নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু সিদ্দিকের মননভুবন

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক

রাজু সিদ্দিক

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .

রাজু সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেলারামের চার খেলা - ৪ ( রম্য )

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

আমি বসে থাকি, বসে থাকি পাওয়ার রিং মুঠোতে নিয়ে। আমার শরীর আস্তে আস্তে গরম হয়ে উঠে, রক্ত টগবগ করতে থাকে। নিজের মাঝে এক সর্বগ্রাসী শক্তি অনভব করি, পাওয়ার রিংয়ের শক্তি।

প্যান্ট নাই বেডার চামরার বেল্ট ! চুল নাই বেডির সোনার কাঁটা ! হ্যাঁ, রাস্তায় নেমে আমি এ ধরনের এক সমস্যায় নিজেকে আবিষ্কার করি - তালা নাই বেটার চাবির রিং। ততক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেই তালা কেনাই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। দৌড় দেই দোকানের উদ্দেশ্যে। দোকানে গিয়ে তালা কিনি। রিংয়ে একটা চাবি ভাল লাগে না বলে দু’টা তালা কিনি। ইচ্ছে করছিল দশ, বারটা কিনতে, শুধু পয়সার অভাবে কেনা গেল না। তখন বুঝতে পারি, জগতের মহৎ, মহৎ পরিকল্পনাগুলো কিভাবে অর্থাভাবে ভ্যাস্তে যায়।

যাইহোক তালা কিনে বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। বাসায় ফিরেই একটা তালা লাগাই আমার রূমের দরজায়। আরেকটা কোথায় লাগাব ভেবে পাই না, ভাবতে ভাবতে হয়রান হয়ে শেষে চোখ বন্ধ করে এক দরজায় লাগিয়ে আঙুলে রিং ঘুরাতে ঘুরাতে বসবার ঘরে এসে টিভি দেখতে বসি।

প্রেম ও ক্ষমতা কখনও চাপা থাকে না। কিছুক্ষণের মাঝে বাড়িময় সবাই দু’টা নতুন চাবি সমেত আমার রিংয়ের কথা জেনে যায়। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল, গড়বড়টা বাঁধে রাতের খাবারের আগে যখন আমাদের কাজের ছেলে তলতা - কালামুখা তলতা এসে ভীত কণ্ঠে মাকে বলে,‘খালাম্মা কেডা জানি পাঁকঘরে এত্তারা এক তালা মারছে !’

সাথে সাথে বসবার ঘরে সবাই হুড়াহুড়ি করে বেরিয়ে যায়। পর মুহূর্তে আবার হুড়মুড়িয়ে ফিরে আসে। এসে আমাকে ঘিরে দাঁড়ায়।

আপা বলে,‘আরে রান্না ঘরে তালা দিবে কেন ? আশ্চর্য !’

আমি নীরব।

ভাইয়া বলে,‘আগাপাছায় দু’ঘা লাগান, সব জানা জাবে।’

তবুও নীরব। তবে শঙ্কিত, ভাইয়াকে বিশ্বাস নাই, তার মাঝে সর্বদা তান্ডবি মনোভাব কাজ করে, বিশেষ করে আমার ব্যাপারে ।

মা বলেন,‘এই তোরা থাম তো, শোন বাবা পাঁকের ঘরের দরজায় তালা তুই লাগালে খুলে দে, যাহ মুরগির রানটা তোকেই দিব।’ মার কথা শোনার সাথে সাথে মুঠের রিং গরম হয়ে উঠে। মুহূর্তে তার ছাঁট আমার শিরা-উপশিরায় প্রবাহিত হতে থাকে। খুলে দেই তালা। খাবার সময় মুরগির রানের স্বাদটাই বদলে যায়, এতো মাংসের স্বাদ না, ক্ষমতার স্বাদ । ( অসমাপ্ত )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.