নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন ব্লগার হিসাবে সামুর সাথে ২০১৩ সাল থেকে আছি কিন্তু ২০১৪ সালের শেষের দিক থেকে আমার লেখা প্রথম পাতায় যায় না (২০১৫ এর মাঝে ১ মাস বাদে)। আমি কিন্তু আবার একজন সেইফ ব্লগার!!!

রেজওয়ান26

প্রত্যেক মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে । সেটা যে কোন সময়ই হতে পারে ।

রেজওয়ান26 › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে রাসায়নিক বিষক্রিয়ায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে !

০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

আর্সেনিক, কপার, মার্কারি এবং লিড-এর মতো বিষাক্ত ভারি মেটাল বাংলাদেশীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। পরিবেশে ছড়িয়ে থাকা এসব বিষাক্ত পদার্থ বা রাসায়নিক উপস্থিতি বিষক্রিয়ার মানুষের রক্তে থাকায় এই ঝুঁকিকে দ্বিগুণ করে তুলেছে। সমপ্রতি হার্ট অ্যাটাকের উপর পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফলে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে যারা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন তাদের গড় বয়স ৫২ বছর। এমন ঘটনাগুলো যাদের ক্ষেত্রে ঘটে তাদের মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগেরই বয়স ৫০ বছরের এর নিচে। পুরুষরা সিগারেট, বিড়ি বা হুক্কার মতো তামাকজাত পণ্য এবং নারীরা গুল, জর্দ্দা, তামাক বা সাদা পাতার ব্যবহার করেন বেশি। এগুলো হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে গুড কোলেস্টেরোল বা হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন-কোলেস্টোরেল-এর স্তর আশঙ্কাজনকভাবে কমায় এবং ব্যাড কোলেস্টেরোল বা লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন-কোলেস্টেরোল-এর স্তর বাড়িয়ে দেয়। এসব কারণে পশ্চিমা বিশ্বের মানুষের তুলনায় বাংলাদেশীরা সাধারণত ১০ বছর আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন।



বাংলাদেশ রিস্ক অব অ্যাকিউট ভাসকুলার ইভেন্টস-ব্রেভ নামে এই গবেষণায় লন্ডনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের আইসিডিডিআর,বি’ ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেস-এনআইসিভিডির গবেষকরা অংশ নেন। এতে ৪,০০০ জন প্রথম হার্ট অ্যাটাক করা ব্যক্তি এবং সম সংখ্যক সুুস্থ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পাশাপাশি গবেষণায় ঢাকাস্থ ইন্সটিটিউট অব কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেস-এনআইসিভিডি-এর (হৃদরোগ হাপসপাতাল) রোগীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।



ব্রেভ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য অতি সাধারণ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি; যেমন ডায়াবেটিক, ব্লাড প্রেসার, লিপিড এবং ধূমপানকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে হৃদরোগীর সংখ্যা সবচাইতে বেশি। যদিও ব্লাড ফ্যাট, ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিক, ধূমপান, অনেক মোটা হয়ে যাওয়া এসব সাধারণ বিষয়কে বাংলাদেশীদের হৃদরোগের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এর সঠিক কারণ এখনও অস্পষ্ট রয়ে গেছে। প্রথমবার হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হৃদরোগ হাসপাতাল এনআইসিভিডি-তে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে ১২ ভাগ নারী। তাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণগুলো যে অবহেলিত তা এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে। ভর্তি রোগীদের বডি ম্যাস ইন্ডেক্স-বিএমআই গড়ে ২২.৬ কেজি। তাদের এক তৃতীয়াংশেরই উদর মোটা (ওয়েস্ট এবং হিপের রেশিও) এবং যাদের উদরের মাপ কম তারা কম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। বাংলাদেশীদের মধ্যে যাদের পেট বড় তাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেশি। এ সম্পর্কিত এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, যারা হার্ট অ্যাটাক রোগে ভুগছেন তাদের প্রতি ছয় জনের মধ্যে একজন দিনে মাত্র ১০ মিনিট কঠোর পরিশ্রম করেন। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সব রোগীর মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ এবং সব স্থূলকায় রোগীর মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগই তামাকজাত পণ্য সেবন করেন। ব্রেভ-এর প্রধান গবেষক যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর রাজীব চৌধুরী বলেন, ব্রেভ গবেষণা থেকে আমরা হৃদরোগের গতানুগতিক এবং নতুন ঝুঁকিপূর্ণ কারণগুলোকে পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, যারা খাবার গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করেন তাদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কম থাকে। বাংলাদেশীরা চিনি, মাছ এবং ভাত বেশি খান, যাতে টক্সিক বিষের পরিমাণ বেশি। আর এ কারণে এসব খাবার গ্রহণকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।



















(সংগৃহীত)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

টয়ম্যান বলেছেন: উপকারী পোস্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.