নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু সিদ্দিকের মননভুবন

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক

রাজু সিদ্দিক

আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .

রাজু সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্লাসে পানি আছে অর্ধেক, রুচিটা আপনার

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

বছর পনেরো হবে হয়তো, একদিন রাস্তার পাশে কোন এক বাড়ির গেটে একটা ফুটফুটে ছোট্ট মেয়ে সেজেগুজে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম । তার বয়স ছয়/সাত হবে । হয়তো কোথায়ও বেড়াতে যাবার অপেক্ষায় ছিল । মেয়েটার পরনে বড়দের মত সেলোয়ার-কামিজ, সাথে ওড়না । সে আনন্দ উচ্ছ্বল মুখে তার ছোট ওড়নাটা ক্ষণে এ কাঁধে ফেলে, ক্ষণে অন্য কাঁধে, পরক্ষণে দুকাঁধে ফেলে সামনের দিকটা ঠিক করে, আবার একটু পরেই ওড়নাটা সে কোমরে বাঁধে, যেন ব্যস্ত গৃহিনী । ওড়নাটা নিয়ে শিশুটির সেই নির্মল আনন্দ খেলা, তার সেই হাসিখুশি মুখ আজও মনে পড়ে।
কাল ক্লাস ফোরে পড়া ছোট্ট রুহি তার আব্বুর সাথে আমাদের বাসায় বেড়াতে আসে । তার চোখে চশমা । জিজ্ঞেস করি, পাওয়ার কত ? রুহি হেসে বলে,‘পাওয়ার নেই । গত ঈদে আম্মু জিরো পাওয়ারের চশমাটা কিনে দিয়েছে । ( বলার অপেক্ষা রাখে না, সে আবদার করেছে বলেই তার আম্মু কিনে দিয়েছে । )
সাইফের বয়স সাত বছর । বাবা ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা । বাবার কোট পরে গলায় টাই ঝুলিয়ে সে ঘরময় ঘুরে বেড়ায়, তারও কোট-টাই চাই ! বাবা কিনে দেয় । কদিন পর গ্রীষ্মের ছুটিতে পরিবারের সবার সাথে কোট-টাই পরে চিরিয়াখানায় বেড়াতে যায় । চিরিয়াখানার এ খাঁচা ঐ খাঁচায় ঘুরছে অর দরদর করে ঘামছে, তবু তার কোট-টাই কেও খুলতে পারেনি । চব্বিশ ঘন্টা সাইফের পরনে কোট-টাই । কোট-টাই পরেই ঘুমায়, কোট-টাই পরে বাথরুমেও যায় ।
এবার সবার চেনা একটা দৃশ্যর - পহেলা বৈশাখে রাস্তাঘাটে অনেক বাচ্চা মেয়েকে শাড়ি পরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় । কাউকে হয়তো তার বাবা-মা শখ করে কিনে দিয়েছে । কেউ বা আবদার করেছে বলে তার বাবা-মা কিনে দেয় । শাড়ি পরে ছোট্ট শিশু গুটি গুটি পায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে - কার না ভাল লাগে ?
কিন্তু ‘ও-তে ওড়ন’ নিয়ে কেউ কেউ কেন যে এতো টানাটানি করল ?
ওয়ানে পড়া একটা ছোট মেয়ের তার আপুর মত বা মার মত ওড়না পরার শখ হতেই পারে, বলতেই পারে,‘ওড়না চাই ।’
আচ্ছা ওড়না যদি বড় হয়ে যাওয়ার বা যৌবনের প্রতীক হয়, তাহলে শাড়ি কিসের প্রতীক ? বিয়ের ! আর কোট-টাই ? বৌভাত অনুষ্ঠানের বরের প্রতীক !!
গ্লাসে পানি আছে অর্ধেক । এবার আপনার রুচি, কি বলবেন - অর্ধেক খালি না অর্ধেক ভরা ?
( তবে হ্যাঁ কবির কবিতা বিকৃতি করা অনেক বড় অপরাধ। এই অপরাধটা বোর্ড কর্তৃপক্ষ করেছেন। )

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


"কিন্তু ‘ও-তে ওড়ন’ নিয়ে কেউ কেউ কেন যে এতো টানাটানি করল ? "

-দেশে ইডিয়টদের সংখ্যা বাড়ছে; মুল ষমস্যা বুঝার মত ক্ষমতা না থাকায় লতাপাতাগুলো এটাসেটা নিয়ে ব্যস্ত

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: এখানেই সরকারের সাফল্য (বা আমাদের ব্যর্থতা)। বাম হাতে ওড়না আর ডান হাতে রথ ধরিয়ে দিয়েছে। সবাই ওড়না আর রথ টানাটানিতে ব্যস্ত। পাঠ্যবই যে ভুলে ভরা সেদিকে কারো খেয়াল নেই।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :( নেই কাজ ত' খই ভাজ' অথবা তারা বুঝতে পারছে তেজপাতার মূল্য থাকলে ও তাদের দু'আনা মূল্য নেই। তাই তারা হাউকাউ করে তাদের প্রলাপ করতে চায়! আচ্ছা-

একটা শিশু যখন বুঝতে শিখে তখন থেকে সে দেখে তার মা- বোনরা ওড়না পড়ছে। এই ওড়না কেন পড়ছে তা জানতে তার বইয়ের শানেনূজুল পড়ে পড়ে শিখতে হয়না। সে আস্তে আস্তে শিখে যায়।

মানে, এটা স্বাভাবিক প্রকিয়া, অন্তর্নিহিত জিনিষ বলে কিছু নেই।

এটার ভিতর যে অন্তর্নিহিত জিনিষ থাকে সেটা আমাদের শিশুরা জানতে পেরেছে ২০১৭ সালের শুরুতে, কিছু মানুষের মুত্র দোষ আর চুল্কানির কারনে।

একটা জিনিষ মাথায় থাকা দরকার, সেটা হল শিশুরা যখন মায়ের দুধ খাচ্ছে তখন মায়েরা ওড়না ফাক গলিয়ে খাওয়াচ্ছে, তখন শিশুদের অন্তর্নিহিত জিনিষ চোখে পড়ে না। আর বইতে ওড়না পড়লে ওড়নার অন্তর্নিহিত জিনিষ শিশুড়া আবিস্কার করে ফেলে!

যারা ওড়না ওড়না করে মুখে ফেনা তুলছে তাদের মুখে ছাই দেয়া দরকার।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ওড়নায় আপত্তি নাই। তবে "ওড়না পেঁচিয়ে" লিখে গুগলে সার্চ দিলে হয়তো আপনারও ওড়না নিয়ে টানাটানি করতে মন চাইতে পারে।

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মনে হচ্ছে আবার স্কুলে ভর্তি হতে হবে, বই না পড়লে জানব কি করে কোথায় কি লিখল? :(

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

ফ্রিটক বলেছেন: কথায় যুক্তি আছে। আমিও একমত

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজু সিদ্দিক ,




সহব্লগার "চাঁদগাজী" আর "শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)" ঠিক বলেছেন ।

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যারা এসব নিয়ে মাতামাতি করছে তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন খুব একটা সুখের নয়...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.