নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু সিদ্দিকের মননভুবন

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক

রাজু সিদ্দিক

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .

রাজু সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেলারামের চার খেলা - ১৩ ( রম্য )

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

কলিব্রেড নিয়ে কারিগরের পরামর্শ মত বেরিয়ে এসে বাসার উদ্দেশ্যে রিকশা নেই, রিকশার ড্রাইভারের মুখ ভরা দাড়ি, হোঁতকা বেটার হিমশীতল কণ্ঠ আমার মনে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল, ড্রাইভারের দাড়ি সেই আতঙ্ক কাটিয়ে দেয়, মনে আনে শান্তি। যাক, শেষ পর্যন্ত কলিব্রেড নিয়েই বাসায় ফিরছি। তিতা মেজাজ মিষ্টি হতে থাকে, মনে সা-রে-গা-মার ফুলঝুরি ভাসতে থাকে। কণ্ঠে পাঞ্জাবী ভাঙ্গরার সুর তুলি,‘হে-ই-ই ঝুমালো তুতে, তুতে, তুতে। হে-ই-ই ঝুমালো তুতে, তুতে, তুতে। হে-ই-ই...’

হঠাৎ রিকশাওয়ালা তার দাড়ির জঙ্গলে আলোড়ন তুলে খেঁকিয়ে ওঠে,‘চুপ! একদম চুপ, হুদা তুই তোকারি, তুইতে তুইতে তুইতে ! মাথাডা আউলা কইরা দিছে।’

মোলায়েম কণ্ঠে বলি,‘ড্রাইভার সাহেব, আপনি নৈরাশ্যবাদীদের মত কথা বলছেন, আমি তুই তোকারি করছি না, গান গাচ্ছি, গান। গান মানুষের আত্মাকে পরিশোধিত করে, হিত্তকে করে প্রশস্তিময়, মনে আনে অপার্থিব এক প্রশান্তি, দেহ হয়ে উঠে ঝুরঝুরে ক্লান্তিহী....’

আচমকা দাড়িওলা হার্ড ব্রেক কষে রিকশা থামায়, আমি তার পিঠে হুমড়ি খেয়ে পড়ি। সে পিঠ বাঁকা করে মুখ পাঁচ বানিয়ে বলে,‘আ-আ-আ-আরেকটা কথা কইবেন, রিকশা লইয়া ট্রাকের নিচে ঢুইক্কা পড়ুম।’

স-স-সর্বনাশ !

এই বেটা তো শুধু নৈরাশ্যবাদী না, আত্মনিগ্রহবাদীও। আত্মনিগ্রহ কী বলি ? জগৎনিগ্রহবাদী। আমাকে নিয়ে ট্রাকের নিচে যেতে চায় ! ( অসমাপ্ত )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.