নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু সিদ্দিকের মননভুবন

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক

রাজু সিদ্দিক

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .

রাজু সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুটবল গন্ডলোগ ৪ ( রম্য )

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

ব্রাজিল ছাড়া ল্যাটিন আমেরিকার মানুষগুলো এত অভদ্র কেন ?

জিল মঞ্জিলের খান সাহেব বসে ভাবেন, আমরা কি সুন্দর ময়মুরুব্বি দেখলে চেয়ার ছেড়ে দেই, আদর আপ্যায়ন করি। তারা এ সবের ধারধারে না !

এই যে ইন্ডিয়া বাংলাদেশে বি টিম নিয়ে ক্রিকেট খেলতে আসল, আমরা কি পারতাম না দু’একটা খেলায় জিততে। কই জিতেছি ? জিতি নাই। মুরুব্বি দেশ, তাকে হারিয়ে বেয়াদবি করব না কি ? আশ্চর্য !

আর কলম্বিয়া - ফাজিল, অভদ্র।

আরে ব্রাজিল প্রথম গোল দেয়ার সাথে সাথেই তো তোদের বলা উচিত ছিল,“বস আপনে জিতছেন, এইবার অনুমতি দেন, বাইৎ যাই গা।” না পুরো নব্বই মিনিটই খেলল ! আবার একটা পেলান্টি গোলও করল ? অভদ্র, ফাজিল !

এদিকে টিনা ভিলার রহমান সাহেবের মন খারাপ। এত টাকা দিয়ে বান মেরেও কোন লাভ হলো না, ব্রাজিলকে হারানো গেলো না। ব্রাজিল গিয়ে বান মারলে কেমন হয় ? ওয়ানস্টপ সার্ভিস, যখন খেলা তখনই বান।

এমন সময় এক ভিক্ষুক এসে ডোরবেল বাজায়,‘আম্মাগো দুইটা ভিক্কা দেন।’

ডোর বাজিয়ে ভিক্ষা ! রহমান সাহেবের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। উনি রেগে গিয়ে দরজা খোলেন। খুলে দেখেন, ওনার দরজায় দাঁড়িয়ে আছে এক বুড়া ভিক্ষুক আর পাশের বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে আছে খান সাহেব। উনি ভিক্ষুককে কড়া কথা বলতে গিয়ে বলেন না, উল্টো নরম স্বরে জিজ্ঞেস করেন, সে আর্জেন্টিনার সাপোর্ট করে কি না, উত্তরে ভিক্ষুক বলে,‘হয় হয়।’ অমনি উনি ভিক্ষুকের ডালায় বিশ টাকা ফেলে তাচ্ছিল্য ভরা চোখে খান সাহেবের দিকে তাকান।

ভিক্ষুক চলে যাবার সময় খান সাহেব ভিক্ষুককে জিজ্ঞেস করেন, সে ব্রাজিলের সাপোর্টার কি না ? ভিক্ষুক এবারও বলে,‘হয় হয়।’ খান সাহেব তাকে ত্রিশ টাকা দেয়।

সাথে সাথে রহমান সাহেব তাকে ধরে আবার জিজ্ঞেস করে, সে আজেন্টিনার সাপোর্ট করে না ? ভিক্ষুক এবারও বলে,‘হয় হয়।’ রহমান সাহেব এবার বাসা থেকে এক কেজি চাল এনে ভিক্ষুককে দেন।

সাথে সাথে খান সাহেব আবার তাকে আটকিয়ে জানতে চান সে ব্রাজিলের সাপোর্ট করে কি না ? সে এবারও বলে,‘হয় হয়।’ খান সাহেব পাঁচ কেজি চাল এনে তাকে দেন।

এবার রহমান সাহেব তাকে দশ কেজি চাল এনে দেয়। রহমান সাহেব দশ কেজি চাল দিয়েছে দেখে খান সাহেব পনের কেজি চাল এনে দেয়।

তখন ভিক্ষুক খান সাহেব ও রহমান সাহেবকে থামিয়ে বলে,‘ভাই আমি বুড়া মানুষ এত চাউল একা বইয়া নিতে পারুম না, আমার পোলারে ডাইকা আনি ? তার আগে আপনেরা কনতো এই আজেনটিনা আর বাজিল কীতা ? আমিতো বুঝি না !’

অমনি রহমান সাহেব ও খান সাহেব থমকে কিছুক্ষণ ভিক্ষুককে দেখেন, তাপর তার কাছ থেকে সব চাল রেখে, ‘হয় হয়ের বাচ্চা যা বাইর হয়,’ বলে দুই লাথি দিয়ে বের করে দেন।

ভিক্ষুক পাছা ডলতে ডলতে রাস্তায় এসে,‘ফাগল, ফাগলেরগুষ্ঠি জানি কোনখানের, এই ফাগলের বাড়িৎ ভিক্ষা করে কোন ফাগলে ?’ বলে চলে যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.