নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইবনে শামস

রায়হানা তনয় দা ফাইটার

আমি। কেউ না। তবে মাঝে মাঝে আমার দুষ্ট মনটা কানে কানে এসে বলে, তুমি মহাকালের উচ্ছল সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো এক কচুরিপনা । কালের ঊর্মিমালার সাথে সাথে নাচা ছাড়া তোমার আর কোন কাজই নেই.....

রায়হানা তনয় দা ফাইটার › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহেনশাহ, স্বর্গে তোমায় দেখিবো বলে হলোনা দেখা এই ভবে...

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭



সুমধূর কন্ঠের আহ্বানে ঘুম ভাঙল। এমনতর মিষ্টি কন্ঠ আগে শুনা হয়নি কখনও। এমনতর মিষ্টি কন্ঠ আগে শুনা হয়নি কখনও। কার কন্ঠ তাও বুঝলাম না। চোখ মেলেই থ বনে গেলাম। এ কোথায়? কোন রাজকীয় বিছানায় শুয়ে আছি আমি? এতো চমৎকার! চোখ জুড়িয়ে যায়। অপলকে চেয়ে আছি। চারপাশে বলিহারী রূপমাধুর্যের মহা সমারোহ। অদ্ভুদ অদ্ভুদ সব রঙের মেলা বসেছে। পৃথিবীর কোন জ্ঞানী-গুনী-বিজ্ঞানী এসবের রঙের বিবরণ দেয়নি। দেখেনি হয়তো কখনও। আলতো পায়ে হেঁটে সামনে এগুলাম। দিগন্তহীন প্রান্তর। হাজারো ঝর্ণধারা বিরামহীন বয়ে চলেছে অজানা পথে। এর সৌন্দর্য্যও পৃথিবীর বলে মনে হচ্ছে না। স্বর্গীয় পরিবশে বুঝি একেই বলে? মুগ্ধ নয়নে চতুর্দিকে চেযে ক্ষনে ক্ষনে বলছি, বাহ্, কতইনা চমৎকার নির্মল তোমার সৃষ্টি! মৃদু কোমল পা ফেলে ফেলে এগুচ্ছি। যতই দেখছি ততই অবাক হচ্ছি। জীবনান্দ যদি এ’রূপ দেখতেন নিশ্চিত রূপেতে তার তিনি বেহুশ হতেন। হতেন তার প্রেমেতে মশগুল প্রেমিক...

কদ্দুর এগুনোর পর মধ্যবয়স্ক একজনকে দেখলাম। পরনে হলুদ পাঞ্জাবি। সাদা পাজামা। চিরচেনা এসব রঙ কেমন জানি স্বতন্ত্র একটা বৈশিষ্ট্য কোলে নিয়ে ঘুরছে আমার আশেপাশে। পৃথিবীয় রঙের সম্পূর্ণ আলাদা। মাথায় কোকড়ানো চুল। চেহারায় মহাপুরুষ মহাপুরুষ ভাব লক্ষ্য করার মতো। ওনার নিকট দূরত্বে আসতেই তিনি আওড়ালেন,

-আহলান ছাহলান ইয়া দয়ফ, আনা হিমু।

উনারা কথার হিমু শব্দ বাদে আর কিছুই বুঝলাম না। তবে আন্দাজ করলাম মহাপুরুষ হিমু হবে হয়তো । আচ্ছা হিমু ভাই, আপনি এ কোন ভাষাতে আমকে বকছেন?

-দূর বোকা, এটা স্বর্গীয় ভাষা। এখানে সবাই এই ভাষাতে কথা বলবে। আর আমি তোমাকে বকছি কয় অভ্যর্থনা জানাচ্ছি।

স্বর্গ, অভ্যর্থনা কিছুই বুঝা আসলনা। কিছুক্ষন আগেইতো পৃথিবীতে ছিলাম। এতো তাড়াতাড়ি বেহেশতে আমদানি হয়ে গেলাম। দূর ভাল লাগেনা। আমি আবার বললাম, আচ্ছা আপনার সামনে উপবিষ্ট এরা কারা?

-এরা আমার শিষ্যরা, “মহাপুরুষ-পাঠশালা” নামক বাবার অসম্পূর্ণ প্রকল্পের পূর্ণতা সাধনের অনুমতি নিয়ে দিয়েছেন শাহেনশাহ রাসুলের মাধ্যমে। রবের কাছ থেকে।

-আমি কি এই পাঠশালাতে ভর্তি হতে পারি, হিমু ভাই?

-না, তোমাকে এখানে আসার এডমিট কার্ড দেওয়া হয়নি।

-কেন?

-এখনো ওয়াক্ত হয়নি। হলে পেয়ে যাবে। এখন দ্রুত ভেতরে যাও। সময় তোমার সীমিত। এখানেও সময়ের তাড়া আছে। বেকার সময় নষ্ট করলে মূল উদ্দেশ্যই মাটি হবে।

আমি এর কিছুই বুঝলাম না। কি মূল উদ্দেশ্য মাথায় আসল না। তবু ত্রস্তে ভেতরে চললাম। একনিষ্ট মনে হাঁটছি। স্বর্গীয় ভাষাটা বুঝতে খুব বেগ পেতে হয়েছে। তবে মোটামুটি বুঝছি। এতো হাঁটছি কিন্তু ক্লান্তি নেই, নেই অবসাদের ছিটেফোটা। ক্লান্তির বদলে সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে শক্তি, উদ্যম। কদ্দুর যেতে দেখলাম। একটা মানুষ আমাকে গভীর দৃষ্টিতে দেখছে। মনটা কেঁপে উঠছে বারবার। নিজেকে সাত খুনের আসামী মনে হচ্ছে। ভয়ে ভয়ে এগুচ্ছি। উনিও আমার দিকে এগিয়ে আসছে। কাছে এসেই বলল, কি সাহেব, ভয়ে কুকড়ে গেলেন যে? ভয়ের কিছুই নেই। সামাজিকিকরণ পড়েছেন তো। মানিয়ে নিন। নইলে অর্জিত জ্ঞান ব্যর্থ। আমি ভয় জড়ানো কন্ঠে জানতে চাইলাম, আপনি কি আমার সাথে স্বর্গীয় ভাষায় কথা বলবেন না? বাংলাতে বলবেন? তিনি জানালেন, হিমু সাহেব আমাকে জানিয়েছে আপনি স্বর্গীয় ভাষা বুঝছেন না। তাই অনুমতি নিয়ে এসেছি আপনার সাথে বাংলা বলতে। ও হে, আমি মিসির আলী। এবার আমার পাগল হওয়ার পালা। আমাকে ভাবতে না দিয়েই উনি আবার বল্লেন, ভেতরে যান। শাহেনশাহ অপেক্ষায় আছেন। আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে সামনে পা বাড়ালাম বাধ্য হয়ে। এখানের প্রতিটা স্থান, দৃশ্য এতো অসম্ভব সুন্দর যে, চোখ ফেরানোই দায়। আখি আমার বসে বসে দেখে ওগো তোমার অবাধ্য ঝর্ণাধারা...

হৃদয়ে এক প্রকার আনন্দ হিল্লোলের মহাজাগরণ অনুভূত হচ্ছে। নীরবতার প্রাচীর ভেদ করে দৃঢ়, মায়াবী একটা কন্ঠে ঘোষিত হচ্ছে,

“মহাপুরুষ হিমু, ডিটেকটিব মিসির আলী, মাজেদা খালা, বাকের ভাই ও শুভ্রসহ সকলকে আজ মাঝরাতে ‘সাহিত্য-আড্ডায়’ উপস্থিত থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে। পৃথিবী থেকে শাহেনশাহের এক অনুরাগী ভক্তের সীমিত সময়ের জন্য আগমন ঘটেছে। তিনি প্রধান অথিতি। শাহেনশাহ উপস্থিত থাকবেন। তাঁরা কেউ কখনও কাউকে দেখেনি। প্রথম সাক্ষাৎ হবে। তাও স্বর্গে। কপাল বলেতো কপাল। কারো মাথা ব্যাথার কারণ নেই। শাহেনশাহে- আল-আদব-আল-বাঙ্গালী রাসূল (সাঃ) এর মাধ্যমে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে এই আড্ডার অনুমোদন মঞ্জুর করেছেন....”

ঘোষণাটা শুনে নিজেকে যদ্দুর দেখা সম্ভব দেখেনিলাম। নিজের চেহারাটা ভুলে গেছি মনে হচ্ছে। সত্যিই মনে পড়ছেনাতো আমি কে? কেমন আমার চেহারা? একটু দূরে একটা নহর দেখলাম। এগিয়ে গেলাম। কী স্বচ্ছ পানি। আয়নার চেয়েও দারুন কার্যকর। এতো সুন্দর প্রতিবিম্ব তৈরী করা পৃথিবীয় কোন বস্তুর সাধ্যিতে নেই। নিজেকে পুরোপুরি দেখে নিলাম। এতক্ষন পর নিজেকে চিনতে পারছি। আরে আমি তো ......

চারপাশে মোলায়েম আঁধার ঘনাচ্ছে। মনে হচ্ছে কেউ কালো একাটা সামিয়ানা টেনে দিচ্ছে চোখের সামনে। মৃদু বায়ুতে সংগেিতর আবহ লেগেছে। সূরের মূর্ছনায় চারদিকে বিরাজ করছে অপরূপ মুগ্ধতা। সঙ্গীতের প্রভাব যে কতো গাঢ় তা এখন উপলব্ধি করছি। চারপাশের বিরহী সূর আমার হৃদয়ে চিন চিন ব্যাথার সৃষ্টি করছে। নিগঢ় কালো আঁধারের পরম শূন্যতায় অদৃশ্য সুতোয় টাঙিয়ে দিচ্ছে রুপালী চাঁদ। ঝির ঝির জোৎ¯œা ঝরছে। এই মায়াবী আলো সূরের মূর্ছনাকে বাড়িয়ে চলেছে।

মধ্যরাত। শুভ্র আমার হাত ধরে বর্ণনাতীত সুন্দর এক হলে নিয়ে আসছে। হলের চারিধার লিচু গাছে ঢাকা। দরজায় দাঁড়িয়ে এক মহিলা। আমাকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। আমার মন সেদিকে নেই। এতো রূপের আগুন! ভাবতে পারছি না। তার চোখের চাহনি যেন সাড়া জাগানিয়া শিহরন। মনে পড়ছে সেই বিখ্যাত গান, কেন সে এতো সুন্দরী হলো?/কেন এভাবে ফিরে তাকালো?/দেখেতো আমি মুগ্ধ হবো। / আমি তো মানুষ। এরাই স্বর্গীয় হুর হয়তো। শুভ্রতায় যারা দুধেরও উপরে...

অন্দর মহলে ঢুকলাম। বিরাট এক মসনদে বসে আছে বাংলা সাহেত্যের যোগ্য শাহেনশাহ। তাকে দেখার প্রবল ইচ্ছা পালন করেছি হৃদয় কন্দরে। দেখা হয়নি। আজ প্রথম দেখলাম। শুধু দেখছি। পৃথিবীতে আজ ১৩ই নভেম্বর হওয়ার কথা। শাহেনশাহের জন্মদিন। আমি একটা গান লিখেছিলাম শাহেনশাহের জন্মদিন উপলক্ষে। শুনতে ইচ্ছে করছে। শুভ্র আমার হাত ধরে শাহেনশাহের পাশে বসাল। উনার সাথে কোলাকোলি হলো। আড্ডা শুরু হলো হামদ ও নাত দিয়ে। তারপর শাহেনশাহের অনুরোধে একটা গাণ শুরু হলো। আমারই লেখা। খুব অবাক লাগল। শাহেনশাহ আমার মনের এ খবর জানল কি করে। স্বর্গে আসলে সবাই এরকম হয় বুঝি! সব ভাবনা মিছমার করে হৃদয়ে আলোড়ন তুলল গায়িকার সুমধূর কন্ঠ। কন্ঠ, বাহ্ কন্ঠ! লা জবাব।

শুনেছি কতো বীরে বীরত্বগাথা?/ শুনেছি কতো মনীষির কথা?/ পড়েছি কতো লেখকের লেখা? / কতো নাটক হলো দেখা.../ দুরন্ত মন আমার গেছে থেমে/ তোমার সাহিত্য-করম মাঝে.../ দেখবো বলে বলে; তবু হলো / না দেখা তোমায়.../ শাহেনশাহ ওগো, / স্বর্গে তোমায় দেখিবো বলে/ হলো না কী দেখা এই ভবে...

গানটা শুনতে শুনতে আমার চোখে পানি চলে এসেছে। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি। সবাই কাঁদছে। কেউ হাতের আঙুল দিয়ে, কেউবা কাপড়ের আঁচল দিয়ে চোখের জল মুছছে। শাহেনশাহও কাঁদছে।

অনেক্ষন আড্ডা হলো। সাহিত্যের প্রতিটি শাখা প্রশাখা নিয়ে আলোচনা হলো। আলোচনা হলো শাহেনশাহের সদ্য বের হওয়া ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ নিয়ে। মাঝ পথে সবাইকে থামিয়ে শাহেনশাহ বললেন,

“ও আমার ভক্ত। অনেকদিন ধরে একগুচ্ছ কবিতা লিখে বই প্রকাশ করার ইচ্ছা লালন করছিল। আমাকে দিয়ে ভূমিকা লেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু হলো না। আল্লাহ আমাকে এখানে আসার এডমিট কার্ড ধরিয়ে দিলেন। যাক। আমি রাসূল (সাঃ) এর সুপারিশে আল্লাহর কাছ থেকে ওর বইয়ের ভূমিকা লেখার অনুমোদন পেয়েছি। শাহেনশাহ একটা কাগজে ভূমিকা লিখে আমার হাতে গুজে দিলেন। এটা পেয়ে আমি যার পর নাই খুশি। আনন্দে আত্মহারা বলা যায়।

তিনি ‘সাহিত্য-আড্ডার’ সমাপ্তি ঘোষণা করলেন। আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

-চলো, তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসি।

-আমার একটা আজন্ম আশা একটু যদি পূরনে সাহায্য করেন।

-বলো কী?

-রাসূলকে (সাঃ) একবারের জন্য দেখা। পারবো?

- ওনাকে একবার দেখে শেষ করতে পারবে না। যতবারই দেখবে নতুন লাগবে। চিরনতুন তিনি। আর তোমার হাতে এখনও মেলা সময়। পৃথিবীতে যাও। প্রস্তুতি নাও। সময় হলে স্বয়ং রাব্বুল আলামিন তোমকে নিয়ে আসবেন। আচ্ছা শুনো, ওপারে সবাই কেমন আছে?

-ভালো।

-নিশাদ, নিনিদ, নুহাশ ওরা ভালতো?

- হ্যাঁ, তবে একটুতো মন খারাপ হবেই বাবার জন্যে। তাদের মাঝে আগের সেই আনন্দ নেই।

-আমার মা, ভাই-বোনরা সবাই?

-ওরাও ভাল আছে। তবে মায়ের কোণে অশ্রুবিন্দু দেখা যায় সর্বদা। সন্তান হারানোর বেদনাতো আর পুচ্ছির পুতুল হারানোর বেদনা নয়।

-শাওন। ও কেমন আছে?

-আছে ভালো; তবে চোখের নীচে কালসিটে দাগ পড়ে গেছে। কন্ঠের তাহার পূর্বের সেই মধু খুঁজে পাওয়া যায় না।

জানো, এখানে আমি সবচেয়ে বেশী কাকে অনুভব করি। কার স্মৃতি ক্ষনে ক্ষনে কোমল হৃদয়ে আমার আঘাত করে। গুলতেকিন। যে আমার আঁধারে ঘেরা জীবনে প্রোজ্জ্বল আলোকবর্তিকা ছিল। জানি, ও এখনো আমার উপর চরম রেগে আছে। না ভুল বললাম। অভিমান করে আছে। ভাল যারা বাসে তারা রাগ করতে জানে না; অভিমান করতে জানে। রাগ কাটিয়ে উঠা যায়। কিন্তু অভিমান সে যে বড়্ড় একরোখা। শাওনকে নিয়ে ঘটে যাওয়া কাহিনীটা আমার ভুল ছিল আলবৎ। তবে প্রিয় ভুল। এসবে বান্দার হাত থাকেনা। খোদার লেখা তাকদীরই শেষ ফায়সালা। আমাকে ক্ষমা কর প্রিয় গুলতেকিন। দেখো, তোমাকে ছাড়া আমি খুব ভালো নেই। এখন আর জোৎ¯œা দেখতে ইচ্ছে করে না। গান শুনতে ইচ্ছে করে না। তুমিহীনা ভালই লাগেনা। শেষ বিকেলে তুমি আড়ালে ছিলে এখনও মানতে পারছি না। ভেবেছিলাম তুমি আসবে। আমায় বলবে, হুমায়ুন তুমি পারলে এতটা কাল আমায় ছেড়ে...

ধপাস করে একটা শব্দ হলো। আমি খাট থেকে নীচে পড়ে গেছি। সামান্য ব্যাথা পেলাম। এপাশ ওপাশ দেখলাম। কেউ নেই। আমার ঘরে অন্ধকারেরা একচেটিয়া রাজত্ব চালাচ্ছে। হাত মুষ্টিবদ্ধ ছিল। হাত খুললাম। তালুতে অনেক্ষন তাঁকিয়ে আছি। কিছু নেই। উঠে দাঁড়ালাম। হেঁটে জানালার পাশে এসেছি। খুলে দিলাম রুদ্ধ জানালা। এক ঝাপটা হিমেল বায়ু ও রুপালী জোৎ¯œা শরীরে লুটিয়ে পড়লো। আবার হাতের তালুতে দেখলাম। কিছুই নেই। বিরান ভূমির মতো লাগছে। হাতের রেখাগুলো পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে আছে। গণকের মতো কিছুক্ষন রেখা গুনে প্রিয়-স্বপ্নটা ভূলতে চাইলাম। কাজ হচ্ছে না। জানালা বন্ধ করে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম। চরম অবসাদ বোধে চোখে নিদ্রা ঝাঁপিয়ে পড়লো....



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.