নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।
গল্পটা কোথায় যেন পড়েছিলাম । একজন লোক ছিলেন যিনি বাজি ধরে জীবন চালাতেন । মানে বিভিন্ন লোকের সাথে বাজি ধরতেন , সেই বাজিতে জিতে সেটা দিয়ে সংসার চালাতেন । এভাবেই চলছিলো । লোকজন কেউ তেমন বাজি ধরেনা । একদিন শহরের সবচেয়ে নামকরা ব্যাবসায়ীর কাছে গিয়ে বললেন আমি বাজি ধরতে চাই । ব্যবসায়ী জিজ্ঞেস করলেন কি বাজি ? লোকটা বললো আপনার মাথায় যে চুল আছে এটা অরিজিনাল চুল না , পরচুলা । ব্যবসায়ী বললেন দেখুন এটা আমার অরিজিনাল চুল , সো শুধু শুধু আপনি বাজি ধইরেন না , নিশ্চিত হেরে যাবেন । লোকটা তবু বাজি ধরলো । বললো কাল সবার সামনে এটার ফয়সালা হবে যদি হারি তবে আমি ৫ হাজার ডলার দিবো জিতলে আপনি দিবেন ।
যথারিতি পরদিন সবাই হাজির । লোকটা বললেন আমি মনে হয় বাজিতে হেরেই যাচ্ছি । তবু একটূ নিজে দেখতে চাই । ব্যবসায়ী রাজি হলেন । লোকটা ব্যাবসায়ীর চুল ভালভাবে টেনে দেখলেন । একদম উস্কোখুস্কো করে দিয়ে এরপর বললেন আমি হেরে গেছি । এটা বলে ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার ডলার দিয়ে দিলেন ।
ব্যবসায়ী খুশি মনে বের হতে নিয়ে দেখেন দরজার পাশে শহরের সবচেয়ে নামকরা উকিল বসে কান্না করছে । ব্যবসায়ী জিজ্ঞেস করলো কান্নার কি কারন । জবাবে উকিল বললো বাজিকর লোকটা উকিলের সাথে ২০ হাজার ডলার বাজি ধরেছিলো, সে শহরের সবচেয়ে বড় ব্যাবসায়ীকে সবার সামনে মাথার চুল টেনে এলোমেলো করে দিবে ।
আমি মাঝে মাঝে মাঝে বলি কথার পরেও কথা থাকে কথার পুর্বেও কথা থাকে তেমনি কথার ভিতরেও কথা লুকানো থাকে । উপরের গল্পটি তার একটা উদাহরন । অন্তত আমাকে নিয়ে যারা অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তা করেন , আমি গোল্লায় যাচ্ছি বলে নিজেদের মুল্যবান সময় নষ্ট করেন আমাকে ফেরাতে তাদের জন্য ।
আরেকটা ঘটনা বলতে চাই । কোন এক ইদের পর গ্রাম থেকে এসে আন্টির বাসায় উঠলাম । ওইখানে এক চাচি ছিলেন উনি সাথে সাথে মিষ্টি দই এসব বের করে দিয়ে আমাকে বললেন অনেক দূর থেকে আসছো খিদায় চেহারা ছোট হয়ে গেছে ,আগে এসব খেয়ে নাও । হঠাত আমার আন্টি এসে সেগুলো সরিয়ে রান্না ঘরে রেখে দিলেন । বললেন রেস্ট নাও ,এসব পরে খাবা । যদিও আমার খিদা ছিল,তবুও পরে খাইতে হইলো ।
উপরের ঘটনায় আপনি কি বলবেন ? আমার আন্টি বেশি আপন নাকি ঐ চাচি ? আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আন্টি একটু নিষ্ঠুর আর চাচি খুব ভাল । বাট আসলে তা নয় । ফ্রিজ থেকে বের করা দই আর মিষ্টি এত ঠান্ডা ছিল যে খাইলে আমার ঠান্ডা লেগে যেত , যেহেতু ক্ষতিকর তাই ঠান্ডা কাটার জন্য সরায়ে রেখেছিল ।
সত্যি বলতে লাইফ ইজ এ গেম । আমি একজনকে ভালবাসি । আমার খুব কাছের কিছু বন্ধু (!) সেটা পছন্দ করেনা । এই বালিকার থেকে দূরে রাখার জন্য কতইনা প্রচেষ্টা ।
বালিকা আমাকে বলছে আগে প্রতিষ্ঠিত হউ,এরপর আমার সামনে এসে ভালবাসার কথা বলো । আমার বন্ধুরা বললো দেখেছিস কত বড় স্বার্থপর । তোকে ভাল না বেসে তোর ইস্টাবলিশড হওয়াকে ভালবাসতেছে । এই মেয়ে তোরে কখনই ভাল বাসবে না। সে শুধু টাকাই চিনবে ।
আপাত দৃষ্টিতে বিষয়টা এমন মনে হতে পারে । কিন্তু একটু গভীর ভাবে খেয়াল করুন, মেয়েটা যদি আমাকে তার ফ্যামিলির সামনে নিয়ে দাড় করায় আর তার বাবা যদি জিজ্ঞেস করে কি করি ? উত্তর কি দিবো ? বেকার ? নিশ্চয় বেকার ছেলের হাতে কোন বাবা তার আদরের কন্যাকে তুলে দিবেনা । আর যদি বলেন প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করবো , তাহলে বলি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গ্যারান্টি কি ? এখানে আমি যেমন ছোট হইতাম বালিকাও ছোট হইতো । সে আমাকে সত্যিকারের ভালবাসে বলেই সে এমন শর্ত দিয়েছে । রিমেম্বার ভালবাসাটা দুইদিনের খেলা না ।
লেখাটা বেশ বড় হয়ে যাচ্ছে । আর এলোমেলো । তবে সব গুলো ঘটনার মুলকথা একই ।
সত্যি বলতে লাইফ ইজ এ গেম । গেম এ জেতাটাই বড় কথা ,কিভাবে জিতলেন সেটা নয় । একটা ছোট্ট কথা বলি । লম্বা রেস এর সময় একজন প্রথম থেকেই দ্রুত দৌড়ে সামনে চলে যায় আর একজন রিলাক্সে পিছে পিছে দৌড়ায় । শেষ মুহুর্তে দেখা যায় ,যে আগে থেকেই দ্রুত দৌড়েছিলো সে হাপাতে হাপাতে সবার পিছে , আর যে শুরু থেকেই রিলাক্সে ছিলো, সে সবার সামনে বেশ রিলাক্স মুডেই ।
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০২
নাগরিক কবি বলেছেন: ৫হাজার ডলার!!!!! বাজিমাত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১
শেয়াল বলেছেন: ভালো পোস্ট ।