নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু সিদ্দিকের মননভুবন

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক

রাজু সিদ্দিক

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .

রাজু সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেলারামের চার খেলা - ২ ( রম্য )

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

জ্যাম থেকে বেরিয়েই দেখা হয় শিমুলের সাথে। শিমুল-বন্ধু মহলে যাকে ছারপোকা ডাকা হয়। যে ব্যাক্তি শিমুলের সঙ্গ এক ঘন্টা পায়, তার এক বছর ছারপোকার কামড় না খেলেও চলে। সমাজে এরকম যার সুনাম, তার সাথেই দেখা হয়। শিমুল,‘আয় চল,’ বলে একটা রিকশায় উঠে আমাকে টেনে তুলে রিকশাওলাকে বলে,‘ঐ টান।’

ধুলির সাথে আজ আর বুঝি দেখা হলো না, শিমুল্লা ছারপোকার হাত থেকে কখন ছাড়া পাই কে জানে ? মন খারাপ হয়ে যায়, হায়রে ! ধুলি, আমার একলা ধুলি। আজ আমাদের বুঝি আর দেখা হলো না। বুক চিরে একটা দীর্ঘশ্বাস আসে। আর ঠিক তখন রাস্তার পাশের এক বিল্ডিংয়ের দোতলার বারান্দায় বসে পান চিবাতে থাকা বৃদ্ধাকে ছালাম দিয়ে শিমুল বলে,‘আস্‌সালামু আলাইকুম নানি। আজকে শরীরটা ভাল ?্থ বৃদ্ধা পান চাবানো থামিয়ে অবাক চোখে আমাদেরকে দেখে। আমাদেরকে না, আমাকে দেখে, সম্ভবত ভাবছে, তার নাতির সাথে এটা আবার কে ? কিন্তু এই আলিশান বাড়ি শিমুলদের নানা বাড়ি ? তাজ্জব ব্যাপার ! সেতো কোন দিন বলেনি ! আমার কাছে শিমুলের মর্যাদা বেড়ে যায়, একটু চেপে তাকে আরাম করে বসতে দিয়ে বলি,‘উনি তোর নানি ?্থ

‘আরে না,’ শিমুল হাত ঝাপটায় আমার কথা উড়িয়ে দেয়,‘এই বুড়ি বেডিরে চিনিই না, আজাইরা বইসা রইছে, একটা কাম দিলাম। এখন বাড়ির সবাইরে ডাইকা ডাইকা জিজ্ঞাইব-অই আমারে যে ছালাম দিল, এইটা কেডা ? মেজোর পোলা, না সেজোর ? বাড়ির বেবাকতের কানের পোক ফালাইয়া দিব জিগাইতে জিগাইতে।’

এ কথা শুনে আমার মনে হয় এর সাথে আর কিছুক্ষণ থাকলে কপালে খারাবি আছে, মহা খারাবি। আমি বলি,‘আমি তোর সাথে যাব না।’

‘কেন ?্থ শিমুল ভ্রূ কুঁচকায়।

‘তোর সাথে গেলে পাবলিকের মার খেতে হবে।’

‘হইলে খাবি।’

‘ড্রাইভার রিক্সা থামাও,’জোরের সাথেই রিকশা থামাতে বলি। ড্রাইভার থামায়।

‘শিমুল অভিযোগ করে,‘তুমি রং করতাছ বন্ধু, আমার কাছে পয়সা নাই, তুমি সাথে আছ বইলাই আমার নিলাম।’

‘কোথায় যাবি বল ? আমি ভাড়া দেই,’ প্রস্তাব দেই।

‘কই কই যাই তার কি ঠিক আছে,’ বলে শিমুল নির্লিপ্ত ভাবে পায়ের উপর ঠেং তুলে বসে থাকে। একশ টাকা রিকশাওলার হাতে দিয়ে ঊর্দ্বশ্বাসে হাঁটা দেই।

পেছন ফিরে তাকাই না, বলা যায় না আবার কোনো ফন্দি এঁটে আরো টাকা চাইবে। এ যাত্রা একশ টাকার উপর দিয়ে বাঁচা গেল। এখন সোজা পার্ক, ধুলির কাছে। আহারে ! ধুলি, আমার একলা ধুলি। কিন্তু আশপাশে কোনো রিকশাই নেই, এ হলো ঢাকা শহরের আরেক রহস্য - প্রয়োজনের সময় কোন বাহনই পাওয়া যায় না, আর অপ্রয়োজনের সময় চারদিক থেকে পনেরো বিশটা রিকশা, সিএনজি, ক্যাব সব এসে ঘিরে ধরে। এমন সময় দূরে দেখি একটা রিকশা থেমে আছে। কাছে গিয়ে দেখি বুড়া ড্রাইভার রিকশার সিটে পা তুলে ঘুমাচ্ছে। ধুলির কাছে যাবার ও শিমুলের কাছ থেকে পালাবার ঊত্তেজনায় একটুু জোরের সাথে বলি,‘এই রিকশা যাবা ?্থ

ড্রাইভার চমকে সিট থেকে পড়ে যায়,‘উহ ! আহ !্থ করে, হাত-পা ডলতে ডলতে উঠে চোখ-মুখ খিঁচে বলে,‘এইডা আপনে কি করলেন ? আরেকটু অইলেই হাটফেইল করতাম ! অ্যাঁ, কি করলেন এইডা ?্থ

তার চোখ-মুখ খিঁচা কথা শুনে আমার মাঝে ডাক্তারী মনোভাব জেগে উঠে, সদ্য পাশ করা ডাক্তারের মত সিরিয়াস কণ্ঠে বলি,‘এতো খিঁচো না, কষা হবে।’ ( অসমাপ্ত )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.