নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু সিদ্দিকের মননভুবন

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক

রাজু সিদ্দিক

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .

রাজু সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেলারামের চার খেলা - ৭ ( রম্য )

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

ঝড়ঝড়ে মনটাকে ঝুড়ঝুড়ে করে ঘরে ফিরে আসি। ফিরে দেখি বারান্দায় ভাইয়া ও তলতা সাদা কাপড়ে ঢাকা বড়সড় কিছু একটার উপর ঝুঁকে কিছু করছে। যে অংশে করছে, সেখান দিয়ে কাপড় ছিদ্র, যে রকম অপারেশন থিয়েটারে শুয়ে থাকা রুগীকে ছিদ্রওলা সাদা কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়। কাছে গিয়ে দেখি কাপড়ের ছিদ্র দিয়ে একটা তালা বেরিয়ে আছে, যেভবে রুগীর অপারেশনের অঙ্গটা উন্মুক্ত থাকে। তলতা একটা মুগুর দিয়ে পিটিয়ে বেরিয়ে থাকা তালাটার চেহারা পাল্টিয়ে দিয়েছে, জিজ্ঞেস করি ‘কী হয়েছে?’ আমাকে দেখে তলতা ছিটকে সরে যায়।

ভাইয়া চিবিয়ে চিবিয়ে বলে,‘তলতা হারামজাদা তালা খুলতে গিয়ে চাবি ভেঙে ফেলেছে, এখন মুগুর দিয়ে বারিয়েও খুলতে পারছে না।’

‘তুই পারবি না, দে আমাকে দে,’ বলে তলতার কাছ থেকে মুগুরটা নিয়ে কয় বারিতেই তালা ভেঙে ফেলি। তারপর অবজ্ঞার চোখে দু’জনের দিকে তাকাই। তলতার বিস্ময় কাটে না। একটা তাচ্ছিল্যর হাসি দিয়ে সরে আসি। হাসিটা ঠোঁটে ঝুলিয়েই আমার রূমের তালা খুলে বোকা বনে যাই, ‘আরে ট্রাঙ্ক কই ?’

দৌড়ে বারান্দায় এসে দেখি তখন আমার ট্রাঙ্কের তালাই আমি ভেঙে দিয়ে গিয়েছি। আর এখন ভাইয়া ও তলতা ট্রাঙ্কের ভিতর থেকে একে একে টয়লেটের বদনা, মার পানেরবাটা, বাবার ছড়ি, মার তজবি, ভাগনের কলম, ভাইয়ার জুতা, রান্নাঘরের মশলাপাতি, টিভির রিমোট, বেড়াতে আসা মামার অন্ডারওয়ার আরো কত কী বের করে রাখছে। আমি গিয়ে পাশে দাঁড়াবার সাথে সাথে ভাইয়া হুঙ্কার দেয়,‘হারামজাদারে ট্রাঙ্কে ভর।’ কথাটা কাকে বলল বোঝার জন্য এদিক ওদিক তাকাই। কিন্তু কিছু বুঝার আগেই ভাইয়া ও তলতা কিভাবে যেন আমাকে ট্রাঙ্কে ঢুকিয়ে ডালা লাগিয়ে দেয়। কব্বরের আইন্ধার আমাকে গ্রাস করে, সাথে সাথে কাঁপুনি উঠে যায়। ওই অবস্থায় ভাইয়ার ক্ষীণ কণ্ঠ শুনি, তবে এখন ভাইয়ার কণ্ঠকে আর খতনায় দাওয়াত মনে হয় না, মনে হয় কুলখানির দাওয়াতের মত। ভালভাবে শুনতে চেষ্টা করি। শুনি ভাইয়া বলছে,‘ ট্রাঙ্কটা ছাদে রেখে হারামজাদারে রোদে মচমচা কর্, রোদ কমলে চুলার উপরে দিয়ে ভাজাভাজা করবি।’ আমার কাঁপুনি বাইরাবাইরির পর্যায়ে চলে যায়। তখনই কালামুখা তলতা ‘হেইও মালা হেইও’ বলে এক টানে নয় ঘনফুিট ট্রাঙ্কটা তার মাথায় তুলে ফেলে।

স-স-স-সর্বনাশ !

ট্রাঙ্ক ছাদে নিচ্ছে না চুলায় ? অল্পের জন্য তলতার কাপড় ভরে নি। আমার ভিজা ভিজা লাগে কী ? কিন্তু তা বুঝার আগেই জ্ঞান হারাই, জ্ঞান হারাই পাওয়ার রিং পকেটে নিয়েই। ( অসমাপ্ত )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.