নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুক এবং অন্যান্য সামজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিব্রত হওয়ার মতো ঘটনা ব্যাপক হারে বাড়ছে!
আজকাল এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে এবং পরিচিত অনেককেই স্ট্যাটাস দিতে দেখছি যে, ‘আমার এ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে এবং আপনার টাইমলাইনে অনাকাঙ্খিত কিছু পোস্ট করা হচ্ছে! আমি দু:খিত! দয়া করে কিছু মনে করবেন না!’ কী বিব্রতকর অবস্থা!
ক’দিন আগে আমি নিজেও এরকম একটা বিব্রতকর ঘটনায় পড়েছিলাম এবং মুহুর্তে অসংখ্য মানুষের টাইমলাইনে নগ্ন ভিডিও পোস্ট হয়ে গেছে! এক প্রিয় বড় আপা, মোবাইলে টেক্সট করেছেন, ‘এক্ষুণি তোমার টাইম লাইন চেক করো!’ কেউ যদি এই অনিচ্ছাকৃত কারণে- বিব্রত বোধ করে- আমাকে বন্ধু তালিকা থেকে ‘ডিলিট’ করে দেয়, মন খারাপ করা ছাড়া আর কী করতে পারি আমি?
কিন্তু এর চেয়েও ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, আমরা নিজেরা যেসব অপ্রয়োজনীয়, অদ্ভুতুড়ে বিষয়-আশয় পোস্ট বা শেয়ার দেই। ক’দিন আগে মিয়ানমারে গণহত্যার নামে বিভৎস সব ছবি ছড়িয়ে পড়লো। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এটা করা হয়েছে এবং আমরা অনেকেই, না বুঝে শেয়ার বা লাইক দিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, সুস্থ্য কারো পক্ষে ও ধরনের ছবি দেখা, শেয়ার করা বা লাইক করা অসম্ভব! ট্রমাজাইজড হচ্ছিলাম বারবার...
এক ফেবুবন্ধু কোন এক ব্যাঙের ছাতা অনলাইন পোর্টালের নিউজ শেয়ার দিয়েছে, ‘লন্ডনে ডিম আর জুতোয় সিক্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী!’ আমি এই বন্ধুকে চিনি। মন খারাপ হলো। ক’দিন আগে দেখেছিলাম, ‘দুই শর্তে দেশ ছাড়তে রাজি হাসিনা!’ - এরকম অসংখ্য পোস্ট আমরা দেখি, এবং শেয়ার দেই। ‘কী করলে কী হবেন, কোন জেলার মেয়েকে বিয়ে করবেন’, আলহামদুলিল্রাহ-সোবহানালাল্লাহ টাইপের পোস্ট তো অহরহ...সেদিন দেখলাম আরেক পোর্টাল বের করে ফেলেছে, কোন জেলার ছেলেকে বিয়ে করবেন!!! পিছিয়ে পড়ার কোন মানে হয়??? একজনের নিয়মিত পোস্ট হলো, সে কখন কোন ওয়াক্ত নামাজ পড়ে শেষ করেছে! এইটা কী খুবই জরুরি কোন তথ্য? নাকি বলে-কয়ে পড়ার জিনিস??
আমার বন্ধু তালিকায় যারা আছে, তাদের বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, পড়া শেষ করেছেন অথবা পড়ছেন। এরকম কারো কাছ থেকে অমন ভয়ানক, বিবেকবর্জিত পোস্ট দেখলে খুব মন খারাপ হয়। আমাদের বুদ্ধি-টুদ্ধি নিয়ে বিরাট প্রশ্ন দেখা দেয়। ঘটনা হলো, এরাই এ ধরনের পোস্ট বেশি শেয়ার দেন!!!
আমার কাছে ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক গণমাধ্যম রাজনীতির প্রচারণা, গুনকীর্তন বা ধর্ম প্রচারের কোন মাধ্যম না। আবার যৌনতার চর্চা, হুদাই চ্যাটিং এর জন্যও ফেসবুকের দরকার নাই। ক’দিন আগে এক ছোট ভাই লিখেছিলো, ‘আমার কাছে ফেসবুক হলো ছবির গ্যালারি, কবিতার খাতা, গল্পের ক্যানভাস!’ আরেকজনের পোস্টে দেখেছিলাম, ‘ফেসবুক হলো ভাবনার আদান-প্রদানের নতুন বই!’
আমার কাছেও তাই!
১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
রাজু নূরুল বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমার পছন্দ হয়েছে। এখন এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদরেকে কাজ করতে হবে বলে মনে করি! প্রত্যেকে তার নিজের জায়গা থেকে কন্ট্রিবিউট করার সুযোগ আছে!
২| ১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১১
মুদ্দাকির বলেছেন:
ফেস বুকে আর ঢোকা হয় না
১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:২৬
রাজু নূরুল বলেছেন: আমি নিজেও এই মাধ্যমকে পড়াশুনা, সচেতনতার কাজে ব্যবহার করছিলাম। একটা গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, বন্ধুদের ভাল মন্দের খবরাখবর, ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করছিলাম। কিন্তু দিন দিন বিষয়টা কঠিন হয়ে যাচ্ছে!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
আহলান বলেছেন: কথা আপনার সহিহ আছে .... আসলে আমাদের চারপাশে যে ১২ রকম মানুষ আছে,সেটি এখন ফেসবুক নামক একটি সেন্টার বা মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, তাই অনেক সময় এমন মনে হয়.... এদের সবাইকে নিয়েই আমাদের সমাজ ... মেনে নিয়েই চলতে হবে ....... !