নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু সিদ্দিকের মননভুবন

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক

রাজু সিদ্দিক

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .

রাজু সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাওয়ার রিং - ১ (রম্য )

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

আমি অনারম্বর জীবনযাপনে অভ্যস্ত। অহেতুক জীবনকে জটিল করি না। দু’দিনের এই জীবনে আরম্বরতা যত থাকে জগত সংসারের প্রতি ততই মায়া বাড়ে। মায়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে জটিলতা, একসময় জটিলতা মায়াকে ঢেকে ফেলে। যেভাবে সাবানের বুঁদ বুঁদ পানি ঢেকে রাখে, যে বুঁদ বুঁদ হাওয়া ছাড়া কিছুই না। কিন্তু সংসারে কিছু লোক আছে, যারা অযথা জীবনটাকে অপ্রয়োজনীয় আজেবাজে বিষয়-আশয় দিয়ে জটিল ও দুর্বিষহ করে তুলে। অন্যভাবে বলা যায় মায়া দিয়ে। তাদের ঘর হতে হয় ফুল-কার্পেটিং, লাঞ্চ করে না ক্যাভিয়ারহীন, টয়লেট হতে হয় এয়ারকন্ডিশনিং, ব্যক্তিগত দাস-দাসী থাকে দুই, তিন।

আমি কখনোই তা করি না। কিন্তু আমার এই অনারম্বর জীবনে সেদিন একটা ভজকট লেগে যায়। রমনার পাশের নিরিবিলি ফুটপাত ধরে হাঁটছি, হঠাৎ অপরিচিতা এক মোছুয়া পথ রোধ করে বলে,‘কিরে কেমন আছিস ?’

মোছুয়ার কথা শুনে রাগে পিত্তি জ্বলে যায়, অপরিচিত লোকজনের সাথে তুই-তোকারি ! এটা কোন ধরনের ভদ্রতা ? তাই একটু ঝাঁঝের সাথে বলি,‘আপনাকে তো ঠিক....’

‘চিনবার পারছ নাই ?’ মোছুয়া মুখ বাঁকায়।

আমিও ভেংচিয়ে বলি,‘চেনার কী দরকার ?’

নচ্ছাড় মোছুয়া আচমক্কা স্বমন্ধীর পো,’ বলে আমার পিছন এক লাথি ঝাড়ে।

সাথে সাথে আমি তাকে চিনে ফেলি। বিস্মিত হয়ে বলি,‘আরে তু-তু-তুই !’

`স্বমন্ধীর পো পাছায় লাথ না খাইলে চিনবার পারো না ?’ মোছুয়া তির্যক অনুযোগ করে।

‘সরি দোস্ত, সরি, তুই না বিদেশে ছিলি ?’

‘ছিলাম বইলা দেশে আমু না ?’ বলে সে আমার গর্দান চেপে ধরে।

এই হলো আমার এক সময়ের জিগর দোস্ত। মানুষের দোস্তি হয় গলায় গলায় আর আমাদের দোস্তি ছিল গর্দানে গর্দানে। কারণ তার সাথে দেখা হলেই আমরা পরস্পরের গর্দান চেপে ধরতাম। আজ শুধু সেই আমার গর্দান চেপে ধরেছে। ধরুক, আপনজনকে চিনতে না পারাটা এক ধরনের অপরাধ। আমি সেই অপরাধটা করেছি। যাইহোক গর্দান ধরে আমাকে ঠেলতে ঠেলতে সে একটা ফাষ্টফুডের দোকানে নিয়ে এটা সেটা ঠেসে আমার পেট ফুলিয়ে দিয়ে বলে,‘দোস্ত, বিদেশ থিকা আইসা সবাইরে সবকিছু দিলাম, তোরেতো কিছু দিবার পারলাম না, ধর, তুই এই পাওয়ার রিংটা ধর।’

‘পাওয়ার রিং!’

‘আরে বেকুব পাওয়ার রিং বুঝলি না ? চাবির রিং, এই রিং আঁচলে ঝুলাইবার জন্যইতো সংসারে আপা, ভাবিগো এত খামছাখামছি, চিমডাচিমডি। ধর, পাওয়ার রিংটা শক্ত কইরা ধর।’

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.