নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু সিদ্দিকের মননভুবন

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক

রাজু সিদ্দিক

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .

রাজু সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনন্দযাত্রা ( রম্য ) ১১

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৪৭

কালুগুন্ডা চলে গেলে নয়ন উঠে দাঁড়ায়,‘এটা কী হলো !’

‘আমরা একটা বেত্তুমিজ্জা কাষ্টমারের খপ্পরে পড়ছি,’ তলতা কপালের ফোলা জায়গায় হাত ছোঁয়ায়ে কাতরে ওঠে,‘উ-উ-রে, উ-রে, উরে !’

‘কিন্তু আমার ক্যাপ ?’

‘ক্যাপ থোন, চেহারা দেখেন, অবস্থা কেরাসিন।’

নয়ন গালে হাত দেয়,‘ও মাগো !’

তারপর দুজনে মন খারাপ করে দাদুর কাছে আসে। দাদু অবাক চোখে দুজনকে দেখেন,‘বাণিজ্য কি ভালো হয়েছে ?’

নয়ন হতাশ কণ্ঠে বলে,‘এক মস্তান টিকেটটা ছিনিয়ে নিল।’

দাদু ঠোঁট বাঁকা করেন,‘ছিনিয়ে ?’ নয়ন ও তলতা মাথা ঝাঁকায়। দাদু এবার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন,‘ মাথার টুপিটা ?’

‘টুপি ফ্রি নিছে,’ তলতা বলে।

‘ও, বাণিজ্য তাহলে ভালই হয়েছে, তো মুখের দাগগুলাও কি ফ্রি দিছে ?’ ওরা আবার মাথা মাথা ঝাঁকায়।

এমন সময় কণা এসে পাশে দাঁড়ায়,‘কাউন্টার থেকে বলল, আপনারে কাছে নাকি একটা টিকেট আছে ?’

‘ছিল, এখন নাই,’ নয়ন কিছু বলার আগেই দাদু বলেন ।

‘নাই ?’ নয়ন ও তলতা আবার মাথা ঝাঁকায়। কণা হতাশ,‘তাহলে এখন ?’

‘সমস্যা কী ?’ দাদু জানতে চান।

‘বারটায় আমার বাস ছিল, কিন্তু আসার পথে আমার পার্স ছিনতাই হয়েছে, পার্সে আমার টিকেট ছিল। এখন তারা বলছে ঈদের আগে কোন টিকেট নেই। উনার কাছে ছিল, তাও নেই।’

‘ওরতো দিনাজপুরের টিকেট ছিল, তুমিও কি দিনাজপুর যাবে ?’

‘না বগুড়া, পথে নেমে যেতাম।’

‘ও,’ দাদু মাথা ঝাঁকান,‘মা আমি একটা কথা বলি শোন, কাল মাইক্রো করে পরিবার নিয়ে আমি লালমনিরহাট যাব, তুমি যেতে চইলে, আমাদের সাথে যেতে পারো, পথে নেমে যাবে। সে ও কাল আমাদের সাথে যাবে,’ দাদু নয়নকে দেখায়,‘পথে নেমে যাবে।’

‘তাই নাকি ? তাহলে তো বেশ ভা....’ হঠাৎ নয়নের ফোলা গাল কণার নজরে পড়ে,‘এদেরকে কি মারধোর করে রাজি করিয়েছেন ?’

‘না, না, এরা বাণিজ্য করে এসব ফ্রি পেয়েছে, ফ্রি,’ এবার তলতা একা তলতা মাথা ঝাঁকায়, নয়ন গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকে। ‘কি যাবে ? গেলে চলো।’

কণা একটু ভাবে,‘ঠিক আছে। আজ হোস্টেলে চলে যাই কাল আসব। ভাল কথা, আমাদের কোথা থেকে পিক করবেন, এখন থেকে ?’

‘হ্যাঁ উঠতে পারো,’ দাদু ভাবেন,’আরেক কাজ করতে পারো, হোষ্টেলে যাবার আগে আমার বাসাটা চিনে যাও, কাল বাসায় চলে আসলে, এক সাথে রওয়ানা দেব। আবার ইচ্ছে করলে আজ রাতটা আমার নাতনীর সাথে আমাদের বাসায়ও থাকে যেতে পারো।’

‘আমি রাজি,’ নয়ন দ্রুত বলে।

‘আপনে পরে কন,’ তলতা নয়নকে থামায়।

কণা একটু ভাবে,‘রাতে থাকব না, তবে চলেন আপনার বাসাটা চিনে আসি. কাল চলে আসব।’

দাদু বলেন,‘চলো।’

‘একটু দাঁড়ান, আগে একটা ফোন করব, আপনার কাছে মোবাইল আছে ?’ কণা হাত বাড়ায়,‘আমারটা পার্সে ছিল।’ দাদু মোবাইল বের করার আগে নয়ন মোবাইল বের করে। কণা নয়নের মোবাইল উপেক্ষা করে দাদুরটা নিয়ে রিং দেয়,‘আপনার বাসার ঠিকানাটা বলবেন প্লিজ ?’

দাদু হেসে ঠিকানা বলেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.