নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইবনে শামস

রায়হানা তনয় দা ফাইটার

আমি। কেউ না। তবে মাঝে মাঝে আমার দুষ্ট মনটা কানে কানে এসে বলে, তুমি মহাকালের উচ্ছল সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো এক কচুরিপনা । কালের ঊর্মিমালার সাথে সাথে নাচা ছাড়া তোমার আর কোন কাজই নেই.....

রায়হানা তনয় দা ফাইটার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেশ্যার বকবকানি

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪১

“আমি প্রত্যেকের দুর্দশা দূর করবো। ভালবাসা
বিলিয়ে দিবো সকলের মাঝে।” - নেতার উচ্ছ-কন্ঠ
বয়ান ছড়িয়ে পড়ছে জন-সমুদ্রের কানায় কানায়।
মাইকের সুবিধায় অজানা কোন দরিদ্র কুঠিরেও হয়তো
কড়া নাড়ছে নেতার আশা-বাণী? যে ঘরে রোজকার
খাবার মিলেনা ঠিক মতো। অভাবের ভাব লুকাতে মারধর
করে অবুঝ শিশুকে তার মা। ছেলেকে নির্লজ্জের মতো
বলে, ওই যে মাইকে চিল্লাচ্ছে? মানুষটারে চিনস? ছেলের
প্রশ্নবোধক দৃষ্টির জবাবে মা একগাল হেসে বলে, তোর বাব।
ছেলে পৃথিবীর সব ঘোর এনে চোখে ঢেলে তাকিয়ে দেখে মাকে।
এ যেন অশ্রু নয় আগ্নেয়গিরীর উচ্ছৃঙ্খল, বেয়াডা আর বিপ্লবী লাভা।
মা আবার বলে, একিন হয়না? চল। ছোকরা বাধ্য মেষের মতো
জননীর পিছু পিছু চলে। মা-ছেলের অভেদ বন্ধন সমাবেশের কল্লোল
ছেদে এগিয়ে চলছে উদ্ধত জনমানবের ফ্রন্ট পেইজে। অবলার বিষভরা
লোচন দেখে ভটকে গেছে নেতা। ঘন ঘন নজর নামছে জমিতে।
হুঙ্কার ছাড়ে নারী, ওই থামা তোর নীতি বাক্য। এই যে মিড়িয়ার ভাইজান,
এদিকে ফিরেন। যে শালা আজ এখানে মিষ্টি কথার খই ফোটাচ্ছে; উনি
যে গতরাতে আমার বেডে মধুর বুলির রস জমিয়েছে সে খেয়াল আছে?
এ ছোকরা তো ওই শালারই। ক্ষমতার বল দেখিয়ে থামিয়ে রেখেছে।
কিচ্ছু বল্লেই বলে আমি নাকি বেশ্যা। টাকার জন্যে শরীর বেচি।
ওই শালা, আমরা যদি শরীর বেচার দায়ে বেশ্যা লকব পাই; তাইলে
তোরা আমাদের কাছে শরীর বিলাতে উল্টো টাকা দেস; এই দায়ে
তোদের কী খেতাব দিবো বল? যা, আজ থেকে তোরা কুথ্যা। এদিকে
আমরা না খেয়ে মা-ছেলে মরছি আর কুথ্যা নাকি দুর্দশা দূর করবে?
নীরব জন সমুদ্র প্রলয় বীণা বেজে উঠে। নেতা হাক ছাড়ে, ওই
বেশ্যার বকবকানি বন্ধ কর। চার্জ এন্ড টেইক ইমিডিয়েট অ্যাকসেন।
ফেফাতুড়া নেতার আদেশে ছুড়ে গুলি। তা-বে ভরে উঠে প্রাঙ্গন।
মঞ্চের জমকালো সাজে লাগে রক্তের দাগ। ভ্যাবাচেকা লাগা ছেলের
মৃতদেহের উপর বুটের শব্দ আর বেশ্যার শবের উপর ইটের দেহ
ছাড়া আর কিচ্ছুটি রইলোনা মাটির বুকে। জমানো দুঃখ জমাই রয়ে
গেলো। দেশমাতৃকার মন-গগন হতে কৃষ্ণ মেঘের ছায়া আর সরানো
গেলোনা।হে স্বাধীনতা, পূজা করতাম তোরে। এই যদি তোর ফল?
তাহলে ফিরিয়ে দে পরাধীনতার শৃঙ্খল নতুবা নিয়ে ছু মেরে যা ঘৃণিত জীবন।
হে গণগন্ত্র, তোর গীত গাইতাম। এই যদি তোর সা-রে-গা-মা-পা হয়,
নে; ছিড়ে জলাঞ্জলি দিলাম কন্ঠ নালী। গাইবোনা আর তোর গীত।
এই শপথ করলামজন্মভূমির মাটি আলিঙ্গন করে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

নিলু বলেছেন: লিখতে থাকুন ভাই

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

রায়হানা তনয় দা ফাইটার বলেছেন: চেষ্টা করছি। নিলু আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.