নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইবনে শামস

রায়হানা তনয় দা ফাইটার

আমি। কেউ না। তবে মাঝে মাঝে আমার দুষ্ট মনটা কানে কানে এসে বলে, তুমি মহাকালের উচ্ছল সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো এক কচুরিপনা । কালের ঊর্মিমালার সাথে সাথে নাচা ছাড়া তোমার আর কোন কাজই নেই.....

রায়হানা তনয় দা ফাইটার › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্মাদের বকবকানি

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

বলেছিলাম তোকে,
আমাকে একটা গুধুলিহীন বিকেল দে;
আমি সহস্রাব্দের বিকেলের গুধুলি চুরি করে ঐ বিকেল সাজাবো।
বলেছিলাম তোকে,
আমাকে একটা মোলায়েম আলোর সন্ধ্যা দে;
আমি সব সন্যাসীর সন্ধ্যা প্রদীপের নিয়ন আলো চুরি করে সে সন্ধ্যা রাঙাবো।
বলেছিলাম তোরে.
আমাকে একটা গভীর রাত দে,
আমি অযুত রাতের ক্লান্তি লুটে তোর চোখে শান্তির নিদ্রা নামাবো ঐ রজনীর কোলে।
বলেছিলাম তোরে,
কিচ্ছু লাগবে না স্রেফ একটা ভোর দে;
আমি অগণিত জনমের সুখ পার্সেল করবো তোর হৃদয়ে সেই ভোরে।
ধল পহরের স্নিগ্ধ হাওয়া হবে সে সুখের প্রচ্ছদ আর পাকপাখালির সুর
হবে সে ভোরের গান। তোর চোখ থাকবে পিউরিটের পানির মতো সচ্ছ।

তুই যখন কিচ্ছুই দিতে পারছিলিসনা
তখন অসহায়ের মতো আমি বলেছিলাম তোরে,
এক লামহা থাক তুই আমার পাশ ঘেষে।
আমি সম্পর্কটা বাঁচাবো; আমার সন্তানদের মানুষ করবো।
তুই ছাড়া যে আমি একলা এত্বোসব সামলাতে পারবোনা?

আমার অসহায় প্রশ্ন, অবাক দৃষ্টি আর অবুঝ নয়নজল কিচ্ছুরই তুই তোয়াক্কা করলিনা?
পর পুরুষে তোর মন এতোই মজেছে? তোর জরায়ু ছিঁড়ে আসা আমার নয়নের পুত্তলিও
তোর বাক ফিরাতে অপারগ আর অসার হয়ে পড়লো তোর যুক্তির কলষিত দেয়ালে?

[ " কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে/ভাই বলে ডাকো যদি দেব গলা টিপে। হেনকালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা/কেরোসিন শিখা বলে, এসো মোর দাদা। " জীবনের পরতে পরতে বন্ধু এসেছে। প্রথম ভাবতাম কাউছার আমার শ্রেষ্ট বন্ধুদের একজন। এরও অনেক আগে ভাবতাম রফিক আমার প্রিয় সানকির। দু'জনের মাঝে সার্থরপরতা আর হীনমন্যতা পাহাড়ে রূপান্তরিত হয়েছে বহুত আগে। সময়ের বিবর্তনে মামুন নামের এক বন্ধু আমার জীবনে এসেছিলো। এখন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সপোমোর। গতকাল তার জন্মদিন ছিলো। ভালোই মজা করেছে সে তার বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে। আমার হয়তো ওর বার্থডে পার্টিতে যাওয়ার মতো যোগ্যতা হয়নি এখনো। তাই বলেনি। বন্ধু আমার ভাল থাকিস তুই। সুন্দর আর আলোকিত হোক তোর হায়াত। আর সবচে' বড় কথা এখন আমি বাইরের দুনিয়ার কাউকে বিশ্বাস করার মতো সাহস লালন করিনা। তবে জান্নাত আর মানিক ( চাচা ) এ দু'জন কলিজার ভেতরে ঢুকে বসে আছে। এরা অনেক আপন আর হৃদয়ের কাছেরজন। এদের দু'জন হয়তো আমৃত্যু আমার পাশে থাকবে। সুখে-দুখে তাদের উপস্থিতি আমার আনন্দ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়াবে আর দুঃখ পালাবে তড়িৎ বেগে। এমনটাই আশা রাখি, বিশ্বাস করি। এদের একিন করার একটাই কারণ। এরা আমার বাইরের দুনিয়ার কেউ নয়। সহস্র মহুর্তের ধ্যানমগ্ন সঙ্গমে আমার হৃদআকাশে জন্ম নেয়া দু'টি জ্বলজ্বলে নক্ষত্র। হৃদয় ভেতরের দুনিয়ারই অবিচ্ছেদ্য অ্ংশ নয়কি? ]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.