নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিবিসি’র খবরটা দেখে আরেকবার অধ:পতনে নিমজ্জিত হলাম।
গত ক’দিন জুড়ে একটু একটু করে যে কষ্টটা ভুলতে চেয়েছিলাম, সেটা শতগুন বেড়ে সামনে এসেছে। বিবিসি খবর করেছে, আচেহ প্রদেশে খাবার নিয়ে দাঙ্গা বেধে গেলে এক নৌকাতেই অন্তত একশো লোক মারা গেছে। এদের কাউকে কাউকে ছুরি মেরে মারা হয়, কাউকে গলায় রশি পেঁচিয়ে মারা হয়। আবার কাউকে কাউকে নৌকা থেকে সাগরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে।
থাইল্যান্ড, মালেয়শিয়া আর ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র উপকূলজুড়ে মানবতার চরম লাঞ্চনার দৃশ্যের শুটিং চলছে। জঙ্গলজুড়ে মানুষের হাড়-মাংস। অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। সহস্র মানুষ সমুদ্রে ভাসছে কোন এক উপকূলে ভিড়বার আসায়।
গতমাসে নেপালে ভূমিকম্প হয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারি হিসেবে আট হাজারের মতো মানুষ মারা গেছে। এ নিয়ে শোকার্ত মানুষ। আতংক ছড়িয়েছে। সকলে যার যার মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। জাতিসংঘ নামের ‘ঠুটো জগন্নাথ’ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে, সকলে সাহায্যের জন্যে এগিয়েও আসছে। নেপালের বিপর্যয়টা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সাধ্যের বাইরে। অথচ চোখের সামনে, সারা দুনিয়ার মিডিয়ার সামনে হাজার হাজার মানুষ এক ফোঁটা পানির জন্যে হাহাকার করছে! ঠুটো জগন্নাথ বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে। কেউ শুনছেনা। জাতিসংঘের ত্রাণবাহী বিমানগুলো কোথায়?
বাংলাদেশ মানব পাচার সমস্যার সমাধান প্রায় করে ফেলেছে। সাফ জানিয়ে দিয়েছে অবৈধ অভিবাসীদেরকে নিয়ে তাদের কিছু করার নাই। ব্যস! হয়ে গেল সমাধান! আর ওদিকে কক্সবাজার থেকে ক্রসফায়ারের খবর আসছে প্রায়ই।
চারিদিকে বর্ষার ঘনঘটা। লাল কৃষ্ঞচূড়ার সমারোহ! অথচ মনের মধ্যে জমে থাকা মেঘ ক্রমশ: গাঢ় হচ্ছে। এখন কৃষ্ঞচূড়ার রং কালো!!!
©somewhere in net ltd.