরও নাকাল। যদিও দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতার একটা পর্যায়ে এসেই হরতাল অবরোধ হয়, তবুও তা সয়ে নেয়ার মত প্রস্তুতি কোনদিন সম্পন্ন করে উঠতে পারেনি এদেশের সাধারন মানুষেরা। যারা নিত্য বাড়ন্ত বাজারদর পরিশোধে বেতনের হিসাব মেলাতে অক্ষম, তারা অতিরিক্ত অর্থ সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন না- রাজনীতিবিদদের রেষারেষি সময়কে পার করবার উদ্দেশ্যে। ফলে আরেকটি রাজনীতি গড়ে ওঠে এই 'অপারগতাকে' নিয়েও! একদল ক্লান্ত জনতার মুখোচ্ছবিকে সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করে, তো অন্যদল ব্যবহার করে বিরোধীদের আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে!



সেদিক থেকে কিন্তু খেলাটা নতুন না হলেও মান্নাদের এবারকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণই নতুন।



মান্না এরেষ্ট হয়েছেন নাশকতার ছক আটার অভিযোগে। এরেষ্ট হয়েছেন একটি 'গণতান্ত্রিক' দেশে সেনা বাহিনীর মত স্পর্ষকাতর বিষয়ে নাড়াচাড়া করার অপরাধে! আটক হয়েছেন স্বাভাবিক রাজনীতি না করে অস্বাভাবিক উপায়ে ধাবিত হবার অপরাধে! মান্না আটক হয়েছেন বুদ্ধিজীবি ট্যাগ লাগিয়ে রাজনীতি করতে চাওয়ার অপরাধে?



একটি বিষয় বিশ্লেষণের জন্য, আমরা কি গ্লাসের ভরা অংশটি কিংবা খালি অংশটিকেই বিবেচনা করব? নাকি উভয় অংশকেই? সরকার সমর্থিত স্পষ্ট পক্ষপাতিত্বের মিডিয়া আলোচনার বিপরীতে স্পষ্ট সরকার বিরোধীতার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত মিডিয়াগুলো বন্ধ। গ্লাসের সার্বিক অবস্থা জানার ক্ষেত্রে মিডিয়া কি করে ব্যালান্স করবে?



ক- মান্নারা যখন সুশিলতার ট্যাগে একটি মিছিলের জন্য খোকার মত পালিয়ে থাকা রাজনীতিকের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হন, তখন তা অপরাধ হয়। কারন? মান্নার আদর্শ আছে অথচ কর্মী নেই!

কিন্তু আগের গল্পটার হিসাব কেউ নিলেন না কেন? খোকার কর্মীও আছে আদর্শও আছে! খোকা পালিয়ে কেন? সেই আদর্শ গায়ে মেখে তার কর্মীরা রাস্তায় নামতে পারেনা কিন্তু মান্নার আদর্শ গায়ে চড়িয়ে 'সেই কর্মীরাই রাস্তায় নামতে পারেন' এমন একটি পরিস্থিতি কেন! আমরা কি বুঝিনা, বড় ধরনের পলিটিকাল সমস্যাটি খোদ ওপর থেকে বুনে রাখা হয়েছে?



খ- মান্নারা যখন আর্মি নিয়ে নাড়াচাড়া করেন, তখন কি একটিবারও তাকে অপরাজনীতির জন্য অপরাধী করার আগে ভাবা হয়, সেনাবাহিনি নিয়ে নাড়াচাড়া করার আগে তার স্বাভাবিক রাজনৈতিক চাওয়াকে দমন করে দেয়া হয়েছে? অপজিটে, একবারও কি ভাবা হয়, মান্নার মত মানুষ কেন এমনটা করতে গেলেন? ভালো লাগা থেকে না বাধ্যতা...?



গ- মান্নারা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখলের কথা বলেন তখন আমরা ভাবি, হল দখল মানেই বোমা আর অস্ত্রবাজি! আমরা কি ভাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল করতে হবে কেন? কিংবা, হল দখল তো ছাত্ররাই করবে! সেই ছাত্ররা হলে নেই কেন??



ঘ- মান্নারা যখন বলেন সরকার ক্ষেপে গিয়ে ছাত্রদের লাশ ফেলে দিলে সরকার আরও বেকায়দায় পড়ে যাবে, আন্দোলন জমবে। তখন আমরা একটিবারও একে লাশের রাজনীতি বলার আগে ভাবতে যাইনা, নিত্য কথিত ক্রসফায়ার কাহিনীর আড়ালে নিহত হওয়া কর্মীগুলোর মৃত চোখ দিয়ে সরকার বিরোধিদলকে ভয় দেখিয়ে লাশের রাজনীতি করছে কিনা!



এবার একটি শেষ কথা বলে লেখাটির হঠাৎই ইতি টানব। কারন এসব আলোচনাগুলো শুরু হওয়া দরকার। এখানেই শেষ করাটা উচিত হবেনা।



২১ শে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী যখন শহীদ মিনারে যেতে না পেরে অফিসবন্দি থাকেন তখন নিশ্চই প্রতিপক্ষ এ থেকেই রাজনৈতিক শিষ্টাচারের দীক্ষা গ্রহণ করে।



আজ গোটা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাতে সুস্পষ্ট ভাবেই প্রতিপক্ষকে 'আগুন' বেছে নিতে বলা হচ্ছে। বাধ্য করা হচ্ছে। আর আগুন নেয়ার পর পর "শুট এন্ড আউটের" যে অপশন সরকারের হাতে এসে যাবে তা নিশ্চিত ভাবেই গণত্রন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করবে।



এক্ষেত্রে শুধু বলব- দয়া করে দুঃখি মানুষকে এমন কোন পরিস্থিতির মাঝে নিক্ষেপ করবেন না, যে পরিস্থিতিতে আপনাদের পরস্পর বিরোধী গোলাগুলিতে তারা ক্রসফায়ারের শিকার হয়ে জীবন হারান!



মূলত মাহমুদুর রহমান মান্নার "ধরা খাওয়ার" দ্বারা সরকারই "ধরা খেয়েছে"। বিপরীত চিন্তাটাও মাথায় রেখে আমাদের সকলের এগোনো উচিত।



সেই চিরোন্তন সত্য নিয়ে ভাবা উচিত- "সবাই বলে বয়স বাড়ে, আমি বলি কমে রে.... "

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

মেমননীয় বলেছেন: কিছুই হবেনা।
ইলিয়াস আলী গিয়েছে কি হয়েছে?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: এদেশে যে পরিস্থিতির আশংকা আছে তা হল জংগিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের আমন্ত্রণ ও উত্থান। যার পরিনতিতে মূলত স্বশস্ত্র গ্রুপের কিছুই হবেনা। মাঝে মারা পড়বে দেশের ভবিষ্যত, গণতন্ত্র, সাম্য, ও সাধারন মানুষের অধিকার।

ইরাক কিংবা আফগানিস্তানের জংগিরা এখনও ঘুরে বেড়ায়। তারা তাদের এলাকা নিয়ে বহাল তবিয়তেই আছে। কিন্তু মাঝখানে 'ক্রসফায়ারে' মারা পড়েছে লক্ষ লক্ষ সাধারন জনতা। মারা পড়েছে গণতান্ত্রিক পরিবেশ, বিশ্বাস, আস্থা।

তেমন অবস্থা এদেশে এলে ছোট্ট দেশটির স্বাধীনতা যে পুরোপুরি বিপন্ন হতে তা বলাই বাহুল্য।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

Parsa_Saifan বলেছেন: সরকারের দুর্বলতা, ব্যর্থতা, অপরাজনীতি সবই সাধারণ মানুষ বুঝে। কিন্তু অসহায়ত্ব নিশ্চুপ থাকতে বাধ্য করে ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: সাধারন মানুষের কিছুই করার নেই। তারা ন্যায়ের দিকে ঝুকে ও অন্যায়কে ঘৃণা করে। সমস্যা হল কোন দলই ন্যায়ের ওপর স্থির থাকেনা। ফলে সাধারন মানুষের আস্থা কারও ওপর নেই।

মূলত লেখাটি সাধারন মানুষকে কোন আহবান জানায়নি। আহবান রেখেছে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি।

ধন্যবাদ ভাই।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

" খোকার কর্মীও আছে আদর্শও আছে! খোকা পালিয়ে কেন? "

ভুমি দস্যু, অস্ত্র ব্যবসায়ী খোকার কি কি আদর্শ আছে?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: ভূমি দস্যু, অস্ত্র ব্যবসায়ী খোকার আদর্শ ভূমি দস্যু, অস্ত্র ব্যবসায়ী হাজারি, শামিমের চেয়ে ব্যাতীক্রম কিছু নয়।

আপনি লেখার মূল ভাবটি ধরতে পারেননি। লেখায় বলা হয়েছে, অপরাজনীতি থেকে বেরুনোর বদলে বাংলাদেশ বরং রাজনীতিহীন হয়ে যাচ্ছে। অপরাজনীতি আগে থেকেই ছিলো। সেক্ষেত্রে গণতন্ত্র রক্ষার জন্যই খোকাকে ও শামীমকে রাজনৈতিক মাঠে সমান সুযোগ দিতে হবে।

জনতাকে নেতা বাছাইয়ের পূর্ণ সুযোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে তত্বাবধায়ক সরকার এনেছিলেন আ-লীগ।

সুযোগটির ত্রুটি থাকলে মডিফিকেশন করা যায়, কিন্তু বাদ দিয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোন মানেই হয়না। আ-লীগের বর্তমান স্টান্ডের আলোকে একটি সুন্দর নির্বাচন যদি হয়ও তাহলে ভবিষ্যতে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সুযোগ থেকে যায়।

আ-লীগ (তার ভাষ্যমতে) নির্মোহ নির্বাচন পরিচালনা করলেও ভবিষ্যতে বিএনপি তা করবে এর কোন গ্যারান্টি কি আ-লীগ দিতে পারবে?

তাহলে ভবিষ্যতে বিএনপি নিজের অধিনে ভোট কারচুপি করলে আ-লীগ কি আবারও তত্বাবধায়ক প্রথা আনার জন্য আন্দোলন করবে? না সেনা শাসনের জন্য চেষ্টা করবে?

কোনটা?

তাহলে আ-লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবার পর একটা সময়ে আবারও বিএনপির সময় তপ্ত্বাবধায়ক কিংবা সেনা শাসনের প্রচেষ্টা চলতেই থাকবে?

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৬

শাহ আজিজ বলেছেন: আজ সকালে "গোপালগঞ্জ সমিতির " সমাবেশ, নৌ মন্ত্রীর শাহবাগ সমাবেশ , সন্ধ্যায় জামাতের প্রকাশ্য মিছিল বেশ ইঙ্গিতবহ। আপনি যে আশঙ্কা করছেন তার চেয়েও আমার আশঙ্কা আরও ভয়াবহ। কিছু একটা ঘটছে অনুমান করি কিন্তু কিভাবে তা বলতে পারবনা। নিজ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন, ভালো থাকুন ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: বর্তমানে শংকার কোন পরিধি নেই। যতটুকু কম শংকিত হওয়া যায় ততটুকুই যেন ভালো থাকা যায় ভাই!

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২৯

গাঁও গেরামের মানুষ বলেছেন: "আজ গোটা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাতে সুস্পষ্ট ভাবেই প্রতিপক্ষকে 'আগুন' বেছে নিতে বলা হচ্ছে। বাধ্য করা হচ্ছে। আর আগুন নেয়ার পর পর "শুট এন্ড আউটের" যে অপশন সরকারের হাতে এসে যাবে তা নিশ্চিত ভাবেই গণত্রন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করবে।"-

চলমান বাস্তবতাকে খুব ভালো ভাবে উপস্থাপণ করেছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, কতিপয় দলকানা আলোচক টকশো'গুলোতে আর লেখক ব্লগগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এমনভাবে যে, দল-নিরপক্ষ বক্তব্য প্রকাশ হতেই পারছে না। ভাবটা এমন যেন সবকিছু সরকার কিনে নিয়েছে!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: জার্মানির নাৎসি এভাবে টিকে যায়নি। বিশ্বে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টিকে যাওয়ার ইতিহাস নেই।

সমস্যা হল, গণতন্ত্রের স্বার্থে সরকার ও বিরোধীদল উভয়টাকেই গণতান্ত্রিক হতে হবে।-সেক্ষেত্রে বিরোধীদলকে নির্মূল কিংবা সরকারী দলের আত্মহত্যা কোনটাই কাম্য নয়।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৮

রামন বলেছেন:
মান্না সরকারের জন্য কোন ম্যাটার নয়। আজ ধরে নিয়েছে, কাল ছাড়া পারে। তবে এটা বি এন পি জামাতের জন্য শিক্ষানীয়। সরকার ঝি কে মেরে বৌকে শিক্ষা দিতে চায়৷ কাজেই সাধু সাবধান।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: একটা বিষয়কে আমরা প্রায়ই স্কীপ করে যাই- এদেশে যে পরিস্থিতির আশংকা আছে তা হল জংগিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের 'আমন্ত্রণ' এবং উত্থান।

যার পরিনতিতে মূলত স্বশস্ত্র গ্রুপের কিছুই হয়না। মাঝে মারা পড়ে দেশের ভবিষ্যত, গণতন্ত্র, সাম্য ও সাধারন মানুষের অধিকার।

ইরাক কিংবা আফগানিস্তানের জংগিরা এখনও ঘুরে বেড়ায়। তারা তাদের এলাকা দখল করে নিয়ে বহাল তবিয়তেই আছে। কিন্তু মাঝখানে তথাকথিত সভ্য ও অসভ্যের 'ক্রসফায়ারে' মারা পড়েছে লক্ষ লক্ষ সাধারন জনতা। মারা পড়েছে গণতান্ত্রিক পরিবেশ, বিশ্বাস, আস্থা।

তেমন অবস্থা এদেশে এলে ছোট্ট দেশটির 'স্বাধীনতা'* যে পুরোপুরি বিপন্ন হতে তা বলাই বাহুল্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.