নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু সিদ্দিকের মননভুবন

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক

রাজু সিদ্দিক

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .

রাজু সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেলারামের চার খেলা - ৯ ( রম্য )

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

মুখ ধোয়ার অর্থাৎ দাঁত মাজার আমি এক নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছি, পদ্ধতিটা অনেকটা এরকম, টুথব্রাশে পেষ্ট মেখে ব্রাশটা আড়াআড়ি ভাবে ধরতে হবে (যারা ধরাধরির ধার ধারের না, তারা নিজের মুখের উচ্চতায় কোন স্টেন্ডের সাথে ব্রাশটা আড়াআড়ি ভাবে বেঁধে নিতে পারেন)। তারপর মুখ এগিয়ে ব্রাশটা মুখে নিবেন, নিয়ে মুখটাকে ডানে-বামে উপরে-নিচে নাড়াতে থাকবেন। সাধারণত আমরা মুখ স্থির রেখে ব্রাশ নাড়িয়ে দাঁত মাজি কিন্তু আমার পদ্ধতিতে ব্রাশ স্থির রেখে মুখ নাড়াতে হবে।

এতে কী হয় ?

অনেক কিছুই হয়। সবচেয়ে বড় যেটা হয়, তা হলো, দাঁত মাজার সাথে সাথে ঘাড়, মাথা এমনকি মগজের ব্যায়ামও হয়ে যায়। এটাই এই পদ্ধতির মোদ্দা কথা। উদ্ভাবনের পর থেকেই ভাবছিলাম একটা ভাল দিনক্ষণ দেখে আমেরিকা গিয়ে পদ্ধতিটার প্যাটার্ন করে আসব। নাহলে কোন দিন না কে আবার তা নিজের নামে প্যাটার্ন করে নিবে। যেভাবে তৃতীয় বিশ্বের আবিষ্কার উন্নত বিশ্বের হয়ে যায়।

কিন্তু আজ দাঁত মাজতে গিয়ে একটা ভজকট লেগে যায়। ব্রাশ স্থির রেখে মুখ ডান-বাম করছি হঠাৎ মট্টর !

মট্টর ?

হ্যাঁ, মট্টর করে আমার মুখ ও মাথা স্থির হয়ে যায়, যাকে বলে - চরম স্থির। ঘাড় নাড়াতে গিয়ে দেখি আমার মাথা নব্বই ডিগ্রী কোণে ডান দিকের কাঁধের কাছে ফিক্সড হয়ে গেছে। সহজ ভাবে বললে ত্যাড়া হয়ে গেছে। সোজা করা যাচ্ছে না। এখন সামনে তাকাতে হয় শরীর বামে ঘুরিয়ে। হাঁটতে হয় বিচিত্র ভঙ্গিতে, অনেকটা কাঁকড়ার মত পাশ দিয়ে হাঁটার মত। এভাবে হাঁটা যত না অস্বস্তিকর তার চেয়ে বেশি অস্বস্তিকর আমার সামনে উপস্থপিত হয়ে বাসার সবার দন্ত প্রদর্শন। আমি যেন দন্ত প্রদর্শনীর মহামান্য বিচারক। ঘাড় ত্যাড়া বিচারক। ( অসমাপ্ত )





মুখ ধোয়ার অর্থাৎ দাঁত মাজার আমি এক নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছি, পদ্ধতিটা অনেকটা এরকম, টুথব্রাশে পেষ্ট মেখে ব্রাশটা আড়াআড়ি ভাবে ধরতে হবে (যারা ধরাধরির ধার ধারের না, তারা নিজের মুখের উচ্চতায় কোন স্টেন্ডের সাথে ব্রাশটা আড়াআড়ি ভাবে বেঁধে নিতে পারেন)। তারপর মুখ এগিয়ে ব্রাশটা মুখে নিবেন, নিয়ে মুখটাকে ডানে-বামে উপরে-নিচে নাড়াতে থাকবেন। সাধারণত আমরা মুখ স্থির রেখে ব্রাশ নাড়িয়ে দাঁত মাজি কিন্তু আমার পদ্ধতিতে ব্রাশ স্থির রেখে মুখ নাড়াতে হবে।

এতে কী হয় ?

অনেক কিছুই হয়। সবচেয়ে বড় যেটা হয়, তা হলো, দাঁত মাজার সাথে সাথে ঘাড়, মাথা এমনকি মগজের ব্যায়ামও হয়ে যায়। এটাই এই পদ্ধতির মোদ্দা কথা। উদ্ভাবনের পর থেকেই ভাবছিলাম একটা ভাল দিনক্ষণ দেখে আমেরিকা গিয়ে পদ্ধতিটার প্যাটার্ন করে আসব। নাহলে কোন দিন না কে আবার তা নিজের নামে প্যাটার্ন করে নিবে। যেভাবে তৃতীয় বিশ্বের আবিষ্কার উন্নত বিশ্বের হয়ে যায়।

কিন্তু আজ দাঁত মাজতে গিয়ে একটা ভজকট লেগে যায়। ব্রাশ স্থির রেখে মুখ ডান-বাম করছি হঠাৎ মট্টর !

মট্টর ?

হ্যাঁ, মট্টর করে আমার মুখ ও মাথা স্থির হয়ে যায়, যাকে বলে - চরম স্থির। ঘাড় নাড়াতে গিয়ে দেখি আমার মাথা নব্বই ডিগ্রী কোণে ডান দিকের কাঁধের কাছে ফিক্সড হয়ে গেছে। সহজ ভাবে বললে ত্যাড়া হয়ে গেছে। সোজা করা যাচ্ছে না। এখন সামনে তাকাতে হয় শরীর বামে ঘুরিয়ে। হাঁটতে হয় বিচিত্র ভঙ্গিতে, অনেকটা কাঁকড়ার মত পাশ দিয়ে হাঁটার মত। এভাবে হাঁটা যত না অস্বস্তিকর তার চেয়ে বেশি অস্বস্তিকর আমার সামনে উপস্থপিত হয়ে বাসার সবার দন্ত প্রদর্শন। আমি যেন দন্ত প্রদর্শনীর মহামান্য বিচারক। ঘাড় ত্যাড়া বিচারক। ( অসমাপ্ত )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.