নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইবনে শামস

রায়হানা তনয় দা ফাইটার

আমি। কেউ না। তবে মাঝে মাঝে আমার দুষ্ট মনটা কানে কানে এসে বলে, তুমি মহাকালের উচ্ছল সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো এক কচুরিপনা । কালের ঊর্মিমালার সাথে সাথে নাচা ছাড়া তোমার আর কোন কাজই নেই.....

রায়হানা তনয় দা ফাইটার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈশপের কণিষ্ট পুত্র!

১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২৪

এ বাঙালী আমাকে ঈশপ বানিয়ে তবেই ছাড়বে। তাদের আজগুবি কিছু কান্ড আমার শিরা উপশিরায় ঈশপ মহাশয়ের রক্তের এন্টিজেন এন্টিবডি ঢুকিয়ে দিবেই দিবে। এমনটিই মনে হচ্ছে আজ। আজও দুটি থন্ড কান্ড আমার মস্তিষ্কে মহৎ চিন্তার পশরা সাজিয়েছে। আপনাদের না জানিয়ে পারলামনা।

এক

জার্মানির কাছে ব্রাজিল সাতে এক গোলে হেরেছে। সব ফ্যানের খারাপ লাগার কথা। আমারও খারাপ লেগেছে। কিন্তু সে দায়ে স্ট্রোক! ৬০ বছরের বৃদ্ধ (চট্টগ্রাম কাস্টম অফিসে কর্মরত ছিলেন) এমনতর হার সহ্য করতে না পেরে স্ট্রোক করেছেন! এ আমার মাথায় ঢুকছেনা। কেউ চায়না তার পছন্দের পাঠার এমনতম বলি। জানি আমরা একটু বেশী আবেগী। এতোটা উন্মাদ তা জানতাম না। আপনার মমতাময়ী মা স্বর্গবাসী হয়েছে। আপনার ভরসার পারদস্তম্ভ পিতার যবনিকাপাত হয়েছে। কয় তাতে তো আপনার এতো খারাপ লাগেনি? স্ট্রোক করেননি আপনি?

বিশ্বকাপ শুরুর আগে আরেকটি ঘটনা আমার মস্তিষ্কের নিউরন পুরোপুরি জিলাপির প্যাঁচে পরিণত করেছে। প্রিয় দল নিয়ে তর্কের এক পর্যায়ে স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন! হায়, এ কেমন পাগলামো? এতো বেশী ভয়ঙ্কর তো হিটলারো ছিলেননা। হিটলার দাদা আমাদের এসব দেখে হা হুতাশ করছেন। তিনি তো অনেক ভালই ছিলেন। আমার দেশের কোন নিরপরাধ যৃবক অদ্ভুদ রাজনীতির যাতাকলে নিষ্পেশিত হলেও আমাদের স্ট্রোক করার মতো খারাপ লাগেনা। আরে পাঁচ সেকেন্ড এ নিয়ে ভাবার সময়্রও হয়না আমাদের। শেইম অন ইউ জাতি!



দুই

টেলিটক মেধাবীদের জন্যে নতুন সিম কার্ড রিলিজ করছে। আগামী। প্রচুর দামী সুবিধা সমেত। কিন্তু এ নিযে আমার সোনার বাংলার গরীব মেধাবীদের আনন্দে আত্মহারা হওয়ার মতো কিছু আছে বলে আমার মনে হয়না। কেমনে হাসি ফুটবে জানেন? এদের কি আর জি পি এ ৫ পাওয়ার এবিলিটি আছে? আর জিপিএ ৫ নাই মানে এদের কেউ টেলেন্ট বলবে তো না বরং এদের শিক্ষার মঞ্চে জোকার হিসাবে রাখবে। কারণ এসব গরীবের গাটে স্কুল কলেজের ফি ভরার এবিলিটি নাই সেখানে জিপিএ ৫ তো ছেঁড়া কাথায় শুয়ে শুয়ে আকাশ ছুঁয়ার স্বপ্ন দেখার মতোন! আপনাদের কি আমি ভুল বাল বকছি মনে হচ্ছে? আপনিই বলুন যখন প্রশ্নপত্র পেয়ে পরীক্ষা দেয়ার মতো অবস্থা দাড়িয়েছে তখন গরীবের হাতে কোদাল বা কুঠারই শোভা পায় বই কি? প্রশ্ন খরিদ করার মতো টাকা কি দিনমজুর ঘরের কর্তার আছে। তার মানে কি এ ঘরে কোন মেধাবীর জন্ম হয়নি? আগামী সিম কার্ড হাতে হাসি ফুটার একমাত্র অধিকার তায় বরাবরের মতো বড় লোকের চেলাদেরই। ওদের পেছনে প্রতি সাব্জেক্টের জন্য আলাদা টিচার আর তার উপর বাবার টাকার জোরে প্রশ্ন ! জিপিএ ৫ তারা না পেয়ে কি আপনি পাবেন? ধ্যাৎ এর জন্যে আপনাকে অতিমানবিক হতে হবে। যা অসম্ভব। আরে ভাই জিপিএ ৫ মেধাবী হওয়ার কেমন সার্টিফিকেট? তার মানে কি আইনস্টাইন, রবীন্দ্রনাথ আর নজরুল মেধাবহীন। তাদের এসব সার্টিফিকেট তো নেয় তার উপর এরা কেউ প্রাতিষ্টানিক শিক্ষার বারান্দায় মাড়াননি।

আমাদের এ শিক্ষা পদ্ধতি ভিত্তি করে দেশ আগাবেনা এ নিশ্চিত। তায় বলছি, জাতি এমন কিছু করো যাতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিটি রক্ত কণিকার ত্যাগ সফলতার হাসি হাসে। তাদের যাতে দুখের কান্না আর কাঁদতে না হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.