নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইবনে শামস

রায়হানা তনয় দা ফাইটার

আমি। কেউ না। তবে মাঝে মাঝে আমার দুষ্ট মনটা কানে কানে এসে বলে, তুমি মহাকালের উচ্ছল সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো এক কচুরিপনা । কালের ঊর্মিমালার সাথে সাথে নাচা ছাড়া তোমার আর কোন কাজই নেই.....

রায়হানা তনয় দা ফাইটার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিক্ত অভিজ্ঞতা ...

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

[সংবিধিবদ্ধ সর্তকীকরণ : এটা নিছক গল্প নয়। রূঢ় বাস্তবতা। এ স্ট্যাটাস পড়ে কোন রমনী আমার উপর রাগে ফেটে পড়লে উনারই ভূল হবে। কারন হীসেবে অনেক কিছু বলা যায়। নিম্মোক্ত পাঠ আমাকে প্রকৃতি দিয়েছে। বলা যায় প্রকৃতি আমাকে জোর করে ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাই ভাল-মন্দ সব দায় একমাত্র প্রক্রতির। আমি অর্জিত জ্ঞানের প্রচারক মাত্র। এ অভীজ্ঞতা সঞ্চয়ের সবচে বড় গুরু হয়ে রবে হৃদয়ে এক অচেনা কুকুর। বন্ধু দিবসে আমার প্রিয় সানকিরের দুঃখঘাথা লিখলাম। এই তার প্রতি আমার বন্ধু দিবসের উপহার।]

এক

চার পাশে মেকী অন্ধকার নামছে। মন ভালো নেই। উঠোনে বসে বসে অযথা সময় নষ্ট করছি। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা প্রবাদ শুনে শুনে বড় হয়েছি। প্রবাদটা অবাস্তব এমন একটা বিশ্বাস মনে দানা বাঁধছে।কারণ অনেক্ষন অলস বসে থাকার পরও কোন দুষ্টু বুদ্ধি মনে খেলছেনা। হাতে একটা কাপ। কাপে চা। রং চা। শুধু লিকার। তেতো বিচ্ছিরি একটা টেস্ট। আমার ডাক্তারি মানা নেই সুগার খেতে। তবু এ অখাদ্যটা আমার প্রিয়। বাম হাতে পাউরুটি। খেতে ইচ্ছে করছেনা।

একটা স্ব্যাস্থবান কুকুর আমার চারপাশে লাটিমের মতোন ঘুরছে। তার জ্বল জ্বল চোখের নিবিষ্ট দৃষ্টি পাউরুটির উপর। জিব থেকে খসে পড়া লালাও হয়তো এই রুটির লোভে! আমার নিঃশ্বাস দূরত্বে পাউরুটি ছুড়ে ফেলি। অমনি ছুঁ মেরে পাউরুটি মুখে দূরে সরে গেল কুকুর মহাশয়। তৃপ্তি ভরে গিলছে আর মাঝে মাঝে আমার উপর মায়াবী দৃষ্টি ফেলছে। যেন সে বোঝাতে চায়ছে আমিই তার সব! খাওয়া শেষ সাময়িক অনুগত, অনুরক্ত কুকুরের। আমাকে পৃষ্ট প্রদর্শনে অন্য কোন খাবারের অন্বেষায় পথ চলা শুরু করেছে সে। আজন্ম বাঁকা লেজ নেড়ে নেড়ে গুটি গুটি পায়ে একপ্রকার পালিয়ে যাচ্ছে কুকুরটি। এতো হাক ছাড়লাম তবু পেছন ফিরার টাইম পেলোনা সে! বড় ব্যাথা পেলাম। আমার প্রোসেনসেফালনের থ্যালামাস আপাতত তায় জানান দিচ্ছে। আমার হৃদয়ের বেদনার নীল ছড়িয়ে পড়েছে আকাশে। তায় বুঝি অভ্রের আড়ালে মুখ লুকিয়েছে চাঁদবন্ধু।

দুই

রাতের দিকের ঘটনা। আমার সবচে কাছের বন্ধু এসেছে গল্প করতে। তাহের মানিক। প্রায় আসে ও। ছাদে দু'জনে মিলে জমিয়ে আড্ডা দিই। ওকে আজ ভীষণ মনভাঙা মনে হচ্ছে। আমার জোরাজোরিতে ও মুখ খুল্লো।

একটি মেয়ে ওর সাথে তিন বছর সম্পর্ক করেছে। যে সম্পর্কটাকে আমরা বিবাহপূর্ব প্রেম-ভালবাসা বলি। তাহের প্রচন্ড ভালবাসতো মেয়েটাকে। কিন্তু ললনা শুধু নাটক করে গেছে। আমার স্বচক্ষে দেখা ঘটনা। তাহের ওর জন্যে যখন মূল্যবান গিফ্ট দিতো তখন ভালবাসার কতো ঢঙই না মেয়েটা দেখাতো! ইদানিং তাহেরের পরিবারে টানা-পোড়ন চলছে। তেমন হাত-খোলে খরচও করতে পারেনা। হিসেব করে চলতে হয়। এই সুযোগে মেয়াটা অন্য ছেলের হাত ধরে চলে গেছে। তাহেরের অশ্রুসিক্ত লোচন, হৃদয়ের গভীর আহ্বান আর নিখাদ ভালবাসা কোন কিছুই কাজে আসেনি। সম্পর্কের ষোলআনা বিয়োগ করে সে চলেই গেলো!

কথাগুলো শূনে বেদনার নীলে কাপুকাত আমি। দু'জনের চোখ ছিঁড়ে নামছে গভীর ক্রন্দন। এই নীরব কান্না কেউ শুনবেনা।সপ্তাকাশের উপরের বিধাতা জানার কথা। তিনিইতো কলকাড়ি নাড়ছেন। আর নিস্তব্ধ এ রজনী সাক্ষী হয়ে থাকবে অনন্তকাল।

তিন

ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। বালিশে মাথা রেখে ছাদের দিকে অপলক তাকিয়ে আছি। ঘুম আসছেনা। অগ্রমস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস একটা চিরসত্য ডাটা পাঠিয়েছে মনে...

‍দিল্লীকা লাড্ডৃ। খায়েগি তো পস্তায়েগি, নেহী খায়েগী তোবী পস্তায়েগি। এ ব্যাপারে আমাদের গরীবদের নিজস্ব তথা পার্সোনাল একটা প্রবাদ আছে, ঝাল মুড়ি। খেয়েছো তো মরেছো, খাওনেতো তারপরেও মরেছো। মেয়েদের দিল্লীকা লাড্ডু আর গরীবকা ঝাল মুড়ির সাথে তুলনা করা যায় বৈকি?

না না না। এ ডাটা কেন্সেল। নতুন ডাটা আপডেটিং ...

বর্তমান যুগের মেয়েরা সন্ধাবেলায় দেখা সাময়িক অনুগত, অনুরক্ত কুকুরের মতোন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

লেখোয়াড় বলেছেন:
"বর্তমান যুগের মেয়েরা সন্ধাবেলায় দেখা সাময়িক অনুগত, অনুরক্ত কুকুরের মতোন"

............ কথাগুলো ঠিক না। মানতে পারলাম না।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

রায়হানা তনয় দা ফাইটার বলেছেন: দেখোন আমি কাউকে আঘাত করতে চাইনি। আপনি সতর্কীকরণটি পড়ুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.