নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .
প্রচারিত হবে চ্যানেল আইতে ঈদের সপ্তমদিন সন্ধ্যা ৭টা ১৫ তে
রচনা- রাজু সিদ্দিক
পরিচালনা - রবিন খান
দৃশ্য - ১
( পুকুর পাড়ে ফাবিয়া ও তাদের বাড়ির রাখাল খোকন লুডু খেলছে। পুবুরের অন্য পাড় দিয়ে স্বপন হেঁটে যাচ্ছে। ফাবিয়াকে দেখে সে থমকে দাঁড়ায়। স্বপনের বাড়ি সিলেট । সে এই গ্রামের এক এনজিওতে ছয় মাস হয় চাকরি নিয়ে এসেছে। সে ফাবিয়ার প্রেমে পাগল। সে কিছুকগণণ ইতস্তত করে পুকুরের ঘাটে বাঁধা নৌকা নিয়ে পুকুরের মাঝে চলে আসে। এসে গান ধরে,“সব সখীরে পাড় করিতে নিব আনায় আনা / তোমার বেলায় নিব সখী তোমার কানের সোনা।” ফাবিয়া স্বপনকে পাত্তা দিচ্ছে না। খোকন একবার স্বপনকে আরেকবার ফাবিয়াকে দেখছে। ফাবিয়া লুডুর ছক্কা চালে। চার ওঠে। )
খোকন ঃ ছোড আপা কত ওঠছে ?
ফাবিয়া ঃ চার। ( খোকন ফাবিয়ার গুটি চার ঘর চালে দিয়ে ছক্কা নেবার জন্য হাত বাড়ায়। ফাবিয়া ছক্কা নেয়
তোলে নেয় )
খোকন ঃ আপনে আমারটাও মারবেন ?
ফাবিয়া ঃ হু।
খোকন ঃ তয় আমি কী করুম ?
ফাবিয়া ঃ তুই শুধু গুটি চালবি। ( ফাবিয়া ছক্কা মারে )
খোকন ঃ আচ্ছা সই, আমার কত ওঠছে ?
ফাবিয়া ঃ তিন।
খোকন ঃ ছয় যে দেখলাম !
ফাবিয়া ঃ আমি তিন বলছি না ?
খোকন ঃ আচ্ছা সই। ( এমন সময় স্বপনের হাত থেকে বৈঠা ফসকে পানিতে পড়ে যায়। সে ঝুঁকে বৈঠা ধরার
জন্য হাত বাড়ায়, অমনি পুকুরে পড়ে যায়। ফাবিয়া হেসে ওঠে। খোকন রাগী চোখে স্বপনকে দেখে। স্বপন
হাবুডুবু খেতে খেতে পাড়ে ওঠে আসে। )
২
( জব্বর মিয়া ঘরে ঢোকতে ঢোকতে তার দু বোন ফাবিয়া ও লামিসাকে ডাকে। )
জব্বর ঃ ফাবিয়া, লামিসা, ফাবু লামু, ও ফাবু লামু, আমার বুবুরা, ধুৎ কই গেল সব ? ( কেউ জবাব দেয় না।
জব্বর মিয়া ঘরে ঢোকলে তার স্ত্রী তাকে পান দেয় । )
ভাবি ঃ আপনের ফাবু লামু কী ঘরে থাকে যে ডাকেন ?
জব্বর ঃ কই থাকে ? ( পান মুখে দিয়ে জব্বর মিয়া বিছানায় বসে। )
ভাবি ঃ একজন দোলনায় থাকলে আরেকজন গাছে, একজন লুডু খেললে আরেকজন খেলে কুতকুত।
জব্বর ঃ বুঝছি, কিন্তু আজকে তোমারে যে সেই রকম লাগতাছে।
ভাবি ঃ আমারে সব সময় সেই রকম লাগে।
জব্বর ঃ হ, সব সময় সেই রকম লাগে, কিন্তু আজকে অই রকম লাগতাছে।
ভাবি ঃ সেই রকম না অই রকম ঠিক কইরা বলেন।
জব্বর ঃ সেই রকম আর অই রকমের মাঝে একটা কী রকম আছে না ? তা লাগতাছে।
ভাবি ঃ সেই রকম, অই রকম, কী রকম - আর কোন রকম বাকি আছে ?
জব্বর ঃ আছে মানে অবশ্যই আছে, আসলে, আসলে তোমারে বেবাক রকম লাগতাছে, বেবাক রকম। আমি
ঠিক বুঝাইতে পারতাছি না, ইয়া, ইয়া, আচ্ছা কাছে আও আমি তোমারে হাতেকলমে বুঝাই।
ভাবি ঃ জি আসলাম, বুঝান। বিয়ার পরতো কোন দিন বুঝাইতে পারেন নাই আমি কেমন। আজ আবার চেষ্টা
করেন। ( ভাবি এসে জব্বর মিয়ার সামনে বিছানায় বসে। জব্বর মিয়া বিছানায় আঙুল দিয়ে দেখায় )
জব্বর ঃ এই যে এইটা হইল সেই রকম, এইটা হইল অই রকম, আর এইটা, এইটা হইল কী রকম, এখন এই
সবগুলানরে যদি দেই ঘুটা, ( জব্বর মিয়া ঘুটা দেয়ার ভঙ্গি করে দেখায় ) তাইলে হইব বেবাক রকম।
ভাবি ঃ তিন পদে ঘুটা দিলে খাবার সেলাইন হয়, আমি না।
জব্বর ঃ খাবার সেলাইন ? ( জব্বর মিয়া মাথা চুলকায়। ) বুঝছ, লাস্টে আইয়াই আমার প্যাঁচটা লাগে, আসলে
আমি ঠিক, আমি ঠিক ( জব্বর মিয়া ভাবির হাত ধরে। এমন সময় বাইরে থেকে লিটন ডাক দেয়। )
লিটন ঃ ভাবি, ভাবি।
ভাবি ঃ ঐ যে আপনের জাগির মিয়া ডাকে।
জব্বর ঃ উ-হু, এই জাগিরের মিয়ার জন্য বৌয়ের সাথে একটু সুখ দুঃখের কথাও বলা যাবে না। ( ভাবি বেরিয়ে
যাবার আগে ফিরে তাকায়। )
ভাবি ঃ আপনে কিন্তু আজও কইতে পারলেন না। ( জব্বর মিয়া বিরক্তি মুখে লিটনকে বকতে থাকে। )
৩
( লিটন উঠানে দাঁড়িয়ে ভাবিকে ডাকছে, জব্বর মিয়ার স্ত্রী আসে । )
লিটন ঃ ভাবি, ভাবি ঘরে বইয়া কী করেন ?
ভাবি ঃ তোমার কী দরকার তাই বলো ?
লিটন ঃ আমারে তাড়াতাড়ি ভাত দেন। অফিসে যাইতে হইব, আমি না গেলেতো স্যারের সব বেকার।
ভাবি ঃ কেন ?
লিটন ঃ ফাইল কোনটা কই থাকে এইটা আমি জানি, স্যারের জানে নি ? তারাতো ওডার দিয়াই খালাস।
ভাবি ঃ তাইলেতো তুম অনেক বড় অফিসার।
লিটন ঃ ও আল্লাহ আপনে জানেন না, আমি না গেলেতো স্যারগো খানাদানা সব বন্ধ।
ভাবি ঃ ক্যান ?
লিটন ঃ ক্যান আবার থালাবাসন সব তালা দেওয়া থাকে না, আর চাবি থাকে কার কাছে ? এই আমার কাছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
হামিদ আহসান বলেছেন: লাইকড...........................