নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইবনে শামস

রায়হানা তনয় দা ফাইটার

আমি। কেউ না। তবে মাঝে মাঝে আমার দুষ্ট মনটা কানে কানে এসে বলে, তুমি মহাকালের উচ্ছল সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো এক কচুরিপনা । কালের ঊর্মিমালার সাথে সাথে নাচা ছাড়া তোমার আর কোন কাজই নেই.....

রায়হানা তনয় দা ফাইটার › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপান্তর

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০০

এক বেজন্মা পুরুষকে রূপসী রাজকন্যা বিয়ে করছে। ছিঁ ছিঁ করছে সবাই যারা একটু আগেও রাজার ন্যায়পরায়নতা আর রাজকন্যার রূপের চর্চা করছিলো। দেশে মরদের তাহলে অভাব পড়েছে? নাকি কোন রাজপুত্তুর রাজকন্যার গোপন কোন অভিসার বা ত্রুটির খবর পেয়েছে? দেশজুড়ে সবার মুখে মুখে এমনসব কথারই চর্চা চলছিলো তখন। রাজকন্যা বলে কেউ আঙুল তুলতে পারছেনা আবার অধর্ম বলে কেউ পারছেনা সয়তে। কারণ কেউ বিশ্বাসই করতে চায়ছেনা তার মানুষে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনা।
সে অনেক আগের কথা। হয়তো তোমাদের কারো জন্মই হয়নি তখনো। বলা যায় প্রাগৈতিহাসিক যুগের সত্য কোন কাহিনীর উপর ঠেক দিয়ে আমাদের কান অবদি এসেছে গপ্পটা। বুঝলে দাদু ভাই? আমার নাতনীর এ একটা ভেখ দেখতে দেখতে বোধহয় আমার প্রাণ যাবে। সে কিছু বুঝোক আর নাইবা বুঝোক এমনভাবে মাথা নাড়াবে যেন সে আমার চেয়ে বেশী বুঝেছে। যাক ওর হাসিটা কিন্তু দারুণ। কোন রমনী দেখলে নিশ্চত পটবে।
এক যে ছিলো রাজ্য। চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। হলুদ আর হলুদ। যেন সবুজ আর হলুদ পরীদের আড্ডাখানা। আর উপরের সামিয়ানাটা বড়ই বর্ণলোভী। এই সাদা তো এই কালো। এই নীল তো এই ফ্যাকাশে। এই হাসে তো্ এই কাঁদে। সে রাজ্যের ছিলো এক রাজা। এত্তো মোটা আর এত্তো বেটে। বুঝলে দাদু ভাই যেন তোমার বয়সে তার মাথায় বাজ পড়েছে আর অমনি সে চেপ্টা হয়েছে তো হয়েছ আর লম্বা হয়নি। সেই রাজার ছিলো এক পরীর মতো কন্যে। তোমার দাদীমা যখন ডিম ভাজে তখন ডিমকে দেখতে যেমন শুভ্র দেখায় তেমনই শুভ্র ছিলো সে রাজকন্যা।
আচ্ছা তায়? আমার দাদীমা তো তার চেয়ে ঢের শুভ্র দাদু। এ আর অমন কি সুন্দরে কুলাচ্ছে না?
পাকামো একদম করবেনা নিবৃত। গল্প শুনতে ইচ্ছে করলে শুনো নয়লে ভাগো। আর তোমার দাদু কী এমন দেখতে ভালো। একটা পেত্নী বল্লেই সারে। আচ্ছা শুনো, তার এই লম্বা কুন্তল। সে যখন স্নান সেরে ডাঙায় উঠতো তখন পুরো পৃথিবী জুড়ে মেশকে আম্বরের খুশবু ছড়িয়ে পড়তো। রাজকন্যার ছিলো ভ্রমণে ভীষণ ঝোঁক।
একদা রাজকন্যা বেরুলো শিকারে। গভীর অরন্যের নীরব পথের উপর কদম ফেলছে। দেখছে কোন শিকার পায় কিনা? ঝোপঝাড় আর নীরবতার ভয়াল হু হু ধাক্কা সে ভালই উপভোগ করছে। অনেক্ষন পর লক্ষ করলো কেউ একজন তাকে অনুসরণ করছে। তোমার বন্ধু কাউছার যেমন মেয়ে দেখলে ঘুরঘুর করে এমনই কেউ। তবে রাস্তায় নয়। সে আসছে গাছে গাছে চড়ে রাজন্যার পিছু পিছু। রাজকন্যার মনে ভয় দানা বাঁধছে একটু একটু করে। আর অল্পকিছুদুর যেতেই এক দস্যু দল ঘিরে দরলো রাজকন্যাকে। অমনি ভয়ে বেহুশ হয়ে পড়লো মাটিতে। ফলোআর হনুমান সাহেবের তো রক্ত মাথায় উঠে যায় তড়িৎ বেগে। সে এক মহারণ।
যখন রাজকরন্যার জ্ঞান ফিরে তখন তার চার পাশে ঘন অন্ধকার। অদুরে জলছে আগুনের মশাল। আবছা আলোয় তার নজরে আসে তার পায়ের কাছে এক সুঠামদেহী পুরুষ বসে আছে। তার দেহে লেপ্টে থাকা রক্তের দাগ বলছে মরণপণ যুদ্ধে নেমেছিলো সে্। বীরের পাশে পড়ে আছে তার খন্ডিত লেজ আর খোলস।যুদ্ধে হনুমান তার লেজ বিসর্জন দেয়।
তার মাঝে তো মানবিকতা থাকার কথা না। তাহলে এতোসব করলো কেন? রাজকন্যা একবার ভাবলো জিজ্ঞেস করবে আবার চিন্তা করছে থাক। অবশেষে জিজ্ঞাসা করেই বসলো। রমনীর অবুঝ মন বলে কথা। হুনুমান অবুঝের মতো্ কথা না পেঁচিয়ে সোজাসাপ্টা বলে দিলো, আমি না আপনাকে ....। আপনার প্রতি আমার ভলবাসার গভীরতা দেখে আমার প্রভু আমাকে আপনার জাতে রূপান্তরিত করেছে। রাজকন্যার চোখ থেকে বিষ্ময়ের ঘোর কাটছেই না। ......
দাদা তুমি হঠাৎ চুপ মেরে গেলে কেনো?
কিচ্ছুনারে বোকা। দাদা তখন আমার গালে চুমু খেতে খতে বলে গেলো, আমি হলাম সেই হনুমান আর সে রূপসী রাজন্যা ছিলো ডিমের কুসুমের মতো সুন্দর তোর দাদীমা... বুঝেছিস?সে অনেক আগের কথা। হয়তো তোমাদের কারো জন্মই হয়নি তখনো। বলা যায় প্রাগৈতিহাসিক যুগের সত্য কোন কাহিনীর উপর ঠেক দিয়ে আমাদের কান অবদি এসেছে গপ্পটা। বুঝলে দাদু ভাই? আমার নাতনীর এ একটা ভেখ দেখতে দেখতে বোধহয় আমার প্রাণ যাবে। সে কিছু বুঝোক আর নাইবা বুঝোক এমনভাবে মাথা নাড়াবে যেন সে আমার চেয়ে বেশী বুঝেছে। যাক ওর হাসিটা কিন্তু দারুণ। কোন রমনী দেখলে নিশ্চত পটবে।
এক যে ছিলো রাজ্য। চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। হলুদ আর হলুদ। যেন সবুজ আর হলুদ পরীদের আড্ডাখানা। আর উপরের সামিয়ানাটা বড়ই বর্ণলোভী। এই সাদা তো এই কালো। এই নীল তো এই ফ্যাকাশে। এই হাসে তো্ এই কাঁদে। সে রাজ্যের ছিলো এক রাজা। এত্তো মোটা আর এত্তো বেটে। বুঝলে দাদু ভাই যেন তোমার বয়সে তার মাথায় বাজ পড়েছে আর অমনি সে চেপ্টা হয়েছে তো হয়েছ আর লম্বা হয়নি। সেই রাজার ছিলো এক পরীর মতো কন্যে। তোমার দাদীমা যখন ডিম ভাজে তখন ডিমকে দেখতে যেমন শুভ্র দেখায় তেমনই শুভ্র ছিলো সে রাজকন্যা।
আচ্ছা তায়? আমার দাদীমা তো তার চেয়ে ঢের শুভ্র দাদু। এ আর অমন কি সুন্দরে কুলাচ্ছে না?
পাকামো একদম করবেনা নিবৃত। গল্প শুনতে ইচ্ছে করলে শুনো নয়লে ভাগো। আর তোমার দাদু কী এমন দেখতে ভালো। একটা পেত্নী বল্লেই সারে। আচ্ছা শুনো, তার এই লম্বা কুন্তল। সে যখন স্নান সেরে ডাঙায় উঠতো তখন পুরো পৃথিবী জুড়ে মেশকে আম্বরের খুশবু ছড়িয়ে পড়তো। রাজকন্যার ছিলো ভ্রমণে ভীষণ ঝোঁক।
একদা রাজকন্যা বেরুলো শিকারে। গভীর অরন্যের নীরব পথের উপর কদম ফেলছে। দেখছে কোন শিকার পায় কিনা? ঝোপঝাড় আর নীরবতার ভয়াল হু হু ধাক্কা সে ভালই উপভোগ করছে। অনেক্ষন পর লক্ষ করলো কেউ একজন তাকে অনুসরণ করছে। তোমার বন্ধু কাউছার যেমন মেয়ে দেখলে ঘুরঘুর করে এমনই কেউ। তবে রাস্তায় নয়। সে আসছে গাছে গাছে চড়ে রাজন্যার পিছু পিছু। রাজকন্যার মনে ভয় দানা বাঁধছে একটু একটু করে। আর অল্পকিছুদুর যেতেই এক দস্যু দল ঘিরে দরলো রাজকন্যাকে। অমনি ভয়ে বেহুশ হয়ে পড়লো মাটিতে। ফলোআর হনুমান সাহেবের তো রক্ত মাথায় উঠে যায় তড়িৎ বেগে। সে এক মহারণ।
যখন রাজকরন্যার জ্ঞান ফিরে তখন তার চার পাশে ঘন অন্ধকার। অদুরে জলছে আগুনের মশাল। আবছা আলোয় তার নজরে আসে তার পায়ের কাছে এক সুঠামদেহী পুরুষ বসে আছে। তার দেহে লেপ্টে থাকা রক্তের দাগ বলছে মরণপণ যুদ্ধে নেমেছিলো সে্। বীরের পাশে পড়ে আছে তার খন্ডিত লেজ আর খোলস।যুদ্ধে হনুমান তার লেজ বিসর্জন দেয়।
তার মাঝে তো মানবিকতা থাকার কথা না। তাহলে এতোসব করলো কেন? রাজকন্যা একবার ভাবলো জিজ্ঞেস করবে আবার চিন্তা করছে থাক। অবশেষে জিজ্ঞাসা করেই বসলো। রমনীর অবুঝ মন বলে কথা। হুনুমান অবুঝের মতো্ কথা না পেঁচিয়ে সোজাসাপ্টা বলে দিলো, আমি না আপনাকে ....। আপনার প্রতি আমার ভলবাসার গভীরতা দেখে আমার প্রভু আমাকে আপনার জাতে রূপান্তরিত করেছে। রাজকন্যার চোখ থেকে বিষ্ময়ের ঘোর কাটছেই না। ......
দাদা তুমি হঠাৎ চুপ মেরে গেলে কেনো?
কিচ্ছুনারে বোকা। দাদা তখন আমার গালে চুমু খেতে খতে বলে গেলো, আমি হলাম সেই হনুমান আর সে রূপসী রাজন্যা ছিলো ডিমের কুসুমের মতো সুন্দর তোর দাদীমা... বুঝেছিস?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.