নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অন্য কিছু নই, আমি সবাই.....

বরাবরের মতই প্রতারক এবং পলাতকগণ দূরে থাকুন

মহামহোপাধ্যায়

আমার কিছু সুন্দর সময়, আর খুব প্রিয় কিছু মানুষের কথা মনে করতে চাই বার বার...

মহামহোপাধ্যায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালাপাহাড়ঃ যেভাবে পরিচয়

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২




কোথা চেঙ্গিস, গজনী-মামুদ, কোথায় কালাপাহাড় ;
ভেঙ্গে ফেল ঐ ভজনালয়ের যত তালা-দেওয়া-দ্বার !
[মানুষ – কাজী নজরুল ইসলাম]।


“সবাই বলে, ঊর্মির স্বভাব ওর ভাইয়েরই মত প্রাণ পরিপূর্ণ। ঊর্মি জানে, ওর ভাই ওর মনকে মুক্তি দিয়েছে। হেমন্ত ওকে উপদেশ দিয়ে বলতো, আমাদের ঘরগুলো এক একটা ছাঁচ, মাটির মানুষ গড়বার জন্যই। তাই তো এতকাল ধরে বিদেশী বাজিকর এত সহজে তেত্রিশ কোটি পুতুলকে নাচিয়ে বেড়িয়েছে। সে বলত, ‘আমার যখন সময় আসবে তখন এই সামাজিক পৌত্তলিকতা ভাঙবার জন্য কালাপাহাড়ি করতে বেরোব’।”
[দুই বোন (উপন্যাস) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]






তড়িৎ বাবু কিছু বলার আগেই গুরুগম্ভীর গলায় প্রশ্ন শোনা গেলো- “তোমরা রাজুকে দেখেছো? রাজু”। দেবতোষবাবু আমাদেরই উদ্দেশ্যে প্রশ্নটা করেছেন। ভদ্রলোক এরই মধ্যে পুব থেকে উত্তরের বারান্দায় চলে এসেছেন। তার লক্ষ্য আমাদেরই দিকে। তড়িৎ বাবু আমাদের হয়ে জবাব দিলেন “না, এঁরা দেখেননি”। .............. রাজু হল কালাপাহাড়ের আরেক নাম।
[রয়েল বেঙ্গল রহস্য (ফেলুদা) - সত্যজিৎ রায়]


“তারুণ্য দেখিয়াছি আরবের বেদুইনদের মাঝে, তারুণ্য দেখিয়াছি মহাসমরে সৈনিকের মুখে, কালাপাহাড়ের অসিতে, কামাল-করিম-মুসোলিনি-সানইয়াৎ লেনিনের শক্তিতে।”
[যৌবনের গান– কাজী নজরুল ইসলাম]



“আপনি একটু শুনুন মিস্টার সোম। আমি জানি প্রস্তাবটা খুবই হাস্যকর শোনাবে, কিন্তু উপায় নেই। সাধারণ ডিটেকটিভ এজেন্সির পক্ষে কাজটা করা সম্ভব নয়। প্রফেসর বনবিহারী আমাকে বললেন আপনি ঠিক মানুষ। আমি যাঁর গতিবিধি জানতে চাই তিনি এখনকার মানুষ নন। তিনি ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে মারা যান।”
“অদ্ভুত। ইন্টারেস্টিং।” অমল সোম বসে পড়লেন আবার, “এতদিন জীবিত মানুষ নিয়ে কাজ করেছি। মৃত মানুষ, তাও আবার চারশ দশ বছর আগে মৃত মানুষের কেস নিয়ে কেউ আসবেন ভাবতে পারিনি। মানুষটির নাম কি আমরা জানি?”
“জানা স্বাভাবিক। অন্তত ইতিহাসের বইয়ে দু-চার লাইন প্রত্যেকেই একসময় পড়েছি। ওঁর নাম যাই হোক, ইতিহাস ওকে কালাপাহাড় নামে কুখ্যাত করেছে।
[কালাপাহাড় (অর্জুন) - সমরেশ মজুমদার]




কৈশোরে এভাবেই বারবার চোখে পড়তে লাগলো কালাপাহাড়ের নাম। শুরু করেছিলাম খোঁড়াখুঁড়ি। যা বেড়িয়েছিলো আজ তুলে দিচ্ছি আপনাদের হাতেঃ

বাংলার ইতিহাস ও সাহিত্যে প্রলয়-ধবংসের মূর্ত প্রতীক হিসেবে যিনি আপন মহিমায় বিরাজমান তিনি কালাপাহাড়। ধরে নেয়া হয় ১৫৩০ সালের কাছাকাছি কোন এক সময়ে উত্তর বাংলার এক বাঙ্গালি ব্রাহ্মণ পরিবারে তার জন্ম হয়। তখন তার নাম ছিল রাজীব লোচন রায় ওরফে রাজু। দিল্লীর মসনদে তখন মুঘল সম্রাট নাসির উদ্দীন মুহাম্মদ হুমায়ূন আর বাংলায় চলছে হুসেন শাহী বংশের স্বাধীন সুলতানি আমল। এরপর তার শৈশব কৈশোর নিয়ে তেমন কিছু জানা যায় না। এটুকু জানা যায় তিনি কোনভাবে সুলায়মান খান কররানির সেনাদলে যুক্ত হয়েছিলেন। ব্রাহ্মণসন্তান বিদ্যা অর্জন বাদ দিয়ে কেন সৈন্যদলে যোগ দিলেন, তা আজো রহস্যাবৃত। অবশ্য কেউ কেউ দাবি করেন তিনি ছিলেন কলিঙ্গ-উৎকল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট গজপতি মুকুন্দ দেব এর সেনাপতি। এ বিষয়ে অবশ্য জোরালো প্রমাণের অভাব রয়েছে।

এরমাঝে বদলে যায় অনেক কিছু, ১৫৪০ সালে মুঘল সম্রাট হুমায়ূন পরাজিত হয়ে দিল্লী হারান আফগান শাসক শের শাহ এর কাছে। তার আগেই কয়েকবারের প্রচেস্টায় বাংলা ও বিহার জয় করে নিয়েছিলেন শের শাহ, যা কিছুদিন আগেই মুঘল সাম্রাজ্যভূক্ত হয়েছিল। পরে ১৫৫৬ সালে পানি পথের দ্বিতীয় যুদ্ধে আদিল শাহের সেনাপতি হিমুকে পরাজিত করে আকবর মুঘল সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করলেও বাংলা থেকে যায় আফগানদের হাতেই। যা হোক, দক্ষিণ বিহারের জায়গীর লাভ করেছিলেন শের শাহের দুই সেনাপতি তাজ খান কররানি ও তার ভাই সুলায়মান খান কররানি। ক্রমে তারা পুরো বিহার ও বাংলা তাদের শাসনাধীন করেন (১৫৬৪ সাল)। এমনই কোন এক সময়ে সাধারণ সৈনিক থেকে ধাপে ধাপে উন্নতি করা বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান সমরবিদ রাজীব লোচন রায়ের উপর সুনজর পড়ে বাংলার সুলতান সুলায়মান খান কররানির। তিনি রাজীব লোচন রায়কে ধর্মান্তরিত হবার শর্তে তার কন্যার সাথে বিবাহ দিয়ে সেনাপতি পদে অধিষ্টিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। মতান্তরে রাজীব লোচন রায় শাহজাদীর প্রেমে পড়লে উক্ত প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। লোভে পড়ে অথবা চক্রান্তে, রাজীব রায় রাজী হলে হিন্দু সমাজ তাকে একঘরে করে ফেলে। তার কাছে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করতে অস্বীকৃতি জানায় এমনকি তার সন্তানের পানের জন্য দুধ বিক্রয় পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়। ক্ষোভে, দূঃখে বা অনুশোচনায় তিনি পুনরায় হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে চান। কিন্তু তৎকালীন কট্টর বাঙ্গালি হিন্দু সমাজ তাকে গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানায়। বাধ্য হয়ে তিনি উড়িষ্যার পুরীতে অবস্থিত জগন্নাথের মন্দিরে যান শুদ্ধ হতে। কিন্তু এখানেও তাকে হতাশ হতে হয়। যবন (মুসলমান) হওয়ায় তাকে মন্দিরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। একরকম অপমানিত হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। ব্যর্থ মনোরথে ফিরে আসেন রাজধানীতে, যা গৌড় থেকে তান্ডায় স্থানান্তর করা হয়।



মোটামুটি ধারণা করা হয় বৃত্তাঙ্কিত স্থলভাগে বিচরণ ছিল কালাপাহাড়ের।



কথা রেখেছিলেন সুলায়মান কররানি, তিনি ধর্মান্তরিত রাজুকে সেনাপতি করেছিলেন যার ফলে রাজুর হাতে আসে প্রচুর ক্ষমতা। কররানি শাসকদের মধ্যে খুব বিচক্ষণ আর দূরদর্শী ছিলেন সুলায়মান কররানি। তিনি তার রাজত্ব বিস্তৃত করেন আসাম থেকে উড়িষ্যা পর্যন্ত, এবং এই অভিযানগুলোতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন রাজু যিনি ততদিনে “কালাপাহাড়” নামে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। হিন্দুসমাজ এবং মন্দির থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার অপমান তখন পুড়িয়ে মারছে তাকে। তাই এই সব অভিযানে যত মন্দির তার সামনে পড়েছে তার খুব কমই রেহাই পেয়েছে তার ধবংসের হাত থেকে। একই সাথে বিনষ্ট হয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি আর শিল্পকলা। তার ক্রোধের রোষে পতিত বিখ্যাত মন্দিরগুলোর মধ্যে আছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির, গৌহাটির কামাখ্যা মন্দির, কোণার্কের সূর্য মন্দির, বালাসোরের গোপিনাথ মন্দির, ময়ুরভঞ্জ, মেদিনীপুর সহ আরো বেশকিছু মন্দির । কথিত আছে যে, তার ধবংসলীলার জন্য আসামে তাকে কালোকুঠার বা পোড়াকুঠার নামেও সম্বোধন করা হত। জানা যায় তিনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মন্দিরের ভেতর বিশাল আকৃতির ঢোল ও ঘন্টা বাজিয়ে অনুরনন তৈরী করে মন্দিরের ক্ষতি সাধন করতেন । ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৫৬৮ সালে উড়িষ্যায় পরিচালিত অভিযানে তিনি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি সাধন করেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে এবং এই অভিযানে প্রচুর পরিমাণ সম্পদ তার হস্তগত হয়।


পুরীর জগন্নাথ মন্দির।


সুলায়মান খান কররানি উড়িষ্যা জয়ের সংকল্পে তাঁর পুত্র বায়াজিদ ও দুর্ধর্ষ সেনাপতি কালাপাহাড়ের অধীনে অভিযান প্রেরণ করেন। কূটসামার নিকট যুদ্ধে উড়িষ্যার রাজা হরিচন্দন মুকুন্দরাম ও তার সৈন্যাধক্ষ রামচন্দ্র ভানজা (ধৃত ও নিহত) পরাজিত ও নিহত হন। (১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দ)
একই সময় কুচবিহারের রাজা বিশ্ব সিংহ তাঁর পুত্র ও খ্যাতনাম সেনাপতি শুক্লধ্বজের (চিলা রায় নামে সুপরিচিত) অধীনে একদল সৈন্য কররানি রাজ্য আক্রমণ করতে পাঠান। সুলায়মান কররানি শুক্লধ্বজকে পরাজিত ও বন্দী করে কালাপাহাড়কে কুচবিহার জয়ের জন্য প্রেরণ করেন। কালাপাহাড় কুচবিহারের কামাখ্যা ও হাজু পর্যন্ত অধিকার করেন। এই সময় উড়িষ্যায় এক বিদ্রোহ দেখা দিলে সুলায়মান কররানি কালাপাহাড়কে ডেকে পাঠান এবং দখল করা জায়গাগুলো ফিরিয়ে দিয়ে ও শুক্লধ্বজকে মুক্তি দিয়ে বিশ্ব সিংহের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন।





কোণার্কের সূর্য রথের মন্দির। ছবি স্বত্বঃ জুন আপু


একদিকে রাজ্য বিস্তার করলেও কূটনৈতিক দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সুলায়মান কররানি মুঘল সম্রাট আকবরের আনুগত্য মেনে নিয়ে তার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলছিলেন উত্তর প্রদেশের মুঘল শাসক মুনিম খাঁ’র মাধ্যমে। কিন্তু ১৫৭২ সালে এই শাসকের (সুলায়মান কররানি) মৃত্যু হলে হুমকির মুখে পড়ে বাংলায় আফগান শাসন। তার পুত্র দাউদ খান কররানি বাংলার সিংহাসনে বসলে বিরোধ বাধে মুঘল সাম্রাজ্যের সাথে। কারন দাউদ কররানি বাংলার বিশাল ঐশ্বর্য দেখে নিজেকে বাদশাহ বলে ঘোষণা করেন। ফলশ্রুতিতে মুঘল সম্রাট আকবরের নির্দেশে মুনিম খান আক্রমন করেন দাউদ খানকে এবং তার রাজধানী তান্ডা দখল করে নেন, বিতাড়িত দাউদ খান উড়িষ্যায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। এদিকে তান্ডায় প্লেগের সংক্রমন হলে মুনিম খান এবং তার প্রচুর সৈন্য মারা যায়, এই সুযোগে দাউদ খান আবার তান্ডা পুনরুদ্ধার করেন। অপরদিকে বারভূইয়ার ঈশা খাঁ পুর্ব বাংলা থেকে মুঘল সৈন্যদের তাড়িয়ে দেয়। সকল যুদ্ধে অত্যন্ত বীরত্বের সাথে দাউদ খানের পাশে ছিলেন কালাপাহাড়।

মুনিম খাঁ’র মৃত্যু সংবাদ দিল্লীতে পৌছালে অভিযানের দায়িত্ব নিয়ে খানজাহান হুসেন কুলি খান এবং তার সহকারী হিসেবে আসেন রাজা টোডরমল (নবরত্নের অন্যতম)। উভয় পক্ষের মাঝে চূড়ান্ত যুদ্ধ হয় রাজমহলে। ১২ জুলাই ১৫৭৬, রাজমহলের যুদ্ধের শুরুতে কালাপাহাড়ের তীব্র আক্রমণে মুঘল সৈন্যরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। বিহারের শাসনকর্তা মুজাফফর খান তুরবাতি এই যুদ্ধে মুঘলদের সহযোগিতা করেন। প্রচন্ড এই যুদ্ধে দাউদ খান পরাজিত হন এবং পরে তার মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় এবং কথিত আছে যে, এই একই যুদ্ধে মুঘল কামানের গোলার আঘাতে কালাপাহাড় নিহত হন কালীগঙ্গা নদীর তীরে।

মতান্তরে মুঘলদের গুলির আঘাতে কালাপাহাড় আহত হন এবং যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে পড়েন।


শেষে আরও কিছু বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু মনে হল মোহিতলাল মজুমদারের লেখা কবিতাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলে সবচেয়ে ভালো হয়।


কালাপাহাড় (মোহিতলাল মজুমদার)


শুনিছ না---ওই দিকে দিকে কাঁদে রক্ত পিশাচ প্রেতের দল!
শবভুক্ যত নিশাচর করে জগৎ জুড়িয়া কী কোলাহল !
দূর-মশালের তপ্ত-নিশাসে ঘামিয়া উঠিছে গগন-শিলা !
ধরণীর বুক থরথরি কাঁপে --- একি তাণ্ডব নৃত্য লীলা !
এতদিন পরে উদিল কি আজ সুরাসুর জয়ী যুগাবতার ?
মানুষের পাপ করিতে মোচন, দেবতারে হানি' ভীম প্রহার,
---কালাপাহাড় ! ...

কতকাল পরে আজ নরদেহে শোনিতে ধ্বনিছে আগুন গান !
এতদিন শুধু লাল হ'ল বেদী --- আজ তার শিখা ধূমায়মান !
আদি হ'তে যত বেদনা জমেছে --- বঞ্চনাহত ব্যর্থশ্বাস---
ওই ওঠে তারি প্রলয়-ঝটিকা, ঘোর গর্জন মহোচ্ছাস !
ভয় পায় ভয় ! ভগবান ভাগে ! ---প্রেতপুরী বুঝি হয় সাবাড় !
ওই আসে---তার বাজে দুন্দুভি, তামার দামামা, কাড়া-নাকাড় !
---কালাপাহাড় !

কোটি-আঁখি-ঝরা অশ্রু-নিঝর ঝরিল চরণ-পাষাণ-মূলে,
ক্ষয় হ'ল শুধু শিলা-চত্তর --- অন্ধের আঁখি গেল না খুলে !
জীবের চেতনা জড়ে বিলাইয়া আঁধারিল কত শুক্ল নিশা !
রক্ত-লোলুপ লোল-রসনায় দানিল নিজেরি অমৃত-তৃষা !
আজ তারি শেষ ! মোহ অবসান ! ---দেবতা-দমন যুগাবতার !
আসে ওই ! তার বাজে দুন্দুভি---বাজায় দামামা, কাড়া-নাকাড় !
---কালাপাহাড় !

বাজে দুন্দুভি, তামার দামামা---বাজে কী ভীষণ কাড়া নাকাড় !
অগ্নি-পতাকা উড়িছে ঈশানে, দুলিছে তাহাতে উল্কা-হার !
অসির ফলকে অশনি ঝলকে---গলে যায় যত ত্রিশূল চুড়া !
ভৈরব রবে মুর্ছিত ধরা, আকাশের ছাদ হয় বা গুঁড়া !
পূজারী অথির, দেবতা বধির---ঘন্টার রোলে জাগে না আর !
অরাতির দাপে আরতি ফুরায়---নাম শুনে হয় বুক অসাড় !
---কালাপাহাড় !

নিজ হাতে পরি' শিকলি দু'পায় দুর্বল করে যাহারে নতি,
হাত জোড় করি' যাচনা যাহারে, আজ হের তার কি দুর্গতি !
কোথায় পিনাক ? ---ডমরু কোথায় ? কোথায় চক্র সুদর্শন ?
মানুষের কাছে বরাভয় মাগে মন্দির-বাসী অমরগণ !
ছাড়ি' লোকালয় দেবতা পলায় সাত-সাগরের সীমানা-পার !
ভয়ংকরের ভুল ভেঙে যায় ! বাজায় দামামা, কাড়া-নাকাড়,
---কালাপাহাড় !

কল্প-কালের কল্পনা যত, শিশু-মানবের নরক-ভয়---
নিবারণ করি' উদিল আজিকে দৈত্য-দানব-পুরঞ্জয় !
দেহের দেউলে দেবতা নিবসে---তার অপমান দুর্বিষহ !
অন্তরে হ'ল বাহিরের দাস মানুষের পিতা প্রপিতামহ !
স্তম্ভিত হৃৎপিণ্ডের 'পরে তুলেছে অচল পাষাণ-ভার---
সহিবে কি সেই নিদারুণ গ্লানি মানবসিংহ যুগাবতার
---কালাপাহাড় ?

ভেঙে ফেল' মঠ মন্দির-চূড়া, দারু-শিলা কর নিমজ্জন !
বলি-উপচার ধূপদীপারতি রসাতলে দাও বিসর্জ্জন !
নাই বাহ্মণ, ম্লেচ্ছ-যবন, নাই ভগবান---ভক্ত নাই,
যুগে যুগে শুধু মানুষ আছে রে ! মানুষের বুকে রক্ত চাই !
ছাড়ি' লোকালয় দেবতা পলায় সাত-সাগরের সীমানা-পার !
ভয়ংকরের ভয় ভেঙে যায়, ---বাজায় দামামা, কাড়া-নাকাড়,
---কালাপাহাড় !

ব্রাহ্মণ যুবা যবনে মিলেছে, পবন মিলেছে বহ্নি সাথে !
এ কোন্ বিধাতা বজ্র ধরেছে নবসৃষ্টির প্রলয়-রাতে !
মরুর মর্ম বিদারি' বহিছে সুধার উত্স পিপাসাহরা !
কল্লোলে তার বন্যার রোল ! ---কূল ভেঙে বুঝি ভাসায় ধরা !
ওরে ভয় নাই ! ---মুকুটে তাহার নবারুণ-ছটা, ময়ূখ হার |
কাল নিশীথিনী লুকায় বসনে !---সবে দিল তাই নাম তাহার
কালাপাহাড় !

শুনিছ না ওই--- দিকে দিকে কাঁদে রক্তজপিশাচ প্রেতের পাল !
দূর-মশালের তপ্ত-নিশাসে ঘামিয়া উঠিছে গগন-ভাল !
কার পথে-পথে গিরি নুয়ে যায় ! কটাক্ষে রবি অস্তমান !
খড়্গ কাহার থির-বিদ্যুৎ ! ধূলি-ধ্বজা কার মেঘ-সমান !
ভয় পায় ভয় ! ভগবান ভাগে ! প্রেতপুরী বুঝি হয় সাবাড় !
ওই আসে ! ওই বাজে দুন্দুভি---বাজায় দামামা, কাড়া-নাকাড়
---কালাপাহাড় !



তথ্যসূত্রঃ
১. মোহিতলাল মজুমদার

২. A story of ambivalent modernization in Bangladesh and West Bengal; the rise and fall of Bengali elitism in South Asia

৩. Karrani dynasty and end of independent Bengal Karrani dynasty and end of independent Bengal

৪. Sulaiman Karrani

৫. হিন্দু কালাপাহাড় - ধর্ম যখন ব্যাকফায়ার করে

৬. কোর্ণাকের সূর্য মন্দির

৭. Asiatick Researches, Or, Transactions of the Society Instituted in Bengal

৮. ইতিহাস পুনর্পাঠ

৯. ম্যাপ

১০. ছবিঃ আন্তর্জাল (কোণার্কের সূর্যরথের মন্দির ব্যতীত)

১১. বাংলাদেশের ইতিহাস- ডঃ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম, ডঃ আবদুল মমিন, ডঃ এ বি এম মাহমুদ, ডঃ সিরাজুল ইসলাম. নওরোজ কিতাবিস্তান, ঢাকা। আগস্ট ২০০৫.

*********************************
কৃতজ্ঞতাঃ কোণার্কের সূর্যরথের মন্দিরের ছবির জন্য জুন আপুর কাছে অসংখ্য কৃতজ্ঞতা।

উৎসর্গঃ সেই সব কিশোরদের; বই পড়ে যাদের জানার ক্ষুধা কখনোই কমেনি বরং বেড়েছে।

মন্তব্য ৭৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৭৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: Very good post.

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। খুশি হলাম :)



ভালো থাকুন।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চুদুর - বুদুর পোস্ট :P :P :P

ধলা পাহাড় কই ?
:)
খুব খাইট্টা পোস্ট দিছ ভাই , ভালা লাগল ।
ভাল থাইক , গেলুম , সালাম ! :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মাইরালা !! এর মধ্যে চুদুর বুদুর কি দেখলেন ভাই ?? 8-| 8-|

এই কালাপাহাড়ের ধলাপাহাড় আছিল জানতাম না :(


আপনাদের ভালো লাগলেই আমার পরিশ্রম সার্থক। আপনিও ভালো থাকবেন।

সালাম গ্রহণ করলাম।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: পড়লাম কালাপাহাড়-বন্দনা।
বর্ণনা মন্দ না :)

অনেক খেটেছেন - এজন্য ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।

মোহিতলাম মজুমদারের ‘কালাপাহাড়’ লেখাটি অনেক ভালো লেগেছে।
পুরো পোস্টটিই সুন্দর এবং ভাবনা-সমৃদ্ধ।
আরও পড়তে পারবো আশা করছি।

শুভেচ্ছা :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।


পোস্টটি দিয়ে একটু দ্বিধার মধ্যে ছিলাম, ইতিহাসের বর্ণনা কি একটু বেশি হয়ে গেলো ?? আসলে উপায় ছিলো না। ইতিহাস আশ্রিত ব্যাপারে এটুকু বর্ণনা ছাড়া প্রেক্ষাপট ফুটে উঠত না।

আর আপনাদের ভালো লাগলেই আমার দেয়া শ্রমটুকু সার্থক মনে হবে।

মোহিতলাম মজুমদারের ‘কালাপাহাড়’ কবিতাটি পড়ে আমি আসলেই মুগ্ধ হয়েছিলাম। তালে তালে পড়ে গেলে রক্তে কেমন যেন একটা জোয়ার আসে!!

আমার আরও লেখার ইচ্ছে আছে ইতিহাসের এমন কিছু চরিত্র নিয়ে, দেখা যাক কতটুকু পারি!! তবে আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে অবশ্যই লিখব।

ভীষণ অলস হয়ে গেছি ভাই, আপনার পোস্টগুলোতে যাওয়া হয় না অনেকদিন। কথা দিচ্ছি খুব শীঘ্রই যাব।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা আপনার জন্যেও :)

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

সোহেল রনি বলেছেন: কালাপাহাড় সর্ম্পকে খুব সামান্যই জানতাম।
আপনার পোষ্ট পড়ে অনেক কিছু জানলাম।

অনেক সুন্দর সমৃদ্ধ পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন। :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ। তার ব্যাপারে আমরা সবাই খুব সামান্যই জানার সুযোগ পাই। তাই ভাবলাম দেখি আপনাদের একটু বেশি জানানো যায় কি না :)

আপনিও অনেক ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল :)


কোটি-আঁখি-ঝরা অশ্রু-নিঝর ঝরিল চরণ-পাষাণ-মূলে,
ক্ষয় হ'ল শুধু শিলা-চত্তর --- অন্ধের আঁখি গেল না খুলে !
জীবের চেতনা জড়ে বিলাইয়া আঁধারিল কত শুক্ল নিশা !
রক্ত-লোলুপ লোল-রসনায় দানিল নিজেরি অমৃত-তৃষা !
আজ তারি শেষ ! মোহ অবসান ! ---দেবতা-দমন যুগাবতার !
আসে ওই ! তার বাজে দুন্দুভি---বাজায় দামামা, কাড়া-নাকাড় !
---কালাপাহাড় !

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাকে পোস্টে কমেন্ট করতে দেখলে সবসময় বুকে একটা আলাদা সাহস পাই।

কালাপাহাড় যত প্রলয় ধবংসের প্রতীক হয়ে থাকুক না কেন ইতিহাসে ঐ সময় এক চৈতন্যদেব আর কিছু কবি ছাড়া আর কোন বাঙালীর নাম পাওয়া যায় না। তাই এই কালাপাহাড়ের প্রতি সবসময় একটা ভালোলাগা কাজ করেছে।

ভালো থাকুন ভাইয়া। শুভ কামনা রইল।


নিজ হাতে পরি' শিকলি দু'পায় দুর্বল করে যাহারে নতি,
হাত জোড় করি' যাচনা যাহারে, আজ হের তার কি দুর্গতি !
কোথায় পিনাক ? ---ডমরু কোথায় ? কোথায় চক্র সুদর্শন ?
মানুষের কাছে বরাভয় মাগে মন্দির-বাসী অমরগণ !
ছাড়ি' লোকালয় দেবতা পলায় সাত-সাগরের সীমানা-পার !
ভয়ংকরের ভুল ভেঙে যায় ! বাজায় দামামা, কাড়া-নাকাড়,
---কালাপাহাড় !

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট ভাই।

কালাপাহাড়ের বিষয়ে এতটা জানতাম না।

তবে এ ধারণা প্রকট হয়ে উঠেছিল যে কালাপাহাড় কোন জাতি-ধর্ম-বর্ণের বা বিশ্বাসের প্রতিনিধি নন।

বরং তিনি ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ-ক্ষোভ-হতাশা-জিঘাংসা-অপূর্ণজ্ঞান আর ক্ষমতার প্রতিনিধি।
ধারণাটা অবশেষে সত্যে পরিণত হল।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আসলে তার ব্যাপারে আমরা সবাই খুব সামান্যই জানার সুযোগ পাই। তাই ভাবলাম দেখি আপনাদের সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করা যায় কি না !!


"তবে এ ধারণা প্রকট হয়ে উঠেছিল যে কালাপাহাড় কোন জাতি-ধর্ম-বর্ণের বা বিশ্বাসের প্রতিনিধি নন।

বরং তিনি ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ-ক্ষোভ-হতাশা-জিঘাংসা-অপূর্ণজ্ঞান আর ক্ষমতার প্রতিনিধি।
ধারণাটা অবশেষে সত্যে পরিণত হল।"


সহমত। উপরে সমরেশ মজুমদারের যে বইটার কথা বলেছি সেই বইয়ে তিনি এক আশ্চর্য কথা উল্লেখ করেছেন। কোন এক কারনে কালাপাহাড় শ্রী চৈতন্যদেবের মন্দিরের কোন ক্ষতি সাধন করেন নি এবং লেখক প্রশ্ন রেখেছেন "এর কারণ কি এই যে চৈতন্যদেব সকল মানুষ, হিন্দু মুসলমান, ধনী গরীব নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে দেখেছেন??" এর উত্তর হয়তো কখনই পাওয়া যাবে না।

ভালো থাকুন ভাই। অনেকদিন পর আপনার সাথে কথা হল ভালো লাগছে।


ভেঙে ফেল' মঠ মন্দির-চূড়া, দারু-শিলা কর নিমজ্জন !
বলি-উপচার ধূপদীপারতি রসাতলে দাও বিসর্জ্জন !
নাই বাহ্মণ, ম্লেচ্ছ-যবন, নাই ভগবান---ভক্ত নাই,
যুগে যুগে শুধু মানুষ আছে রে ! মানুষের বুকে রক্ত চাই !
ছাড়ি' লোকালয় দেবতা পলায় সাত-সাগরের সীমানা-পার !
ভয়ংকরের ভয় ভেঙে যায়, ---বাজায় দামামা, কাড়া-নাকাড়,
---কালাপাহাড় !

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

নীরব 009 বলেছেন: পোস্টে ভাল লাগা দিতে পারলাম না। সামুর মামুর আম্মু X(


সকাল বেলা ইতিহাস পড়তে ভাল লাগছে। সূর্য মন্দিরের ছবি দেইখা ভাবতেসি চিটাগাং থেকে তো বেশি দূর না। আমার আবার এইসব পুরাতন স্থাপত্যের প্রতি আজিব নেশা আছে। সেগুলা নিজ চোক্ষে দেখা, হাত দিয়ে স্পর্শ করা আর রোমাঞ্চিত হওয়া। :(

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ছিঃ ছিঃ এভাবে বলবেন না !! হাজার হোক সামু তো আমাদের বলার সুযোগ দিচ্ছে :)

সকালবেলা ইতিহাস পড়তে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার এই আজিব নেশা দেখে তো চিন্তায় পড়ে গেলাম, আরও কিছু লিঙ্ক ছিল ভেবেছি ফাঁকিবাজি করে কাটিয়ে দেব, আপনি দেখি সেটা হতে দিলেন না।

আপনার সাথে দেখা হয় না অনেকদিন। যা হোক ভালো থাকুন।

কল্প-কালের কল্পনা যত, শিশু-মানবের নরক-ভয়---
নিবারণ করি' উদিল আজিকে দৈত্য-দানব-পুরঞ্জয় !
দেহের দেউলে দেবতা নিবসে---তার অপমান দুর্বিষহ !
অন্তরে হ'ল বাহিরের দাস মানুষের পিতা প্রপিতামহ !
স্তম্ভিত হৃৎপিণ্ডের 'পরে তুলেছে অচল পাষাণ-ভার---
সহিবে কি সেই নিদারুণ গ্লানি মানবসিংহ যুগাবতার
---কালাপাহাড় ?

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার পড়াশোনার দৌড় কতোটা কম আশা করি এর পরের লাইন পড়লে বুঝবি। আমি ভাবছিলাম সিলেট বা কোনও বিখ্যাত জায়গার এক বিখ্যাত পাহাড়ের নাম হইলো এই " কালাপাহাড়"!!!

আমি ছুডু বেলায় ফেলুদা সিরিজ বা সমরেশ মজুমদারের কালাপাহাড় বা এই জাতীয় রহস্য মানব, অভিধান কিছুই পড়ি নাই। বা ইতিহাস নিয়া বরাবর ইন্টারেস্ট কম থাকায় অনেক কিছুই জানি না। তোর দেয়া লিঙ্কে ঢু মারতে কবে যাবো জানি না। তবে বসে বসে যে এসব টাইপ করছিস তাতে তোর ধন্যবাদ প্রাপ্র্য। রাজুর জীবন বৃত্তান্ত তো ভয়াবহ ধরণের!!! সৃষ্টি, কৃষ্টি ধংস করে দিছে।

এই পোস্টে কোনও ছবি দিছিলি নাকি ? :P

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আরে ধুর এইগুলা কোন ব্যাপার না। ছোট বেলায় পড় নাই তাতে কি হইছে এখন পড়বা !! আর ভারতের কোথায় যেন একটা জায়গা আছে সত্যিই যার নাম কালাপাহাড়।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের খুব পছন্দের একটা চরিত্র ছিল কালাপাহাড়। দ্রোহের ব্যাপারে প্রায়ই তিনি কালাপাহাড়কে হাজির করতেন।

রাজুর জীবন বৃত্তান্ত তো ভয়াবহ ধরণের!!! সৃষ্টি, কৃষ্টি ধংস করে দিছে, এ সবই মানি কিন্তু তিনিই তৎকালীন একমাত্র বাঙ্গালি যে কুখ্যাত হয়েও এত এত মুঘল আফগান/পাঠানের ভীড়ে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। তাকে ভালো লাগার এটা একটা বড় কারন।

পোস্টে কোন ছবি দিতে পারি নাই আপা :(

যা হোক ভালো থেকো।

ব্রাহ্মণ যুবা যবনে মিলেছে, পবন মিলেছে বহ্নি সাথে !
এ কোন্ বিধাতা বজ্র ধরেছে নবসৃষ্টির প্রলয়-রাতে !
মরুর মর্ম বিদারি' বহিছে সুধার উত্স পিপাসাহরা !
কল্লোলে তার বন্যার রোল ! ---কূল ভেঙে বুঝি ভাসায় ধরা !
ওরে ভয় নাই ! ---মুকুটে তাহার নবারুণ-ছটা, ময়ূখ হার |
কাল নিশীথিনী লুকায় বসনে !---সবে দিল তাই নাম তাহার
কালাপাহাড় !


১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এখন ছবি দিলাম আপা। দেখে বলবে কিন্তু কেমন হয়েছে :)

৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট । ইতিহাসের বিতর্কিত সেনাপতি কালাপাহাড় সম্পর্কে দারুণ বিশ্লেষণ ।

পোস্টে ভালোলাগা+

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাদের ভালো লাগলেই আমি খুশি। প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

ইতিহাসের বিতর্কিত সেনাপতি কালাপাহাড়, মানি কিন্তু তিনিই তৎকালীন একমাত্র বাঙ্গালি যে কুখ্যাত হয়েও এত এত মুঘল আফগান/পাঠানের ভীড়ে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। তাকে ভালো লাগার এটা একটা বড় কারন।


শুনিছ না ওই--- দিকে দিকে কাঁদে রক্তজপিশাচ প্রেতের পাল !
দূর-মশালের তপ্ত-নিশাসে ঘামিয়া উঠিছে গগন-ভাল !
কার পথে-পথে গিরি নুয়ে যায় ! কটাক্ষে রবি অস্তমান !
খড়্গ কাহার থির-বিদ্যুৎ ! ধূলি-ধ্বজা কার মেঘ-সমান !
ভয় পায় ভয় ! ভগবান ভাগে ! প্রেতপুরী বুঝি হয় সাবাড় !
ওই আসে ! ওই বাজে দুন্দুভি---বাজায় দামামা, কাড়া-নাকাড়
---কালাপাহাড় !

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

তাহমিদুর রহমান বলেছেন: ওনেক কিছু জানলাম






View this link

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।


আমার ব্লগে স্বাগতম। ভালো থাকুন শুভকামনা রইল।

১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: আমি খুব কম পরিশ্রমী!!
খেটে লিখতেও পারিনা পড়তেও পারিনা!! :(

কিভাবে পারেন ভাইয়া!!!!! :-< :-< :-<

হ্যাটস অফ!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

পরিশ্রম কম বা বেশি ব্যাপার না আপু। যেদিন লিখতে লিখতে বা পড়তে পড়তে আপনার ভালো লাগার ব্যাপারটা পেয়ে যাবেন সেদিন নিজের পরিশ্রম করার সামর্থ্য দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন :)

আমিও যেটুকু করেছি ভালোলাগা থেকেই করেছি।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অনেক পরিশ্রমী পোস্ট। অনেক কিছু জানা যাবে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আশা করি ভালো আছেন।

আপনাদের যদি একটুও ভালো লাগে তবেই আমার পোস্ট দেয়া সার্থক।

শুভেচ্ছা।

১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
‘কালাপাহাড়’ কবিতাটার সাথে পরিচয় ১৯৮৭ সালের দিকে। সেটা এক কঠিন অভিজ্ঞতা ছিল :(

কালাপাহাড় নিয়ে আপনার গবেষণা খুব ভালো লাগলো। কালাপাহাড় নিয়ে বলতে গেলে কিছুই জানতাম না।

পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা রেঞ্জের নাম ‘কালাপাহাড়’, যেখানে ভ্রমণের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার ;) কিন্তু সাবধান, এই ভ্রমণ মোটেও সাধারণ ভ্রমণের মতো নয়।

আমরা একদিন ছুটি নিয়ে হাইকিঙে যাবো, ১৮০৩ ফুট আপ-হিল বেয়ে
ভাটিমাইন চূড়ায় উঠবো- বিস্তৃত কালাপাহাড় পুরোটাই দখলে;
ভিক্ষুকে দিয়ে ছুটি
ক্ষুদ্র ছাপরাঘরে গড়বো আমাদের জন্য অন্য একটি পৃথিবী।


চমৎকার পোস্ট।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপনার কবিতাটা পড়ে আসলাম ভাইয়া। মুগ্ধ হয়ে প্রিয়তে রেখে দিলাম। ভাটিমাইনের কালাপাহাড়ে যাবার ইচ্ছে রইল :)

কালাপাহাড় নিয়ে টুকটাক ঘাটাঘাটি আগেই করা ছিল। আর তৎকালীন অন্য কোন বাঙালির এতোটা নাম শোনা যায় না ইতিহাসে। তাই আর কি উনার প্রতি একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করে, যদিও তিনি ইতিহাসে ততোটা প্রশংসিত নন।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন । শুভকামনা রইল।

(বিলম্বে উত্তর প্রদানের জন্য শরমিন্দা :!> )


কতকাল পরে আজ নরদেহে শোনিতে ধ্বনিছে আগুন গান !
এতদিন শুধু লাল হ'ল বেদী --- আজ তার শিখা ধূমায়মান !
আদি হ'তে যত বেদনা জমেছে --- বঞ্চনাহত ব্যর্থশ্বাস---
ওই ওঠে তারি প্রলয়-ঝটিকা, ঘোর গর্জন মহোচ্ছাস !
ভয় পায় ভয় ! ভগবান ভাগে ! ---প্রেতপুরী বুঝি হয় সাবাড় !
ওই আসে---তার বাজে দুন্দুভি, তামার দামামা, কাড়া-নাকাড় !
---কালাপাহাড় !

১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



চমৎকার পোস্ট +++

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাকে পোস্টে দেখে খুব খুশি হলাম।


ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইল :)


(বিলম্বে উত্তর প্রদানের জন্য শরমিন্দা :#> )

১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

আমিনুর রহমান বলেছেন:




দুর্দান্ত পোষ্ট। অনেক পরিশ্রমী ও বুদ্ধিদীপ্ত পোষ্ট।
অনেক কিছু জানলাম।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাকে পোস্টে কমেন্ট করতে দেখে খুব খুশি হলাম।


ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইল :)


(বিলম্বে উত্তর প্রদানের জন্য শরমিন্দা :!> )

১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

আসফি আজাদ বলেছেন: +++

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইল :)


(বিলম্বে উত্তর প্রদানের জন্য শরমিন্দা :!> )

১৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

অ্যানোনিমাস বলেছেন: চমৎকার ++++

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাকে পোস্টে কমেন্ট করতে দেখে খুব খুশি হলাম।


আপনার কিছু পোস্ট আমার গ্রীক মিথের এই সংকলনে নিয়ে রেখেছি। বলা বাহুল্য পোস্টগুলো অত্যন্ত চমৎকার।

ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইল :)


(বিলম্বে উত্তর প্রদানের জন্য শরমিন্দা :#> )

১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: কালাপাহাড়ের সাথে আমার পরিচয় শুধু মাত্র নজরুলের মাধ্যমেই। আজ বিস্তারিত জানলাম।

নজরুলের লেখায় তাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আমার ধারনা হয়েছিল সে ইতিহাসের কোন সফল নায়ক হবে যে বৈসম্যের বিরুদ্ধ্যে লড়ে গেছে, কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে সে সফল সেনাপতি হলেও মন্দির ধ্বংসের মাধ্যমে একটি ধর্মের প্রার্থনালয়ই শুধু আক্রমন করে গেছে। যা কারনে সে বৈসমের বিরুদ্ধ্যে না লড়ে বরং বৈসম্য সৃষ্টি করেছে!

কত কিছু যে অজানা! খুব ভাল লাগল আপনার এই পোষ্ট খানা, আসলে একেই বলে কোয়ালিটি কমিউনিটি ব্লগিং। শুভেচ্ছা রইল।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। নজরুল তাঁর বেশ কিছু সৃষ্টিকর্মে কালাপাহাড়কে নিয়ে এসেছেন। তিনি মূলত কালাপাহাড়কে প্রলয় ধ্বংসের প্রতীক হিসেবেই উপস্থাপন করতে চেয়েছেন। যেমন কালাপাহাড় তৎকালীন হিন্দু সমাজের গোড়ামিতে ক্রুদ্ধ, ক্ষুব্ধ, অপমানের গ্লানিতে জর্জরিত হয়ে প্রতিশোধ হিসেবে মন্দির ধ্বংস করে গেছেন।

আসলে তার ক্ষোভ ছিল মুষ্টিমেয় অভিজাত কিছু লোকের বিরুদ্ধে যারা নিজেদের সুবিধার্থে ধর্মকে ব্যবহার করে বহুবিধ নিয়ম নীতি তৈরি করে, যারা তার এই পরিণতির জন্য দায়ী। কিন্তু তিনি প্রতিশোধ নিয়েছেন বলা যায় গোটা সমাজের উপর, সেই সাথে ধ্বংস হয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি আর শিল্পকলা।

সেনাপতি হিসেবে কালাপাহাড় ইতিহাসে বিতর্কিত, এটা সত্য কিন্তু তিনিই তৎকালীন একমাত্র বাঙ্গালি (কয়েকজন কবির নামও পাওয়া যায়) যে কুখ্যাত হয়েও এত এত মুঘল আফগান/পাঠানের ভীড়ে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন (স্বয়ং ঈসা খাঁও কিন্তু বাঙ্গালি নন)। তাই তার প্রতি একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করে।

বেশ কিছু তথ্য এড়িয়ে গিয়েছি ইচ্ছে করেই, কারন তাহলে পোস্ট আরও বড় হয়ে যেত :(

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাকে পোস্টে দেখে খুব খুশি হলাম। ভালো থাকুন :)



শুনিছ না---ওই দিকে দিকে কাঁদে রক্ত পিশাচ প্রেতের দল!
শবভুক্ যত নিশাচর করে জগৎ জুড়িয়া কী কোলাহল !
দূর-মশালের তপ্ত-নিশাসে ঘামিয়া উঠিছে গগন-শিলা !
ধরণীর বুক থরথরি কাঁপে --- একি তাণ্ডব নৃত্য লীলা !
এতদিন পরে উদিল কি আজ সুরাসুর জয়ী যুগাবতার ?
মানুষের পাপ করিতে মোচন, দেবতারে হানি' ভীম প্রহার,
---কালাপাহাড় ! ...



১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

ড. জেকিল বলেছেন: কালাপাহাড়ের নাম ছাড়া আর কিছুই জানতাম না। অনেক কিছু জানতে পারলাম। সুন্দর একটা পোস্ট। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এই রকম পোস্ট আরো আশা করি। খুব তাড়াতাড়ি আশা পূরণ করবেন। :)

ভালো থাকবেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই কষ্ট করে পড়ার জন্য। আপনার মন্তব্যে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। ইচ্ছে আছে এরকম আরও কিছু লেখার। আপনারা সাথে থাকলে অবশ্যই লিখব।

কালাপাহাড় নিয়ে ঘাটাঘাটি না করে বেশি কিছু জানার সুযোগ আসলে অনেক কম।


আমার ব্লগে স্বাগতম। ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইল :)

২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

ড. জেকিল বলেছেন: কালাপাহাড়ের নাম ছাড়া আর কিছুই জানতাম না। অনেক কিছু জানতে পারলাম। সুন্দর একটা পোস্ট। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এই রকম পোস্ট আরো আশা করি। খুব তাড়াতাড়ি আশা পূরণ করবেন। :)

ভালো থাকবেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

২১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

আমিজমিদার বলেছেন: জটিল লেখা।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।


আমার ব্লগে স্বাগতম। ভালো থাকুন।

২২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: খালাপাহাড় কৈ ? ;) ;) ;)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ধলাপাহাড়ের কাছে B-) B-) B-)

২৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন এবং প্রিয়তে নেবার মত একটি পোষ্ট!!! অনেক ভালো লাগল প্রিয় ব্লগার। শুভেচ্ছা নিন।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাদের অনুপ্রেরণা আর ভালবাসায়ই তো এখনও ব্লগিং করছি।

প্রিয়তে নেবার জন্য অসংখ্য কৃতজ্ঞতা।


ভালো থাকুন। শুভকামনা নিরন্তর :)

২৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কালা পাহাড়!
এই সংক্রান্ত পরিপূর্ণ পোষ্ট! দুর্দান্ত একটি তথ্যভান্ডার হয়েছে!

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম।

তবে এই পোস্টটি ঠিক পরিপূর্ণ নয়, বড় হয়ে যাচ্ছিল দেখে কিছু তথ্য আর দেয়া হয় নি।


অনেক ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইল :)

২৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২১

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: পোস্ট টা পড়তে পড়তে আমার ইতিহাসের ঘটনা গুলো মনে পড়ে যাচ্ছিল । কিন্তু কালাপাহাড় যে সে সব সময়ের তা তো জানতাম না ।
আমার ধারণা ছিল কালাপাহাড় অতি আদ্যি কালের পৌরাণিক কোন চরিত্র ,অবশ্য সে যে অনেক মন্দির ধংশ করেছিল এটুকু জানতাম ।

ইনফো , লেখা মিলিয়ে পোস্ট টা চমৎকার , অনেক কিছু জানা গেল ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৮

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হাঃ হাঃ আসলে কালাপাহাড়কে নিয়ে বোধকরি কিংবদন্তী অনেক বেশি প্রচলিত আমাদের মাঝে। তাই তাকে আদ্যিকালের পৌরাণিক কোন চরিত্র ভাবাটাই স্বাভাবিক। তার বিচরণকাল কিন্তু খুব বেশীদিন আগের নয়। ধরুন চারশত থেকে সাড়ে চারশত বছর আগের কথা হবে। তাদের পতনের পরই বাংলায় মুঘল শাসনের সূত্রপাত, যদিও মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁ ও তার পুত্র মুসা খাঁ ভালো প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১

জুন বলেছেন: রাজীব লোচন রায় ওরফে কালাপাহাড়ের ইতিহাস সংক্ষিপ্তই লিখেছো তবে বাদ পরেনি সেখানে তেমন একটা মহামহোপাধ্যায়। আমার এখানে সবসময় একটু দ্বিধা ছিল সেটা হলো মুসলমান হওয়ার পর সুলায়মান কররানী কেন তাকে সাথে সাথে গ্রহন করলেন না ? এতে মনে হয় দ্বিতীয় কারনটাই আসল অর্থাৎ তার মেয়ের সাথে প্রেম তাকে ধর্মান্তরিত করতে উৎসাহিত করেছিল বলেই আমার ধারণা।
ইতিহাসের বিশাল প্রেক্ষাপটে কালাপাহাড়ের চরিত্রটা সংক্ষিপ্তই বলতে হবে। আর সেটা তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
তোমাকে তার ধ্বংস করা মন্দিরের একটি ছবি উপহার দিলাম। কোনার্কের সুর্য রথের মন্দির।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মোহিতলাল মজুমদারের কালাপাহাড় কবিতাটি আমার খুব প্রিয়/ভালো লেগেছে। এটি শেয়ার করতে চাচ্ছিলাম, আবার লিখতে যেয়ে দেখি পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই কিছুটা ইচ্ছে করেই পোস্ট একটু সংক্ষিপ্ত করেছি আপু। অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু যেন বাদ না পরে এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখার চেষ্টা করেছি। বাকিটা তো আপনারা মুল্যায়ন করবেন :)

আসলে তাকে নিয়ে লিখতে যেয়ে ইতিহাস সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এমনভাবে উঠে আসছিল যে এর থেকে কলেবর সংক্ষিপ্ত করা সম্ভব হয়নি। পোস্ট দেয়ার পর থেকেই একটু দ্বিধা সংশয়ে ছিলাম, ইতিহাস সংশ্লিষ্ট পোস্টগুলোতে তো অনেক বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিৎ, তেমন কিছু বাদ পরে গেলো কিনা!! কিন্তু আপনার মন্তব্যে অনেক ভরসা পেলাম। সামনে হয়তো সাহস করে আরও কিছু পোস্ট দিয়েও দিতে পারি।

পোস্টের শুরুতে যেমন বলেছি, কোথাও তাকে নিয়ে খুব বিস্তারিত কোন বিবরণ পাচ্ছিলাম না। এটাই যেন আমার আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল। আর বাঙ্গালি হবার কারনে এই মুঘল পাঠানের ভীড়ে কুখ্যাত হলেও তার প্রতি একটা ভালো লাগা কাজ করেছে সবসময়।

কোণার্কের সূর্য রথের মন্দিরের ছবির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। আমি এটা পোস্টে সংযুক্ত করে দিয়েছি।

ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইল।

২৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০০

Palol বলেছেন:
প্রচুর শ্রমলব্ধ এবং সমৃদ্ধ একটা পোস্ট। ইতিহাসের বর্ণনাই শুধু নয়, এখানে ইতিহাসের একটা দৃষ্টিভঙ্গীও আছে, যেখানে পিয়াজ রসুনের গন্ধ নাই। তবে লেখক যে নিজেকে অনেকখানি নির্মান করেছেন, লেখাটিতে তার প্রমান মেলে। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারলে তিনি আরো অনেকদুর যেতে পারবেন, তাতে সন্দেহ নাই।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: জনাব আমার ব্লগে আপনার উপস্থিতি এবং মূল্যবান মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আপনার সুচিন্তিত ও বিচক্ষণ মতামত বরাবরই আমাকে সুপথে পরিচালিত করেছে। এজন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নাই। আশা করি ভবিষ্যতেও আমার উপর আপনার এই সুনজর বিদ্যামান থাকবে।

পোস্ট সংক্রান্ত আপনার সকল উপদেশ মেনে চলার চেষ্টা করব।পরমেশ্বর আপনার মঙ্গল করুন এই প্রার্থনা করি।

২৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ভাও, খুবই ভাল একটা পোস্ট দিয়েছেন। :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনাকে পোস্টে দেখে ভালো লাগলো।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল :)

২৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ভাই, খুবই ভাল একটা পোস্ট দিয়েছেন। :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৩০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
পড়ার সময় ভাবছিলাম একসময় দেখব রাজিব লোচন ক্ষমতা দখল করেছেন। কিন্তু তিনি বিশ্বস্ত থেকেই জীবন দিলেন। ভালো লাগলো।

অসাম পোস্ট। ব্রাভো।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হুম। এই ব্যাপারটা ঠিক বলেছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত তার সুলতানের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন এবং এভাবেই বিদায় নেন।

অনেক ধন্যবাদ ভাই। আশা করি ভালো আছেন।

শুভেচ্ছা রইল :)

৩১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

মশিকুর বলেছেন:
অনেক তথ্য জানলাম। এই পোস্ট তৈরিই হয়েছে প্রিয়তে নেয়ার জন্য। তবে আপনার কষ্টের মূল্যদেয়া প্রায় অসম্ভব।
++++++++++

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: খুব খুশি হলাম মশিকুর ভাই আপনাকে পোস্টে দেখে। প্রিয়তে নেবার জন্য কৃতজ্ঞতা। এই যে আপনি পোস্ট পড়লেন, মন্তব্য করলেন, প্রিয়তে নিলেন তাতেই অনেক ভাল লাগছে। এতেই পোস্ট দেয়ার সার্থকতা ভাই।
প্লাসের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।


ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা :)

৩২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

সোমহেপি বলেছেন: সিলেট একটা মাঠের নাম কালাপাহাড় মাঠ।


আমি এই কালাপাহাড়কে নিয়ে ভাবতাম হবে কোন এক বিখ্যাত কেউ এই আরকি !এত কিছু তলিয়ে দেখিনি। আপনার লেখা পড়ে ভাবছি ও এই হল কাহিনি।


ভালো লাগলো জেনে। ধন্যবাদ

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আসলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে "কালাপাহাড়" সম্পর্কে জানার সুযোগ একটু কম, আর ইতিহাসের এক রহস্যময় চরিত্র হিসেবে তার প্রতি আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক।


সিলেটে একটা মাঠের নাম কালাপাহাড় মাঠ। একটু বলবেন কি এটা কোন এলাকায় ?? আমি সাত বছরের কিছু বেশি সময় ধরে সিলেটে রয়েছি, তাই জানার আগ্রহ হচ্ছে।

ভালো থাকুন, শুভকামনা।

৩৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

সোমহেপি বলেছেন: উত্তর কাজীটুলার কাছে পানি উন্নয়নবোর্ডের অফিস আছে ।এখান থেকে উত্তর দিকে দলদলি চা বাগানের কাছে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। খুব শীঘ্রই একবার ঘুরে আসার আশা রাখি।


শুভেচ্ছা :)

৩৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

সোমহেপি বলেছেন: কই থাকেন ?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মদিনা মার্কেট, কালীবাড়ি।

৩৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৮

রাসেলহাসান বলেছেন: গুড পোষ্ট!!

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।


ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা।

৩৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৩৭

বেলা শেষে বলেছেন: ...Super , marvelous post, good writing, good editing, good description, good picturing, beautiful....
..thenk you very much...
..up to next time...

০১ লা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমার ব্লগে স্বাগতম।



ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা রইল :)

৩৭| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩০

আরজু পনি বলেছেন:

অসাধারণ পোস্ট !
একেবারে মন ভরে গেল পড়তে পড়তে ।

সাথে করে নিয়ে গেলাম, সাথে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।।

-------
অফটপিক: বলতে এসেছিলাম, অনেকদিন হলো নতুন পোস্ট দিচ্ছেন না ... শেয়ার করা হয় নি এমন কোন পড়া বই তুলে ধরতে পারেন এভাবেই...অপেক্ষায় রইলাম ।

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের ব্লগে দেখলে খুব ভালো লাগে। প্রচণ্ড উৎসাহ পাই। কালাপাহাড়কে নিয়ে কৈশোর থেকেই বেশ আগ্রহ ছিলো, তার ফলাফল হচ্ছে এই পোস্ট। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। প্রিয়তে নেবার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইল।

বেশ কিছুদিন পর আমার ব্লগে এলেন, অবশ্য আসার কোন উপলক্ষ্য, মানে নতুন কোন পোস্টও দেই না অনেকদিন হলো। আসলে অনলাইনে আসা হয়, কিন্তু ব্লগিং চালিয়ে যেতে যে নিয়মিত সময় দেয়া প্রয়োজন সেটাই করে উঠতে পারছিনা, তাই ব্লগে বেশ অনিয়মিত হয়ে পড়েছি।

ভালো থাকুন, অনেক অনেক শুভকামনা রইল :)

৩৮| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:০৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনার পোষ্ট টা পড়ে কল্পনা ও বাস্তবের মিশেলে এক ঐতিহাসিক চরিত্রকে কিছুটা চেনা হল। এধরনের পোষ্ট খুব ভালো লাগে, ভবিষ্যতে আপনার কাছে আরো এরকম পোষ্ট আশা করছি।

২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ইদানিংকালে ভয়ানক রকম সময় সংকটে ভুগি। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নতুন পোস্ট দেয়া বা পোস্টের জন্য পড়াশোনা করা হয়ে ওঠে না। পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভবিষ্যতে চেষ্টা বজায় থাকবে।


আমার ব্লগে স্বাগতম। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল :)

৩৯| ০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:০২

উর্বি বলেছেন: ভালো লাগলো

০৯ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।


আমার ব্লগে স্বাগতম।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.