নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইবনে শামস

রায়হানা তনয় দা ফাইটার

আমি। কেউ না। তবে মাঝে মাঝে আমার দুষ্ট মনটা কানে কানে এসে বলে, তুমি মহাকালের উচ্ছল সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো এক কচুরিপনা । কালের ঊর্মিমালার সাথে সাথে নাচা ছাড়া তোমার আর কোন কাজই নেই.....

রায়হানা তনয় দা ফাইটার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুমরাহ বাঙালী ...(১)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

আমরা বাঙালীদের হেয়ালী স্বভাবটা গর্ব করার মতো।

হুটহাট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। পরবর্তীতে দেখা যাবে তার বাস্তবায়নের ব-ই বাস্তবতার মুখ দেখছেনা। ঈদের আগ থেকে স্টার জলসা কে কেন্দ্র করে কতো নাটক। আত্মহত্যা, ডিবোর্স আরো কতো কি। এতো সবের মারপ্যঁচে পড়ে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলো এ চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দিবে। আশার আলো দেখতে পেয়েছিলাম। তরুণ প্রজন্ম স্বকীয় সংস্কৃতির পরশ পাবে এ আশায়। কিন্তু না। তা আর হচ্ছে কৈ? কাঙ্খিত সে ছ'তারিখ পর হয়ে গেছে এখনো বাসায় সবায়কে ফূর্তিতে স্টার জলসার সিরিয়াল দেখতে ব্যস্ত দেখছি। তাহলে এ কি শুধু ছেলে ভুলানো পদ্য ছিলো! মেঝো ভাই এক সময় বলেছিলো, পাখি ড্রেসের জন্য সুইসাইডটা একটা প্রসপেকটাস বা বিক্রেতার মার্কেটিং ছিলো। বিশ্বাস হচ্ছিলোনা। খোঁজ খবর নিয়ে দেখি হাছা কথা ছিলো ওটা। কিন্তু সরকার এখন এ চরম হাছা কথাটাকে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যাটাকে মার্কেটিং হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য করছে। মেঝো ভাই আরেকটা তথ্য দিয়েছিলো। দশ বারো বছর আগের। তখনো আওমীলীগ সরকার ছিলো। স্টার জলসা অফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো তখনো। কিন্তু আমার দেশের মা-বোনরা তাদের হৃদয় কন্দরে এ আঘাত সহ্য করতে পারেনি। তাই ঝাড়ু মিছিল করেছিলো রাস্তায়। ঢাকার রাজপথে। সরকার কি সে ঝাড়ু মিছিলের ভই পাচ্ছে? নাকি বন্ধু দেশ ভারতের চোখ রাঙানিতে ভয় পেয়েছে বোঝতে পারছিনা। যদি ভারতের রক্ত চক্ষুকে ভয় পায় তাহলে আরেকটা সন্দেহ মনে দানা বাঁধতে চায়ছে। জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে যে বিচার করা হয়েছে তাতে তো ভারতের বড় দাদারাও নাখোশ ছিলো। তাহলে কি মুক্তিযোদ্ধের মুখোশ পরে তাদের কোন ফায়দার পথ সাফ করেনিতো তারা? এটা সত্য হলে দেশ ও জনগন তাদের ক্ষমা করবে না। এক লাথিতে তো আর ফুটবল ম্যাচ শেষ হয় কি? এ কথা বলায় আমারো ভয় করছে। সরকার না আবার আমাকে যুদ্ধাপরাধী বানিয়ে দেয়? আমার জন্ম যদিও ১৯৯৬ এ। তারপরেও সরকার চায়লে কি না পারে? দেখা গলো আমার জন্মসাল যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় পরিণত হলো ১৯৮০। খুব মজা পাবো তখন। এ প্রেক্ষিতে একটা কাহিনী মনে পড়ে গেলো।

এক হরিণ বাঘের এলাকায় এসে ঘুরছিলো। কয়েকটা বাঘ এসে ছুটানো শুরু করলো তাকে। বেচারা হরিণ দৌড়াতে দৌড়াতে শেষ ধরা দিলো। কাকুতি মিনতি করে বল্লো, দাদা আমার অপরাধ কি ছিলো?

-তুই আমাদের পুকুরে নেমে পানি খেয়েছিস, দাদাদের উত্তর।

-দাদা এ তো মিথ্যে অপবাদ। আমিতো খায়নি?

-তুই খাসনি তো কি হয়েছে? তোর বাপ তো খেয়েছিলো?

-না না, আমার পিতাও তো খায়নি।

-তায়লে তোর দাদা খেয়েছে।

-না তো?

-তায়লে তোর পরদাদা।

-না ওনিও খায়নি।

-তোর গোষ্টির কেউ একজন খেয়েছিলো। বেসি বাচলামি করিসনা। এখনই গাঢ় মটকাবো শালা।..

(চলন্ত রেলরে প্রথম বগি... অপেক্ষায় থাকুন আরো কীর্তি নিয়ে হাজির হবো...)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.