নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতৃভূমিকে সাজাই সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিনির্ভর মঞ্চ করে।

রাহমান বিপ্লব.

মাতৃভূমিকে সাজাই সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিনির্ভর মঞ্চ করে।

রাহমান বিপ্লব. › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৫ আগস্টঃ ৩ সংগঠনের ৩ ধরনের দিবস পালন বনাম দুটি শব্দের পর্যালোচনা।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

আজ সুন্দর একটি সংবাদ শুনে সকালটা দারুন কাটল! গহীন পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাস দমনের এমন খবর শুনে আত্মা তো শান্তই হয়! আশা করি, আপনারাও জেনেছেন!
- যাই হোক!

আজ ১৫ আগষ্ট, ইসলামী শিক্ষা দিবসে একটি পোস্ট এই দিবস কেন্দ্রীক দেব বলে স্থির করেছিলাম।
বিশেষত, শিক্ষা ক্ষেত্রের অনিষ্পন্ন একটি মৌলিক জাতীয় বিতর্কের তাতপর্য বিবেচনায়। অন্যদিকে দিবসটিকে শুধু মাত্রই রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেকটা গুরুত্বহীন করে রাখায় শোক দিবস কেন্দ্রীক পোস্ট ব্যাক্তিগত ভাবে এভোয়েড করতে চেয়েছি।

হয়তো একদিন রাজনৈতিক পালাবদলে রাষ্ট্রও রাষ্ট্রীয় ভাবে শোক দিবসকে আবারও অ্যাভয়েড করবে কিংবা বিপরীত অবস্থায় নিয়ে একে জাতীয় আনন্দের দিন হিসেবেও উদযাপন করা হতে পারে ওই নোংরা রাজনৈতিক বিবেচনা থেকেই! এমনই যে আমাদের রাজনীতির কালচার! সম্পূর্ণ দুই মেরু নিয়ে 'রাজনীতি'; যতটা না রাজনীতি তারওধিক অপরাজনীতি!

যাই হোক না কেন, অপরাজনীতি হোক আর ইতিহাসের নানামুখী চর্চার কারনেই হোক, বিভিন্ন ভাবেই এ প্রচলিত দিবসে ঘটা বিয়োগান্তক ঘটনাটিও এমনই তারপর্যপূর্ণ যে চাইলেই বিষয়টি একেবারে অ্যাভয়েড করাও সহজ নয়। কারন, প্রবল অপপ্রচারের এই বৈরিতায় কেবল অ্যাভয়েড করাই স্যলুসন নয়। এর যথার্থ ব্যাক্ষ্যারও উপস্থাপনা প্রয়োজন।

যাক সে কথা। আজ শেখ মুজিবকে নিয়ে বিবিসির একটি পরিবেশনা শুনছিলাম। নিহত মুজিবকে কিভাবে দাফন করা হয়, তার বর্ণনা দিচ্ছিলেন এক প্রত্যক্ষদর্শী ব্যাক্তি। বিবিসির উপস্থাপকের দ্বারা একপর্যায়ে তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা আর্মি অফিসারদের দ্বারা হত্যার এই ঘটনাটিকে 'কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যের কাজ' বলে বর্ণনা করা হচ্ছিলো।

বাক্যের এই 'বিপথগামী' শব্দটা অনেক পুরাতন না হলেও বহুল ব্যবহৃত বিশেষত আ-লীগের প্রচারনার মাধ্যমেই। আর এখন সেটা প্রায়ই 'নিষ্পত্তি' সূচক অভিধায় ব্যবহার করা হচ্ছে, প্রায় সর্বত্র প্রচার মিডিয়ায়!

সত্যিই কি ঐসব সেনা সদস্যদের কাজকে 'কতিময় বিপথগামীদের কাজ' বলে আখ্যা দেয়া যায়?

প্রথমেই বলি- এ ঘটনা নিয়ে আদালতের রায়কে বিবেচনায় আনলে অবশ্য এই 'বিপথগামী' এবং 'কতিময়' শব্দকে মেনেই নিতে হবে। তবে যারা ইতিহাস নিয়ে নাড়াচাড়া করবেন, তারা বিপদে পড়ে যাবেন বৈকি। আমাদের দেশে এক ইতিহাসের দুইটা খন্ড দুই পক্ষ নিজেদের হাতে ব্যবহার করে, তবুও ইতিহাসের নির্মম এই দ্বিত্বকরনের সীমান্ত রেখা গুলো নিয়ে ভাবলেও খুব সহজেই কাজটিকে 'কতিপয়' এবং উপর্যুপরি 'বিপথগামী' শব্দ দিয়ে পূর্ণতা দেয়া যাবেনা।

প্রথমত, এমন একটি বিশাল ঘটনা কোনদিন 'কতিপয়' ব্যাক্তি দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকেনা। থাকা সম্ভব নয়। দুই মেরুর রাজনীতিবিদ গণ অপরাজনীতি করেও, এ কথাটিই প্রকাশ করে থাকেন। সূতরাং ঘটনার বিস্তীর্ণতাই একে 'কতিপয়' ট্যাগে তুচ্ছ করে বর্ণনা করার সুযোগ কিংবা যুক্তি রাখেনা।

দ্বিতীয়ত, 'বিপথগামী' শব্দের অবশ্যই ভিত্তি উল্লেখ করতে হবে। কারন এমন প্রবল বিতর্কিত বিষয়ে আদালতের একটা রায় কোনদিন ইতিহাস লিখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট থাকেনি। বহু দেশে এধরনের বিতর্কিত ঘটনার রায়ে বহু পরিবর্তন হয়েছে। এমনকি এদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিপরীত রায় আসারও সম্ভবনা বা শংকা থেকে যায়।

তাই বিশেষত সংবাদ চর্চায় এমন সব প্রতিক্রিয়াময় ও পরিবর্তণ সম্ভবা ব্যাপারে যেকোন বিতর্কিত শব্দের সংবাদ চর্চা একদিকে যেমন অযাচিত ঠিক তেমনই অন্যদিকে ইতিহাসের পক্ষপাতীত্ব-করন সহায়ক।

ইতিহাস। সে যেন নিজের চরিত্রকে পূর্ণ রুপে ফুটিয়ে তুলতে পারে, তেমন শিক্ষা ব্যাবস্থাই তাই ঘুরেফিরে- প্রাসঙ্গিক। যদিও বহুল প্রচার রয়েছে- 'বিজয়ীর হাতে ইতিহাস রচিত হয়', তদুপরি ইনসাফ চর্চাকারী বিজয়ী জাতিই এই অমানবিক ধারাটিকে কাঙ্ক্ষিত ভাবে, রুদ্ধ করতে পারে। তেমন একটি জাতি গঠনের জন্য প্রায় সর্বজন স্বীকৃত 'সাম্যের প্রশিক্ষক' মুহাম্মাদ সাঃ প্রবর্তিত শিক্ষা ধারাকে চালু করা চিরোকালীন মানবীয় দাবি।

যে দাবীতে সকল দল ও মতের উর্ধে উঠে কাংখিত ঐক্য আসতে পারে ইনসাফ চর্চায় আগ্রহী সব সুস্থ মানুষের মাঝে। তাই, এইধরনের সার্বজনীন কার্যে দলীয় সংকীর্ণতায় একতরফা দিবস পালন যেমন কাম্য নয়, ঠিক তেমনই শুধু রাজনীতির বিবেচনায় শিক্ষার মত জাতীয় মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর প্রাণবন্ত বিতর্ককে ভুলিয়ে দেয়াও ঠিক নয়!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

শুভকবি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.