নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইবনে শামস

রায়হানা তনয় দা ফাইটার

আমি। কেউ না। তবে মাঝে মাঝে আমার দুষ্ট মনটা কানে কানে এসে বলে, তুমি মহাকালের উচ্ছল সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো এক কচুরিপনা । কালের ঊর্মিমালার সাথে সাথে নাচা ছাড়া তোমার আর কোন কাজই নেই.....

রায়হানা তনয় দা ফাইটার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসার দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধান অনির্ণেয়...

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

অকুস্থল : ফেসবুক। দূরালাপনী। চট্টগ্রাম-২নং গেইট (মসজিদ গলি)। চমক।
ভাবনার অনুঘটক (যাদের কাছে আমি ঋণী) : হালজমানার রাজকুমার আর রাজকুমারী।
অনুপ্রেরণায় : মস্তিষ্কের সব চেতনা।
[ পৃথিবীর ইতিহাস নাতীদীর্ঘ কোন উপন্যাস নয়। অসমাপ্ত অযুত কাহিনীর পুঞ্জিভূত কিতাব এটি। যার পাতাতে পাতাতে অমর প্রেম-কাহিনীর অমরাবিন্যাস। ইউসুফ-যুলেখা, লায়লা-মজনুর সবক পড়তে পড়তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তরুণ পাঠক। ব্রিটিশদের উদযাপন প্রক্রিয়ার ঠেলায় ভ্যালেন্টাইন পালন করে প্রাণভরে; কিন্তু তাদের অমর উপখ্যান অপঠিতই রয়ে যায়। তরুণ ভ্যালেন্টাইনের সবচে বড় দুঃখ, বর্তমানের রমনীরা সেই অক্ষয় ইতিহাসের সুপাঠ নেয়না। বরং মেকী ভালবাসার রঙ্গ প্রদর্শন তাদের মগজে গেড়ে বসে। তেমনি এক সত্য উদ্ঘাটনের ক্ষুদ্র প্রয়াস এটি।]

এক
“ভাল ছেলে এমন একটা সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে স্কুলে। নিজেরও ভাল লাগতো তকমাটা। সবার আমাকে অনুকরণেচ্ছা আমার গভীরের সুষুপ্ত গর্ববোধটাকে টেনে টুনে বের করে আনতে চায়তো বুকাবরন ছিড়ে। তবু দমিয়ে রাখতাম। মেয়েদের সাথে বাকচিত করা ছিলো আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে সবচে বাজে এবং গর্হিত কাজ। এত্তোগুলো ছেলে-মেয়ের মাঝে কারো সাথে আমার ন্যুনতম সখ্যতা গড়ে উঠেনি। এভাবেই চলছিলো স্কুল-জীবন। সবাই দিব্যি দেখছিলো আমার উজ্জল ভবিষ্যত। বলা যায় আমার জীবনের সোনালী অধ্যায়ে ছিলাম। ম্যাট্রিকের শেষের দিকে পরিচয় ফেসবুকের সাথে। অবসর সময়টা ওখানে পাস করে দিতাম। ফেসবুক ব্যবহাওে তেমন অভিজ্ঞ ছিলাম না। বন্ধুর সংখ্যা গুনে গুনে চারজন। ইয়ারদের আড্ডার মূল বিষয়বস্তু থাকতো কার এফবি বন্ধু কতো বেশী। এ একটা জায়গায় ওদের কাছে মার খেয়ে যেতাম চরমভাবে। কিন্তু হেরে যাওয়া আমার সহ্য হতো না। বন্ধুর সংখ্যা বাড়ানোটা আপাতত লক্ষ্য হিসেবে সেট করে নিই মস্তিষ্কে। রাতদিন পরে থাকতাম আর ঘন ঘন ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাতাম। তবে তেমন কারো সাখে চ্যাট হতো না। বাস্তবিক পক্ষে তখন চ্যাট কি চিজ বুঝতামই! ঊন্ধুরা যখন বলতো- আজ ওর সাথে, গতপরশু তেনার সাথে চ্যাট করেছি- তখন বোকা গণেশের মতো মুখে হাত রেখে ভাবতাম, এ চিজ খায় না গায়ে দেয়? সময়ের সাথে সাথে ফেসবুকীকরণের মন্ত্রগুলো রপ্ত করি। অনেক বকবকানি হলো। এখন মূল প্রবাহে চলি।
ইন্টার পড়ছি এখন। ইদানিং কালের সমাচার। অনেকটা অম্ল-ক্ষারের মিশ্রণের মতোই সুখ-দুঃখের মিশ্রণ এটি। ঘটনার গোড়া থেকে সাজাতে গেলে কয়েক মাস পেছনে দৌঁড়াতে হবে। তাই করি।

[ চলবে ]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.