নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু সিদ্দিকের মননভুবন

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক

রাজু সিদ্দিক

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .

রাজু সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনন্দযাত্রা ( রম্য ) ১৩

২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

কণা ও নয়ন নিয়ে দাদু বসবার ঘরে বসে আছে। দাদু নয়নকে বলেন,‘যাও বাসাতো চিনলে এবার মেসে চলে যাও, কাল সকাল সকাল চলে এসো।’

‘জি আচ্ছা, তাহলে আমি যাই।’

‘এসো।’

নয়ন উঠে দাঁড়ায়। এমন সময় ঝিল ঘরে আসে। ঝিলকে দেখে নয়ন আবার বসে পড়ে। ঝিল নয়নকে খেয়াল করে না, সে কণাকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে,‘ আরে কণা আপু তুমি ?’

‘ঝিল তুমি ! এটা তোমাদের বাসা ?’

‘হ্যাঁ, কিন্তু কী ব্যাপার ?’

‘তুই একে চিনিস ?’ দাদু জানতে চান।

‘চিনবো না কেন, উনি আমাদের ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র আপু, কিন্তু ঘটনা কী ?’

‘ঘটনা হলো, এরা টিকেট পায়নি, না পেয়েছিল ছিন্তাই হয়েছে। আমি ভাবলাম কাল তো আমরা যাচ্ছি। মাইক্রো খালিই যাবে। তাই প্রস্তাব দিলাম, আমাদের সাথে যেতে, তারাও রাজি হলো। এখন এসেছে বাসা চিনতে, কাল সকালে চলে আসবে।’

‘ওহ ! তাহলেতো খুব মজা !’ ঝিল তালি দেয়,‘কণা আপু তোমার আর হোস্টেলে যাবার দরকার নেই, রাতটা এথানেই থাকো, সারা রাত দুজনে গল্প করব।’

‘আর আমি ?’ কণা কিছু বলার আগে নয়ন বলে।

‘আপনি ! আপনি কে ?’ পরক্ষণে ঝিল নয়নকে চিনে ফেলে,‘আরে আপনি ? আপনি এখানে কেন ?’

‘এ ও আমাদের সাথে যাবে, দাদু বলেন,‘তুই কি একেও চিনিস ?’

‘হ্যাঁ, একটা ফাজিল। না, এ যেতে পারবে না।’

‘সরি, আমি না দেখে রিক্সায় উঠে ছিলাম, আল্লাহর কিড়া।’

‘শাটাপ ! না দেখে রিক্সায় উঠে ছিলাম, আল্লাহর কিড়া ?’ ঝিল নয়নকে ভেংচায়,‘কণা আপু চলো, আমার ঘরে চলো ফ্রেস হবে।’ কণা উঠে দাঁড়ায়। সাথে সাথে নয়নও দাঁড়ায়। ‘আপনি দাঁড়াচ্ছেন কেন ? বসুন ?’

নয়ন আবার সাথে সাথে বসে পড়ে,‘না মানে, আমি, আমি কোথায় যাব ?’

‘আপনি এখানেই থাকুন। আমি কোথায় যাব, ফাজিল !’ নয়নকে ধমকে ঝিল কণাকে নিয়ে বেরিয়ে যায়।

‘কাল কি আমাকে আপনাদের সাথে নিবেন ?’ ঝিল চলে গেলে নয়ন দাদুকে প্রশ্ন করে।

‘বিষয়টা জটিল করে ফেললে,’ দাদু একটু ভাবেন, আচ্ছা রিক্সায় কী হয়েছিল ঘটনা বলতো শুনি ।’

‘না মানে, আমি একটা খালি রিক্সা দেখে থামতে বললাম কিন্তু রিক্সায় উঠে দেখি উনি বসে আছেন।’

‘সর্বনাশ ! তুমি কি প্রায়ই এরকম দেখ ?’

‘না কালই প্রথম।’

‘প্রথমবারই তুমি তার রিক্সায় উঠলে ?'

‘জি।’

‘জি !’ দাদু মাথা এপাশওপাশ করেন,‘উজবুক, আরেকটা উজবুক।’

‘জি ?’

‘আর জি বলে কি করবে, রিক্সায় উঠে যে মাইক্রোতে উঠার রান্তা বন্ধ করলে ?’

‘আল্লাহর কিড়া আমি দেখি নি, আমি সেরকম ছেলে না।’

‘বুঝলাম,’ দাদু একটু ভাবেন,‘আচ্ছা তুমি এখন যাও, কাল সকালে এসো একটা কিছু ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’

নয়ন উঠে পর মুহূর্তে বসে পড়ে,‘আচ্ছা ওনার পা ধরে ক্ষমা চাইলে নিবে না ?’

‘নিতেও পারে আবার লাথি দিয়ে ফেলেও দিতে পারে, উজবুকের গুষ্ঠি তো, মাথা ঠিক নাই।’

‘আপনিও কি এ গুষ্ঠির ?’

‘হ্যাঁ, কেন?’ নয়ন সরে দূরে বসে,‘কী ব্যাপার তুমি দূরে বসলে কেন ?’

‘না আমি এখন যাই, আস্‌সালামুলাইকুম।’

‘অলাইকুম আসসলাম।’ নয়ন দ্রুত বেরিয়ে যায়। দাদু তলতাকে ডাকেন, ‘তলতা তলতা।’

( চলবে )

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

প্রথম বাংলা বলেছেন: অর্ধেকটা পড়েছি কিন্তু মাথা আমার জাম লাইগা গেছে, তবে মজার,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.