নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেদিন জ্যৈষ্ঠের প্রথম প্রহর।
কালবৈশাখী মাথায় নিয়ে,
আদুল পায়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম তোমার বিদায় পথ আটকে।
করজোড়ে কত মিনতি করেছিলাম তোমায়-
তুমি যেও না, থাক।
বর্ষার জলে ধুয়ে দেব তোমার গায়ের যত ধুলো,
দুজনে ভিজবো শ্রাবণের নতুন জলে।
নাহয়, শরতের কাছে ধার নেব দুটো কাশফুল।
স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নায় তোমায় ঘুম পাড়িয়ে দেব গান শুনিয়ে।
নকশি কাঁথার মাঠ পেরিয়ে তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যাব
মাঠের পরের দূরের দেশে।
দেখো, শাপলার মালা তোমার পছন্দ হবেই।
তারপরও আমার ভালোবাসার আঁচল মাড়িয়ে
তুমি চললে তোমার পথ ধরে।
তারপর হেমন্ত এলো-
সোনালি ধানের চিড়ে কুটে, আঁতপ চালের পায়েস রেঁধে
কতবার তোমায় মনে মনে ডেকেছি!
এই হয়তো তুমি আসলে, ধুলো উড়িয়ে।
সেইযে গেছ, আর আসনি।
ভেবেছিলাম, এবার তুমি নিশ্চয়ই আসবে।
সকালের মুক্তমাখা শিশিরে তোমার পা ধোয়াবো।
ভাদু মিয়ার ভাড় থেকে খেজুর রস চুরি করে
তোমাকে নতুন চালের ক্ষির রেঁধে খাওয়াবো।
কুয়াশার চাদর ছিড়ে
সোনালি রোদ ছুঁয়ে দেব তোমার কপোলে।
তোমার পথ চেয়ে আমি ক্লান্তই বটে।
একদিন-
বাগানের ওপাশটা ফুলে ফুলে ভরে উঠলো
কাঠগোলাপ, বেলি, ভুঁইচাঁপা, চেরি আর চন্দ্রমলিকায়।
আর ছিল তোমার প্রিয় কাঠমল্লিকারা।
আমি সারাটা চৈত্রমাস তোমার জন্য
ফুল কুড়িয়েছি, মালা গেঁথেছি, আরো কত কি!
অবশেষে, পাকা আম্রশাখায় কালবোশেখীর ঢেউ তুলে।
কাঁঠালচাঁপার গন্ধ ছড়িয়ে সবখানে।
তুমি এলে, তোমার মত করেই।
বিশ্বাস করো, আমার আর ভুল হবে না।
মনে থাকবে, মল্লিকা তোমার প্রিয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮
রাশেদ রায়হান বলেছেন: বিশ্রি মনে হলে বিশ্রিই বলুন।