নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু সিদ্দিকের মননভুবন

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক

রাজু সিদ্দিক

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .

রাজু সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনন্দযাত্রা ( রম্য ) ৫

০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

কণা সাগরকে দেখতে দেখতে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। সাথে সাথে সাগর ঘোরে কণার পিছু হাঁটতে থাকে। কণা জোরে হাঁটে, কণার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে লাঠি ঠুকে জোরে পা ফেলতে গিয়ে সাগর হোঁচট খায়। কণা ফিরে দেখে দ্রম্নত এসে সাগরকে ধরে উঠতে সাহায্য করে,‘কি ব্যাপার, আপনি না ওদিকে যাচ্ছিলেন ?’

সাগর অন্ধের মত হাতিয়ে হাতিয়ে কণার হাত ধরে,‘জি।’

‘তাহলে এদিকে ঘুরলেন যে ?’

সাগর হাসে,‘না মানে, ইয়ে, মানে আপনার চুলের গন্ধে !’

কণা বিরক্ত হয়ে ঝাড়া দিয়ে সাগরের হাত ছেড়ে দেয়,‘আলস্নাহ যা করেন ভালই করেন ?’

সাগর কিছু না বোঝেই বলে,‘জি।’

‘অন্ধ, কিছু দেখতে পান না, তারগরেও চুলের গন্ধে ফিরে দাঁড়িয়েছেন, দেখতে পেলেতো পিছু পিছু বাসায় চলে যেতেন !’

‘জি,’ বলে সাগর সব দাঁত বের করে।

‘শাটাপ ! জ্বী ?’ কণা রেগে বকতে বকতে চলে যায়। সাগর হাসি মুখে গমনরত কণাকে কিছুক্ষণ দেখে ফিরে আবার অন্ধর মত হাঁটতে থাকে।

হাঁটতে হাঁটতে একটা ছাপড়ার চা-স্টলের কাছে আসে, স্টলের সামনে ডালায় রাখা সিঙ্গারা দেখে সে লাঠি ঠুকে ঠুকে স্টলের ভেতরে গিয়ে একটা টেবিলে বসে। সাথে সাথে চা স্টলের পিচ্চি তাকে জোর করে তোলে পাশের টেবিলে নিয়ে বসায়,‘কী হলো ?’ সাগর প্রতিবাদ করে।

‘কানা মিয়া, ঐটা তোত্‌লা সগীরে বান্ধা টেবিল, তাই উঠাইয়া আনলাম। এইবার এই টেবিলে আরাম কইরা বন, বইয়া কন কী দিমু ?’

‘তোত্‌লা সগীর কে ?’

‘তোত্‌লা সগীররে চিনেন না এই এলাকায় আছেন ! বালা। গত মাসেও দুইটা ফালাইছে।’

‘দু,দু, দুইটা ফালাইছে ?’

‘জি,’ তারপরই পিচ্চি ফিস ফিস করে বলে,‘তয় শোনেন তোত্‌লা সগীরের সব দাঁত কইলাম নকল, গতবার ঐ পার্টি ধইরা তার দাঁত সব জাম্বুরা দিয়া টাইনা টাইনা তুইলা ফালাইছে। এখন খাওন খায় সরবত বানাইয়া, হা, হা।’

‘সরবত বানাইয়া ?’

‘হিস্-স্-স্ ! আস্তে, ঐ যে আইছে,’ পিচ্চি দ্রুত তোত্‌লা সগীরের টেবিল মোছে পরিষ্কার করে দেয়। তোত্‌লা সগীর দুই সাগরেদ নিয়ে তার টেবিলে এসে বসে। পিচ্চি চারটা সিঙ্গারা ও এক কাপ চা এনে টেবিলে রাখে। তোত্‌লা সগীর দুইটা সিঙ্গারা ভেঙে গ্লাসে নিয়ে তাতে চা ঢালে, তারপর আয়েস করে গ্লাসে চুমুক দিয়ে চা-সিঙ্গারা খায়।

তোত্‌লা সগীরের সিঙ্গারা খাওয়া দেখে সাগর আসেত্ম আসেত্ম উঠে দাঁড়ায়, অন্ধের মত তোত্‌লা সগীরের টেবিলের পাশে এসে দাঁড়ায় জিজ্ঞেস করে,‘সাগীর ভাই ভাল আছেন ?’

তোত্‌লা সগীর এক পলক সাগরকে দেখে নাক দিয়ে ঘোৎ শব্দ করে, ঘোৎ !’

‘আপনের সিঙ্গারা খাওয়ার স্টাইলটা ভাল, খুব ভাল।’

তোত্‌লা সগীরের আবার নাক দিয়ে গোৎ শব্দ করে, ‘ঘোৎ।’

‘আসি, আস্‌সালামু আলাইকুম,’ সাগর হাত তোলে এক লম্বা সালাম দিয়ে লাঠি ঠুকে ঠুকে চা-স্টল থেকে বেরিয়ে আসে।

সালামের উত্তরে এবার সগীর দুবার গোৎ করে,‘ঘোৎ, ঘোৎ।’

কিন্তু সাগর স্টল থেকে বেরিয়ে যাবার সাথে সাথে তোত্‌লা সগীর সোজা হয়ে বসে, তার বসা দেখে সাগরেদ দুজন সতর্ক হয়ে যায়। সগীর তোতলীয়ে বলে.‘আ-আ-আমি যে সি-সি-সিঙ্গারা খাইছি, হা-হা-হালায় জানছে কে-কে-কেমনে ! হালায় না আ-আ-আইন্ধা ?’ এবার সাগরেদ দুজন সোজা হায়ে বসে।‘হালায় ই-ই-ই-ইনফর্মার, ধইরা ল-ল-ল-লইয়া আয়।’ অমনি সাগরেদ দুজন দ্রম্নত উঠে যায়, যেতে যেতে একজন কোমড় থেকে ছুরি, অন্যজন চাপাতি বের করে।

সাগর লাঠি ঠুকে ঠুকে বেশ দূরে চলে এসেছে। এমন সময় সগীরের সাগরেদ দুজন চাপাতি ও ছুরি হাতে রাসত্মায় এসে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দেয়,‘ঐ আইন্ধার-পো দাঁড়া, ঐ কথা কানে যায় না ?’

সাগরেদদের হুঙ্কার শোনে সাাগর ফিরে তাকায়।

‘মান্দার-পো তোরে কইতাছি, দাঁড়া।’

সাথে সাথে সাগর হাতের লাঠি ফেলে দেয় দৌড়। সাগর দৌড় দেয়াতে সাগরেদ দুজনই দৌড় দেয়, সাথে অশ্রাব্য গালিগালাজ। সাগর আরো জোরে দৌড় দেয়। তার সানগ্লাস চোখ থেকে ছিটকে কোথায় পড়ে কে জানে ?

(চলবে)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

আজীব ০০৭ বলেছেন: হা হা হা ...............।

২| ১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

রাজু সিদ্দিক বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.