নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাতুল ভাই

সব কিছু নিয়েই ভাবি সবকিছু নিয়েই লিখি৷

রাতুল ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ চটি পেজ ও ওয়েবসাইট এবং কিছু ভয়ঙ্কর আশঙ্কা

২০ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:১২

বাংলাদেশি ফেসবুক সমাজের অন্ধকার অধ্যায় চটি পেজ গুলোর কথা আমরা অনেকেই জানি। গুগলে সার্চ দিলে এ ধর্মী বেশ কিছু ওয়েব সাইট/ব্লগেরও দেখা মিলে। জানি না এগুলো সম্পর্কে আপনাদের কার অনুভূতি কেমন। তবে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি এগুলোকে অতিসত্তর কঠোর হস্তে দমন করা দরকার।

কারন এসব পেজে যা লেখা হয় (বর্ণনা করা সম্ভব নয়) সেগুলো অনেকটাই বাস্তবতা বিবর্জিত,জঘন্য এবং চরম অরুচিকর। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ভয়ঙ্কর মানসিক বিকৃতির কারন হতে পারে এসব পেজ।

আর হলফ করে বলা যায় এসব পেজের অধিকাংশ পাঠকই আপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৪-১৮) বয়সের কিশোর।কারন বয়সের দোষে এদেরই এসব পেজের প্রতি আকর্ষন অন্য যেকোন বয়সীদের তুলনায় বেশি থাকে। তাইতো ইন্টারনেট;ফেসবুক ব্যাবহারে পারদর্শী এমন কিশোরদের মধ্যে প্রকাশ্যে/গোপনে এসব পেজে দুই একবার ঢু মারেনি এমন কাউকে খুজে পাওয়া খুবই মুশকিল। দুই একবার ঢু মারার ক্ষেত্রে অবশ্য কোন আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু মাছি যেমন একবার জিলাপির খোজ পেলে সেটায় বার বার এসে বসে। ঠিক সেভাবেই এসব বালকদের বেশিভাগই এসব পেজ/ওয়েবসাইটে দুই একবার নয় বরং বার বার এসে ঢু মারে। এভাবে অনেকে নিজের অজান্তেই এসব পেজে আসক্ত হয়ে পড়ে। নিয়মিত এসব পেজের সংস্পর্শে থাকার ফলে এসব পেজের মিথ্যা ও বিকৃত মানসিকতার পরিচয় বাহক কাহিনী গুলো এদের মনে প্রভাব ফেলতে থাকে। যার ফলে এদের আচরনে আসে ভয়ঙ্কর পরিবর্তন। আবার অনেকেই দিকভ্রস্ট হয়ে ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলে। এভাবে এসব চটি পেজের স্লো পয়োজন ধীরে ধীরে কোমল মতিদের মনকে বিষিয়ে তুলে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ৮ম,৯ম,১০ম শ্রেনীর শীক্ষার্থী দের হাতে মোবাইল ফোন/ফেসবুক আইডি থাকার চেয়ে না থাকাটাই আশ্চার্যতম বিষয়। সবার হাতে মোবাইল ফোন না থাকলেও প্রায় প্রত্যেকেই ইন্টারনেট চালনায় পারদর্শী। যেখানে আজ থেকে পাঁচ বছর আগেও দেশে মুষ্টিমেয় কয়েকজন ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী ছিল সেখানে আজ এদেশে ইন্টারনেট প্রযুক্তির এতো বিস্তার অনেক বড় বিপ্লবই বটে। তবে এই বিপ্লব আমাদের সমাজের জন্য অভিশাপ হয়ে থাকবে সেদিন পর্যন্ত যেদিন পর্যন্ত চটির মতো ক্ষতিকারক পেজ/ওয়েবসাইট গুলোকে রুখে দেওয়া না হবে। হয়ত সবে মাত্র এদেশে ইন্টারনেটের বিস্তার ঘটেছে বিধায় সমাজে এসব পেজের প্রভাব এখনো প্রকট আকার ধারন করেনি। তবে এগুলো সামনের দিনগুলোতেও এখনকার মতো চলতে থাকলে অতিশীঘ্রই এগুলোর প্রভাব আমাদের সমাজে প্রকট আকার ধারন করবে। তাই দেশ ও সমাজের স্বার্থে এসব বিষবৃক্ষকে ডাল-পালা ছড়ানোর আগেই স্বমূলে নির্মূল করতে হবে।

উল্লেখ্য পেজ গুলো যে শুধু তরুন প্রজন্মকে মানসিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ করছে তা নয়। তরুন প্রজন্ম কে ইন্টারনেট প্রযুক্তি কে কাজে লাগিয়ে সৃজনশীল কর্মকান্ড সম্পাদনে বাধা সৃষ্টি করছে এসব পেজ।কেননা কিশোরদের মনে ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে সৃষ্টিশীল কিছু করার বিষয়টা ঢাকা পড়ে যাচ্ছে এসব পেজের দাপটে। ফলে ওরা যে সময়টা সৃষ্টিশীল কিছুতে ব্যয় করার কথা সেই সময়টা এসব পেজের পিছনে অপচয় করছে।

এখন প্রশ্ন এসেই যায়, কে বা কারা এসব পেজ বা ওয়েবসাইট পরিচালনা করে?
হতে পারে কোন বিরোধী শক্তির (যারা বাংলাদেশের তরুন প্রজন্ম কে মেধা শূন্য করে এদেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চায়) অর্থায়নে এগুলো পরিচালিত হয়।জানি কথাটা করো কারো কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে কিন্তু একটু ভেবে দেখুন কথাটা অযোক্তিক নয় মোটেও।

যাইহোক,সরকার যদি বিরোধীদলকে রুখার জন্য কয়েক ঘন্টায় ভাইবার,whatsapp বন্ধ করতে পারে তাহলে কয়েকটা চটি ওয়েবসাইট/পেজ বন্ধ করা সরকারের বা হাতের খেলা হওয়ার কথা!!! অতএব দেশে তরুন প্রজন্মের স্বার্থে সরকারের উচিত এসবকে অতিসত্তর কঠোর হস্তে দমন করা।


জানি আমার এই একটি মাত্র পোস্ট এসব পেজ বন্ধ করাতে পারবে না। তবে আপনারা সকলে যদি এই লেখা শেয়ার করে চারিদিকে ছড়িয়ে দেন, তাহলে ব্যাপারটা উদ্ধতন কতৃপক্ষের নজরে পড়ার সম্ভাবনা আছে।তাই একমত হলে অবশ্যই শেয়ার করার অনুরোধ করছি। আর দ্বিমত থাকলে কমেন্ট করে জানানোর অনুরোধ করছি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বলেছেন: হ রে ভাই

২| ২০ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

জনাব মাহাবুব বলেছেন: পুরোপুরি সহমত।

সরকার নিজে ব্যবস্থা না নিলে, আমাদের মত আম আদমী কিছুই করতে পারবো না। :D

২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:২৭

রাতুল ভাই বলেছেন: হুম....
সরকার উদ্দেগ নিলে ব্যাপারটা সহজে সমাধান হয়ে যাবে।

৩| ২০ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

রাতুল ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২০ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪০

নতুন বলেছেন: সরকারের উচিত অবশ্যই পণ` সাইট গুলি বন্ধ করা....

যারা ইউটিউব বন্ধকরতে পারে তারা এই সব সাইট বন্ধের দিকে চিন্তাও করেনা...

২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:২৩

রাতুল ভাই বলেছেন: সরকার চাইলে সবই সম্ভব। কিন্তু আক্ষেপ সরকারের কাছে এসব জরুরি বিষয়ে নজর দেওয়ার সময় নাই। সরকার শেখ হাসিনাকে ফেসবুকে কে কে ব্যঙ্গ করল তাদের খুজে বের করা আর গ্রেপ্তার করার কাজেই ব্যাস্ত >_<

৫| ২১ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

সুমাইয়া আলো বলেছেন: রিপোট করে ২/১ বন্ধ হয়ৎ হয় কিন্ত মিনিটে ১০০টা আরো খোলে ।

৬| ২১ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

গোধুলী রঙ বলেছেন: সরকার/আদালত তো হত্যা করলে ফাঁসি দেয়, ফাঁসি দিয়া দুনিয়ার কোন জায়গায় খুন বন্ধ হইছে বলতে পারেন?

মানুষ অপরাধ বারবার করে কখন, যখন তার মনে এটা গেঁথে যায় যে, এই অপরাধ কারোর তো কোন ক্ষতি করছে না বা অপরাধকে অপরাধ মনে করে না বা সঙ্গদোষ বা মানসিক রোগী। সমস্যার সমাধান শুধু সমস্যাকারীকে শাস্তি দিয়ে সম্ভব নয়, সেই সাথে দরকার সমাজের বৃহত্তম অংশের নৈতিক শিক্ষা আর বাদবাকী যারা সেই শিক্ষা অর্জন করতে পারবে না তারা টুকটাক অপরাধ করলেও যেহেতু সমাজের বৃহত্তম অংশ সেটাকে ঘৃনা করে, তারা ফিরে আসতে পারে বা তাদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হতে পারে।

শেষ কথা হলো, আমাদের এই অধঃপতন থামানো সম্ভব নয়, যদি একাডেমিক শিক্ষায় নৈতিকতার প্রতি জোর দেওয়া না হয় এবং পারিবারিক শিক্ষার ও মূল্যবোধের ক্ষেত্র তৈরী না হয়।

কতটা খারাপ আমাদের এই উঠতি যুব সমাজ, "মা" কে আজ অনলাইনে কোথায় নামিয়েছে !!!! মা, খালা, খালু, মামা, মামী, চাচী, বোন এমনকি নানী এসব কোন শব্দ গুগলে সার্চ করার অবস্থায় নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.