নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নৈতিকতার দিক থেকে আমি নিঃস্ব। লেখাপড়ায় চরিত্রের সংস্কার বদলায় না। ভেতরের অন্ধকার ঘোচে না। নাচ মহলে হাজার বাতির রোশনাই, খাসমহলে অন্ধকার।

আহমেদ রাতুল

আমি খুব সাধারন একজন মানুষ। আমার কোন ইতিহাস নেই, আর ভূগোল দেখতেই পারছেন।

আহমেদ রাতুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসম্পূর্ণ স্বপ্ন

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

দুপুর বেলা ভর পেট খাবার পর। আমার একটু ঘুমানোর অভ্যাস। আজ রান্নাটাও অতি উত্তম হয়েছিল। এই ঢাকা শহরের বুয়ারা মাঝে মধ্যে ফাস্ট ক্লাস রান্না করে। তবে সব সময় না। ঠিক যখন ছাঁটাই করার সময় আসে।

টেবিল থেকে কোন রকমে বডিটাকে তুলে এনে বিছানায় ফেলতেই ঘুম। এত তারাতারি ঘুম সাধারনত আমার আসে না। এপাশ ওপাশ করতে করতে কেটে যায় এই সময়টা।

আজ সব কিছুতেই অদ্ভুত একটা ব্যাপার লক্ষ্য করছি। অদ্ভুত একটা স্বপ্ন ও দেখলাম। বিয়ে বাড়ি, মানে বিয়ে করতে গেছি। সবাই আছে। সবাই কেই দেখছি আমার ফ্যামিলির, আমার বউ এর ফ্যামিলির। দিন পনের আগে, আমার বউ এর বড় ভাইয়ের যে বাচ্চাটি হয়েছে। সেই বাচ্চাটিও মায়ের চোখ এড়িয়ে আমায় ভেংচি কাটছে, যেন আমি একটা ফাস্ট ক্লাস বাদর।

ওদিকে সানাইয়ের সুর ভাঁজছে ব্যান্ড পার্টির লোকেরা। বাচ্চারা হৈ হল্ল করছে। উঠানের একপাশে বাবুর্চিরা রান্নায় ব্যাস্ত। বড় ডেকচিতে মাংস রান্না হচ্ছে। আমার শ্বশুর বেশ বড়লোক বলা যায়। মেয়ের বিয়েতে দুহাঁতে টাকা উরাচ্ছেন।

গেট দিয়ে ঢুকেই একটু এগুলেই একটা মঞ্চ মত। আমাদের বসার যায়গা।
কেন জানি না আমার বেশ আনন্দ হচ্ছে। সারা কাল ভেবেছি পালিয়ে বিয়ে করব। আর আমার কি না এই ভাবে হা হা হা।

বিয়ে বাড়িতে নতুন জামাই ঘুরে বেরায়। আমি কখন দেখি নাই। জামাই তো, বেশ একটা লজ্জা লজ্জা ভাব থাকবে। আমার মধ্যে নেই। আমি সারা বাড়ি ঘুরছি। কোথায় কি হচ্ছে দেখছি। শ্বশুর আব্বার সামনে দিয়ে যাবার সময় একটু ভয় ভয় করছিল। যদি কিছু বলে বসে। বেয়াদপ জামাই।

সবাই আমাকে দেখছে কিন্তু কেউ কিছু বলছে না। কেউ আমার সাথে কথাও বলছে না। না বলুক আমার কি!

আচ্ছা আমার বৌ টা কি করছে? আমার মতই উগ্রিব হয়ে আছে কি? ভাবছে প্যান্ডেলে বসে আমায় আর চোখে দেখে নিবে। আর বিরক্তিতে ঠোঁট বাঁকা করে মনে মনে বলবে বাবা আমার "বর" হিসাবে এই ছাগলটা কে পছন্দ করল? আসে পাশে এত এত উন্নত মানে ছাগলেরা ঘুরে বেড়ায়। তাদের কাউকে কি পছন্দ করতে পারে নি?
সারা বাড়ি তো ঘুরলাম। সব গুলো রুম দেখলাম। কিন্তু কিন্তু বৌ কে দেখলাম না। কোথায় গেল সে.................................?

হটাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল ধরমরিয়ে উঠে বসলাম। কি হল? কি হল? আমার বাসার পাশে বিপিডিবির যে জরাজীর্ণ ট্রান্সফরমারটা আছে ওটাই ব্রাষ্ট হয়েছে।

চোখেমুখে একরাশ বিরক্তি ফুটে উঠল। শালার ট্রান্সফরমার ব্রাস্ত হওয়ার আর সময় পেলি না। আর একটু দেখলেই তো শেষ হয়ে যেত। আমার লাইফ টেলিকাস্ট।


হায় সৃষ্টিকর্তা তুমিও মাঝে মাঝে এমন রসিকতা কর। এত কিছু দেখাইলা খালী বৌ এঁর মুখটা দেখাইলা না।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০৭

বিন্দু বিসর্গ বলেছেন: থাক ! বৌ এর মুখ আরেক দিন :-B

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৭

আহমেদ রাতুল বলেছেন: হ রে ভাই অভাগা যেদিক চায়, সাগরও শুকাইয়া যায়।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:১৯

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: বাবা আমার "বর" হিসাবে এই ছাগলটা কে পছন্দ করল? আসে পাশে এত এত উন্নত মানে ছাগলেরা ঘুরে বেড়ায়। তাদের কাউকে কি পছন্দ করতে পারে নি?

হা হা , মগা পাইলুম,ভাইয়ু... :D

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:১০

আহমেদ রাতুল বলেছেন: কোন মেয়ের বর হিসাবে কত বড় ছাগল জানিনে কিন্তু লোডশেডিং এঁর কবলে আমরা সবাই ছাগল।

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৫৮

আহমেদ রাতুল বলেছেন: :) :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.