নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথা হয়ে যায়..

নূরুল আলম রাজু, উন্নয়নকর্মী! একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত।

রাজু নূরুল

রাজু নূরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরে এলাম পাহাড়ে! আহারে…

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৮

বহদ্দারহাট বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেলা প্রায় গড়িয়ে গেল! ঘড়ির কাঁটা ঠিক চারটার ঘরে! শীতের বিকেল হুট করে নিভে যায়! আজ যাবো কী যাবোনা, নাকি রাতটা চট্টগ্রামে থেকে সকাল সকাল ওয়ানা করবো। এরকম ভাবতে ভাবতেই টিকেট কেটে ফেললাম! পূরবী পরিবহন! চারটে তিরিশের বাস! জানা গেল, বান্দরবান পৌঁছাতে আড়াই ঘন্টা লাগবে। টিকেট কেটেও মনের দোটানা কাটেনি। নিশ্চিত হতে চেনাজানা কয়েকজনকে ফোন করলাম! যথারীতি আরো কনফিউজড! ‘পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত হয়ে যাবে’ ‘অত রাতে যাওয়া কী ঠিক হবে?’ ‘পাহাড়ি রাস্তা, ইত্যাদি, ইত্যাদি…’। হঠাৎ শরীর জানান দিলো, সেই সকালে মা’র হাতের বানানো পিঠের পর আর কিছু পড়েনি পেটে! পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখলাম, বাস ছাড়তে এখনো মিনিট বিশেক বাকি। বাস স্ট্যান্ডেই একটা রেস্টুরেন্ট পাওয়া গেল! পরাটা-সবজির পর চায়ে চুমুক দিতেই গোটা শরীর চনমনে হয়ে উঠলো…দারুন চা! দোকানির চোখে চোখ রেখে প্রশংসাটা করলাম যখন, এমন প্রগলভ হাসি দিলেন, মনটা নড়েচড়ে ওঠলো…কী অল্পতেই খুশি হয় এদেশের মানুষ!

তড়িঘড়ি করে সিটের শরীরে গা এলিয়ে দিতেই হর্ণ বাজার শব্দ! ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি চারটে বত্রিশ! বাহ! এরকম হয়নাকি! একদম সময় মেপে? তাও আবার আন্ত:জেলা সিটিং সার্ভিস! নির্ধারিত সময়ের আধা ঘন্টা পর বান্দরবান বাস স্ট্যান্ডে এসে আমাদের গাড়ি থামলো! মানে আড়াই ঘন্টার বদলে তিন ঘন্টা! তাও ভাগ্যি! সরু রাস্তা, ব্যস্ত রাস্তা। সন্ধ্যের পর এই রাস্তায় ব্যস্ততা বেড়ে যায় বহুগুন। রাস্তার দুইধারে বাজার বসেছে। কেনাকাটার ধুম। ঘন অন্ধকার রাস্তায় ট্রাক নামে, ভারি যানবাহনের গোঁ গোঁ শব্দ! ধীরে চলে গাড়ি।

বাস স্ট্যান্ডের কাছেই আমাদের হোটেল। আটটার মধ্যেই চেক-ইন, ফ্রেশ হয়ে বাইরে বেরুনোর জন্য প্রস্তুত। এর মধ্যে বড় আপার ছেলে ‘সবুজ’ এসে যোগ দিয়েছে। এক সঙ্গে ডিনার! পৌরসভার পাশেই ‘তাজিংডং হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট’! সবুজই চিনিয়ে দিল। পরের ক’দিনে বেশ ক’বারই এখানে খেয়েছি আমরা! অবশ্য না খেয়ে উপায় নেই। এখানে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপার স্যাপার বেশ বৈচিত্র্যহীন!

পরদিন সকালে বেশ দেরিতে ঘুম ভাঙলো! জেগে ওঠার অত তাড়াও নেই আমাদের! বেড়াতে এসেছি! সামনে লম্বা ছুটি! যতদিন ইচ্ছে থাকা যায়। ধীরে-সুস্থ্যে সারা শহরটাকে চষে বেড়াবো। বান্দরবান আমার ৬১তম জেলা! বাকি রইলো তিন-নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি আর দিনাজপুর! যেই ভাবা সেই কাজ। রিকশা নিলাম। ঘুরতে লাগলাম শহরময়। ছোটখাটো শরীরের মানুষ! পাহাড়ি-বাঙালির মিশেল। নারী-পুরুষ! পাহাড়ি নারীর সেই ঐতিহ্যময় পোষাক! পাহাড়ির চেয়ে বাঙালির সংখ্যাই বেশি! যেখানে-সেখানে প্রচুর পুলিশ! কাঁচা বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার ধুম! বিক্রেতার সিংহভাগ পাহাড়ি মানুষজন! আধঘন্টা বাদে রিকশাচালক জানান দিলো, এইবার কই যামু? শহরতো ঘুরা শেষ! আমাদের বিস্ফোরিত চোখ দেখে সে হেসে ফেললো, বললো, এইটুকুই শহর! একটা লম্বা গলি, দুইপাশে বেশ কিছু দোকানপাট, সরকারি ভবন, আবাসিক হোটেল, মুদি দোকান, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, ব্যস!

বনশ্রী সিনেমা হলের পাশের গলি দিয়ে ঢুকে, রাজার মাঠের চারপাশে আরেকটা চক্কর দিয়ে রাজগুরু বৌদ্ধবিহার দর্শন শেষে সাঙ্গুর পাড়ে গিয়ে দাঁড়ালাম আমরা! বাজারের মাঝখান দিয়ে সরু সিঁড়ি নেমে গেছে মরা নদীতে! সেই মরা নদী রূপ নিয়েছে কর্মযজ্ঞের ক্ষেত্রে! মরিচ, কাজু বাদাম শুকোচ্ছে মরে যাওয়া চরে, চারদিক শুকিয়ে নালায় রূপ নিয়েছে সাঙ্গু! নালার মতো বেয়ে চলা সরু নদীর পাড়ে নৌকার বিশাল সমারোহ! কে বলবে বর্ষায় এই সাঙ্গুই তার প্রমত্ত রূপ নিয়ে হাজির হয়! পাহাড়ি জলের ঝর্ণায় পরিণত হয় এক স্রোতস্বিনী নদীর! আমরা বসে পড়লাম ঘাটে বাঁধা নৌকোয়! দেখলাম, বড় বড় বস্তা নামছে শ্রমিকের কাঁধে চেপে! পড়ে আছে পাহাড়ি কলার সারি সারি কাঁধি, বিন্নি ধানের চাল। পাশেই এক দঙ্গল শিশুর দল ব্যাট হাতে নেমে পড়েছে! ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত আরেক দল! ছোটখাটো প্রবীণ বৌদ্ধ সাধু আমাদেরকে পেছন ফিরে প্রস্রাব করতে বসে গেছেন! নদীতে বসে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা সুউচ্চ পাহাড়ের ছবি এঁকে ফেলা যায়! চারিদিকে ব্যস্ততার একশেষ, কেবল আমাদেরই কোন কাজ নেই! কেউ ফিরেও তাকাচ্ছেনা আমাদেরকে! ভাবছিলাম এ কী সমতলে সম্ভব হতো। শুরু হয়ে যেত গুড়গুড়, ফিসফাস। ছেলেমেয়ে দুটি নৌকায় কী করছে। তরুনদের বাঁকি চাওনি। কেউবা শিষ বাজিয়ে পাশ দিয়ে চলে যেত। মেজাজ চড়তো সপ্তচূড়ায়! কতক্ষণ বসে ছিলাম সে খবর কে রাখে? নদীর রূপ, কর্মব্যস্ত জীবন, বাঁধানো শরীর-চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছিল যেন! সাঙ্গুতে বেলা সাঙ্গ হবার আগে ফিরে আসলাম আমরা!

বাঙালি-পাহাড়ি সংকট বহুদিনের! এইবার সেইসব জানার ইচ্ছে ছিলোনা! তবু চোখ তো বন্ধ রাখা যায়না। ফলে জীবনকে দেখা হল। সমতলের মানুষেরা ভিড় করেছে পাহাড়ে! প্রায় প্রতিটা হোটেল-রেস্টুরেন্টের মালিক বাঙালি! যতদূর জানা গেল, সেসব হোটেলের ম্যানেজাররাও বাঙালি, তবে ওয়ার্ডেন, ওয়েটাররা পাহাড়ি। প্রায় প্রতিটি মুদি দোকান, বড়সড় ঔষধের দোকানের মালিক বাঙালি, আর সিএনজি বা চান্দের গাড়ির চালকেরা পাহাড়ি! দখলের কী সুনিপুন কৌশল! কী অবিশ্বাসের সম্পর্ক! সেই সম্পর্ক উদ্ধারের চেষ্টার অবশ্য কমতি নেই! পাহাড়ে পাহাড়ে রাস্তার দুধারে ‘সম্প্রীতির বৃক্ষ রোপন’ করা হয়েছে। শান্তি ফেরানোর এই সৃষ্টিশীল প্রয়াস যে কাজ করেনি; তা বলাই বাহুল্য!

বান্দরবান শহরে মানুষের চেয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যই বেশি কী-না জরিপ চালানো যেতে পারে! সারা শহরজুড়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, বাসভবন, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম, পুলিশ ফাঁড়ি, পুলিশ লাইন এবং ক্যান্টনমেন্ট! শতশত পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য! নীলগিরির রাস্তায় পা ফেলে বাকি ৪৮ কি.মি জুড়ে শুধু আর্মির বিজ্ঞাপন! নীলগিড়ি পৌঁছে দেখা গেল, পুরো পর্যটন কেন্দ্রটাই আর্মির দখলে; ফলত যা হবার তাই! সারা পথজুড়ে অবিশ্বাসের বীজ বুনে, শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চলছে! যার জায়গা তাকে ছেড়ে না দিয়ে, যাদের সমস্যা তাদেরকে সমাধানের পথ খুঁজতে না দিয়ে বাইরে থেকে চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা! এইভাবে কী শান্তি আসে!

খুব কাছ থেকে পাহাড় দেখা হলো! পাহাড়ের গায়ে সোনা ফলে আছে। কলা, বেল, তেঁতুল, পেঁপে-কত শত ফলের সমাহার। প্রকৃতির এই অকৃপণ দানই বাঁচিয়ে রেখেছে এক বিশাল জনগোষ্ঠির জীবন! জীবিকার প্রধান অবলম্বন। নাম না জানা কত ফুলের বাহার! রাস্তার ধারে লাল টকটকে একটা ফুল দেখে দাঁড়াতেই হলো, আফসোস! কেউ নামটা বলতে পারলোনা! মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র মুগ্ধ করেছে। এই একটা মাত্র কেন্দ্র, যেখানে প্রকৃতিকে মোটামুটি তার মতো করে থাকতে দেয়া হয়েছে, ভেতরে ঝুলন্ত ব্রিজ, চুপচাপ ঘন বৃক্ষরাজি, পাহাড়ের পাদদেশে হেঁটে চলার রোমাঞ্চ, সব পাওয়া যায় এখানে!

বাঙালির সৌন্দর্য বোধের সংজ্ঞা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কৌতুহল অসীম। এখানে সৌন্দর্য্য মানে, পাহাড়ের গা কেটে রিসোর্ট, একটা প্রাকৃতিক জলপ্রপাতের মাঝখানে ওয়াচ টাওয়ার বসিয়ে উপভোগের আয়োজন, সমুদ্রের শরীর ঘেঁষে বড় বড় অট্রালিকার জঞ্জাল! সোয়াম্ফ ফরেস্টে রাস্তা বানিয়ে লম্বা টাওয়ার নির্মাণ! বান্দরবানকেও কেটে ফালি ফালি করা হয়েছে। বানানো হয়েছে কৃত্রিম সব কেন্দ্র! কিছু কিছু জায়গায় গেলে রুচির কদর্যে গা গুলিয়ে আসে! যেমন নীলগিরি। আমার মতে নীলগিরি যাবার একমাত্র কারণ হতে পারে দীর্ঘ পথের দু’ধারে অপার সৌন্দর্য দর্শন! রাস্তার দু’ধারে নিজ ঐতিহ্য রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টারত পাহাড়িদের জীবন! হাতে চালানো যন্ত্রের টুকটুক শব্দ, পেছনে মোড়ানো ছোট্ট শিশু, দূর থেকে পাহাড়ি নারীর পানি সংগ্রহ করে ফিরে আসার লম্বা লাইন। আর বাজারে বাজারে ফলের সমারোহ! বান্দরবান শহর থেকে থানচি যাবার ১০০ কিমি রাস্তাই হতে পারে রোমাঞ্চের মূল উপজীব্য, দলবেঁধে, লোকাল বাসে চেপে…

খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বেশ মুশকিলে পড়তে হবে! একটু ঐতিহ্যের স্বাদ নেয়ার আশা করলে আরো বড় বিপদে পডবেন। কারণ সে একই। সব রেস্টুরেন্টই যে সমতলের মানুষের দখলে। খাবারে কোন বৈচিত্র্য নেই। শেষের দিকে ‘চড়ুইভাতি’ নামের একটা রেস্টুরেন্ট মুশকিলের আসান হয়ে আসলো। মালিক যদিও বাঙালি, তবুও বৈচিত্র্যে ভরপুর। নানা রকম স্বাদের সমাহার, দরদামও হাতের নাগালে! কখনো ‘ঢু’ মারতে পারেন।

নীলগিরি থেকে ফেরার পথে ভাবছিলাম কিছু বন্ধুর কথা; যাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে সখ্যতা হয়েছিল! বেশ কিছু জুনিয়র। এক সঙ্গে সংগঠন করেছি। কত কত আডডা হয়েছে আমাদের! কী করে এই দুর্গম জীবন থেকে ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরোল? স্কুলে যেতে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়, পাহাড়িদের ভাষা এক বর্ণও বোঝার সাধ্য নেই আমাদের, অথচ সেই ছোট্ট বেলা থেকেই আমাদের ভাষা শিখতে হয়েছে একটি পাহাড়ি শিশুকে! ভিন ভাষার বর্ণমালায় হাতেখড়ি! বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অতশত বুঝা হয়নি, খেয়ালও করা হয়নি কাছ থেকে ওসব! আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ওসব শেখায়না।

হঠাৎই ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে হলো! নাহলে অস্থিতিশীল রাজনীতির প্যাঁচে পড়ে লম্বা সময়ের জন্য আটকে পড়ার সম্ভাবনা! ফেরার সময় ভাবছিলাম, এখানে আসতে হবে দলবেঁধে, প্রিয় সব মানুষদেরকে সঙ্গে করে। তাহলেই কেবল ইচ্ছের ডানা মেলা সম্ভব। আর আসতে হবে অনেকটা সময় হাতে নিয়ে। আসলাম আর এদিক-সেদিক ঘুরপাক খেয়ে ‘দু দন্ড শান্তি’ পাবার শহর এটা নয়! তালিকা বানাচ্ছিলাম, কী কী দেখা হলোনা:

অনেককিছুই দেখা হলোনা! রিঝুকে যাওয়া হলোনা। সাঙ্গুতে নৌকা চেপে স্রোতে ভেসে আসা পাহাড়ি বাঁশের দল আর কাঠের লম্বা সারি দেখা হলোনা! রাস্তার পাশ দিয়ে হুট করে ঘন পাহাড়ের আড়ালে যে সরু রাস্তাটা নিরুদ্দেশে চলে গেছে, সেই পথটায় হাঁটা হলোনা! নীলগিরির চূড়ায় দাঁড়ালে উত্তর দিকের যে বসতিপল্লী নীল হয়ে আছে, সেখানে যাওয়া হলোনা এবার। হঠাৎ করে অন্ধকার নেমে আসলে জ্যোস্নারাতে পাহাড়ের অচেনা রূপ জানা হলোনা! থানচি থেকে ফেরার পথে হঠাৎ গাড়ির চাকা বসে গেলে, সারা রাত সেই পাহাড়ি রাস্তায় বসে থাকা হলোনা, অথবা পাশেই কোনো বাড়িতে গিয়ে হঠাৎ নেমন্তন খাওয়ার চেষ্টা করা হলোনা….পাহাড়ের গায়ে ঝুম বৃষ্টির উদ্দাম নৃত্য দেখা হলোনা! চুপচাপ ঘন্টার পর ঘন্টা কোনো নির্জন পাহাড়ের গায়ে কান পেতে নির্জনতার গান শোনা হলোনা! ও হ্যাঁ, নীলগিরি থেকে ফেরার পথে হঠাৎই ক’ফোটা বৃষ্টি এসে পথঘাট ভিজিয়ে দিয়ে গেল! ইচ্ছের কিছুটা পূর্ণতা পেল।

ফেরার পথে সারা চোখজুড়ে সৌন্দর্য দর্শনের অপার অনুভূতি। চুপচাপ, শান্তশিষ্ট শহরটা যেন চোখে ভাসছে। আর দ্বিধান্বিত পাহাড়ি মানুষের ঘোলা চোখ!

সেই গল্প আরেকদিন।



লেখক: মোহাম্মদ নূরুল আলম রাজু, উন্নয়নকর্মী, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশে কর্মরত।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

টি এম মাজাহর বলেছেন: " বাঙালির সৌন্দর্য বোধের সংজ্ঞা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কৌতুহল অসীম। এখানে সৌন্দর্য্য মানে, পাহাড়ের গা কেটে রিসোর্ট, একটা প্রাকৃতিক জলপ্রপাতের মাঝখানে ওয়াচ টাওয়ার বসিয়ে উপভোগের আয়োজন, সমুদ্রের শরীর ঘেঁষে বড় বড় অট্রালিকার জঞ্জাল! সোয়াম্ফ ফরেস্টে রাস্তা বানিয়ে লম্বা টাওয়ার নির্মাণ! বান্দরবানকেও কেটে ফালি ফালি করা হয়েছে। বানানো হয়েছে কৃত্রিম সব কেন্দ্র! কিছু কিছু জায়গায় গেলে রুচির কদর্যে গা গুলিয়ে আসে! যেমন নীলগিরি। "

সম্পূর্ণ একমত। এক্কেবারে আমারও মনের কথা। দারুন বর্ণনা। আশা করি পরেরবার একসাথে যাওয়ার সৌভাগ্য হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.