নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাতৃভূমিকে সাজাই সার্বজনীন মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিনির্ভর মঞ্চ করে।
সম্প্রতী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি স্বসস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে সেনাবাহিনীর গোলাগুলিতে পাঁচ জন উর্দি পরিহিত জঙ্গি নিহত হবার জেরে বহুল সমালোচিত বাংলা প্রথম আলো পত্রিকাটিকে অস্বস্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী নিহতের ঘটনাকে, বহুল বিতর্কিত 'আদিবাসী' অভিধা দিয়ে সংবিধান বিরোধী শিরোনাম করে প্রচন্ড সমালোচিত হবার পর পত্রিকাটি তাদের সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে পরদিন। ব্যাখ্যায়, সংবিধানে 'আদিবাসী বলে কোন অভিধা নেই' বলে স্বীকার করার পাশাপাশি নিহতদের 'সন্ত্রাসী' পরিচয়কেও নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রথম আলোর ওইদিনের পত্রিকায় নিহত সন্ত্রাসীদের লাশ হস্তান্তরের খবরটির শিরোনাম ছিলো, 'রাঙ্গামাটিতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি- স্বজনদের কাছে পাঁচজনের লাশ হস্তান্তর'। এমন শিরোনামের কিছু সময় পর পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সনে গিয়ে দেখা যায়, ফের শিরোনাম থেকে 'সন্ত্রাসী' শব্দটিকে বাদ দেয়া হয়েছে!
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভেতর প্রকাশ্য উর্দি পরিহিত জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে সেনাবাহিনীর গোলাগুলির মাধ্যমে বিপুল পরিমান অধ্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনার পর থেকেই মূলত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এতে মেশিনগান, সাব মেশিনগান, চাইনিজ রাইফেল, এসএলআরসহ মোট ৮ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৩৯ রাউণ্ড বিভিন্ন অস্ত্রের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এর পর পরই পার্বত্য ইস্যুতে সংবিধান এবং দেশের অন্যান্য মিডিয়াগুলোর দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে গিয়ে প্রথম আলো সহ ট্রান্সকম গ্রুপের সংবাদ পরিবেশনের এই পুরাতন ধারাটিকে প্রচন্ড সন্দেহজনক হিসেবেই দেখতে শুরু করেন পর্যবেক্ষক মহল। ধারনা করা হচ্ছে এমন একটি প্রেক্ষাপটেই পত্রিকাটিতে বারবার শিরোনাম পরিবর্তণের মত এমন অস্বস্থিকর অবস্থা প্রকাশ পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় ভাবেই তার অভ্যন্তরে কোন 'আদিবাসীর' উপস্থিতিকে অস্বীকার করে। সরকারী ভাবে প্রায়ই সংবিধান পরিপন্থী 'আদিবাসী' শব্দের ব্যবহার না করতে এবং বিশ্বআদিবাসী দিবস পালন না করতে বিশেষ ভাবে নির্দেশনা প্রদান করা হলেও বেশ ক'বছর থেকে দেশে প্রকাশ্যেই অনেকটা জাঁকজমক কায়দায় এই আদেশ লংঘন করা হচ্ছে। আর এসব ক্ষেত্রে প্রতিবারই কতিময় নির্দিষ্ট ব্যাক্তি ও বেসরকারী সংস্থার নামই উঠে আসছে।
জাতীসংঘের 'আদিবাসী' বিষয়ক ধারা অনুযায়ী, যেকোন দেশের আদিবাসীরা তাদের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যাপার গুলোতে পরিপূর্ণ 'স্বাধীনতা' ভোগ করার অধিকারী।
আদিবাসীদের অধিকারের উপর জাতিসঙ্ঘের ঘোষণাপত্র : ধারা ৩ -- আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অংশে বলা হয়েছে-
"United Nations Declaration on the Rights of Indigenous Peoples: Article 3 -- Right to Self-determination
Article 3 -- Right to Self-determination
Indigenous peoples have the right of self determination. By virtue of that right they freely determine their political status and freely pursue their economic, social and cultural development."
"ধারা ৩ -- আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার
আদিবাসীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার আছে। এই অধিকারের বলে তারা স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে (অর্থাৎ তারা কি কোন দেশের মধ্যে থাকবে, না সেই দেশ থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন দেশ গঠন করবে -- সেটা তাদের রাজনৈতিক ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে, যেমন জুম্মরা কি বাংলাদেশের মধ্যে থাকবে, না বাংলাদেশ থেকে আলাদা হয়ে পার্বত্য এলাকাকে নিয়ে স্বাধীন জুম্মল্যান্ড গঠন করবে -- তা জুম্মদের রাজনৈতিক ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে) এবং স্বাধীনভাবে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন অনুসরণ করবে।"
-এই ধারার আলোকেই বিনা রক্তপাতে পশ্চিমা দেশগুলো ও জাতীসংঘের প্রত্যক্ষ সহায়তায় সম্প্রতী সময়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে পূর্বতীমুর। যা অখন্ড ইন্দোনেশিয়ার অঞ্চল ছিলো। 'আদিবাসী' শব্দ চর্চার বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষের অজ্ঞতাকে পুঁজি করেই এক শ্রেনীর মানুষ পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের দক্ষীণ এশীয় এজেন্ট হিসেবে এদেশে সক্রিয় বলে ব্যাপক সন্দেহ রয়েছে।
-রাহমান বিপ্লব
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০১
রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: হ্যা। এমনটাই তারা করে আসছে।
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
প্রবাসী১২ বলেছেন: আদিবাসী বলে বাংলাদেশে কেউ নেই। এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র এবং দেশদ্রোহী মূলক শব্দ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০১
রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: সঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
রেজওয়ান26 বলেছেন: এর নাম প্রথম আলো । ওরা শুধু মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী বলতে পছন্দ করে অন্য কাউকে নয়। ইসলামকে নিয়ে অনেক বিদ্রুপ ওরা করেছে। এটা প্রমানিত।