নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইবনে শামস

রায়হানা তনয় দা ফাইটার

আমি। কেউ না। তবে মাঝে মাঝে আমার দুষ্ট মনটা কানে কানে এসে বলে, তুমি মহাকালের উচ্ছল সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো এক কচুরিপনা । কালের ঊর্মিমালার সাথে সাথে নাচা ছাড়া তোমার আর কোন কাজই নেই.....

রায়হানা তনয় দা ফাইটার › বিস্তারিত পোস্টঃ

খোজঁ...

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪



বেলা যে শেষ হয়ে এলো,

অন্ধকার গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে দিন, দেখো

আর কত ঘুরবি এখানে ওখানে?

ফিরে আয় গৃহের কোণে।



তিমিরে তিমিরে যুগ চলে যেতে পারে,

দীর্ঘজীবী কাকেরে গলা টিপে ধরতে পারে।

আমি তো ফিরবো না মা খালি হাতে,

ওনাকে নিয়ে তবেই ফিরে যাবো ঘরে।



কেদেঁ কেদেঁ কুকড়ে গেছে সখিনা তোর,

ছোট্ট মেয়ে, যে খালি পেটে কাটিঁয়েছে কতো ভোর।

তাকানো যায়না তার মুখের পানে,

তাকে অন্তত কিছু দে কোলে তুলে নিয়ে।



দাও মা, বলে মেয়েকে নিয়ে ক্রোড়ে,

দুধ পেল কি না পেল, সখিনা আবারও ছুটে।

এখানে ওখানে ক্ষুদার্ত গাঙ্গ চিলের মতো।

বাংলার বুকে উদ্ধাস্তুু শিবির আছে যতো।



সে কবে কতো দিন আগে তিনি বেরিয়েছেন?

আর কতোকাল খোজঁ খবরহীন চলি বলুন।

স্বামী তো আমার কতো আপন

এই ছোট্ট কন্যাটিরে, অথচ তাহার মুখ;



কখনও দেখেনি সে, কেমনে পায় সুখ?

চোখ তাহার জ্বলছিল অগ্নি লাভা মতো,

সেই আগুনে বিদেশী হায়েনা যতো

তাদের পুড়াতে বেরিয়ে গিয়েছিল রাতে।

আমি বাধঁ সাজতে না পারি যাতে।

কতো কষ্ট এ বুকে জমে আছে

তাহারে বিনা এ দুঃখ সরাব কীসে?

কেমনে ফিরে যাই ওনাকে ছাড়া।



দেখবে না কী বাবাকে তাহার, মেয়ে আমার বাহা।

রক্তের উপর ভয়ার্ত অথচ দ্রুত পদক্ষেপ ফেলে,

চলছে সখিনা এদিক ওদিক উকি মেরে।

মিলছে না কোথাও, কোন লাশের স্তুপেও।



নেই তার স্বামী, কোথায় হারালো পরিচিত মুখ।

এখানে ওখানে মাথার খুলি, কাটা দেহ,

“কোথায় আপনি” বিমর্ষ বিলাপে ভাঙ্গছে তাহার বুক।

কর্ণফুলীর তীরে ছুটছে সখিনা।



উন্মত্তের মতো, তবুও তাহার মনের মানুষ মেলে না।

নিরন্তর ছুটোছুটি তাহাকে ক্লান্ত করেছে,

পা নাড়াতে পারছে না তবুও হাটছে।

ছন্নছাড়া এ জীবনের বাতি বুঝি তার।



নিভে গেল, শাড়ির আচল ধরিল কে তাহার?

নদীর পানির কিনারা থেকে কে ডাকিল তারে?

অতি পরিচিত সুরে, পানিতে নেমে ছুটাইলো সে,

শাড়ির আচল, দেখিল এক ¤ৃত দেহ।



ঠুকরে ঠুকরে মাংস ছুটাচ্ছে কৃষ্ণ কাক,

ছুটে গিয়ে দেখিল সখিনা যবে,

স্বামী তাহার কাকের খাবার হয়ে,

পড়ে আছে নদীর তীরে।



খুজেঁ না কেহ এই “স্বাধীনতা সংগ্রামীরে”,

দারূণ দুঃখ, শ্বাসটি তাহার ছিনিয়ে

তবে উড়িয়ে দিল দূর অন্তরীক্ষে।



দূর থেকে দেখে দেখে শুধু,

দাদী আর নাতীনের পড়ছে নয়নজল,

বুঝিল হয়ত বা বুঝিল না বাহা,

কতো রক্ত নিয়েছে ঢালি আমাদের স্বাধীনতা।...



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.