নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বলেছিলাম ‘শামীম আশরাফ চৌধুরী’কে নিয়ে আমার দুইটা কথা আছে!
প্রথমে কয়েকটা অবজারভেশন শেয়ার করে নেই।
বাংলাদেশ-ভারতের প্রথম ম্যাচ শেষে প্রেজেন্টেশন চলছে! ম্যান অব দ্য ম্যাচ মোস্তাফিজ! মোস্তাফিজ ইংরেজি বলতে পারেনা। শামীম চৌধুরী মোস্তাফিজকে ডাকলেন, সঙ্গে দোভাষি হিসেবে মাশরাফি! ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলেন, ‘খেলার আগে কী তুমি ভেবেছিলে যে ৫ উইকেট পাবে?’ মোস্তাফিজ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে একশেষ! মাশরাফি পুরা বিষয়টাকে হালকা করে দিল। ট্রান্সলেট করলো, ‘তুই কী ভাবছিলি যে ৫ উইকেট নিবি?’
প্রথম কথা হলো, আজকের দুনিয়ায় ভাষা কোন সমস্যা না! যে যেই ভাষায় কথা বলে আরাম পায়, সে সেই ভাষায় কথা বলবে! পাকিস্তানের অধিকাংশ খেলোয়ারই ইংরেজি জানেনা। এরা সব সময় নিজেদের ভাষায় কথা বলে! ইনজামাম-উল-হকের ইংরেজি জ্ঞান কিংবদন্তিতুল্য! অথচ বহুদিন পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন। ভারতও তাই! তাহলে বাংলাদেশী ম্যাচ উইনারের সাথে কথা বলতেে দোভাষী লাগবে কেন? বাংলাদেশ বলে?? স্টার স্পোর্টস দেখাচ্ছে সেজন্যে?
ভারতের সাথে দ্বিতীয় ম্যাচ চলছে। ধারাভাষ্য দিচ্ছেন শামীম আশরাফ আর সঞ্জয় মাঞ্জেরেকার। সঞ্জয় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আমাদের মোস্তাফিজকে ধোনীর ধাক্কা দেয়ার গল্পটা বললেন। এও বললেন যে, আন্তর্জাতিক ম্যাচে বোলারকে জানতে হবে, বোলিং শেষ করে কোথায় দাঁড়াতে হয়। এবার শামীম চৌধুরীর পালা। তিনি বললেন, ‘আমার মনে হয় যেহেতু এইটা ওর ডেব্যু ম্যাচ ছিলো, নিয়ম কানুনগুলো এখনো বুঝে ওঠতে পারেনাই!’ ব্যস! আর যায় কোথায়? সঞ্জয় খ্যাঁ খ্যাঁ করে ওঠলেন। শামীম চৌধুরী চুপ। অন্য প্রসঙ্গে চলে গেলেন। তার মানে গোটা দুনিয়ার সামনে এইটাই বুঝানো হলো যে, মোস্তাফিজ ক্রিকেটের নিয়ম কানুন ভাল করে না জেনে, না শিখে খেলতে চলে এসেছে...
বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশের খেলা হলে, পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনের এ্যাংকর অবধারিতভাবেই শামীম চৌধুরী! তিনি প্রথমে পরাজিত দলের ক্যাপ্টেনকে ডাকবেন:
প্রশ্ন: আমরা দেখলাম, আজ অাপনারা ৩ জন স্পিনারকে নিয়ে খেলতে নেমেছেন এবং সবাই খুব মার খেয়েছে। কেউ তেমন কোন উইকেটও নিতে পারেনাই। এইটাই বোধহয় আপনাদের পরাজয়ের মূল কারণ? আপনার কাছে পরাজয়ের কারণ কী মনে হয়?? জবাবটা কী হওয়া উচিত? তিনি সাধারণত: কোনো প্রশ্ন করেননা। সব প্রশ্নের জবাব নিজে দিয়ে দেন। তারপর উত্তরদাতাকে জিজ্ঞেস করে ভ্যালিডেট করে নেন!
আমি ইংরেজির পন্ডিত না! কিন্তু শামীম চেীধুরীর ইংরেজি নিয়ে বিরাট প্রশ্ন আছে। মাঝে মাঝে এমন সব শব্দ ওনি বলেন যে, সেসব শব্দ ডিকশনারিতে আছে কীনা আমার বিরাট সন্দেহ আছে!
আমি মানছি যে, শামীম চৌধুরীরা যখন ধারাভাষ্য দিতে এসেছিলেন, তখন বাংলাদেশে খেলার সাথে জড়িত, ভালো ইংরেজি জানা ভাষ্যকারের অভাব ছিলো। এটা সব দেশের জন্য সত্য! এরা ধারাভাষ্য শিল্পকে টেনে নিয়ে গেছেন। সেজন্যে ধন্যবাদ! কিন্ত জল অনেক গড়িয়ে গেছে। ভাষকারেরা এখন দলের ইমেজকে পাল্টে দিচ্ছে। মাঠের খেলার পাশাপাশি ধারাভাষ্য কক্ষেও চলে সমান যুদ্ধ!
আমরা মাঠে ভাল খেলছি। এখন মাঠের বাইরের বিষয়গুলোর দিকেও মন দেয়ার সময় এসেছে। মাঠে যেমন জিতছি, মাঠের বাইরেও জিততে হবে। যদি বিকল্প না থাকে, তাহলে বিনিয়োগ করতে হবে। নতুনদেরকে তুলে আনতে হবে। সুযোগ দিতে হবে!!!
তা না হলে, মাঠে জিতলেও, মাঠের বাইরে কিন্তু হারতে হবে!!!
এই হারটা মেনে নিতে বেশ খারাপই লাগে...
২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
রাজু নূরুল বলেছেন: ধন্যবাদ!
২| ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫২
রুমি৯৯ বলেছেন: আমি আপনার যুক্তির সাথে সম্পূর্ণ একমত
২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৫
রাজু নূরুল বলেছেন: ধন্যবাদ!
৩| ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ইন্টারন্যাশনাল খেলায় বাংলায় কথা বললে তো মান-সম্মান থাকবেনা । ইনজামামের কথা বললেন? উনাকে নিয়ে অনেক ঠাট্টাতামাসা করা হয়েছে, আরো অনেকের ইংরেজি জ্ঞান নিয়েও করা হয়েছে । অামরা যখন বিশ্বমানের দলে পরিনত হবো, তখন অামাদের ভাষ্যকারদের ভাষাও পাল্টে যাবে । হিনম্মন্যতার দরুণ উনাদের সাহস কম থাকে ।
২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
রাজু নূরুল বলেছেন: আপনার যুক্তি ভালো। তবে কেউ ইংরেজি না জানলে, সেটা তার অপরাধ না। আমি তাকে নিয়ে অযথা ঠাট্রা তামাশা করার দরকার নাই তো!
৪| ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:০৩
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: হালকা ভুল ক্রুটি থাকতেই পারে। মানুষ তো।
২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
রাজু নূরুল বলেছেন: হাহাহহাহা. তা যা বলেছেন। কিন্তু দেশের প্রতিনিধিত্ব করলে, তখন আর ভুল করার সুযোগ থাকেনা।
৫| ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:১৮
সাবু ছেেল বলেছেন: পোস্টটি ভালো লাগলো।কেননা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এবং এর সংশ্লিষ্ট আনুসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে আমারও প্রায়ই খোঁচাখুঁচির অভ্যাস আছে!!
২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
রাজু নূরুল বলেছেন: ধন্যবাদ! উৎসাহিত.।
৬| ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৩
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ
২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
রাজু নূরুল বলেছেন: ধন্যবাদ.।
৭| ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: নেতারাও তো জতির প্রতিনিধিত্ব করে, ওদের আমরা নির্বাচিত কইরা দেই, ওরা ভুল করে, আমরা সহ্য করি। আর এরা ত সামান্য ধারা ভাষ্যকার। এদের নিঃশর্ত ক্ষমা দ্যান।
২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
রাজু নূরুল বলেছেন: হাহাহাহা..ঠিক আছে ভাই! দিলাম..
৮| ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:০৬
ভয়ংকর বিশু বলেছেন: মানুষ ইমজামামের ইংরেজির জন্য হাসে নাই। মানুষ হাসে ইমজামামের পাকি কায়দার বডি ল্যাংগুয়েজের জন্য।
৯| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মাফ করবেন, উনার এই ধরনের আচরন আমার কাছে খুবই অপদার্থ টাইপের মনে হয়েছে। আমি বুঝি না, যেখানে আতাহার আলীর মত একজন মানুষ আছে, সেখানে এই সব পাবলিক চান্স পায় কিভাবে?
১০| ২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ইয়ে মানে, খেলায় যুদ্ধ করলেই চলবে, তার বাইরে যুদ্ধের কোন দরকার নেই| খেলা সহমর্মিতা শেখায়, খেলার বাইরের যুদ্ধ খেলার লক্ষ্যকেই ব্যর্থ করে
১১| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সহমত।
১২| ২৬ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:২১
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: সহমত পোষণ করছি
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লিখেছেন।