নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন ব্লগার হিসাবে সামুর সাথে ২০১৩ সাল থেকে আছি কিন্তু ২০১৪ সালের শেষের দিক থেকে আমার লেখা প্রথম পাতায় যায় না (২০১৫ এর মাঝে ১ মাস বাদে)। আমি কিন্তু আবার একজন সেইফ ব্লগার!!!

রেজওয়ান26

প্রত্যেক মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে । সেটা যে কোন সময়ই হতে পারে ।

রেজওয়ান26 › বিস্তারিত পোস্টঃ

শত্রুতাই ইসলাম গ্রহণের কারণ !

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

ইসলাম বিদ্বেষী, ইসলামের প্রতি শত্রুতাই ইসলাম গ্রহণের কারণ হলো। মুসলিম হয়ে এখন ইসলামের শীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিল পিতা-পুত্র।



দুবাই ইন্টারন্যাশনাল পিস কনভেনশনে ৩৭ জন ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে আছেন ইসকান্দের এমিয়েন দে ভ্রাই যিনি আর্ন্যুদ ভ্যান দোর্নের ছেলে। আর্ন্যুদ ভ্যান দোর্ন হচ্ছেন বিখ্যাত ডাচ নীতিনির্ধারক এবং আলোচিত ইসলামবিদ্বেষী ছবি ‘ফিতনা’র পরিবেশক। এ ছবিটি ২০০৮ সালে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। -খালিজ টাইমস



তিন দিন ব্যাপী দুবাইয়ের ঐ সম্মেলনে তার ইসলাম গ্রহণ সবাইকে বিস্মিত করেছে। এখানে কালেমা শাহাদাহ পড়ে ইসলাম গ্রহণ করেন ইসকান্দের। তিনি ঘোষণা করেন, ‘আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মোহাম্মদ (সা) তার বান্দা ও সর্বশেষ রাসূল।’

২০০৮ সালে ‘ফিতনা’ সিনেমা বানানোর সাথে যুক্ত হয়ে এবং এটা প্রচার করে আলোচনায় আসেন আর্ন্যুদ ভ্যান দোর্ন। এ সিনেমাটিতে ইসলাম নিয়ে ভুল ধারণা ছড়ানো হয়। পাঁচ বছরের মধ্যে আর্ন্যুদ নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলেছেন। ইসলাম নিয়ে আরও জানাশুনা করে ধর্মান্তরিত হয়ে গেছেন। তার এই ইসলামগ্রহণ বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে।



এবার ছেলে ইসলাম গ্রহণ করে বলেন, ‘আমি দেখেছি যে আমার বাবা ইসলাম গ্রহণের পর বেশ শান্ত হয়েছেন। তখন আমার মনে হয়েছে এ ধর্মে বিশেষ কিছু আছে, ভালো কিছু আছে। ফলে মুসলিমদেরকে নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায়। আমি পবিত্র কুরআন পড়তে শুরু করলাম এবং বিশিষ্ট পণ্ডিতদের লেকচার শুনতে লাগলাম।’



তার এ বদলে যাওয়াতে তার কলেজবন্ধু ইউনিসেস অবদানের কথাও স্বীকার করেছেন।



তিনি বলেন, ‘ইউনিস ছিল একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং সে আমাকে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখাতো। সে সবসময় ধৈর্যশীল ছিল এবং আমি তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারতাম না।’



তার বাবার কাছ থেকেও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন ইস্কান্দের। কিভাবে তার বাবা একজন শান্তিপূর্ণ মানুষ হয়ে গেলে আস্তে আস্তে এটা তাকে বেশ নাড়া দিয়েছে।



‘ফিতনা’ সিনেমাটি নিয়ে বলতে গিয়ে আর্ন্যুদ এটাকে একটা ‘ভুল’ হিসেবে দেখছেন এবং এর জন্য খুবই অনুতপ্ত। আর্ন্যুদ ভ্যান দোর্ন বলেন, ‘অনেকেরই ভুল ধারণা আছে যে এ মুভিটি আমি তৈরি করেছি। আসলে আমি এর পরিবেশনার সাথে জড়িত ছিলাম। এ কাজের জন্য আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত।’



তার এ ভুলের মাশুলের জন্য ইসলামের সুন্দর দিকগুলো নিয়ে একটা সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা আছে আর্ন্যুদ ভ্যান দোর্নের।



তিনি বলেন, ‘আমি আমার মেধা ও দক্ষতাকে ভালো কাজে ব্যবহার করতে চাই, সঠিক কাজে ব্যবহার করতে চাই। আমি ইসলাম ও নবী মোহাম্মদ (সা) এর জীবন নিয়ে একটা মুভি বানাতে চাই যাতে তরুণরা ইসলামের দিকে এগিয়ে আসে।’



এখন বাবা-ছেলে মিলে ইউরোপে তাদের প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন নিয়ে কাজ করছে। তারা ইউরোপজুড়ে ইসলামোফোবিয়ার বিপক্ষে কাজ করে যাবেন বলে জানান।



তাদের স্বেচ্ছাসেবকের দলটি মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে দূরত্ব ঘুচানোর জন্যও কাজ করে যাচ্ছে।



ইসলাম গ্রহণ করে ইসকান্দের সৌদি আরবে ওমরাহ করার পরিকল্পনা করেছেন এবং সে আশাবাদী তার মাও খুব শিগগিরই ইসলাম গ্রহণ করবেন।













(সংগৃহীত)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯

সত্য৭৮৬ বলেছেন: শুধু মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে দূরত্ব ঘুচালেই হবেনা- মুসলিমদের নিজেদের মধ্যেও দূরত্ব ঘুচানোর চেষ্টা নিতে হবে রে ভািই-

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

উড়োজাহাজ বলেছেন: এরা কেতাবী ইসলাম এসে এখানে ঢুকবে আমরা তেমন মুসলমান নই। তখন কিন্তু তারা হতাশ হতে বাধ্য হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.