নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পরাজিত হইনা, হয় ব্যর্থ হই নয়তোবা শিখি, পরাজয় মানেই তো শেষ, আমি জয়ী হতে চাই, তাই আমার কাছে শেষ তখনি যখন শেষ বলার মতোও কিছু না থাকবে, আর তা হচ্ছে জীবনের সমাপ্তি, আমি চেষ্টা করতে পছন্দ করি, এবং যুদ্ধ আমার প্রিয় সখ, ব্যর্থতা আমার ভালবাসা।

রাজিব ওয়াহিদ

রাজিব ওয়াহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আই সি সি বলতে কিচ্ছু নেই সবই হচ্ছে আমাদের দেশকে হারানোর ধান্দা

১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৯

বাংলাদেশ হারেনি হেরেছে
বিশ্ব বিবেক।
বাংলাদেশ ক্রিকেট কে যে
ইন্ডিয়া কতটা ভয় পায় তা আজ
নিজ
চোখে দেখলাম।
খেলার শুরু থেকেই
আম্পায়ারের
হালকা পাতলা পক্ষপাতিত্ব
ভেবেছিলাম নেহাতই ভুল!
আসলেই কি ভুল ছিল?
ক্রিজে তখন রোহিত শর্মা, বল
হাতে
ছুটে এলো ক্ষিপ্র গতির বোলার
রুবেল
হোসেন।
বলটা ডাইরেক্ট পড়লো অপর
দিকে
রোহিত শর্মা বেট ঘুরালো।
আউট,,, আউট,,, বলে হয়তো
ততক্ষণে
অনেকেই নেচে উঠলো। রানের
খাতা তখন ১৯৬/৩ উইকেট। এই
উইকেট সহ
উইকেট সংখ্যা ৪।
সারা বিশ্ব দেখলো আউট ।
আমরা
দেখলাম আউট।
কিন্ত কি হলো?
"নো" বল দেয়া হলো।
দেখে যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না!
এটা
কি ছেলে খেলা? অই উইকেট
টা
বাংলাদেশের জন্য কতটা
গুরুত্বপূর্ণ
ছিল একবার ভাবতে পারেন?
আর
উইকেট টা তো ন্যায্য ছিল!
বড় বড় ব্যক্তিরা পর্যন্ত
সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে
দাবী
করলো নো বল দেয়া ঠিক হয়
নি!
প্রশ্ন হচ্ছে এ দুজন আম্পায়ার
কি তবে
চোখে দেখেনা অথবা কম
দেখে?
ভুল এক জনের হতে পারে তবে
অপরজন
কি কিছু বলতে পারেনি?
একজন জাতে পাকিস্তান
আরেকজন
ইংরেজ।
তবে কি এদের জাতের দোষ
দেব? এই
কলুষিত জাত গুলোর রক্তে
মিষে
আছে বুড়িগঙ্গার পানি।
এরপর কি দেখলাম?
রোহিত শর্মা গুড়িয়ে দিল
পুরো
ম্যাচ!
অই আউট টা দিলে খেলার
স্কোর
ভিন্ন হতে পারতো! হয়তো
ম্যাচ টা
বাংলাদেশের হাতেই পড়তো।
তাও মেনে নিলাম। টার্গেট
আমাদের ৩০৩ রান।
বুক ভরা আশা। নিশ্বাসে ছিল
জয়ের
স্বপ্ন ।
এই বিশ্বকাপেই এর চেয়ে বড়
রান চেজ
করে জিতেছি আমরা তাই
মনোবল
ছিল তুঙ্গে।
ক্রিজে নামলো তামিম আর
ইমরুল।
দুজনের ব্যাটের ধারাই বলে
দিচ্ছিল
বাংলাদেশ জিতার জন্যই
খেলছে।
তামিমের চব্বিশ রানের
মাথায়
ক্যাচ উঠলো পিছনে !
দেখে মনে হচ্ছিল বল ড্রপ
খাওয়ার
পরেই ধন"ই এর গ্লাভস বন্দি
হলো।
বড় আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল
সবাই
রিপ্লেতে দেখবে বলটা
আসলেই কি
ড্রপ খেয়েছে?
সকলের আশায় গুড়ো বালি দিল
থার্ড
আম্পায়ার! রিপ্লেটা এত দ্রুত
গেল যে
বুঝতেই পারলাম না কি হলো?
আম্পায়ার দিল আউট।
মাথায় তখন রক্ত উঠে গেছে।
হস্ত
নিশপিস করছিল।
তামিমের বিশ্বাস হচ্ছিল না
যে
আউট।
ধনী বিদ্রুপের ভঙ্গিতে
তামিমের
গায়ে হাত দিয়ে স্কিনের
দিকে
ইঙ্গিত করলো আউট তামিম
যেন উঠে
যায় ।
সামনে যদি ধনীকে পেতাম
সত্যিই
কিছু একটা ঘটে যেত।
অবিশ্বাস নিয়ে ফিরে এলো
তামিম,
চোখ ভরা অবিশ্বাস!
এবার তো প্রশ্ন উঠে থার্ড
আম্পায়ার
ও কি কানা?
নামলো সৈম্য সরকার।
ছেলেটা
ভালো খেলে। সবার আস্থা
ছিল তার
উপরে।
হঠাৎ রান আউটের আবেদন।
রিপ্লে তে স্লো মোশনে
দেখতে
একদৃষ্টিতে তাকিয়ে পুরো দেশ।
আবারো অবাক করা কান্ড!
স্লো
মোশনে না দেখিয়ে টেনে
দেখিয়ে দিল।
পাছে আউট না হয়?
হ্যাঁ অইটা আউট হওয়ার
সম্ভাবনা ই
বেশি ছিল।
প্রশ্ন তো থেকেই যায় কোন
ভয়ে
স্লো মোশনে দেখালোনা?
তবে কি আম্পায়ার
পক্ষপাতিত্ব
করছে? রহস্য থেকেই গেল।
এবার নামলেন গত দুই ম্যাচে
সেঞ্চুরী
করা মারাত্মক ফর্মে থাকা
মাহমুদুল্লাহ।
তার কাছে আশা করাই যায়
আরেকটা
সেন্সুরির। রান ও আসছিল ব্যাট
থেকে
বটে।
একটু বাউন্সার বলটা ঘুরিয়ে
মেরেছেন মাহমুদুল্লাহ।
তাকিয়ে আছি সবাই। শেখর
দেওয়ান
ছেড়ে ছেড়ে বলটা ধরলো।
দ্বিতীয় বার ধরার সময়ে তার
পা
পড়ে গেল লাইনে। অর্থাৎ
সিক্স হবে।
স্লো মোশনে দেখা ছাড়া
সিদ্ধান্ত
দেয়া বোকামি।
সবার চোখ থার্ড আম্পায়ার এর
দিকে।
আবারো সেই একই কান্ড!
শেখরের পা
কি বাউন্ডারিতে লেগেছে?
এটা
নিয়ে সবার যেখানে
কনফিউশন
সেখানে থার্ড আম্পায়ার
আবারো
ইন্ডিয়ার পক্ষ নিল! একবারও
জুম করে
দেখা হলো না পা লাইনে
লেগে
গেছে কি?
এবারো আউট!
এবার তো চোখ বন্ধ করে বলে
দেয়া
যায় আম্পায়ার কোন দিকে
টানছে।
মাহমুদুল্লাহ দাঁড়িয়ে রইলেন
কিছুক্ষণ।
তার বিশ্বাস হচ্ছিল না!
প্রশ্ন আবারো থেকে গেল,
কেন জুম
করে বারবার দেখা হলো না?
যেখানে নরমাল ম্যাচে এরকম
বিতর্কিত কিছু বারবার রিপ্লে
দেখানো হয় সেখানে
বিশ্বকাপের
মতো আসরে একবার টেনে
দেখিয়ে
কি সারা বিশ্ব কে বুঝ দেয়া
যায়?
এরপরও থেমে থাকেনি তারা।
কিছু বাউন্সের দিকে চোখ
দেয়া
যাক।
কয়েকটা বাউন্স লেগ
স্ট্যাম্পের
অনেক উপরে দিয়ে গেল এবং
সাধারণত এজাতীয় বল
"ওয়াইড" দেয়া
হয়!
কিন্ত আজ! আজ বাউন্সের কোন
সমস্যা
নেই?
শুধু কি ইন্ডিয়ার জন্য?
ওয়াইড দেয়া হয় নি! সবাই শুধু
অবাক নয়
হতবাক
একটা গোপণ কথা বলেই দেই।
বিশ্বকাপের একটা ৭ ঘন্টার
ম্যাচে
আম্পায়ারের পারিশ্রমিক
১০০০
ডলার।
অপর দিকে আইপিএল এর তিন
ঘন্টার
ম্যাচে ২৭০০ ডলার।
এজন্যই কি আম্পায়ার রা
ইন্ডিয়ার
দিকে টানলো?
যাতে আইপিএলে
আম্পায়ারিত্ব না
হারায়?
বিশ্বের বিবেকের কাছে প্রশ্ন
রইলো?
নাকি টাকা খেলো?
তদন্ত হবে কি?
Fuck # ICC( Indian Cricket Council)
কিন্ত এতকিছুর পরেও আমাদের
ক্রিকেটার রা লড়ে গেছে শেষ
পর্যন্ত। এর চেয়ে গর্বের আর
কিছু
আছে?
আমি গর্বিত আমি
বাংলাদেশী।
সবার কাছে একটা প্রশ্ন
রেখেই
গেলাম
বাংলাদেশ হেরেছে নাকি
হেরেছে বিশ্ব বিবেক ?
[বি. দ্র. তিন আম্পায়ারকে
যৌথভাবে ম্যান অফ দ্যা
গ্যাসলাইট
দেয়া হোক আর রেন্ডিয়াকে
ডাইরেক্ট কাপ দিয়ে দেয়া
হোক।
কাপের জন্য এত কিছু করছে তবে
কাপটা তাদের এমনি দিয়ে
দিলেই
তো হয়! ]

collected

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

এ. এস. এম. রাহাত বলেছেন: ভাই লেখাটা আমার। গুগল সার্চে দেখলাম আপনি শেয়ার করেছেন। কিন্ত কার্টেসী কই?
ফেসবুক এ আমি http://www.facebook.com/koila.baba11

২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

রাজিব ওয়াহিদ বলেছেন: ভাই আমি অন্তরিকভাবে দুঃখিত

কারণ এই লেখা টা আমি আপনার ওয়াল থেকে কপি করিনি

তাই দিলাম না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.